লেখক : মাহিন মাহমুদ
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান
বিষয় : ইসলামী সাহিত্য
উৎসর্জনএসো, আমরা মোমের মতো বাঁচি। নিজেকে পুড়িয়ে, কিন্তু অন্যকে আলো দিয়ে। তাদের জন্যে এই উৎসর্জনপত্র— যারা মানুষকে বিনিময়হীনডেকে যাচ্ছেন মহান প্রভুর দিকে। ঠিক যেন মোমের মতো, নিঃস্বার্থে।
ভূমিকা
আঁধার মানবী। পাঁচ বছর আগের এই বইটির চাহিদা এখনো কমেনি। বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ। এর সবই মহান রবের অনুগ্রহ। জীবনকে জাগাতে বইয়ের ভূমিকা অপরিসীম! ভালো বই পারে মানুষের চিন্তা-চেতনাকে নাড়িয়ে দিতে। রবের শোকর, ‘আঁধার মানবী' কারও কারও জীবনকে জাগাতে সক্ষম হয়েছে। কল্যাণকর কিছু করার বার্তা দিতে পেরেছে।
প্রিয় পাঠক, আপনার হাতে এখন বইটির নতুন সংস্করণ। পুরোনো সংস্করণে বেশকিছু ভুল ছিল। সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরও কোনো ভুলত্রুটি গোচরে এলে অবশ্যই জানাবেন। পরবর্তী মুদ্রণে ত্রুটিমোচন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
ভালো থাকবেন। দোয়ায় শামিল রাখবেন। শুভকামনা।
—মাহিন মাহমুদ ০৩/০৫/২০২১
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। এক কথায় বলতে গেলে বইটি সহজ-সরল ও সুন্দর একটি ইসলামিক উপন্যাস। প্রায় প্রতিটি পদক্ষেপে ইসমালিক কথা রয়েছে। সুন্দর কাহিনী সম্পন্ন একটি বই। আমার তো খুবই ভালো লেগেছে। একঘেয়েমি লাগেনি মোটেও। আর মাহিন মাহমুদের অন্য কোনো বই আছে কি না জানি না। মাহিন মাহমুদ সম্পর্কে বইয়ে তেমন কিছু দেয়া হয়নি। মানে লেখক পরিচিতি জানি না।
যাইহোক ঘটনার শুরু একজন নাস্তিকের মেয়ে জেরিনকে নিয়ে। এরপর ভার্সিটির ধার্মিক ছেলে জামিলের প্রতি ক্ষুব্ধ হওয়া এবং পরবর্তীতে জেরিনের দ্বীনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠা এবং দ্বীনি হওয়ার গল্প।
জামিলের বন্ধুদের প্রত্যেককে খুবই ভালো লেগেছে। প্রত্যেকেই বন্ধুর প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। ওও বন্ধুকে খুবই ভালোবাসে। বিশেষ করে মামুন চরিত্রটি ভালো লেগেছে।
বইটির আরেকটি চরিত্র হচ্ছে নুরজাহান। তার প্রতি ভালোবাসা এবং বোনের জন্য ত্যাগ সত্যিই অবাক করেছে।
"আশফাক" নামক আরও একটি চরিত্র রয়েছে। যার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলা না হলেও যতোটুকু আছে তা মুগ্ধকর।
বিজ্ঞানের আবিষ্কার আর ধর্ম দুটো একসাথে বলার অংশটুকু ছাড়া পুরোটাই সুন্দর। সহজ-সরল, সাবলীল ভাষায় লেখা বই। কোনো জটিলতা নেই। আর অতিরঞ্জিতও মনে হয়নি। যেমনটা মনে হয়েছিলো "রক্তাক্ত নারী" পড়তে গিয়ে। সবমিলিয়ে চমৎকার একটি বই। সবার ভালো লাগবে আশা করি।
বি.দ্র. বইটি পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য "শাহীন আদনান" ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
যাইহোক ঘটনার শুরু একজন নাস্তিকের মেয়ে জেরিনকে নিয়ে। এরপর ভার্সিটির ধার্মিক ছেলে জামিলের প্রতি ক্ষুব্ধ হওয়া এবং পরবর্তীতে জেরিনের দ্বীনের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠা এবং দ্বীনি হওয়ার গল্প।
জামিলের বন্ধুদের প্রত্যেককে খুবই ভালো লেগেছে। প্রত্যেকেই বন্ধুর প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। ওও বন্ধুকে খুবই ভালোবাসে। বিশেষ করে মামুন চরিত্রটি ভালো লেগেছে।
