Product Specification
Title | যৌবনের মৌবনে |
Author | মাওলানা যুলফিকার আহমদ নকশবন্দী |
Publisher | মাহফিল/দিলরুবা/সুবাহসাদিক |
Quality | হার্ডকভার |
ISBN | 9789849009665 |
Edition | 1st Edition, 2015 |
Number of Pages | 304 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
Tag :- যৌবনের মৌবনে বই পিডিএফ | যৌবনের মৌবনে Pdf download free | মাওলানা যুলফিকার আহমদ নকশবন্দী এর বই pdf download | Jowboner Mowbone pdf download free. নকশেবন্দী বই পিডিএফ | নকশেবন্দী বই pdf
Product Summary....
আলোচ্য বিষয়:
- লজ্জা ও শালীনতাবোধ
- কুদৃষ্টি থেকে বাঁচার কিছু ফলপ্রসূ টিপস
- পর্দাহীনতার ভয়াবহ পরিণতি
- পর্দাশীলতার বরকত
- নারী-পুরুষের প্রকৃতি
- ব্যাভিচারের উপকরণ
- ব্যাভিচারের প্রকারভেদ
- ব্যাভিচারের ক্ষতিসমূহ
- ব্যাভিচারের সাজা
- যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে কোরআনি মহৌষধ
- যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে নববি মহৌষধ
- যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে ফকিরি মহৌষধ
- ব্যভিচার থেকে তওবা
" যৌবনের মৌবনে " বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ - এর লেখাঃ জীবন - যৌবন আল্লাহতায়ালার অসামান্য উপহার । আল্লাহর সাথে বান্দার কতোটুকু ভালোবাসা ও ভয় রয়েছে , তার প্রমাণ নেন সবাইকে । অমূল্যরতন যৌবন দিয়ে । যৌবন এমন এক পাগলা ঘোড়া , যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে আল্লাহ মানুষকে দুটো সুযোগ দিয়েছেন । এক , যে তার যৌবনকে আল্লাহর দেয়া নিয়ম মেনে চালাবে , সে দুনিয়াতে পাবে অনেক সম্মান । আর পরকালে শান্তি অফুরান জান্নাত । দুই , যে যৌবনকে পশুর মতো চালাবে , সে পাবে পৃথিবীতে লাঞ্ছনা আর পরকালে জাহান্নাম । কিন্তু আমরা তথাকথিত মুক্তচিন্তার তল্পিবাহক হয়ে এমন এক অন্ধকারযুগ পার করছি , যেখানে মানুষ দ্বিতীয় সুযোগটাকেই নিয়েছে অবলীলায় । প্রবৃত্তির চাহিদা মেটানোকেই জীবনের পরম পাওয়া মনে করছে । আর তাই জৈবিক চাওয়া মেটাতে গিয়ে ইমানের অর্ধেক ‘ লজ্জা ও শালীনতাবোধটাকে মাটি চাপা দিচ্ছে । নগ্নতা ও অশীলতার ঝড়ে হায়া - লজ্জা আজ লণ্ড - ভণ্ড । তছনছ । এ তুফান আজ পুরো মুসলিমবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে - ফিল্ম - নাটক , ইন্টারনেট , গেমস , ও পরিবার - পরিকল্পনা’র হাত ধরে । প্রযুক্তিতে ভর করে । মুসলমানদের ঘরে - ঘরে পৌছে যাচ্ছে । দিচ্ছে নির্লজ্জতা ও চরিত্রহীনতার সবক । সময়ের এসব অনাচারের বিরুদ্ধে খড়গ শক্ত কলম ধরেছেন যুগসচেতন বাগ্মী , উম্মাহর একদরদী রাহবার পির মাওলানা জুলফিকার আহমাদ নকশাবন্দি । গোটা দুনিয়া চষে বেড়ানো এই প্রাজ্ঞ লেখকের রচনা ‘ হায়া আওর পাকদামানি ' বইটি'যৌবনের মৌবন ’ হয়ে এখন আপনার হাতে । বইটি আপনার চোখ খুলে দেবে আরেকটু । পাঠক ! পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন । একবর্ণও বাড়িয়ে বলিনি ।
_________________________________________
যৌবনের মৌবনে বই থেকে আরো কিছু
মানুষের চোখ যখন লাগামহীন হয়ে যায়, তখন তা বেশিরভাগ অশ্লীলতার জন্ম দেয় । এজন্য ইসলামের দার্শনিকদের মতে, ‘কুদৃষ্টি দুষ্টের মূল' হিসেবে বিবেচিত । এ দুটি ছিদ্র দিয়েই ফেতনার ঝর্ণাধারা উতলে উঠে এবং তা চারপাশে অশ্লীলতা ও নগ্নতা ছড়িয়ে পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইসলাম এ দুটি ছিদ্রের ওপর পাহারাদার বসিয়ে দিয়েছে এটাও ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য যে, প্রত্যেক মোমিনকে চোখকে নতো রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে পরনারীর ওপর চোখ না পড়ে আর জৈবিকচাহিদার আগুন যেনো দাউ দাউ করে জ্বলে না উঠে। বাঁশও যেনো না থাকে, বাঁশিও যেনো না বাজে । নীতিকথা
Nip the evil in the bud [নিপ দ্যা এভিল ইন দ্যা বাড]
মন্দকাজের রাশটি টানো যখন হলো শুরু নয়তো পরে আর হবে না কাঁপবে দুরু দুরু!
অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, যেসব লোকের চোখ অনিয়ন্ত্রিত, তার মধ্যে জৈবিকচাহিদার আগুন বাড়তেই থাকে, এমনকি তাকে অশ্লীলতায় জড়িয়ে ছাড়ে
চোখ সংযত রাখার পক্ষে আয়াত
আল্লাহতায়ালা বলেন
فن المؤمنين يغضوا من أبصارهم ويحفظوا فروجهم ذلك أزكى لهم ان الله خبير
بما يصنعون.
“হে নবি! ইমানদারদের বলুন, তারা যেনো তাদের চোখ সংযত রাখে আর লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে। এতে তাদের জন্য রয়েছে পবিত্রতা। নিশ্চয়, আল্লাহতায়ালা তাদের কাজ সম্পর্কে জানেন।” [সুরা: নুর, আয়াত: ৩০] কোরআনমাজিদের এ আয়াতটি মোমিনদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা। তাফসিরকারকগণ লিখেছেন, এই আয়াতে শিষ্টাচার, সতর্কতা ও চ্যালেঞ্জের বর্ণনা রয়েছে এর বিস্তারিত বিবরণ এখানে উপস্থাপন করা হলো ক. আয়াতের শুরুর অংশে শিষ্টাচারের বর্ণনা। মোমিনদেরকে শিষ্টাচার শেখানো হচ্ছে, যেসব বস্তু দেখা তাদের জন্য বৈধ নয়, তা থেকে যেনো চোখ নতো রাখে। মনিবের আনুগত্য করার মধ্যেই গোলামের সৌন্দর্য । এ থেকে একথাও জানা গেলো, চোখ নতো রাখা প্রথমকাজ আর লজ্জাস্থান সংরক্ষণ সর্বশেষকাজ। যেনো একটির জন্য অন্যটি আবশ্যকীয়। তাই যার চোখ নিয়ন্ত্রিত না, তার লজ্জাস্থানও নিয়ন্ত্রণের ভেতরে নয় ।
খ. সম উfা ভus এর মধ্যে রয়েছে পবিত্রতা। চোখ নতো রাখার উপকার হলো, অন্তরে পবিত্রতা আসবে। পাপকাজের কুমন্ত্রণা অন্তরে জন্মই নেবে না। এতে তার নিজের জন্যই উপকার নিহিত। ইবাদতে একাগ্রতা আসবে । প্রবৃত্তি, শয়তানি, পাশবিক তারণা, কুমন্ত্রণা এসব থেকে প্রাণ মুক্তি পাবে। এই নির্দেশনার ওপর আমল না করলে কুদৃষ্টির কারণে অন্তরের প্রশান্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে যাবে। অন্তরে অনুশোচনার ধারা বয়ে যাবে। ফেতনায় পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল হবে।
গ. আয়াতের শেষ অংশে abo) এর মধ্যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে । আল্লাহর তরফ থেকে চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে, বান্দা যদি নির্দেশনার পরওয়া না করে, তাহলে যেনো মনে রাখে আল্লাহতায়ালা অসচেতন নন, তিনি বান্দার প্রতিটি পদক্ষেপের ব্যাপারে ভালো করেই জানেন। অবাধ্যদের দমানোর পদ্ধতি তিনি ভালোই জানেন ।
একথা মনে রাখবেন, ইসলাম পুরুষদেরকে স্পষ্টভাষায় চোখ নতো রাখার নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে নারীদের কথাও ভুলে যায়নি, যেহেতু নারী পুরুষ দুইয়ের দেখার উপকরণ এক তাই নারীপ্রকৃতিতেও জৈবিকচাহিদার প্রাবল্য আছে। তাদের নিয়ে আল্লাহতায়ারা বলেছেন
وقل للمؤمنت يغضضن من أبصارهن ويحفظن فروجهن “হে নবি! ইমানদার নারীদেরকে বলে দিন তারা যেনো তাদের চোখ নিচু করে রাখে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে।”
