Product Secret of Zionism eBook Version
Title | সিক্রেটস অব জায়োনিজম : বিশ্বব্যাপী জায়োনিস্ট ষড়যন্ত্রের ভেতর-বাহির |
Author | হেনরি ফোর্ড |
Publisher | গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস |
Quality | পিডিএফ ডাউনলোড ফ্রি লিংক [Click Here] |
ISBN | 9789848254516 |
Edition | 1st Published, 2020 |
Number of Pages | 296 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
Product Summary......
১৯১৪ সালের গ্রীষ্মকাল । ইউরোপজুড়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের হাওয়া বইতে শুরু করে । ২৮ জুন , ১৯১৪ , অস্ট্রো - হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী Archduke Franz Ferdinand সাইবেরিয়ান আততায়ীর হাতে নিহত হলে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে । এরপর হাঙ্গেরি যখন সাইবেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে , তখন ইউরোপ দুই ভাগ হয়ে যায় । একপক্ষ জার্মানি - হাঙ্গেরি - অস্ট্রিয়া - অটোমানদের কেন্দ্রীয় শক্তি এবং অপর পক্ষ রাশিয়া - ব্রিটেন - ফ্রান্স - সাইবেরিয়ানদের মিত্রশক্তি । তখন জার্মানদের দাপটে মিত্রশক্তির খাবি খাওয়া অবস্থা । → তারা যে প্রযুক্তির সাবমেরিন নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে আসে , তা ছিল সেই যুগের বিস্ময় ।
ব্রিটিশ নৌ - বাহিনীকে তারা তুড়ি মেরে গুঁড়িয়ে দেয় । অপরদিকে , অভ্যন্তরীণ সেনা বিদ্রোহের আশঙ্কায় ফ্রান্স তখন নিজেকে সামলাতে ব্যস্ত । একই সময় রাশিয়ার আকাশে জমতে শুরু করে বলশেভিক বিপ্লবের কালো মেঘ । এমনিতেই জার সম্রাট কেন্দ্রীয় শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এমন সব তরুণদের পাঠিয়েছিলেন , যাদের ছিল না কোনো সামরিক প্রশিক্ষণ । ফলে বস্তাপঁচা লাশ হয়ে দেশে ফিরে আসে তারা । শুরু থেকেই মিত্রশক্তির ছিল তাল - মাতাল অবস্থা । অপরদিকে , ১৯১৬ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত জার্মানির অভ্যন্তরে একটি গুলি পর্যন্ত ফোটেনি । তারা যেন হেসে - খেলে যুদ্ধে জিতে যাচ্ছিল । ব্রিটেনকে শান্তি আলোচনায় আসার প্রস্তাব দেয় তারা । ব্রিটেনও ভাবছিল , একা একা এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনো অর্থ হয় না । কারণ , তখন তার মিত্রশক্তিরা নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ সামলাতে ব্যস্ত ।
ব্রিটেন শান্তি আলোচনায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে । কিন্তু জার্মান জায়োনিস্টরা ব্রিটেনের সামরিক বাহিনীকে আশ্বস্ত করে , তারা চাইলে এখনও যুদ্ধে বিজয় লাভ করা সম্ভব । শান্তি চুক্তিতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই । তারা আমেরিকাকে এই যুদ্ধে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে , তবে এর বিনিময়ে তাদের হাতে প্যালেস্টাইনের চাবি তুলে দিতে হবে । কোনো উপায় না দেখে ব্রিটেন এই শর্তে রাজি হয়ে যায় । এরপর আমেরিকা তাদের রণতরি নিয়ে এগোতে শুরু করে । যুদ্ধের মোড় এখানেই পালটে যায় । পরবর্তী ছয় মাসের মাথায় কেন্দ্রীয় শক্তি পরাজিত হয় ।
সাধারণ আমেরিকানদের মনে জার্মানবিরোধী চেতনা জাগিয়ে তুলতে সেখানকার ইহুদি মালিকানাধীন পত্রিকাগুলো একের পর এক মিথ্যা সংবাদ প্রচার শুরু করে । যেমন : জার্মানি একটি সন্ত্রাসী দেশ , তারা হান দস্যু , তারা রেডক্রসের নার্সদের বুকে গুলি ছোড়ে , নাবালক শিশুদের হত্যা করে ইত্যাদি ইত্যাদি । মুহূর্তে যেন আমেরিকার সাধারণ জনগণ জার্মানদের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে । যুদ্ধ শেষে শুরু হয় নতুন প্রচারণা ।
যেমন : জার্মানিতে ইহুদিরা মানবেতর জীবনযাপন করছে , সেখানে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে , তাদের ওপর সাধারণ মানুষ যুদ্ধের ঝাল মেটাচ্ছে , তারা আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সহায্যের আশায় বসে আছে এবং সবাই যেন তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে । এ নিয়ে ১৯১৯ সালে প্যারিসে শান্তি আলোচনার আয়োজন করা হয় । সেখানে উপস্থিত ছিল ১১৭ জন ইহুদি প্রতিনিধি , যাদের অনেকে ছিল জার্মান নাগরিক । আলোচনার এক পর্যায়ে তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্যালেস্টাইন দাবি করে । জার্মান সম্রাট তখন মাথায় হাত দিয়ে বলেন- ‘ এই কি ছিল যুদ্ধের কারণ ? ' তিনি বুঝতে পারলেন , রাশিয়া হতে বিতাড়িত একদল বিশ্বাসঘাতককে নিজ দেশে আশ্রয় দিয়েছিলেন । এর কিছুদিন পর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্রিটেনের নিকট হতে আসে বেলফোর ঘোষণা ।