বইটির আরেকটি চরিত্র হচ্ছে নুরজাহান। তার প্রতি ভালোবাসা এবং বোনের জন্য ত্যাগ সত্যিই অবাক করেছে।
"আশফাক" নামক আরও একটি চরিত্র রয়েছে। যার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলা না হলেও যতোটুকু আছে তা মুগ্ধকর।
বিজ্ঞানের আবিষ্কার আর ধর্ম দুটো একসাথে বলার অংশটুকু ছাড়া পুরোটাই সুন্দর। সহজ-সরল, সাবলীল ভাষায় লেখা বই। কোনো জটিলতা নেই। আর অতিরঞ্জিতও মনে হয়নি। যেমনটা মনে হয়েছিলো "রক্তাক্ত নারী" পড়তে গিয়ে। সবমিলিয়ে চমৎকার একটি বই। সবার ভালো লাগবে আশা করি।
বি.দ্র. বইটি পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য "শাহীন আদনান" ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Review Credit 💕 Mahmuda Akter Miri
আঁধার মানবী বই রিভিউ ২
বই:আঁধার মানবী
লেখক:মাহিন মাহমুদ
প্রথম প্রকাশ:ডিসেম্বর ২০১৫
প্রকাশনী:মাকতাবাতুল হাসান
পৃষ্ঠা সংখ্যা :২১৯
নির্ধারিত মূল্য :১৪০ টাকা
▪সার-সংক্ষেপ:
গল্পের প্রধান চরিত্র জেরিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।তার বাবা হাসান ফারুক একজন মুক্তমনা লেখক।"মুক্তচিন্তা" নামে একটি সংগঠন রয়েছে তার।বাবা নাস্তিক হওয়ায় জেরিনের ধর্ম সম্পর্কে তেমন কোন ধারণাই নেই।হুজরদের প্রতি একটা নেগেটিভ চিন্তা নিয়েই বড় হয়েছে সে।
অপরদিকে জামিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্র। যে খুবই ধার্মিক।সবসময় নিজেকে দ্বীনের দাওয়াতে নিয়োজিত রাখে।
একদিন একটা নোট চাইতে জেরিন জামিলকে ডাক দেয়।কিন্তু জামিল সাড়া না দিয়ে চলে যায়।কারণ ইসলামে বেগানা মেয়েদের সাথে কথা বলা নিষেধ। এতে জেরিন খুবই ক্ষুব্ধ হয়।নিজেকে অপমানিত মনে করে এবং জামিলের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
কিন্তু কুড়িগ্রামে বন্যার্ত,অসহায় মানুষদের ত্রাণ বিতরণ করে আসার পর থেকে বদলে যেতে থাকে ইসলামের প্রতি জেরিনের ধারণা। কি হয়েছিল সেখানে? কেন জেরিনের এই পরিবর্তন?
জেরিন ধীরে ধীরে ইসলামি জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী হয়ে ওঠে। জামিলের ফেসবুক আইডি সংগ্রহ করে ইসলামি পোস্ট পড়ার জন্য। বিভিন্ন ইসলামিক বই পড়া শুরু করে।আস্তে আস্তে তার মনে লালন হতে থাকে জামিলকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে যেন পুরো জীবনটা ইসলামের আলোয় আলোকিত করতে পারে।
গল্পের অন্যতম এক চরিত্র নুর জাহান। যাকে জামিলের মা এবং বোন পছন্দ করে জামিলের বউ করার জন্যে। বিয়েও ঠিক হয় দুজনের সম্মতিতে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন আগে নুর জাহান জানতে পারে সে যাদের বাবা-মা বলে জানে তারা তার আসল বাবা-মা নয়। কে তার আসল বাবা-মা? জেরিনের সাথেই- বা কি সম্পর্ক?
গল্পের অন্য একটি চরিত্রের কথা না বললেই নয়।মারিয়া।যে বেড়ে ওঠেছে একটি সহজ সরল ধার্মিক পরিবার থেকে। কিন্তু কিছু অসৎ লোকের পাল্লায় পড়ে হয়ে যায় মডেল।তবে একসময় সে বুঝতে পারে ইসলামই সঠিক পথ।ফিরে যেতে চায় বাবা-মায়ের কাছে।তবে বিজ্ঞাপন নির্মাতা দেবরাজ মুখার্জি বাঁধা দেয়।তখন মারিয়া শরণাপন্ন হয় জামিলের।যে জামিলকে একদিন ষড়যন্ত্র করে জেলে ঢুকিয়েছিল। জামিলকি তাকে সাহায্য করবে? সে কি পারবে দেবরাজ মুখার্জির কালো থাবা থেকে মারিয়াকে বের করতে?
