Product Specification Usulul Iman eBook
Title | উসূলুল ঈমান pdf download |
Author | ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী |
Publisher | সবুজপত্র পাবলিকেশন্স |
Quality | PDF Format Download Free |
ISBN | 9789848927168 |
Edition | 3rd Edition, 2021 |
Number of Pages | 360 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
⦁ বইয়ের নাম: উসূলুল ঈমান।
⦁ লেখক: মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আলিম।
⦁ অনুবাদক : ড.আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া ও ড.মঞ্জুরে ইলাহী।
⦁ প্রকাশনায়: সবুজপত্র পাবলিকেশন।
⦁ পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৩৬০।
⦁ মুদ্রিত মুল্য : ৩৮০ টাকা ।
বিক্রয় মূল্যঃ ২৬৬ টাকা মাত্র (৩০% ছাড়ে)
প্রারাম্ভিকা,
.
ঈমান হল হৃদয়ে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি ও কর্মে বাস্তবায়নের সমন্বিত নাম। যা আনুগত্যে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং গোনাহে হ্রাসপ্রাপ্ত হয়। এ প্রসঙ্গে প্রিয়নবী মুহাম্মদূর রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, "ঈমান হলো আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রসুলগণের প্রতি এবং আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস আনবে, আর তাক্বদীরের ভালমন্দের প্রতি বিশ্বাস রাখবে। --- [স্বহীহ্ মুসলিম, হা/০১]
.
উপরোক্ত হাদীসের আলোকে বলা যায়, আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রসুলগণের, আখিরাতের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভালমন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা হচ্ছে ‘ঈমান’।
.
উসূলুল ঈমান বইটিতে যা পাবেন :
.
মানবজীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ, অপরিহার্য ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো ঈমান। কুরআন সুন্নাহ'র আলোকে ঈমানের মৌলিক কিছু উসূল রয়েছে। সেই উসূল সম্পর্কিত মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন স্কলারের যৌথ প্রচেষ্টার ফসল হল "উসূলুল ঈমান" নামক এই গ্রন্থখানি। আলোচ্য গ্রন্থের লিখকগন হলেন - ড. সালেহ ইবনে সা’দ আস সুহাইমী, ড. আব্দুর রাজ্জাক ইবন আব্দুল মুহসিন আল আব্বাদ ও ড. ইবরাহীম ইবন আমের আর রুহাইলী। এটি অনুবাদ করেছেন বাংলার দুই নক্ষত্র উস্তায আবু বকর যাকারিয়া ও মঞ্জুরে ইলাহী (হাফিয্বাহুমুল্লাহ)।
.
ইসলামে উছূলী ফের্কাবন্দীর বা বিভক্তির অধিকাংশ ক্ষেত্রে মূল কারণ হল আক্বীদাগত বিভ্রান্তি। তাই প্রথম অধ্যায়েই তাওহীদুল রুবূবিয়্যাহ, তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ এবং তাওহীদুল আসমা ওয়াস সিফাত নিয়ে বিস্তর আলোচনা রাখা হয়েছে।
.
ঈমানের অবশিষ্ট রুকনসমূহ’ ও আক্বীদাহ'র সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাসআলা’ – পরবর্তী দুটি অধ্যায়ে এর আলোচনা পেশ করা হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ে বিভিন্ন পরিচ্ছেদে ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলো তথ্য-প্রমাণসহ বর্ণিত হয়েছে। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য ‘উসূলুল ঈমান’ বিষয়ক এটিই পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এতে অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যক্ত করা হয়েছে। অনুবাদকের বানানরীতি, উপস্থাপনা এবং ভাষাশৈলী অত্যান্ত চমৎকার। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমার কাছে বইটি সময়োপযোগী, যৌক্তিক ও জ্ঞান পিপাসুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।
.
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা গ্রন্থটির লেখক ও অনুবাদকদের উত্তম প্রতিদান দিন এবং আমাদেরকে সুরভিত ঈমানে বলীয়ান হওয়ার তাওফ্বীক দান করুন, আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
রিভিউ লেখক : আখতার বিন আমীর। আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
❒ অডার করতে ইনবক্সে নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর দিন।
অথবা 𝟬𝟭𝟳𝟯𝟳-𝟭𝟲𝟭𝟴𝟰𝟵 (𝐂𝗮𝐥𝐥, 𝐖𝐡𝐚𝐭𝐬𝐀𝐩𝐩, 𝐢𝐦𝐨)
❒ ঢাকা সিটিতে হোম ডেলিভারি।
❒ ঢাকার বাহিরে কুরিয়ার সার্ভিসে সারা দেশে বই পাঠানো হয়।
➡ 𝗣𝗮𝗴𝗲: @Salafi online bookshop
https://www.facebook.com/Salafionlinebookshop/
”উসূলুল ঈমান” বই ফ্রি বিতরণ
------------------------------
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহী ওয়াবারাকাতুহ। সম্মানিত ভাই ও বোনেরা। আমরা যেভাবে আপনাদেরকে বলেছিলাম যে, আমরা খুব শিঘ্রই, শায়খ আবু বকর মুহাম্মদ জাকারীয়া ও শায়খ মানজুর ই ইলাহী হাফিজাহুল্লাহ এর বই “উসুলুল ঈমান” ফ্রি বিতরণ করবো। আলহামদুলিল্লাহ!
