হালাল মার্কেটিং - Halal Marketing লেখক : প্রলয় হাসান (বইটি সম্পর্কে জানুন)

Proloy Hasan,ব্যবসা, marketing, Halal Marketing,Read Before Buy,Book For Pre Order,A Complete Guide & Solution for All Halal Marketers.হালাল মার্কেটিং - Halal Marketing লেখক : প্রলয় হাসান। এক নজরে দেখে নিন বইটি থেকে যা যা শিখবেন।

হালাল মার্কেটিং - Halal Marketing
প্রকাশনী : আদর্শ
বিষয় : মার্কেটিং ও সেলিং
পৃষ্ঠা : 216, কভার : হার্ড কভার
আইএসবিএন : 9789849665908, ভাষা : বাংলা

হালাল মার্কেটিং কি?

'হালাল মার্কেটিং' বলতে বোঝানো হয়েছে, একজন ক্রেতার পণ্য কেনা ও ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ধর্মের সরাসরি প্রভাব রয়েছে। কাজেই, ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ডিজাইন করলে এটি অপেক্ষাকৃত বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। সাধারণত মুসলমান ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ‘হালাল’ বিষয়টিকে প্রাধান্য দেন— উভয় পক্ষেরই চূড়ান্ত উদ্দেশ্য থাকে পরকালকে ঘিরে, যা অন্য কোনো মার্কেটিং দর্শনে নেই। বাংলাদেশে এথিক্যাল মার্কেটিং ও সাসটেইনিবিলিটির যে চর্চা, তা বর্হিবিশ্বের তুলনায় কম। এই বইয়ে লেখক বেশ কয়েকটি উদাহরণ এবং সংক্ষিপ্ত কিছু কেস স্টাডি তুলে ধরেছেন। সাথে এও বলেছেন— কেন ও কিভাবে শুধু পরিবেশ সচেতনতাই একটি প্রতিষ্ঠানকে এনে দিতে পারে মোটা অংকের মুনাফা। ব্যবসায়ে নৈতিকতা চর্চা এবং পরিবেশ-সচেতনতার সাথে ইসলামের সরাসরি সম্পর্ক থাকায় এই দুটি অধ্যায়কেও এই বইয়ে যুক্ত করা হয়েছে। হালাল মার্কেটিংয়ের সাথে এথিক্যাল এবং গ্রিন মার্কেটিংয়ের প্রেক্ষাপটে শরীয়তের যে সকল নির্দেশাবলী রয়েছে, তা মানা ব্যবসা এবং সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ধারন— উভয় স্বার্থেই জরুরি।

হালাল মার্কেটিং, এথিক্যাল মার্কেটিং, সাসটেইনেবল মার্কেটিং, এবং গ্রিন মার্কেটিং- এ বিষয়াবলীর চমৎকার মেলবন্ধন ঘটেছে এই বইতে। বইটি দেশীয় উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলোকে যেমন হালাল, এথিক্যাল এবং ইকো-ফ্রেন্ডলি প্রোডাক্ট বিপণনে উৎসাহী করবে, তেমনি দেশের ভোক্তাদেরকেও সঠিকভাবে হালাল-হারাম যাচাই করে পণ্য কিনতে এবং নৈতিক ও পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববান হতে প্রেরণা দিবে।

স্বীকারোক্তি: এই বইতে যত ধরনের প্রাসঙ্গিক ছবি ইলাসট্রেশন, ছক, ইনফোগ্রাফিক, চার্ট ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো শুধু শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে এবং সংশ্লিষ্ট স্থানে যথাযথ তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়েছে। এবং অনেক স্থানেই ইসলামিক মার্কেটিং টার্মটি ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে দ্বিধান্বিত হওয়ার কিছু নেই, কেননা এটি অনেকটাই হালাল মার্কেটিংয়েরই সমার্থক শব্দ।

😍 এই বইতে হালাল মার্কেটিং সম্পর্কিত 25 থেকে 26 টি অধ্যায়ে রয়েছে যেখানে প্রত্যেক টি অধ্যায়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পাঠকের জন্য।

হালাল মার্কেটিং - Halal Marketing বইটি কেন পড়বেন? 

