Product Specification
Title | পরকালের প্রস্তুতি |
Author | শাইখ খালিদ আল হুসাইনান |
Publisher | রুহামা পাবলিকেশন |
Quality | PDF Download Free eBook |
Edition | 1st Published, 2018 |
Number of Pages | 88 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
Product Summary
দুনিয়া, ক্ষণিকের সফর…। এর থেকে বিদায় অনিবার্য; তবুও এর জন্য মানুষের কত কী আয়োজন ! চাহিদার শেষ নেই, ইতি নেই স্বপ্নের । নিজের ঝোলা ভর্তির জন্য মানুষের কত যে ঘাম ঝরছে ! কেউ ঝরাচ্ছে রক্ত ! সবাই তো এ কথা বিশ্বাস করে, প্রত্যেকেই আস্বাদন করবে মৃত্যুর স্বাদ । সবকিছু ছেড়েই যেতে হবে ওপারে । তবুও মানুষ ব্যস্ত এপারের ভোগবিলাসের উপায়-উপকরণ নিয়ে । ওপারের পাথেয় জোগাড়ের সময় কই !
হে দুনিয়ার মোহে আচ্ছন্ন মানুষ ! এবার একটু ক্ষান্ত হও । তোমার দুনিয়ার পুঁজি তো দিনদিনই সমৃদ্ধ হচ্ছে । কিন্তু পরকালের পুঁজির খবর কী ? তা কি বরাবরই উপেক্ষিত থাকবে !আর কত সময় নষ্ট আমরা করবো পার্থিব ভোগবিলাসের পেছনে ? তবে কখন তোমার সময় হবে পরকালের প্রস্তুতি গ্রহণের ? সৌভাগ্যবান ও তাওফীকপ্রাপ্ত বান্দা তো তারাই, যারা জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে পরকালের জন্য পাথেয় সংগ্রহ করে । পিঁপড়া যেমন শীতকালের দুর্ভোগ থেকে বাঁচার জন্য গ্রীষ্মকালেই খাবার ও পাথেয় সংগ্রহ করে রাখে । মুমিন বান্দাও ঠিক তেমনি পরকালের কঠিন দুর্ভোগ থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে দুনিয়াতে থাকতেই আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের মাধ্যমে নেক আমল সংগ্রহ করে । আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন- بَلْ تُؤْثِرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا – وَالْآخِرَةُ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰ
“বস্তুত তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও, অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী ।” (সূরা আ’লা: ১৬-১৭)
পরকালের প্রস্তুতির গুরুত্ব, পদ্ধতি সহও ইত্যাদি উপদেশ মালায় সাজানো বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি ।
_____________________________________
الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام على نبينا محمد وعلى آله وصحبه
وسلم
মাখলুক তার খালিকের, বান্দা তার প্রভুর সাথে মিলিত হওয়ার সময়টিই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও মধুর সময়। এ মুহূর্ত এ সময় সর্বাধিক মনোহর। এ সময় বান্দা অনুভব করে তার প্রভুর নৈকট্য। প্রভুর একান্ত আলাপনে উপভোগ করে এক ঐশ্বরিক স্বাদ।
জনৈক পুণ্যবান ব্যক্তি বলেন, দুনিয়ার মিসকীন তারাই, যারা দুনিয়া থেকে বিদায় নিল; অথচ দুনিয়ার সবচেয়ে পবিত্র ও মনোমুগ্ধকর বিষয়টির উপভোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, দুনিয়ার সবচেয়ে পবিত্র ও মনোমুগ্ধকর বিষয়টি কী?
তিনি উত্তর দিলেন, 5 (আল্লাহর স্মরণ)
মানুষ এই দুনিয়াতে যত কিছুরই মালিক হোক না কেন। হোক না তার যত বড় পদ-পদবি কিংবা টাকা-পয়সা, জায়গা-জমিনের বিশাল-বিরাট অঙ্ক। বড় বড় ঘর-বাড়ি, প্রাসাদ-অট্টালিকা। তার আনন্দ উপভোগের যত সামগ্রীই থাকুক । যদি সে আল্লাহ থেকে দূরে থাকে, তাহলে সে হতভাগা; সে সর্বদা দুঃখ-দুর্দশা ও চিন্তা-পেরেশানিতে জর্জরিত। সবকিছু থেকেও যেন কিছুই নেই তার।
প্রকৃত ভবিষ্যতের চিন্তায় কখনো কি ভেবে দেখেছেন— আল্লাহর আনুগত্য, পরকালের উজ্জ্বল ভবিষ্যতে কীভাবে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগানো যায়?
* কে সৌভাগ্যবান ও তাওফীকপ্রাপ্ত বান্দা?
সৌভাগ্যবান ও তাওফীকপ্রাপ্ত বান্দা তো তারাই, যারা জীবনের প্রতিটি
মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে পরকালের জন্য পাথেয় সংগ্রহ করে। পিঁপড়া যেমন শীতকালের দুর্ভোগ থেকে বাঁচার জন্য গ্রীষ্মকালেই খাবার ও পাথেয় সংগ্রহ করে রাখে। মুমিন বান্দাও ঠিক তেমনি পরকালের কঠিন দুর্ভোগ থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে দুনিয়াতে থাকতেই আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের মাধ্যমে নেক আমল সংগ্রহ করে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন
بل تؤثرون الحياة الدنيا - والآخرة خير وأبقى
“বস্তুত তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও, অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।”
এক আবেদকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আর কত এভাবে নিজেকে কষ্ট দেবেন?
উত্তরে তিনি বললেন, নিজের সুখ-শান্তিই তো তালাশ করছি!
চিন্তা করে দেখুন, কীভাবে তিনি পরকালের দুর্ভোগ থেকে বাঁচার জন্য
দুনিয়ার কষ্টকে তুচ্ছ মনে করেছেন! দুনিয়ার উপভোগকে বাদ দিয়ে প্রাধান্য
দিয়েছেন আখিরাতের উপভোগকে!
সুফইয়ান সাওরী রহ. বলেন, রাবী ইবনে খুসাইম রহ. কে বলা হলো, একটু যদি নিজেকে আরাম দিতেন।
তিনি বললেন, আরামের জন্যই তো কষ্ট করছি।
একবার চিন্তা করে দেখি- কীভাবে রাবী রহ. আখিরাতের প্রশান্তিকে দুনিয়ার প্রশান্তির ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন! আখিরাতের প্রশান্তির জন্য দুনিয়ার কষ্টকে সানন্দে গ্রহণ করে নিয়েছেন!
প্রিয় ভাই, আমরা এই ধ্বংসশীল দুনিয়ার জন্য, পার্থিব জীবনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য কত পরিশ্রমই না করি। আরামের ঘুম হারাম করে নির্ঘুম কত রাত কাটাই। ঘর-বাড়ি ছেড়ে বিদেশে কাটাই প্রবাস
১. সূরা আ'লা: ১৬-১৭
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....