.
বইটি পেতে হলে প্রশ্নত্তর এর মাঝ দিয়ে আপনাকে রিকুয়েস্ট করতে হবে।
পদ্ধতি:
১. লিংকে ক্লিক করুন: https://cutt.ly/wtwiFsa
২. প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন
৩. সাবমিট করুন
৪. সাবমিশন শেষ ডেট: ২০-মার্চ-২০২০ ইং
শেষ……..
.
[বিদ্র:
-সালাফ টক এর সম্মাতিন এডমিনগন বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন।
-সালাফ টক এর সম্মানিত এডমিনগনের সিদ্ধান্ত চুরান্ত বলে গন্য হবে। ]
সবার সাথে শেয়ার করুন ইনশাআল্লাহ। আমাদের পেজের সাথেই থাকুন। যে কেউ অংশগ্রহন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। আগে যারা বই পেয়েছেন তারাও অংশগ্রহন করতে পারবেন। সবার জন্য উন্মুক্ত।
উসূলুল ঈমান বই রিভিউ
-- মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আলেম
--------------------------------------------
[রিভিউ লেখক : জারব-ই- আজাব ]
বিসমিল্লাহ হির রহমানির রহিম
বইয়ের নাম : উসূলুল ঈমান
মূল : মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আলেম
ভাষান্তর : ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহি ও ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রকাশনী : সবুজপত্র পাবলিকেশনস
মূদ্রিত মূল্য : ৩০০ টাকা মাত্র ।
দুনিয়া ও আখিরাতের সকল কল্যাণ নিহিত রয়েছে বিশুদ্ধ ঈমানের উপর আর এটাই সবচে’ মহান ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য এবং মর্যাদাপূর্ণ লক্ষ্য , যা অর্জন না করলে সকল আমল বৃথা । তবে, দুঃখজনক হলেও সত্য, আজ আলেম-ওলামা থেকে শুরু করে জাহেল পর্যন্ত সর্বত্রই ছোট-খাট ইজতেহাদি মাসআলা নিয়ে মতানৈক্যে বেহুদা বিবক্ত হয়ে ইসলামের মূল বিষয়বস্তু ও সবচে’ গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি অবহেলার চূড়ান্ত শেখড়ে রেখেছে, যার জন্য আকীদা বিষয়ক অজ্ঞতায় দায়ী । তাই, সময়ের দাবি-ই ছিল এই বিষয়ে একটি বিশুদ্ধ কিতাব রচনা আর সেই দাবি পূরণের আহবানকে সামনে রেখেই মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন স্কলারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি মৌলিক গবেষণাকর্ম ও মহান কিতাব এই “উসূলুল ঈমান” । যার অনুবাদ করেছেন এই দেশের মহান দুই আলেম ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী, যিনি মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উসূলুল ফিক্হের ওপর পিএইচডি করেন ও বর্তমানে গাজীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী স্ট্যাডিস এর সহযোগী অধ্যাপক এবং ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া, যিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আকীদাহ-এর উপর পিএইচডি করেন ও বর্তমানে কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ্ বিভাগের সহযোগী আধ্যাপক ।
পাঠপর্যালোচনা :
