নামাজে মন ফেরানো বই, লেখক : শাইখ আব্দুল নাসির জাংদা হাফি. | Namaje Mon Ferano

নামাজে মন ফেরানো বই, লেখক : শাইখ আব্দুল নাসির জাংদা হাফি. | Namaje Mon Ferano
বই : নামাজে মন ফেরানো

লেখক : শাইখ আব্দুল নাসির জাংদা হাফি.
প্রকাশনী : দ্বীন পাবলিকেশন
বিষয় : সালাত/নামায
অনুবাদক : শারিন সফি অদ্রিতা
সম্পাদক : মাওলানা হাসান শুয়াইব
পৃষ্ঠা : 200, কভার : পেপার ব্যাক

'নামাজে মন ফেরানো' (Repentance in prayers) হচ্ছে সালাতে খুশু খুজু একটি বই যার মূল লেখক : শাইখ আব্দুল নাসির জাংদা হাফি. এবং বাংলায় অনুবাদ করেছেন 'শারিন সফি অদ্রিতা' লেখক মূলতঃ বইটিতে নামাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে নিজের মনকে ধরে রাখা যায় তারই বিস্তর বর্ণনা দিয়েছেন।

ভাবুন তো, নামাজ ছাড়া মুসলিম জীবন কল্পনা করা যায়? শরীরের জন্য যেমন অক্সিজেন আবশ্যক, মুসলিমের জন্য তেমনি নামাজ! যে মানুষটা হয়তো তেমন একটা ধর্ম-কর্ম নিয়ে সচেতন নন, তিনিও জীবনের কোন এক পর্যায়ে নামাজে সিজদায় গিয়ে নিজের অন্তর ঠাণ্ডা করেছেন। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে আমরা যখন বুঝতে পারি, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ঠিক করা কতটা জরুরী, তখন সবার আগে নামাজকে আঁকড়ে ধরি। কিয়ামতের দিন সবার আগে যে বিষয়টি নিয়ে আপনাকে-আমাকে প্রশ্ন করা হবে, সেই নামাজকে জীবন্ত করার পিছনে এতটুকু আন্তরিক প্রচেষ্টা কি আমরা করতে পারি না? আসুন এই সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাই নিজেদের নামাজকে চূড়ান্ত সফল পর্যায়ে নিয়ে যেতে!
-----------------------------------------------------

সূচনা

চলুন, সময়ের পর্দা তুলে ১৪শ' পঞ্চাশ বছর আগের পৃথিবীতে চলে যাই। নিজেকে প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে কল্পনা করি। সারা বিশ্বের জন্য তাঁকে রহমতস্বরূপ পাঠানো হয়েছে।।। সত্য ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার মতো গুরুদায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাঁর কাঁধে। মানুষের অপমান, কটুকথা, লাঞ্ছনা, নিদারুণ যন্ত্রণা সহ্য করে, নিজের পরিবার-পরিজনের বিপরীতে থেকে সত্য ধর্ম প্রচার করে যাওয়া নেহাত সহজ কাজ নয়। আমাদের বেপর্দা বান্ধবী অথবা আত্মীয়াদেরকে কেবলমাত্র পর্দার দাওয়াত দেওয়ার সময় আমাদের কেমন লাগে? কোনো আন্টিকে গীবত করার সময় কায়দা করে থামিয়ে দ্বীনের দাওয়াত দিতে কতটা উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়? এখন কল্পনা করুন, দিনের পর দিন রাতের পর রাত এমনি দায়িত্ব বৃহত্তর পরিসরে পালন করে গেছেন আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এবং আমাদের আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবী যদি আমাদের কথা শুনে দ্বীন চর্চার ব্যপারে সচেতন না হয়, এটার জন্য আমার আপনার যতটা কষ্ট লাগবে, তার থেকে লক্ষ গুণ বেশি কষ্ট লেগেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মনে, তাঁর উম্মত হিদায়াত না পাওয়ার জন্য। তাঁর উম্মতের জন্য তিনি যেভাবে কাঁদতেন, সেরকম দরদের নজির আমরা আর কোথায় পাব?