হালাল মার্কেটিং - Halal Marketing বইটি সম্পর্কে লেখক : প্রলয় হাসানের ভূমিকা:
প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম।
গত বছর প্রকাশিত আমার বইয়ের হালাল মার্কেটিং অধ্যায়ে বেশ কিছু ইসলামিক মার্কেটিং বা হালাল মার্কেটিংয়ের সংক্ষিপ্ত কেস স্টাডি লিখেছিলাম। অনেক পাঠক আমাকে জানিয়েছেন, এতে তাদের তৃষ্ণা মেটেনি। তারা এই বিষয়ে আরও কিছু কেস স্টাডি জানতে চান। আমি নিজে মাদ্রাসার ডজনখানেক শিক্ষার্থীর কাছে আমার বইটা বিক্রি করেছিলাম। মাদ্রাসার ছেলেরাও আমার বইয়ের টার্গেট রিডার হতে পারে, কখনো ভাবিনি। তাই অবাক হয়ে তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেন আমার বই কিনছেন? তারা সবাই উত্তর দিয়েছিলেন, ‘মূলত হালাল মার্কেটিং অধ্যায়টার কারণে। মার্কেটিংয়েও যে হালাল-হারাম থাকতে পারে, তা আমরা আপনার বই থেকেই প্রথম জানতে পেরেছি।

বেশ কয়েকজন পাঠক আমাকে একাধিকবার অনুরোধ করেছেন, হালাল মার্কেটিং নিয়ে আরও বিস্তারিত লিখতে। এই কারণেই আমি এই বইতেও হালাল মার্কেটিং তথা ইসলামিক মার্কেটিং বিষয়ে আরও কিছু পণ্য বা সেবার কথা লিখব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে গতবারের বইতে প্রচুর কেস স্টাডি থাকলেও এই বইতে কেস স্টাডির পাশাপাশি হালাল মার্কেটিংয়ের দর্শনগত, তাত্ত্বীয় ও প্রায়োগিক দিক নিয়েই বেশি আলোচনা করেছি এবং বিভিন্ন গবেষণাপত্রের আলোকে মূল প্রতিপাদ্যের ওপর আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। কেননা, এই বিষয়টি নিয়ে এখনো আমাদের মধ্যে বোঝাপড়ার বেশ ঘাটতি রয়েছে।

একজন গ্রাহকের পছন্দ, অভিরুচি, পণ্য ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পণ্য ভোগ, খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে ধর্মের সরাসরি প্রভাব রয়েছে। একজন মুসলমান গ্রাহকের ক্ষেত্রে এ কথাটি আরও শক্তভাবে প্রযোজ্য। সাধারণত একজন মুসলমান গ্রাহক ছোটবেলা থেকে সেভাবেই বড় হয়ে ওঠে। এ কারণেই তার ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ডিজাইন করলে তার আস্থা পাওয়াও সহজতর হয়ে ওঠে! আর এই পুরো ব্যাপারটিই হালাল মার্কেটিংয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

