(রিভিউ) পঞ্জিকার হিসেবে এখন বসন্ত : সাঈদা আম্বিয়া সুলতানা | Ponjikar Hisebe Akhon Bosonto by Saida Ambia Sultana

বই:পঞ্জিকার হিসেবে এখন বসন্ত
ধরণ: গল্প সংকলন 
প্রকাশক: আশিকুর রহমান
প্রকাশনী: রেঁনেসা প্রকাশনী
প্রচ্ছদ: সাদিতউজ্জামান 
নামকরণ: তাহমিনা জাফর কল্পনা 
মুদ্রিত মূল্য: ২৬০ টাকা
প্রকাশকাল: গ্রন্থমেলা ২০২১
(রিভিউ) পঞ্জিকার হিসেবে এখন বসন্ত : সাঈদা আম্বিয়া সুলতানা | Ponjikar Hisebe Akhon Bosonto by Saida Ambia Sultana

বইয়ে তিনটি গল্প রয়েছে। তিনটি গল্পের কাহিনীই অসাধারন। একেকটা একেক মেসেজ দিয়েছে। 

💕আচঁল ভরা জোনাকি
শুরুতে গল্প টা অনেক ইন্টারেস্টিং লেগেছে। জয়ের শিমুর প্রতি ভালোবাসা।তবে একটু বেশি বেশি প্রসংশা করেছে শিমুর সৌন্দর্যের।তাও আবার ওর সামনেই।আড়ালে করতেই পারতো।
যাই হোক, শেষের দিকে গল্পটা আমার কাছে মনে হয়েছে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো। আরেকটু হলে ভালো লাগতো। কারণ আমার পড়তে বেশ ভালো লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো বার বার আরো কিছু রহস্য আছে।

💕সংহার
এই গল্প নিয়ে কি বলবো। মানুষ কতটা কষ্টে থাকলে নিজের সন্তান কে বিক্রি করে দেয়। গল্পের লাস্ট এর লাইনগুলো পড়ে আমি কেদেঁই ফেলেছি।
 
অংশবিশেষ - " নিজের পেটের খিদায় আল্লাহর দেওয়া জান্নাতটারে একটা জালিমের কাছে বেইচা দিলেন আজিজ মিয়া? এখন ত আপনেরে বাপ ডাকনের লাইগাও আর কেউই থাকলো না। আপনে এহন আজিজ মিয়া। শুধুই আইজ্জা! "

 💕পঞ্জিকার হিসেবে এখন বসন্ত
তিনটি গল্পের মধ্যে এই গল্প টা আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি যখন এই গল্পটা পড়া শুরু করেছি, শুধুই খুজেছি যে নামের সাথে গল্পটার কোথায় মিল। পড়তে পড়তে যখন শেষের দিকটায় আসলাম, তখন মনে হয়েছে এইত পেয়ে গেছি। গল্পের প্রতিটা চরিত্র এত ভালো লেগেছে। এত্ত সুন্দর করে গোছানো ছিলো। আহ পড়ে মনটা শান্তি লেগেছে। নামের সাথে গল্পের কাহিনীর স্বার্থকতা পেয়েছে।

অংশবিশেষ - " সন্ধ্যা হয়ে আসছে। এবারের বসন্তের শেষ সন্ধ্যা! পঞ্জিকার হিসেব মনে এখনো বসন্ত। আপন মনে আউড়াচ্ছি ' আর কী নিবি বসন্ত '? নদীর পাড় ঘেঁষে যে- পথটা চলে গেছে সেই পথ ধরে হাঁটছি আর ভাবছি, যে মানুষটা অন্যজনের পথ দেখায় সেও পথ ভুল করে। তাকে পথ দেখানোর জন্যেও একজন নিজের মানুষ লাগে। আমি যখন যাকে পথের দিশা ভেবেছি বসন্ত এসে তাকেই কেড়ে নিয়েছে। আমি কোথায় পাবো পথের দিশা! কটা শিমুল গাছ আছে এ পথে।"