যেসব মৌলিক বিষয়ে ঈমান রাখা অপরিহার্য সেসবের স্বচ্ছ জ্ঞান ও তাৎপর্য সম্পর্কে গাফেল হলে স্বভাবতই ঈমান হারানোর আশঙ্কা থাকে । আল্লাহ্কে ‘রিয্কদাতা’ হিসাবে সত্যিকার অর্থে স্বীকার করলে তার পক্ষে খাওয়া-পরা নিয়ে প্রচেষ্টার অতিরিক্ত ‘পেরেশান’ হওয়ার অবকাশ নেই । সত্যিকারে ‘আখিরাতে’ বিশ্বাসী কখনও দুনিয়াকে আঁকড়ে ধরার মত ন্যাক্কারজনক কাজ করতে পারে না । বিশ্বাস ও কর্মের অমিল হওয়ার মূল কারণ হল, ‘ঈমান’ সম্পর্কে অজ্ঞতা, অস্পষ্টতা বা এর তাৎপর্য উপলব্ধিতে ব্যর্থতা । ঈমানের গুরুত্ব ও মর্যাদা এবং দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিন ব্যক্তির উপর এর বহুবিধ উপকারিতা ও সুফল কী তা গোপন নয় । তাই এই বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন স্কলারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি মৌলিক গবেষণাকর্ম ও মহান কিতাব এই “উসূলুল ঈমান” ।
ঈমান হলো “আল্লাহ্র প্রতি, তাঁর ফেরেশ্তাদের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি, তাঁর রাসূলগণের প্রতি, শেষ দিবসের প্রতি আর তাকদীরের ভাল-মন্দের প্রতি ঈমান আনায়ন করা” (সহীহ মুসলিম) । ঈমান এই মহান ছয়টি মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত, যা আমরা ‘হাদীসে জিবরীল’ এর মাধ্যমে জানতে পায় । এগুলো পরস্পর ওৎপ্রোতভাবে জড়িত, একটি অপরটির অপরিহার্য । সুতরাং, এগুলোর কোন একটির প্রতি ঈমান আনয়ন বাকীগুলোর উপর ঈমান আনয়নকে অপরিহার্য করে তোলে । তেমনিভাবে, এর কোন একটিকে অস্বীকার বাকীগুলোকে অস্বীকার করার নামান্তর ।
সম্পূর্ণ বইটি তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত । যার প্রথম অংশই ঈমানের ভিত্তি অর্থাৎ আল্লাহ্র ওপর ঈমান বা তাওহীদ নিয়ে । দ্বিতীয় অংশ ঈমানের অবশিষ্ট রুকনসমূহের উপর । আর তৃতীয় অংশটি আকীদার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাসআলা নিয়ে । রিভিউ পাঠকদের বোঝার সুবিধার্থে প্রতিটি অধ্যায়ের পর্যালোচনা করব, ইনশাআল্লাহ্ ।
প্রথম অধ্যায় ::::::::আল্লাহ্ তা’আলার ওপর ঈমান
প্রথম অধ্যায়টি তাওহীদের তিনটি প্রকার নিয়ে স্বতন্ত্র তিনটি পরিচ্ছেদে আলোচনা করা হয়েছে । প্রথম পরিচ্ছেদটি তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ নিয়ে । এখানে রুবূবিয়্যাহ-এর সংজ্ঞা এবং কুর’আন ও সুন্নাহ্ ছাড়াও রুবূবিয়্যাহ-র যুক্তিনির্ভর প্রমাণ পেশ করা হয়েছে । এবং শুধুমাত্র তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ-র স্বীকৃতি যে আযাব থেকে মুক্তি দেয় না, তার দালিলিক আলোচনা করেছেন । আর এর প্রকৃত উদাহরণ ছিল মক্কার মুশরিকরা । যদিচ প্রভুত্বে একত্ববাদের ব্যাপারটি মানবাত্মায় প্রোথিত রয়েছে তবে সতর্কতা সাপেক্ষে, প্রভুত্বে আল্লাহ্র এককত্বের ক্ষেত্রে বিচ্যুতির তিনটি ধরন নিয়েও আলোচনা রয়েছে, যার প্রথম প্রকারটি এযুগের নাস্তিকগণ । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদটি তাওহীদুল উলূহিয়্যাত নিয়ে । এই তাওহীদ প্রমাণে এবং নবী-রাসূলগণের প্রেরণের মূল উদ্দেশ্যই যে তাওহীদুল উলূহিয়্যাত প্রতিষ্ঠা তার দালিলিক আলোচনা করেছেন লেখকগন । এখানেই, ইবাদাতের তিনটি রুকন, ইবাদাত কবুলের শর্ত, ইবাদাতের বিভিন্ন প্রকার ( প্রায় ১৫ টি ), শিরক ও বাতিলের দিকে পরিচালনাকারী বিভিন্ন পথ যেমন ঝাড়-ফুঁক,তাবীয-কবচ,গাছ-পালা ,পাথর দ্বারা বরকত কামনা,কবর কেন্দ্রিক বিভিন্ন কর্ম,অসীলা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা রয়েছে । এছাড়াও এগুলোর বৈধ-অবৈধ দিক নিয়েও পাশাপাশি রেখাতিপাত করা হয়েছে । এরপর অন্তরের বিভিন্ন ব্যাধি যেমন শিরক , কুফর, নিফাকি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পেশ করা হয়েছে । তৃতীয় পরিচ্ছেদটি তাওহীদুল আসমা ও্য়াস সিফাত নিয়ে । এখানে আল্লাহ্র নাম ও গুণাবলি সাব্যস্তের প্রায়োগিক উদাহরণ ও অনুসৃত নীতিমালা নিয়ে কথা বলা হয়েছে । এখানে অনুসৃত চারটি নীতিমালা নিয়ে আনা হয়েছে । আর শেষে আল্লাহ্র ওপর ঈমান আনার দশটি ফলাফল ও উপকারিতা নিয়ে ইতি টানা হয়েছে ।