যেহেতু ইসলাম কেবল একটি ধর্ম নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান; সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা, আত্মিক উন্নয়ন, দর্শনসহ মানুষের জীবনের যাবতীয় কার্যক্রমই এর আওতাভুক্ত, সেহেতু হালাল মার্কেটিংয়ের দর্শনও গতানুগতিক মার্কেটিং দর্শনের মতো কেবল কাস্টমারদের চাহিদা পূরণের নিমিত্তে আসেনি। একে কিছু কঠোর নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হয়, যেসব নিয়মনীতির মূলে রয়েছে কোরআন, হাদিস এবং সুন্নাহ। ইসলাম ইহকালের চেয়ে পরকালের জীবনের ওপরই সব সময় অধিক গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। সাধারণত গতানুগতিক মার্কেটিং যেখানে মুনাফা বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করে থাকে, হালাল মার্কেটিং সেখানে ভ্যালু বৃদ্ধি, সামাজিক ও গোষ্ঠীগত কল্যাণ এবং সর্বোপরি মৃত্যুর পরের জীবনে সফলকাম হওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করে, যা পৃথিবীর আর কোনো মার্কেটিং দর্শনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। হালাল মার্কেটিংয়ের গবেষক ও প্রবক্তারা বিশ্বাস করেন, হালাল মার্কেটিংয়ের চর্চার মাধ্যমে একটা ব্র্যান্ড বা কোম্পানির মালিক শুধু যে জাগতিক সফলতাই লাভ করবেন তা-ই নয়, বরং এ চর্চা তাঁকে পরকালের জগতেও সফলকাম করে দিতে পারে। এখানেই হালাল মার্কেটিং পুরোপুরি স্বতন্ত্র ও বৈচিত্র্যপূর্ণ।

ব্যবসায়ে নৈতিকতা চর্চা এবং পরিবেশ সচেতনতার সঙ্গে ইসলামের সরাসরি সম্পর্ক আছে। যে কারণে এই দুইটা অধ্যায়কে এক বইয়ে একত্রে রাখার চেষ্টা করেছি। কীভাবে সম্পর্ক রয়েছে তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। এথিক্যাল এবং ইকো-ফ্রেন্ডলি মার্কেটিংয়ের প্রেক্ষাপটেও শরিয়তের নির্দেশনাবলি মানা জরুরি। মার্কেটিং ও ভোক্তা আচার ইত্যাদির ক্ষেত্রে ইসলামি মতাদর্শের সঙ্গে শক্তিশালী ও নিগূঢ় সম্পর্ক দেখা গিয়েছে নিকট অতীতেই। এর মূল কারণ হচ্ছে, ইসলামিক বা হালাল মার্কেটিং, যা পৃথিবীজুড়ে খুব দ্রুত মূলধারার মার্কেটিং চর্চায় যুক্ত হতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে যেহেতু মাত্র এক যুগ হলো গবেষণা শুরু হয়েছে, সেহেতু বলা যায় এটি এখনো মার্কেটারদের কাছে অপেক্ষাকৃত নতুন। হালাল মার্কেটিংকে বিভিন্ন পর্যায় থেকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, কারণ এর সঙ্গে ধর্মের মতো একটা স্পর্শকাতর বিষয় সরাসরি জড়িত, যা একই সঙ্গে গ্রাহকগোষ্ঠী ও মার্কেটার উভয় শ্রেণির জন্যই গুরুতর স্পর্শকাতর হতে পারে।

আমি জানি, হালাল মার্কেটিং নিয়ে আস্ত একটি বই লেখার মতো যথেষ্ট যোগ্যতা আমার নেই। তদুপরি আমি এটি লিখেছি মূলত আমার পাঠকদের অনুরোধে এবং বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার প্রয়োজনে। আমি দেখেছি, প্রচুর বাংলাদেশি মুসলমান ভোক্তা মার্কেটিং বিষয়ে বা হালাল পণ্য বা সেবার বিষয়ে ইসলামের যে অনুশাসনগুলো রয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারে অনেকটাই অজ্ঞ এবং অসচেতন। তবে তার চেয়েও মারাত্মক ব্যাপার হচ্ছে, তারা অনেক ক্ষেত্রেই ভুল জানেন ও অনুশাসনগুলোকে ভুল বুঝছেন। যেমন: তাদের অনেকেই মনে করেন, সুদের টাকা দিয়ে যদি দান-ছদকা করা হয়, তবে সেই সুদ খেতে কোনো বাধা নেই (আস্তাগফিরুল্লাহ)। এ বিষয়টি নিয়ে এই বইয়ের হালাল ফাইন্যান্স অধ্যায়ে লিখেছি।