রিভিউ : পঞ্জিকার হিসেবে এখন বসন্ত
লিখেছেন শ্রদ্ধেয় ম্যাম Runa Runa

আঁচল ভরা জোনাকি এক নিঃশ্বাসে পড়ে শেষ করলাম। খুব ভালো লাগলো,দুটো কারন তোমার শব্দ চয়নে পরিপক্বতার ছোঁয়া, আর আমিও ১০ বছর নিঃসন্তান ছিলাম, তুমি ও ছিলে গল্পে কিছু টা হলেও নিজের কষ্ট টা উপলব্ধি করেছি।আগামী বছর নতুন বই লিখবে আর ছাপানো হলে আমাকে পাঠবে।আর একটা কথা আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আর আমি নিজের পছন্দে বিয়ে করেছি। এবার পড়লাম সংহার,আমার মেয়ে হওয়ার পর ডেলিভারির সময়ে আমার ডাক্তার আমাকে বলছেন আমার বর নাকি লাইগেশন করতে বলেছে,আমি আকাশ থেকে পড়েছিলাম,দশ বছর পর দুটো সন্তান দিচ্ছে আল্লাহ আর আমার বরের কাছে বেশি হয়ে গেলো,তখন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম,ডাক্তার বললো আমার বর ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করেছেন যে আমর তলপেটে ৫ টা অপারেশন আর করা যাবে না তাই লাইগেশন সমাধান আমাকে বাঁচানোর, তাই তখন রাজি হয়েছিলাম,কিন্তু আজও কষ্ট পাই,এই ভেবে যে যদি কোন বাচ্চার কিছু হয়ে যায় তাহলে কিভাবে থাকবো, 

তোমার গল্প টা পড়ে নিজের কষ্টে র কথা মনে হলো যদি বিপদ হয় আমি ও আজিজ মিয়া র মতো হয়ে যাবো।এবার শেষ করলাম পঞ্জিকা র হিসেবে এখন বসন্ত, আগের গল্প দুটোর মতো না। এটাতে একটু তাড়াহুড়ো করে লেখা মনে হলো,আরও একটু পরিপক্বতা আশা করেছিলাম, তবে প্রথম বই সে হিসেবে অনেক ভালো লিখেছো, অনেক দিন গল্প বই কেনা হয়না, বাচ্চাদের জন্য কিছু বই কিনি ওরা পড়তে চায় না আমি পড়ে শুনাই,শেষ জাফর ইকবালের একটা সায়েন্স ফিকশন বই ছিল আমাকে ধরে রাখতে পারেনি খুব অদ্ভুত জাফর ইকবালের বই আমাকে ধরে রাখতে পারেনি, 

আর তোমার লেখা এক নিঃশ্বাসে শেষ করলাম, অনেক ধন্যবাদ তোমাকে তবুও একজন খাটি পাঠকের মতো আর তোমার শিক্ষক হিসেবে হয়তো একটু বেশি ই সমালোচনা করে ফেললাম। আমার মাও একজন স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন আর সমাধান আপ ছিলেন সেজন্য আরও জানতে ইচ্ছে করছিলো আমার মাকে লেখা র মাঝে খুজছিলাম, মা ২০১৯ সালে আমার হাতের উপর মা-রা গেছেন তাই খুজছিলাম তোমার লেখা র মাঝে।অনেক ধন্যবাদ তবে আরও লিখবে।বইটা যখন পাঠিয়েছ তখন তোমার স্বাক্ষর এ তখন আমার নামটা আশা করেছিলাম, পরের বার লিখে পাঠাবে ইনশাআল্লাহঅনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা, এই প্রথম নিজের ছাত্রীর লেখা পড়লাম তবুও কঠিন সমালোচনা করলাম কিছু মনে করোনা।