দ্বিতীয় অধ্যায় :::::::::ঈমানের অবশিষ্ট রুকনসমূহ
এখানে ঈমান বিল্লাল ব্যতিত অবশিষ্ট পাঁচটি রুকন নিয়ে স্বতন্ত্র পাঁচটি পরিচ্ছেদ রয়েছে । প্রথম পরিচ্ছেদটি ফিরিশ্তাদের ওপর ঈমান নিয়ে । ফিরিশ্তাদের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে ফিরিশ্তাদের পরিচয়, তাঁদের সৃষ্টির উপাদান, গুনাবলি, বৈশিষ্ট্য, দায়িত্ব ও কাজ নিয়ে আলোচনা করেছেন । এরপর তাঁদের ওপর ঈমান আনার সাতটি পদ্ধতি ও তার মর্যাদা এবং শেষে তিনটি পয়েন্ট তাঁদের প্রতি ঈমান আনয়নের ফলাফল নিয়ে আলোচনা রয়েছে । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদটি অবতীর্ণ গ্রন্থসমূহের প্রতি ঈমান বিষয়ক । অবতীর্ণ গ্রন্থসমুহের প্রতি ঈমান আনয়নের হুকুম, পদ্ধতি , দলীল এবং কুরআন ব্যতিত অন্যান্য গ্রন্থসমূহে বিকৃতির অনুপ্রবেশ নিয়ে দালিলিক আলোচনা পেশ করা হয়েছে । আর শেষে আল-কুরআন ,হাদীসে কুদসি ও হাদিসে নববীর মধ্যে পার্থক্য এবং আল-কুরআনের প্রতি বিশদভাবে ঈমান আনয়নের নিমিত্তে দশটি দিক নিয়ে গবেষণাধর্মী আলোচনা পেশ করা হয়েছে । তৃতীয় পরিচ্ছেদ হল রাসূলগণের ওপর ঈমান নিয়ে । এখানে নবী ও রাসুলের পরিচয় এবং উভয়ের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে আসা হয়েছে, যা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা । এরপর ধারাবাহিকভাবে, রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনয়নের সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত পদ্ধতি, উলুল আযম কারা, আর আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বৈশিষ্ট্য, উম্মতের উপর তার অধিকার, তাঁকে স্বপ্নে দেখা, তাঁর মেরাজ গমন এবং তাঁর মাধ্যমে রিসালাতের পরিসমাপ্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পেশ করা হয়েছে । আর শেষে নবীদের মু’জিযা ও অলীদের কারামতের মধ্যে পার্থক্য এবং বর্তমানে বিতর্কের মহাবিষয়বস্তু নবী আলাইহিমুস সালামগণের জীবিত থাকা প্রসঙ্গে দালিলিক আলোচনা । আখিরাতের ওপর ঈমান আনা নিয়ে চতুর্থ পরিচ্ছেদটি । কিয়ামতের আলামত, প্রকারভেদ, কবরের নেয়ামত-আযাব, পুনরুত্থানের হাকীকত ও প্রমাণ নিয়ে কুরআন , সুন্নাহ্ ও যুক্তিনির্ভর আলোচনা পেশ করা হয়েছে । আর শেষে শেষ দিবসের প্রতি ঈমান আনয়নের তিনটি ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে । আল্লাহ্র ফয়সালা ও তাকদীরের পার্থক্য, প্রমাণ, পর্যায়সমূহ এবং তাকদীরের ওপর ঈমান আনার বিরাট প্রভাব ও হিতকর ফল নিয়ে দালিলিক আলোচনা রয়েছে পঞ্চম পরিচ্ছেদে ।
তৃতীয় অধ্যায় ::::::::::আকিদার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাসআলা
এই অধ্যায়টি খুবই সংক্ষিপ্ত পরিসরে পাঁচটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত । সম্পূর্ণ বইটিই ছিল ঈমান সম্পর্কিত । তবে এখানের প্রথম পরিচ্ছেদে ঈমান, ইসলাম ও ইহসান বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও এগুলোর মধ্যে পার্থক্য এবং কবীরা গুণাহগার ব্যক্তির উপর ইসলামে হুকুম আলোচিত হয়েছে । মহান আল্লাহ্ ঈমানদারদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা আর কাফেরদের সাথে শত্রুতা পোষণ করা ওয়াজিব করে দিয়েছেন সূরা মায়িদার-র ৫১, ৫৫-৫৬ এবং আরো অনেক আয়াতের মাধ্যমে । আর এই বৈরিতা পোষণ ও বন্ধুত্ব স্থাপনের বিভিন্ন নীতিমালা নিয়ে দ্বিতীয় পরিচ্ছেদটি । এরপ্র আসি, সাহাবাদের ও আহলে বাইতের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির খেলায় লিপ্ত হয়ে শিয়া, খারেজীদের মত অনেক সম্প্রদায়-ই হয়েছে চরম পথভ্রষ্ট । তাই, তাঁদের পরিচয়, মর্যাদা, ন্যায়পরায়নতা, ফযীলত ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচিত হয়েছে তৃতীয় পরিচ্ছেদটি । নব্য খারেজীদের অন্যতম একটি কাজ শাসককে জেনে না জেনে তাকফীর করা । তাই, সবধানতার জন্য ও উগ্রপন্থা থেকে বিরত থাকার লক্ষ্যে শাসকদের প্রতি সাধারণ মুসলিমদের করণীয় বিষয় সমূহ নিয়ে চতুর্থ পরিচ্ছেদ । আর পঞ্চম পরিচ্ছেদটি কুরআন, সুন্নাহ্কে আকড়ে ধরার গুরুত্ব , তাৎপর্য এবং বিদ‘আত, বিচ্ছিন্নতা ও মতানৈক্যের নিন্দনীয় দিক ও তা থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে ছিল ।
বইটির স্পেশাল বৈশিষ্ট্য হল তা ঈমান বিষয়ক পরিপূর্ণ এক প্যাকেজ ছিল । ঈমানের ছয়টি পর্যায় এবং এর প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে মোটামুটি বিস্তারিত আলোচনা ছিল । আর বইটি ভাল দিক ( না আমি বলব),চরম ভাল একটি দিক হল, সম্পূর্ণ বইয়ের পরতে পরতে ছিল কুরআন ও সুন্নাহ্-র দালিলিক আলোচনা, যা আমার দেখা বাংলাদেশের আক্বীদা বিষয়ক যেকোন কিতাবের থেকে আলাদা, স্বতন্ত্র ও উন্নত এক শিখরে । আর হাদিসের সনদ বিচারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঈমাম হাকিম নাইসাপুরী (রহ:) আর ঈমাম যাহাবি (রহ:) এর তাহক্কীক গ্রহণ করা হয়েছে । যা আমাদের এই দিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, হাদিসের মানগুলো কতটা উন্নতমানের ।
কল্যাণকে বাস্তবায়নের জন্য কল্যাণের পথ জেনে নেওয়া যেমন একজন মুসলমানের কাম্য তেমনি অনিষ্টের পথ থেকে সতর্ক থাকার নিমিত্তে সেগুলোও জেনে নেওয়া কাম্য । বইটিতে কল্যাণের পথ বলে দেওয়া হলেও বলে দেওয়া নেই অকল্যাণের পথ । তাই আমার মতে, আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামাতের আকীদা-বিশ্বাস থেকে ছিটকে পড়া মুতাজিলা,জাহমিয়া,কাদিরিয়া,শিয়া প্রভৃতি ভ্রান্ত দলগুলোর বিশ্বাস নিয়ে একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় রাখা উচিত ছিল । যা একজন মুসলমানকে জঘন্য আকীদা-বিশ্বাস থেকে মুক্ত রাখতে সহায়তা করবে ।
আমি মনে করি, সঠিক আকীদা-বিশ্বাসকে নিজ জীবনে ধারণ করতে, তাওহীদী জনতা গড়তে ও শিরক মুক্ত ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করতে বইটি সকলেরই পড়া উচিত । আর , অবশ্যয় একজন ওস্তাদের সহচর্যে । আকীদায় অনেক সূহ্মাতিসূহ্ম বিষয় থাকে যা জ্ঞানী ওস্তাদ ব্যতিত জানা প্রায় অসম্ভব । তাই বলব, বইটিকে সিলেবাসভূক্ত করে ভাল কোন আলেমের সহচর্যে পড়ুন, ফয়দা পাওয়া যাবে । কেননা, শয়তানের প্ররোচনা অনেক নিখুত ও চারপাশমুখী ।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....