তিনি ছয় বছর বয়সে তার মা-বাবা দুজনকেই হারান। এতিম একটা বাচ্চা ছেলে বড় হতে থাকে তাঁর দাদার কাছে। কয় বছর যেতে না যেতেই তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব মারা যান। এরপর তিনি বড় হতে থাকেন তাঁর চাচার কাছে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর জীবনটা কঠিন এবং সংগ্রামের।

[১] হে নবী, আমি তোমাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি। (সূরা আম্বিয়া ২১ : ১০৭)

পরে যুবক বয়সে প্রিয়তমা খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার সাথে তাঁর বিয়ে হয়। খাদিজা রা. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ইসলামের প্রচার এবং প্রসারের প্রতিটা পদে পদে পরম হিতাকাঙ্ক্ষী হয়ে পাশে থাকেন। মক্কার মুশরিকরা নানাভাবে কষ্ট দেয়। এক পর্যায়ে আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর অনুসারীদেরকে সম্পূর্ণরূপে বয়কট করে। সম্পূর্ণ বয়কট বলতে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর অনুসারীদের সাথে সব রকমের বাণিজ্য, বিয়ের সম্পর্ক, আদান-প্রদানের সম্পর্ক ছিন্ন করে।

সেই পিতৃতুল্য চাচা আবু তালিব এবং প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা রা. মক্কার মুশরিকদের বয়কটের জুলুমের অধ্যায়ের পর পরেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে যান। খুবই অল্প সময়ের ব্যবধানে তারা দুইজনই মারা যান। চোখের সামনে চাচা আবু তালিবকে তিনি কাফির অবস্থায় মারা যেতে দেখেন। কল্পনা করতে পারেন আমাদের কেমন লাগত আমরা যদি আমাদের প্রিয় বাবাকে কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করতে দেখতাম?

ইসলামের দাওয়াত দেয়ার সময় তাঁকে সর্বপ্রকার আর্থিক, মানসিক এবং রাজনৈতিক নিরাপত্তা দিয়েছিলেন তাঁর চাচা আবু তালিব এবং প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা। পরপর তাদের দুজনের মৃত্যুতে প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শোকাহত হন, তবু নিজের দায়িত্ব থেকে এতটুকু পিছপা হননি। একটু ভাবুন, কোথা থেকে প্রিয় রাসূল পেয়েছেন এমন উদ্যম? এই প্রশ্নটা মাথায় রেখে সামনে পড়ে যান ইনশাআল্লাহ।

দাওয়াতের ধারাবাহিকতায় তিনি মক্কার বাইরে তাঈফ নামক এক শহরে গেলেন দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে। এক বুক আশা নিয়ে তিনি তাঈফের গোত্র প্রধানদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। তাঈফবাসী আমাদের প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাথর মেরে, রক্তাক্ত করে, পাগল আখ্যা দিয়ে, কটুকথা বলে, ঠাট্টা করে শহর ত্যাগে বাধ্য করল।

আপনি নিজেকে সেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জায়গায় কল্পনা করুন যিনি তাঁর ছয়টি সন্তানের মধ্যে তাঁর জীবদ্দশাতেই পাঁচজনকে কবর দিয়েছেন এবং নিজের দুধের শিশুকে কবরে শোয়ানোর বেলায় বলেছেন,

[২] চাচা আবু তালিব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিরাপত্তা দিলেও তিনি নিজে কখনও ইসলাম গ্রহণ করেননি।

‘আমার চোখ অশ্রুসিক্ত হবে, আমার অন্তর দুঃখে ভারাক্রান্ত হবে, কিন্তু মুখ এমন কিছু বলবে না যাতে আমার রব অসন্তুষ্ট হন।'