কি হয়েছিল গল্পের শেষে? জেরিনকি পেয়েছিল জামিলকে জীবনসঙ্গী হিসেবে?
▪পাঠ-পর্যালোচনা:
ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লেগেছে। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো একটা বই। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টরাও যে চাইলে দ্বীনের পথে চলতে পারে।দ্বীনের কাজে শরীক হতে পারে সেটা লেখক খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শেষটা একদম অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল।তবে কিছু বিষয় বেশীই নাটকীয় মনে হইছে।
আঁধার মানবী বই রিভিউ ৩
বইঃ আঁধার মানবী
বইয়ের ধরনঃ উপন্যাস
লেখকঃ মাহিন মাহমুদ
মূদ্রিত মূল্যঃ-২৪০/-
ছাড়কৃত মূল্য:১২০৳
পাঠকের কমেন্টঃ
"আঁধার মানবী"র শ্রদ্বেয় রাইটার মাহিন মাহমুদ ভাই! সালাম নিবেন। কেমন আছেন?
আপনার উপন্যাসটি পড়লাম। সুন্দর ভাষা দিয়ে হয়তো এর সৌন্দর্য্য আমি প্রকাশ করতে পারবোনা। তবুও যতটুকু পারি বলছি-
কুরিয়ার সার্ভিস থেকে বইটা রিসিভ করার পর থেকেই মুখিয়ে ছিলাম কখন পড়া শুরু করবো। বাসে বসে আর তর সইছিলোনা। 'অাঁধার মানবী' হাতে নিতেই পাশের সীটের এক 'মানবী' বললেন,
-"ভাইয়া! বইটা একটু দেখতে পারি?"
ব্যাস! পুরো সময়টায় আঁধার মানবী সঙ্গী হলো সেই মানবী'র। আমি আর নিতে পারছিলাম না। সাহস করে পরপর দু'বার বলেওছিলাম,
-"আপি! দেখা হয়েছে বইটা? প্লিজ! এবার ফেরত দিন, আমি পড়বো।"
আমার কোনো কথার জবাব না দিয়ে তিনি একমনে পড়েই যাচ্ছিলেন। আমিতো ভেতরে ভেতরে রাগে জ্বলছিলাম! বই কিনেছি আমি, অথচ মাগনায় উনি আগে পড়ে ফেলছেন!
'মানবী' মানুষ। কী আর করা? দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে নিয়ে আমার স্টেশন আসার অপেক্ষা করতে লাগলাম।
স্টেশনে গাড়ি থামতেই উনার হাত থেকে ছোঁ মেরে বইটা নিয়ে নেমে পড়লাম আমি। উনি হয়তো মনে মনে বললেন- "পাগল নাকী!"
যা হোক,
বাড়ি এসে সেই যে বই নিয়ে বসলাম, যতই পড়ছিলাম ততই মনে হচ্ছিল কোনো অবাস্তব উপন্যাস নয়, একটা বাস্তব এবং চমৎকার গল্পের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি আমি।
বুঝতে পারলাম বাসের 'আপি' টা কেনো বইটা ফেরত দিতে চাচ্ছিলেন না।
মুনির রাইয়ান
"আঁধার মানবী"র পাঠক মতামত বৈঠকে এক পাঠকের লিখিত মতামত-
"হাত ভরে সবার লিখতে হয় না। প্রসিদ্ধ হওয়ার জন্য পঞ্চাশ-ষাটটা বই লিখা সবার প্রয়োজন পড়ে না। কারো কারো বেলায় ২০০ পৃষ্টা লিখে এরপর ২৩ পৃষ্ঠার অসাধারণ ও চমৎকার সম্মিলন ঘটাতে পারাটাই প্রসিদ্ধ হওয়ার জন্য এবং সর্বোপরি পাঠকের মনকে কেড়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট। 'অাঁধার মানবী' এরই সুস্পস্ট প্রমাণ বহন করে।
ভাইয়া মাহিন মাহমুদ। আপনার হাত যে চমৎকার সারপ্রাইজটা আমাদেরকে দিলো, তাতে আমরা অভিভূত!
