যুগ সন্ধিক্ষণের পৃথিবী pdf লেখক : আবুল আসাদ বই | Jug Shondhikhoner Prithibi by Abul Asad Books

যুগ সন্ধিক্ষণের পৃথিবী বই pdf লেখক : আবুল আসাদ বই pdf download free Jug Shondhikhoner Prithibi by Abul Asad all books pdf download free

যুগ সন্ধিক্ষণের পৃথিবী By আবুল আসাদ (পিডিএফ)

Title যুগ সন্ধিক্ষণের পৃথিবী
Author আবুল আসাদ
Publisher মিজান পাবলিশার্স
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা

File Type : PDF | File Size : 11MB | Page 256 Only

  গ্লোবালাইজেশন ও সেন্ট্রালাইজেশন 

বিশ্বায়ন বা ' গ্লোবালাইজেশন ' নাম হিসাবে নতুন বিষয় নতুন নয় । জানাশোনা বাড়ার সাথে সাথে আন্তঃদেশ , আন্তঃসমাজ সম্পর্ক ও লেন - দেনের যাত্রা শুরু হয় মানুষের । সেই বিশ্বব্যাপী বিস্তার প্রবণতাটাই আজকের বিশ্বায়ন বা গ্লোবালাইজেশন । Surmounting Challenge of Globalization ' প্রবন্ধে এডওয়ার্ডো অ্যানিনাত লিখেছেন , ' আমরা যাকে গ্লোবালাইজেশন বলছি সে রকম বিশ্বায়নের একের পর এক ঢেউ আমরা দেখে আসছি কমপক্ষে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মার্কোপলোর সময় থেকে । সে সময় বাণ্যিজ্যের বিশ্ব - মুখীতা , প্রযুক্তির বিস্তার , মানুষের দেশান্তর এবং আন্তঃসংস্কৃতি মলিন ও সমৃদ্ধির মতো যে বিষয়গুলোকে সামনে এগুতে দেখি , তার সাথে আজকের বিশ্বায়নের সাধারণ চরিত্রের কোনো পার্থক্য নেই । এমনকি এই বিশ্বায়নকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর আরও ৬ শ ' বছর আগে সপ্তম শতাব্দীতেও টেনে নেয়া যায় । তখনকার ইসলামী সভ্যতার বিস্তারের মধ্যে বিশ্বায়নের সব বৈশিষ্ট্যই ছিল । 

শত শত বছরের পথ পরিক্রমার এক পর্যায়ে , মিঃ এডওয়ার্ডো অ্যানিনাত - এর মতে , ঊনিশ শতকের শেষে এসে দেখা গেল the world was highly globalized | গ্লোবালাইজেশনের আবার নতুন ঢেউ শুরু হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর । তথ্য প্রযুক্তির আকাশ -স্পর্শী উন্নতি এই গ্লোবালাইজেশনকে দিয়েছে অবিশ্বাস্য এক গতিবেগ । নব্বই দশকের শুরুতে কম্যুনিষ্ট সাম্রাজ্য সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর গ্লোবালাইজেশন এককেন্দ্রীকতা লাভ করায় বিশ্বায়ন যেমন বিশ্ব সয়লাবী হয়ে উঠেছে , তেমনি এককেন্দ্রীক একটা নিয়ন্ত্রণও দৃশ্যমান হয়ে উঠছে । আজকের বিশ্বায়নের এই প্রবণতা উদ্বেগজনক । কারণ কোনো কেন্দ্রীয় স্বার্থ সক্রিয় থাকা বা কোনো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চেপে বসা বিশ্বায়ন তত্ত্বের পরিপন্থী । গ্লোবালাইজেশন হলো , ' Global nature of capital and emergence of a global economy ' . খুব বেশী হলে গ্লোবালাইজেশন -এর মধ্যে “ certain homogenizing tenden cy ' থাকতে পারে । 

এ দৃষ্টিকোণ থেকে গ্লোবালাইজেশনে কিছু ক্ষেত্রে homoge nization পর্যন্ত চলতে পারে , কিন্তু centralization কোনোভাবেই নয় । এ সম্পর্কিত একটা মন্তব্যে বলা হয়েছে , " Globalism can be best under stood contrasting it with the idea of centralization . The cen tralization conceives of the world as one , but clearly identifies what is the center and what constitute the periphery . In a system undergoing centralization , a global power asserts its domination over others ' by locating itself as the normative political and economic centre of the universe . It marginalize the rest of the world and simulteneously assumes often through coercive means the role of the leader in normal as well as material terms . There is a clear hierarchy in the sys tem and the center is the undisputed hegemony . Thus when the periphery emulates the center , it often does so out of fear as insecurity and the resulting homogenization is actually hegemonization . " 2 এই কথাগুলো বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনের সম্পাদকীয়তে । 

সম্পাদকীয়টি খুব সুন্দরভাবে গ্লোবালাইজেশন ও সেন্ট্রালাইজেশন -এর মধ্যেকার পার্থক্য তুলে ধরেছে । গ্লোবালাইজেশন ও সেন্ট্রালাইজেশন উভয়ই এক বিশ্বের স্বপ্ন দেখে । গ্লোবালাইজেশনের বিশ্ব হয় পারস্পরিক সমতার সহযোগিতার , কিন্তু সেন্ট্রালাইজেশনের একক বিশ্বে থাকে একটি কেন্দ্র । এই কেন্দ্রের গ্লোবাল পাওয়ার বিশ্বে গড়ে আধিপত্যের একটা সিস্টেম । এই সিস্টেম রাজনীতি , অর্থনীতি , সংস্কৃতি সবকিছুকে কেন্দ্রীয়করণের এক আগ্রাসী শক্তিতে পরিণত হয় । গ্লোবালাইজেশনের নির্দোষ ' homogenization ' এই সেন্ট্রালাইজেশনে এসে পরিণত হয় ' hegemog enization এ । আজকের গ্লোবালাইজেশনকে আমরা এই রূপেই প্রত্যক্ষ করছি । গ্লোবালাইজেশন এখন একক এক হেজিমোনাইজেশনের রূপ পরিগ্রহ করছে । গ্লোবালাইজেশনের আজকের এই সর্বশেষ ঢেউটি সোভিয়েত রাষ্ট্রের পতনের পর একমাত্রিক রূপ নিয়ে আবির্ভূত হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র গ্লোবাল পাওয়ার হওয়ার প্রোগ্রাম নতুনভাবে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই । তাদের সার্বিক জাতীয় কৌশল তৈরি হয় এই লক্ষ্য স ামনে রেখেই । 

ব্রান্ডেস ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্সের অধ্যাপক এবং ' হারভার্ট সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার্সের এসোসিয়েট রিসার্চার রবার্ট জে . আর্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই জাতীয় কৌশলকে পাঁচটি দফায় ভাগ করেছেন । ৬ দফা পাঁচটি হলো , ( এক ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে হুমকি সব পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার প্রতিরোধ করা , ( দুই ) জাতীয়তাবাদী অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি যা শিল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সহযোগিতায় ধস নামিয়ে মার্কিন সমৃদ্ধির ক্ষতি করতে পারে , তাকে রোধ করা , ( তিন ) এমন অবস্থা যা মুক্ত অর্থনীতির ধ্বংস এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার ত্বরান্বিত করে , তার অবসান ঘটানো , ( চার ) পারস্য উপসাগরের তেল মওজুদের উপর আঞ্চলিক কোনো শক্তির নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ করা এবং সেখানে মার্কিন প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হতে না দেয়া এবং ( পাঁচ ) ইসরাইল ও দক্ষিণ ,

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