আপনি হয়তো ভাবছেন, নামাজে মনোযোগী হওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করার কথা! তাহলে কেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের ঘটনাগুলো নিয়ে এত কথা বলছি? চলুন একটু আগে করা প্রশ্নটির কাছে ফিরে যাই। আচ্ছা, কখনও কল্পনা করেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোথা থেকে পেয়েছেন এরকম অকল্পনীয় মানসিক শক্তি? কীভাবে দিনের পর দিন এরকম দৃঢ় প্রত্যয় এবং ধৈর্য নিয়ে একজন মানুষ গোটা সৃষ্টিকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করে গিয়েছেন? কখনও কল্পনা করে দেখেছেন কীভাবে একজন মানুষ জাজিরাতুল আরব থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বের মধ্যে বিপ্লব সৃষ্টি করে দিলেন? মূর্খ বেদুইনদেরকে পৃথিবীর বুকে হাঁটা সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষে রূপান্তরিত করলেন? কোথা থেকে পেয়েছেন তিনি এরকম মানসিক শক্তি, ধৈর্য এবং দৃঢ়তা?

তিনি কি কখনও ভয় পাননি? হতাশ হননি? পিছপা হননি?

যখন জিবরীল আলাইহিস সাল্লাম তার স্বরূপ দেখিয়ে ৬শ’ ডানা মেলে নবীজির কাছে নবুওয়াতের জন্য আসেন, সেদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রচন্ড ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত এবং চিন্তিত অবস্থায় খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে আসেন। এসে তিনি বারবার বলছিলেন,

| ‘আমাকে আবৃত করো! আমাকে আবৃত করো!'

আমাদের প্রিয় এই মানুষটিও তখন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে নিজেকে কম্বলের মধ্যে জড়িয়ে নিলেন। তখন তাঁর উপরে কোন সূরা নাযিল হলো জানেন? সূরা মুজাম্মিল।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনের মাধ্যমে আমাদেরকে সেই আয়াতগুলো

[৩] আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত, রসূল (সা) ফেরেশতা জিবরীলকে তার প্রকৃত অবয়বে দেখেছিলেন। তিনি দেখেছিলেন যে, জিবরীল (আঃ) এর ৬০০ ডানা, এবং প্রতিটি ডানা দিগন্তের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চেয়ে যায়। তাঁর ডানাগুলো থেকে মুক্তো, মানিক এবং রত্ন ধরে পড়ছিল এবং আল্লাহ এ ব্যপারে সম্যক অবগত। (আল মুসনাদের বর্ণনা থেকে ভাবানুবাদ করা হয়েছে)

জানিয়ে দিয়ে গিয়েছেন,

يا أيها المزمل (0) قم الليل إلا قليلا (ن) يصفه أو انقض منه قليلا (0) أو زد عليه ورتل القرآن ترتيلا (ن) إنا سنلقي عليك قولًا ثقيلا (0) إن ناشئة الليل هي أشد وطئا وأقوم قيلا (ن) إن لك في النهار سبحا طويلًا (۰ ) واذكر اسم ربك وتبتل إليه تبتيلا (4)

ওহে চাদরে আবৃত (ব্যক্তি)! রাতে নামাজে দাঁড়াও, তবে (রাতের) কিছু অংশ বাদে, রাতের অর্ধেক (সময় দাঁড়াও) কিংবা তার থেকে কিছুটা কম করো, অথবা তার চেয়ে বাড়াও, আর ধীরে ধীরে, সুস্পষ্টভাবে কুরআন পাঠ করো। আমি তোমার উপর গুরুভার কালাম নাযিল করব (বিশ্বের বুকে যার প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করার দায়িত্বভার অতি বড় কঠিন কাজ)। বাস্তবিকই রাত্রি জাগরণ আত্মসংযমের জন্য বেশি কার্যকর এবং (কুরআন) স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল। দিনের বেলায় তোমার জন্য আছে দীর্ঘ সন্তরণ। কাজেই তুমি তোমার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করো এবং একাগ্রচিত্তে তাঁর প্রতি মগ্ন হও। [8]

রব তো তাঁর বান্দাকে সবচেয়ে ভালো জানেন। আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন যে, তাঁর নবীর এই কঠিন মিশনে ঈমানী শক্তির জ্বালানি হিসেবে কোন ইবাদতটা সবচেয়ে বেশি কাজ করবে। এই যে সারাদিনের ক্লান্তি, দুঃখ, হতাশা, দুশ্চিন্তা, প্রিয়জন হারানোর বেদনা এ সব কিছুই প্রশমিত করবে রাতের বেলায় একাগ্রচিত্তে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে রবকে স্মরণ করা। যখন আমরা আমাদের প্রিয় মানুষকে হারাই, আমরা কয়জন জায়নামাজের দিকে ছুটে যাই? আমাদের শেষ কবে মনে হয়েছিল যে নামাজকে আমি আমার সমস্যা সমাধানের অংশ হিসেবে দেখতে পারছি?