দুঃখজনকভাবে, ইসলামের অনেক মৌলিক আকিদার ক্ষেত্রে তাদের মাঝে ভ্রান্তি লক্ষ করা গিয়েছে। এসব দেখে আমার মনে হলো, যদিও বা আমি ইসলামিক স্কলার নই, তবুও পরম করুণাময় আমাকে যতটুকু সামর্থ্য ও ক্ষমতা এবং যৎসামান্য জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়েছেন, ততটুকু দিয়েই একটা চেষ্টা চালাচ্ছি না কেন, যাতে করে সমাজের আপামর মুসলমান জনগণের ভেতর দ্বীনি ইসলামের নিরিখে ব্যবসা, মার্কেটিং ইত্যাদি চর্চার বিষয়ে একটা ন্যূনতম বোঝাপড়া তৈরি হয়?

যেহেতু ইসলামিক মার্কেটিং কিংবা হালাল মার্কেটিং বিষয়ে আমার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা পেশাগত অভিজ্ঞতা নেই, সেহেতু আমি এই বইয়ে ইসলামিক মার্কেটিং-বিষয়ক জার্নাল থেকে ওই বিষয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গবেষকদের গবেষণা, আবিষ্কার, প্রাসঙ্গিক সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এবং পরামর্শ-মতামত ইত্যাদি উল্লেখ করেছি। এতে আমার নিজস্ব বক্তব্য বা বিশ্লেষণ কমই লিখেছি। ২০১০ সাল থেকে জার্নাল অব ইসলামিক মার্কেটিং নিয়মিতভাবে মানসম্পন্ন গবেষণাপত্র প্রকাশ করে চলেছে, যার একটি ক্ষুদ্র অংশ এই বইটি লিখতে আমাকে বেশ সাহায্য করেছে। আমার বিশ্বাস, বইটির মাধ্যমে দেশের বড় বড় ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান নতুন কিংবা বিদ্যমান কোনো পণ্য বা সেবাকে হালাল মার্কেটিংয়ের আওতায় খানিকটা হলেও নতুন করে ডেভেলপ করে বাজারে ছাড়ার প্রয়াস নিতে উৎসাহী হবে, যা দেশের হালাল মার্কেটকে আরও প্রসারিত করতে সাহায্য করবে। বইটি কতটুকু ইমপ্যাক্ট ফেলবে তা জানি না, তবে সঠিক নিয়ত করেছি, বাকিটা আল্লাহপাকের হাতে।

আমি মূলত এই নিয়তে বইটি লিখেছি, যাতে করে দেশের মার্কেটিং পেশাজীবী, ভোক্তাসহ আপামর বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদের মধ্যে হালাল মার্কেটিং ও এর চর্চার বিষয়ে কোনোরূপ দ্বিধা, বিভ্রান্তি বা ভুল-বোঝাবুঝির অবকাশ না থাকে। এবং এর মাধ্যমে কোম্পানি যেমন হালাল পণ্য উৎপাদনে উৎসাহী হবে, তেমনি দেশের ভোক্তারাও সঠিকভাবে হালাল-হারাম যাচাই-বাছাই করে পণ্য কিনতে উৎসাহী হবে। আমি যেন কেয়ামতের দিন মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে বলতে পারি, আপনি আমাকে যতটুকু সামর্থ্য ও জ্ঞান দিয়েছিলেন, ততটুকু দিয়েই আমি চেষ্টা করেছিলাম। প্রিয় পাঠকের কাছে অনুরোধ, আমার জন্য তাঁর কাছে দোয়া করবেন, তিনি যেন আমার এই ক্ষুদ্র অথচ দুঃসাহসিক প্রচেষ্টাটুকু কবুল করেন। আমিন।