* ... A Jewish Defector Warns America ( 1961 ) ' Benjamin Freedman ইহুদিরা পৃথিবীর প্রাচীন একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় । তাদের রয়েছে প্রায় তিন হাজার বছরের ইতিহাস । তবে এই ইতিহাস যতটা না ধর্মকেন্দ্রিক , তার চেয়ে বেশি জাত ও বংশকেন্দ্রিক । জনসংখ্যায় অতি নগণ্য হয়েও আধিপত্য ও সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের দিক থেকে তারা কোনো অংশে পিছিয়ে নেই । তাদের প্রসঙ্গ সামনে এলেই যেন বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিমের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম হয় । এর পেছনে রয়েছে ঐতিহাসিক নানা দ্বৈরথ , গত কয়েকশো বছরের অসংখ্য ষড়যন্ত্র এবং প্যালেস্টাইনের ওপর চলমান নির্যাতন । যারা ছিল একসময়কার সবচেয়ে নিপীড়িত জাতি , তারাই আজ পৌঁছে গেছে নিপীড়কের নেতৃত্বে । সেই ফরাসি বিপ্লবের সময় থেকে তাদের যে উত্থান শুরু হয়েছে , তার ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে ।
যে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের মতো দেশগুলো একসময় ইহুদিদের দূর দূর করে তাড়িয়ে দিত , তারাই আজ তাদের অধিকার ও নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করছে । কিন্তু তাদের এই উত্থান কীভাবে ঘটল ? কীভাবে তারা আজকের ক্ষমতাধর জাতিতে পরিণত হলো ? কোন সে অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তারা শাসন করে যাচ্ছে পুরো বিশ্বকে ? ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পরে দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবের উন্মাদনা । নতুন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় শিল্প - কারখানগুলোর চিত্র পালটে যেতে শুরু করে ।
পরিবর্তনের হাওয়ায় বদলে যায় বিশ্ব অর্থনীতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনপ্রবাহ । সে সময় পৃথিবী লক্ষ করে নতুন এক শক্তির আবির্ভাব- ‘ জায়োনিজম ' । বলে রাখা ভালো ,
জায়োনিজম পৃথিবীর বহু প্রাচীন একটি মতবাদ । তবে জেরুজালেম পুনরুদ্ধারের স্বপ্নে ১৮৯৭ সালে Theodor Herzl ও Max Nordau- এর হাত ধরে এই মতবাদটি একটি সাংগঠনিক রূপ পায় ; ' World Zionist Organization । নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিলে কীভাবে তারা বিশ্বজুড়ে অসংখ্য ষড়যন্ত্রের বীজ বপন করেছে , তা অল্প কথায় এই অংশে কখনো উপস্থাপন করা সম্ভব নয় । ইহুদিরাই তো পুঁজিবাদ এবং আধুনিক ব্যাংকিং শিল্পের জন্মদাতা । সুদভিত্তিক অর্থ বাণিজ্যকে কাজে লাগিয়ে তারা সুকৌশলে কেড়ে নিয়েছে জ্যান্টাইল সমাজের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা । শেয়ারবাজারগুলোতে তাদের সংঘবদ্ধ দৌরাত্ম্য কত বিনিয়োগকারীকে যে পথের ফকির বানিয়েছে , তার কোনো হিসাব নেই ।
বিশ্ব শ্রমবাজার তাদের কণ্টকময় থাবায় জর্জরিত । লোহা , ইস্পাত , তামা , কপার , নিকেল ও স্বর্ণ - রৌপের খনিগুলো নিজেদের কবজায় নিয়ে কাঁচামাল শিল্পের ওপর চূড়ান্ত আধিপত্য সৃষ্টি করেছে । জনমত নিয়ন্ত্রণে চারদিকে গড়ে তুলেছে অসংখ্য পত্রিকা প্রতিষ্ঠান । চারদিকে বিপ্লব , আন্দোলন এবং বিভাজনের বীজ ছড়িয়ে দিতে সুকৌশলে মানুষের মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছে ভয়ংকর সব মতবাদ । চলচ্চিত্র ও শিল্পকলায় অশ্লীলতার সংযোজন ঘটিয়ে যুব সমাজের নৈতিকতাবোধ ধ্বংস করে ফেলেছে । সেইসঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থায় ঢুকিয়ে দিয়েছে নাস্তিকতার বীজ । হেনরি ফোর্ড ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী ; ফোর্ড মোটর কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ।
শিল্প বিপ্লবের সেই সময়টিতে অন্যদের মতো তিনিও উপলব্ধি করেছিলেন অদৃশ্য সেই শক্তি তার প্রতিষ্ঠানেও থাবা বসাতে চাইছে । কিছু করতে না পারলে তার ভাগ্যেও অন্যদের মতো দেউলিয়ার থালা ঝুলবে । ব্যবসায় কার্যক্রমের পাশাপাশি তিনি একটি সাপ্তাহিক পত্রিকাও পরিচালনা করতেন , যার নাম ছিল- The Dearborn Independent | তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন , এই অদৃশ্য শক্তির মুখোশ বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচন করেই ছাড়বেন । সে সময় একজন আমেরিকান হয়ে ইহুদিদের বিরুদ্ধে মুখ খোলা যেনতেন কাজ ছিল না ।
বইটি পড়লেই এর কারণও জানতে পারবেন । ১৯২০ সাল থেকে তিনি ইহুদিদের যাবতীয় ষড়যন্ত্রের ওপর একের পর এক তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল প্রকাশ করা শুরু করেন । এর ফলে তার পত্রিকার জনপ্রিয়তা খুব দ্রুতই ইউরোপ - আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পরে । সর্বত্র এটি নিয়মিত পঠিত হতে শুরু করে । ১৯২২ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হওয়া সেরা ৮০ টি আর্টিক্যাল নিয়ে তিনি একটি বই প্রকাশ করেন- The International Jews |
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....