উপন্যাস পড়েছি, বহুত পড়েছি। উপন্যাস যে এই টাইপের হয়, বা কোনো লেখকের পক্ষে, তুলির আঁচড়ে বাস্তবচিত্রকে পরিস্ফুটিত করে তোলার মতোও যে উপন্যাস লেখা সম্ভব, তা জীবনে প্রথম এই "আঁধার মানবী" থেকে অনুধাবন করেছি।
আমি পড়েছি, মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। পড়েছি রুদ্ধশ্বাসে। হ্যাঁ, আবার হঠাৎ থমকেও দাঁড়িয়েছি। কখনো হেসেছি, কখনো বা নিজের অজান্তেই মনটা কেঁদে উঠেছে জামিলের জন্য।
অসাধারণ, চমৎকার ও অনবদ্য একটি সাজগোজ রয়েছে এ বইটির প্রতিটি পাতায় পাতায়। যা আমায় বারবার ভাবিয়ে তুলেছে এবং অসম্ভব পর্যায়ের মুগ্ধ করেছে।
নাযির আহমাদ।
মাদানীনগর, ঢাকা।
লেখকের টাইম লাইন থেকে নেয়াঃ
'আঁধার মানবী'র পাঠকদের নিয়ে ছোটখাটো একটা পার্টি হয়ে গেলো বাসায়। শুক্রবার ছুটির দিন। তার ওপর শীতের ঠান্ডা আমেজে গরম গরম বিরিয়ানীর উপর দিয়ে ধকলটা ভালই গেলো।
খাওয়া শেষে বইটি নিয়ে পাঠকদের মতামত জানার পালা। মাসুদকে দেখলাম পুরোটা সময় চুপচাপ কাটাতে। আমি বললাম,
-'কী বিষয় মাসুদ? বেশ নীরব মনে হচ্ছে?'
-'আপনার সঙ্গে কথাই বলব না।'
-'কেনো ভাই? আমি আবার কী করলাম?'
-'আপনি এমন বই লিখেছেন, পড়েছি তিনদিন আগে, অথচ এখনো এর ভিতর থেকে বের হতে পারছি না। কেমন যেনো একটা ঘোরের মধ্যে আছি। এর থেকে পরিত্রানের উপায় কি ভাই?'
আমি পড়লাম মহাফ্যাসাদে। উপায়তো আমারও জানা নেই! আমি মাথা চুলকে নিরুপায় গলায় 'উমম' জাতীয় একটা শব্দ করেই চুপ হয়ে গেলাম।
আরেক পাঠকের মন্তব্য,
-'রাত এগারোটায় বই নিয়ে বসেছি। রুমের সবাই ঘুমাবে। বাতি নিভলো। আমিতো বই ছেড়ে ঘুমাতে পাড়ছিনা। অগত্যা এই শীতের রাতে বারান্দায় বসে বসে আমাকে বইটা পড়ে শেষ করতে হয়েছে।'
আরেক পাঠক বললেন,
-'গল্প-উপন্যাস পড়া ছেড়ে দিয়েছিলাম আগেই। 'আধার মানবী' আবার আমাকে এই লাইনে ঢোকালো।...ভার্সিটিতে জামিলের তাবলিগী মেহনত নিয়ে কুরবানির ঘটনাগুলো বেশ শিক্ষণীয়। ভাবছি এই বই কয়েকজনকে গিফট করবো।'
পাঠকদের একজন বললেন, 'বইটা তিনবার পড়েছি। চতুর্থবার পড়ার আগে একটা প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছি। কারণ, বইয়ের এক জায়গায় আছে-"যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ পড়ার আগে একটা প্রস্তুতি নিয়ে, আয়োজন করে পড়তে হয়। জেরিন জামিলের ম্যাসেজটা একুশতম বার পড়ার আগে একটা প্রস্তুতি নিয়ে নিলো।"
পরিশেষঃ
সন্তানের প্রশংসা শুনে একজন পিতা যেভাবে আনন্দিত হন, আমিও তেমনি আনন্দিত হয়েছি পাঠকদের মন্তব্য শুনে। কারণ বইটি আমার কাছে সন্তানের মতই।
মাহিন মাহমুদ
Link keywords ⤵️
আঁধার মানবী বই pdf download | Adhar Manobi PDF Download By Mahin Mahmud Books PDF | Mahin Mahmud Adhar Manobi PDF লেখক : মাহিন মাহমুদ এর বই আঁধার মানবী পিডিএফ ডাউনলোড করুন সম্পূর্ণ ফ্রিতে 💕
Click Here To Download Adhar Manobi PDF
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....