ওপরের দুটি আয়াতের বাইরের ও ভেতরের এ বাস্তবতাকেই স্পষ্ট করছে যে, দৃষ্টির অসংলগ্নতা জৈবিকতার বিস্তৃতি ঘটায় এবং লজ্জাস্থানে শিহরণ তোলে । এ অবস্থায় মানবিক বিবেচনাশক্তির ওপর পর্দা পড়ে যায়। জৈবিকচাহিদা মানুষকে দৃষ্টিশক্তি থাকা সত্ত্বেও অন্ধ বানিয়ে দেয়। মানুষ গোনাহে জড়িয়ে অপদস্থতা ও লাঞ্ছনার অতলে হারিয়ে যায়। জৈবিকতার দিক থেকে পুরুষের যে অবস্থা, প্রায় একই অবস্থা নারীদেরও । নারীরা সাধারণত আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে। সামান্যতেই প্রভাবিত হয়ে পড়ে। তাদের চোখ কোনো দিকে ঝুঁকে পড়লে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই তাদের চোখ নতো রাখার প্রয়োজনটা আরেকটু বেশি । ইমাম গাজ্জালি (রহমাতুল্লাহি আলায়হি] বলেন
ثم عليك وفقك الله وإيانا تحفظ العين فإنها سبب كل فتنةوانة
“এরপর তুমি অবশ্যই চোখের সংরক্ষণ করো। আল্লাহতায়ালা তোমাকে আর আমাকে শক্তিদান করুন! কারণ এটা প্রত্যেক ফেতনা ও বিপদাপদের কারণ ।” [মিনহাজুল আবিদিন: পৃষ্ঠা: ২৮]
এতে জানা গেলো, চোখের ফেতনা খুবই ভয়াবহ। অনেক ফেতনার মৌলিক কারণ এটি।
দৃষ্টি সংরক্ষণ নিয়ে হাদিস
১. নবিকারিম [সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন
قضوا أبصاركم واحفظوا فروجكم
“তোমরা দৃষ্টিকে নতো রাখো এবং তোমাদের লজ্জাস্থান হেফাজত করো।” [আল-জাওয়াবুল কাফি: পৃষ্ঠা: ২০৪]
হাফেজ ইবনুল কাইয়িম [রহমাতুল্লাহি আলায়হি] লিখেছেন, দৃষ্টি জৈবিকচাহিদার দূত ও প্রতিনিধি হয়ে থাকে। দৃষ্টির সংরক্ষণ মূলত লজ্জাস্থান ও জৈবিকচাহিদা নিবারণের স্থানের সংরক্ষণ। যে দৃষ্টিকে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দিয়েছে, সে নিজেকে ধ্বংসের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দৃষ্টিই এসব বিপদাপদের ভিত্তি, যাতে মানুষ পড়ে । [প্রাগুক্ত] নবিকারিম [সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন
النظرة سهم مسموم من سهام إبليس
“দৃষ্টি ইবলিসের তীরগুলো থেকে বিষ মেশানো একটি তীর ।” ৩. কোনো কোনো পূর্বসূরির বাণী
النظرة سهم سم إلى القلب
“দৃষ্টি একটি তীরের মতো, যা অন্তরে বিষ ঢেলে দেয়।” [ইবনেকাসির: খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ২৮৩]
৪. নবিকারিম [সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন
العينان زناهما النظر
“চোখের ব্যভিচার হলো দেখা।” [মুসলিম] এসব হাদিস দিয়ে জানা যায়, যেলোক কোনো পরনারীর চেহারার ওপর জৈবিকবাসনাপূর্ণদৃষ্টি ফেলে, সে মনে-মনে তার সাথে ব্যভিচারও করে ফেলে । আগেকার বুজুর্গানেদীন দৃষ্টিকে ‘ভালোবাসার বাহক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন । জোলায়খা যদি হজরত ইউসুফ [আলায়হিস সালাম]-এর চেহারার ওপর দৃষ্টি না ফেলতো, তাহলে জৈবিকবাসনার কাছে অপারগ হয়ে পাপকাজের প্রস্তাব দিতো না। কয়েক মুহূর্তের অনিয়ন্ত্রিত উচ্ছ্বাসের কারণে অপদস্থ ভাষায় কোরআনেকারিমে তার নাম আলোচিত হয়েছে। নির্লজ্জকাজের জন্য কেয়ামত পর্যন্ত তার দিকে ইঙ্গিত করা হবে। শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত, কুদৃষ্টির অপদস্থতা কতো ভয়াবহ ও কঠোর হতে পারে!
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....