[PDF] জীবন যদি হতো নারী সাহাবীর মত, ড. হানান লাশিন | Jibon Jodi Hoto Nari Sahabir Moto by Dr. Hanan Lashin

[PDF] জীবন যদি হতো নারী সাহাবীর মত, ড. হানান লাশিন | Jibon Jodi Hoto Nari Sahabir Moto by Dr. Hanan Lashin

জীবন যদি হতো নারী সাহাবীর মত পিডিএফ by ড. হানান লাশিন

#৫ বেস্টসেলার ইসলামে নারী
লেখক : ড. হানান লাশিন
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন
বিষয় : ইসলামে নারী, সাহাবীদের জীবনী, আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ মজুমদার
সম্পাদনা: উস্তায আবুল হাসানাত কাসেমী, উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৮ টি
কভার: পেপার ব্যাক
📂 Google Drive PDF Link

জীবন যদি হতো নারী সাহাবীর মত বই রিভিউ ১

কেমন ছিল সেসব তৃষিত প্রান যাঁরা,,,রঙিন স্বাপ্নিক মুহূর্তগুলো ভুলে গিয়ে মরুর বুকে ছুটে চলেছিল এক ধ্রুব সত্যের পানে।যে পথে ছিল হাজারো ত্যাগ-তিতিক্ষা।তাদের জীবনালেখ্য কতনা সংগ্রাম।সুখ-সৌভাগ্যের বাজারটা অতিবাহিত করে তারা তুলে আনলেন মণিমুক্তো।যে মুক্তো আজ ছড়িয়ে আছে বিশ্বব্যাপী।তাঁরা হলেন সব নারীদের উপক্রমনিকা।তাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেকে বদলে নিতে পারলেই তো নিরবধি জীবন হবে উদ্ভাসিত।তাদের জীবনালেখ্য সহসা বদলে দেয় কত শত জীবনকে।এ ভূতলের অভীপ্সাকে ইতি টেনে তবে শূচনা করা যাক এক শুভ্র-সফেদ জীবনের।
———————————————————
⚫অনুভূতি:লেখিকা বইটিকে অনবদ্য এক সাহিত্যে রচনা করেছেন,,,,,যার ফলে বইটি পড়ে আপনি সহসা মুগ্ধ হবেন।শব্দের বিচিত্রতা আর গল্পের অবতরণিকাগুলো যেন আমাকে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।
—————————————————-
⚫কেন পড়বেন:নারী সাহাবীদের জানার তাগিদে প্রতিটি মুসলিম নারীর বইটি পড়া উচিত।তাদের জীবনী আমাদের উৎসাহ দেয়।এ দুনিয়ায় আমাদের লক্ষ্য কি?কেন আমরা এসেছি?এ প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
————————————————————-
⚫বইকথন:লেখক মোট তিনটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করেছেন গ্রন্থটি।নারীকে কখনো শুভ্র ফুল,কখনো আবার গোলাপের পাপড়িগুলোর ন্যায় তুলনা করেছেন।বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত পর্দার ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন লেখক।বইটি পাঠকের আত্নউন্নয়ন ঘটাবে,এতে কোনো সন্দেহ নেই, তবে আল্লাহ্ না চাইলে সেটা হবে ভিন্ন কথা।এতটা আবেগের সাথে লেখাগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে বইটিতে যা অল্পতেই পাঠকের হৃদয় কেড়ে নেবে।
আল্লাহ্ আমাদের সঠিক বোঝার তাওফিক দান করুন।আমিন।
Review Credit 💕 Tasnim Binte Muhammad Selim – June 25, 2020:

জীবন যদি হতো নারী সাহাবীর মত বই রিভিউ ২

জীবন পথে সুখ-সৌভাগ্যের বাজারটা অতিক্রম করে আনুগত্যের মজা থেকে অঞ্জলিটা ভরে নিতে পারলেই তো আসল জীবনের স্বাদ অনুভব করা যাবে।ইসলাম মন-মস্তিষ্ক প্রসূত কোনো ধর্ম নয়।ইসলাম আল্লাহর পক্ষ থেকে একমাত্র দ্বীন।মহান আল্লাহ ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে প্রেরণের মাধ্যমে। নবিজি যখন এক চরম,পরম,ও মহাসত্যের দিকে মানুষকে আহ্বান করলেন,তখন অনেকের মতো চারদিক থেকে তৃষিত হৃদয়ে ছুটে এলো নারীদের দলও।কিন্তুএই সত্যের পথ যোগদান দেয়াটা সহজ ছিল না।প্রিয়জনদের হারিয়ে অমানবিক নির্যাতন ও অত্যাচার সহ্য করেও তারা অটল ছিল এক আল্লাহর পথে।
__________________________________
●বিষয়বস্তু:ইসলাম এক ধ্রুব সত্য।এই সত্য যখন থেকে প্রতিষ্ঠিত হলো বিশ্বাসীরা একে একে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলো।জীবন বিসর্জন দিয়ে,,পরিবারের মায়া ত্যাগ করে এক আল্লাহর মনোনীত দ্বীন ইসলামকে বেছে নিয়েছে তারা। তাদের জীবনটা সহজ ছিল না, হাজারটা ত্যাগের বিনিময়ে তারা পরকালের আগাম সুসংবাদ পেয়েছেন,আর নতুন প্রজন্মের জন্য রেখে গেছেন এক সোনালী ইতিহাস।যে ইতিহাস আজও প্রতিটি বিশ্বাসী মুসলিমের অন্তরে তাক লাগিয়ে দেয়।এই ইতিহাসেরই সারসংক্ষেপ দেয়া হয়েছে বইটিতে ।
_____________________________________
●প্রথম অধ্যায়: বইয়ের শুরুটা হয়েছে একজন অনুগত কন্যা,অনুগত স্ত্রীর গল্প দিয়ে।রয়েছে মহাসত্যের পথে অবিচল থেকে নিজ পরিবারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা সেই মহীয়সী নারীর গল্প।হ্যাঁ তিনিই উম্মে কুলসুম যিনি ঠোঁট ভেজাতেন তাসবিহ পড়ে।শুধু তাই নয়,,,,,,,ইসলামের খেদমত তো করেছেন ই স্বামী ও সংসারকে গুছিয়ে রেখেছেন সর্বদা।ভালোবাসার পরম চাদরে ঢেকে রেখেছেন সংসারকে।আছিয়া,উম্মে কুলসুম, ফাতেমা, উম্মুদ দাহদাহর, যাইনাব, হালিমা আসমা বিনতে উমাইস রাদিয়াল্লাহু আনহুম এর মতো মহীয়সী নারীদের ত্যাগ-তিতিক্ষার গল্পগুচ্ছ দিয়ে লেখিকা সাজিয়ে তুলেছেন গ্রন্থটির প্রথম অধ্যায় কে।
_____________________________________
●দ্বিতীয় অধ্যায়: এই তো প্রথম……প্রথমবারের মতো একবার পুলসিরাতে দাঁড়াতেই হবে।কবে গুনাহ ছেড়ে দেবো প্রথমবারেরমতো?খাঁটি তওবা হবে কোনদিন?কবে ফিরে যাবো আল্লাহর কাছে?কবে তার সাথে প্রথম দেখা হবে হাউজে কাউসারে?কবে আল্লাহর সাহচর্য পাবো প্রথমবারেরমতো?
লেখিকা তার মনের সবটুকুন গাম্ভীর্য মনে হয় বইটিতে ঢেলে দিয়েছেন।কাব্যিক ভাষায় বইটিকে এতটা সমৃদ্ধ করেছেন যা পাঠকের হৃদয়ের গভীরে আঘাত করবেই।
________________________________________
●তৃতীয় অধ্যায়:লজ্জা নারীর অলংকার।প্রতিটি সত্যিকারের মুসলিম রমনীর কাছে পর্দা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।পর্দা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নিয়ামত,,,যা নারীর অধিকারকে আরো জোরদার করে দিয়েছে।লেখিকা নারীর লজ্জাকে শুভ্র ফুলের সাথে তুলনা করেছেন।ফুল বড় লজ্জাশীল।সলজ্জ ভঙ্গিতে তার পাপড়িগুলো দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখে, যতক্ষণ না বসন্ত আসে।এমনটা আমরাও।তাই তো হিজাবে নিজেকে আবৃত রাখব,যতক্ষণ না বসন্তের মতো একজন নেককার স্বামী আসে।
__________________________________
●অনুভূতি:বইটি গভীর ভাবগম্ভীর্যপূর্ন।প্রতিটি পাতা হৃদয়ের গভীরে লিপিবদ্ধ করে রাখার মতো।বইটি পড়ে ব্যক্তিগতভাবে থমকে গেলাম,নিজেকে তুলনা করলাম সাহাবীদের সাথে।তাদের জীবনীগুলো আমাদের জন্য নির্দেশনাস্বরূপ।
__________________________________
●শিক্ষা:বর্তমান যুগে আধুনিক মেয়েরা ইসলামের জ্ঞানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে মেতে উঠেছে পশ্চিমা সভ্যতায়।আফসোস!এমন মুসলিমদের জন্য যারা রবের হিদায়াত থেকে বঞ্চিত হয়েছে।ইসলাম নারীকে দিয়েছে অসীম সম্মান।আর পশ্চিমা সভ্যতা নারীকে লজ্জার বেড়াজাল থেকে বের করে পুরুষদের বিনোদনের মাধ্যম তৈরী করে দিয়েছে।আর সেই সভ্যতার চর্চা করে চলছে নামধারী মুসলিম।তাদের জন্য বইটি অসাধারণ কার্যকর।
_________________________________________
●শেষ কথা:জীবনে একবার হলেও বইটি পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।প্রিয় বোনেরা,জানি না আল্লাহ আমাদের কার জন্য কতটুকু হিদায়াত রেখেছেন।তবু আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করুন যেন আল্লাহ আমাদের সকলকে ইমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করার তাওফিক দান করেন। আমিন।

Review Credit 💕 Khaleda Mubasshera – May 29, 2020:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