আমরা যখন প্রচণ্ড দুঃখে কাঁদতে থাকি, অথবা প্রচণ্ড হতাশার অন্ধকারে চলে যাই; তখন অনেক রকমের সমাধানের পথ মাথায় চট করে চলে আসে। কেউ বলে, ডাক্তার দেখাও, ভালো খাওয়াদাওয়া করো, মেডিটেশন করো, কিন্তু কেউ

[৪] সূরা মুজাম্মিল ৭৩ : ১-৮

কি কখনও বলে যে, “সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাচ্ছ না? তাহলে ওযু করে পবিত্রতার সাথে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে রবের সাথে একান্তে কিছু সময় কাটাও?”

আমরা কিছু সংখ্যক মানুষ নামাজ পড়লেও আমাদের নামাজগুলোর মধ্যে বিরাট শূন্যতা রয়ে যায়। নামাজ আমাদের হাত-পায়ের পেশী নাড়াচাড়ার অনুশীলনীতে পরিণত হয় মাত্র, এর মাধ্যমে মানসিক শক্তি পাওয়ার আশা অনেক পরের কথা। এর একটা বড় কারণ, আমরা আমাদের নামাজে আল্লাহর সাথে সংযোগ করতে পারি না। আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার সাথে সেই সম্পর্কের মাধুর্য অনুভব করতে পারি না। কারণ, আমরা নামাজে যে কী বলছি সেটাই আমরা জানি না। ইনশাআল্লাহ আমরা এই বইয়ের পরবর্তী আলোচনাগুলোর মাধ্যমে সেগুলো বিস্তারিত জানার এবং বোঝার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

এবং আমরা যেন এই শিক্ষাগুলো শক্তভাবে জীবনে আমল করার নিয়তে এই বইটা হাতে তুলে নিই। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের তরফ থেকে এটা কবুল করে নিক। আমিন।

এটা এমন একটা বই যার কাছে বারবার আপনাকে ফেরত আসতে হবে। এই বইটি অন্যান্য দশটা বইয়ের মতন একবার চোখ বুলিয়ে বছরের পর বছর ধরে বইয়ের তাকে তুলে রাখলে চলবে না! বরং এই বইটা থাকবে আপনাদের স্কুল-ব্যাগে, পার্সে, অফিসের ব্যাগে, গিফটের মোড়কে। ইনশাআল্লাহ এই বইটি আপনার কাছে পানি এবং অক্সিজেনের মতো প্রয়োজন হবে ইনশাআল্লাহ। প্রয়োজনে দৈনিক কয়েকবার করে বইটা নাড়াচাড়া করে নিবেন।

নামাজ দায়সারাভাবে করার মতন কোনো ইবাদাত নয়। বরং নামাজ যেন আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি এবং বিষণ্নতার ওষুধে পরিণত হয়। নামাজ যেন আপনার অন্তর প্রশান্তকারী ইবাদত হয় এবং বিভিন্ন সমস্যা এবং গুনাহ থেকে বাঁচার বাস্তবিক সমাধান হয়। নামাজ যেন আপনার দিনের সবচেয়ে সুন্দর পর্বে পরিণত হয়।

আপনার ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, সন্তানসন্ততিদের সবাইকে নিয়ে এই বইয়ের অধ্যায়গুলো ধরে ধরে নিয়মিত পারিবারিক তালিমে বসবেন, ইনশাআল্লাহ। তাহলে আপনার জন্যও রব্বুল আলামিন এটা সাদাকায়ে জারিয়াহ হিসেবে কবুল করে নিবেন। আল্লাহুম্মা আমিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