এথিক্যাল মার্কেটিং নিয়ে আমাদের দেশে যে চর্চা, তা বাইরের দেশের তুলনায় কম, এর কারণ হতে পারে যে আমাদের দেশের আপামর ক্রেতাদের মার্কেটিংয়ের এই দিকটির ব্যাপারে ধারণা ও সচেতনতা উভয়ই কম। ফলে দেশে ব্যবসা করা ব্র্যান্ড বা কোম্পানিগুলো এথিক্যাল মার্কেটিং চর্চার ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন। আমি এই বইয়ে এথিক্যাল মার্কেটিংয়ের সংজ্ঞাসহ বেশ কয়েকটি অনুকরণীয় উদাহরণ, এথিক্যাল মার্কেটিংয়ের প্রয়োজনীয়তা, প্রাসঙ্গিক ও শিক্ষামূলক কিছু কেস স্টাডি এবং ব্র্যান্ড হিসেবে তাদের প্রভাব ইত্যাদি মোটামুটি বিশদভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সেই সঙ্গে বলার চেষ্টা করেছি, একটা ব্র্যান্ডকে কেন ও কী করে টেকসই: ফিউচারপ্রুফ হতে হয়। কেন একটা ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের উচিত সমাজ ও ভবিষ্যতের পৃথিবী নিয়ে ভাবা, এর পরিবেশকে নিয়ে ভাবা? পৃথিবীর বড় বড় কোম্পানি এ ক্ষেত্রে কী করছে এখন? এবং কেন ও কীভাবে এই তীব্র প্রতিযোগী আর দুর্মূল্যের বাজারেও একটা ব্র্যান্ডের শুধু পরিবেশ সচেতনতা প্রতিবছর মোটা অঙ্কের মুনাফা এনে দিতে পারে।

অনেকেই জানি, সম্প্রতি বিশ্বের ১ নম্বর ধনীর কাতারে নাম উঠে আসা সিরিয়াল অন্ট্রাপিনিওর ইলন মাস্ক তার পণ্যের তেমন কোনো মার্কেটিং বা বিজ্ঞাপন দেন না বললেই চলে। কিন্তু মার্কেটিং তো তিনি অবশ্যই করেন, তবে সেটা গতানুগতিক ধারায় নন। তাহলে কী তার মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি? কিংবা মার্কেটিং হ্যাকস? সেটাও সংক্ষেপে এই বইতে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

>. Hassan, A.. Chachi, A.. & Latiff. S. A. (2008). Islamic marketing ethics and its impact on customer satisfaction in the Islamic banking industry. Islamic Economics. 21(1). 2746

       লেখক : প্রলয় হাসান পরিচিতি
proloyhasan.jpg
Author : Proloy Hasan

জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। ধানমন্ডি গভ. বয়েজ থেকে জন্ম, বেড়ে ওঠা ও স্থায়ী বসবাস ঢাকাতে। ধানমন্ডি গভঃ বয়েজ হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমান উচ্চতর শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশের মাটিতে ফিরে এসে মার্কেটিংয়ে এমবিএ করেছেন। ভোক্তা সন্তুষ্টির উপর তাঁর একটি একাডেমিক গবেষণাপত্র রয়েছে। ভবিষ্যতে চার্টাড মার্কেটার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। মার্কেটিং কর্মকর্তা ছিলেন দেশীয় টেকনোলজি স্টার্টাপ, ই-কমার্স, মার্কেটিং এজেন্সি, এবং দেশি-বিদেশি কয়েকটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং পেশায় রয়েছে। নিজস্ব একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কনসালটেন্সি ফার্মও রয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে অনলাইনে বাংলা ভাষায় নিয়মিত লেখালেখি করছেন। গত কয়েক বছর ধরে মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং নিয়ে তিনি প্রায় নিয়মিতই লেখালেখি করছেন, দেশের ব্র্যান্ড চর্চাজীবিদের কাছে সেগুলো পেয়েছে তুমুল পাঠকপ্রিয়তা। প্রলয় হাসানের মার্কেটিংয়ের অনুসন্ধিৎসু লোকাল কেইস স্টাডি ছাপা হয়েছে একাধিক জাতীয় দৈনিক ও ম্যাগাজিনে, বানানো হয়েছে ডকুমেন্টারিও। একদিন বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ও এথিক্যাল মার্কেটিংয়ের চর্চা শুরু হবে। এটাই লেখকের প্রত্যাশা।

Halal Marketing Hardcover Link

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