চলুন আজ আপনাদের সাথে বর্তমান সময়ের চার জন লেখক-লেখিকার সাথে দেখা করিয়ে দেই।

MD Jobrul Islam ১৯৯৮ সালের ১ নভেম্বর নবীগঞ্জ থানার মাধবপুর নামক এক অজপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।Facebook লেখালেখির হাতেখড়ি। দীর্ঘ তিন বছর Facebook এ 'আরাধনায় বিহঙ্গ জীবন' 'ঘাসফড়িং' 'দেশলাই' এর মতো বেশকিছু গল্প-উপন্যাস লিখে পাঠকদের মন জয় করে নিয়েছেন। এ বছরের জুনে উনার প্রথম বই 'বিষাদিনীর বসুন্ধরা' প্রি-অর্ডার শুরু হলে পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া পায়। এখনও রকমারিতে প্রি-অর্ডার চলছে। ঈদের পরেই বইটি প্রকাশ পাবে।

Sayeda Ambia Sultana ডাকনাম রত্না। তিনি টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার ছোট্ট এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে দেলদুয়ারের সেই ছোট্ট গ্রামেই। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ, কে, এম আব্দুল্লাহ্ মিয়া দেলদুয়ার থানার সরকারি হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। মা একজন আদর্শ গৃহিনী।
সাঈদা আম্বিয়া সুলতানা দেলদুয়ার থানার শাফিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং সৈয়দ মহব্বত আলী ডিগ্রী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। তারপর ঢাকার সরকারী বাংলা কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক এবং মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতকত্তোর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি মৎস্য অধিদপ্তরে চাকরিরত আছেন। স্বামী এবং এক কন্যা নিয়ে লেখিকার সংসার জীবন। তার স্বামী বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী।
লেখিকা বৃষ্টি, জোৎস্না, হিজল, শিউলি আর কাঠগোলাপ ভীষণ ভালোবাসে। অবসরে কবিতা শোনা আর বই পড়া তার অভ্যেস। তিনি সবসময় চেষ্টা করেন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। "পঞ্জিকার হিসেবে এখন বসন্ত" গল্পগ্রন্হটি লেখিকার প্রথম মৌলিক গল্প সংকলন। এর আগে ২০২০ সালে "হৃদ মাঝারে রাখিব" তে তার লেখা "গল্পটা পাঞ্জাবীর" প্রকাশিত হয়। এরপর "মুক্তমঞ্জ সংকলন আমাদের গল্প" বইটিতে লেখিকার আরো একটি গল্প "হৃদস্পন্দন" প্রকাশিত হয়।

সালমা জাহান সনিয়া লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।বার্তমানে তিনি ইডেন মহিলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে অর্থনীতি বিভাগে অধ্যয়নরত। লেখিকার জীবনের নানা বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়ে সাহিত্য জীবনে পদার্পণ।কখনো ভাবতে পারেন নি,কবিতা লিখা হবে।একটা সময় কবিতা তার প্রাণ হয়ে উঠবে সে কথা কল্পনায় আসেনি।আজ কবিতাই যেনো প্রাণ।

M.H. Nadim ২০০২ সালের ৩ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার নওধার (সুলতানপুর) গ্রামের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোট বেলা থেকেই সাহিত্যে মনোযোগ থাকা সত্যেও বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনার জন্য তার প্রথম লেখা কবিতা যৌথ কাব্যগ্রন্থ অভিযাত্রী-২ এ ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়।তার যৌথ কাব্যগ্রন্থ সংখ্যা একাধিক। তিনি বাংলাদেশের দৈনিক সাপ্তাহিক মাসিক বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকাতে লেখালেখি করেন। সাহিত্যের সকল শাখায় (গল্প,উপন্যাস,ছড়া,কবিতা,সাইন্স ফিকশন,ইসলামিক গান) তার বিচরন।তিনি বর্তমানে ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ২য় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত আছেন।বর্তমান সময়ের এই তরুণ উদীয়মান লেখকের কয়েকটি যৌথ বই প্রকাশিত হয়েছে। 
১। "বিস্ফোরিত অক্ষর"
২। "শব্দের ভেলা"
৩। "শব্দতরঙ্গ!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