ব্যাংক ব্যবস্থা ও টাকার গোপন রহস্য
আমি যদি এক কথায় বলতে যাই তাহলে Total Banking system is equal to big ZERO!..... And currency শুভঙ্করের ফাঁকি।
পুরো ব্যাংকিং সিস্টেমটা এখন এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে ব্যাপারটা যেন মাছের তেলে মাছ ভেজে খাওয়ার সামিল। আরো সহজ কথায় বলতে গেলে আমাদের দেশে গরুর হাটের দালালের মতো, তোমার মাল তোমার টাকা মাঝখান থেকে আমি দুই চার টাকা লাভ করে নিলাম।
যাইহোক বইটা অনেক সুন্দর করে খুব সহজ ভাষায় গল্পে গল্পে লিখে বোঝানো হয়েছে, জাস্ট ইয়াম্মি.....🥰
বইটি পড়ার পর নিজের মধ্যে কনফিডেন্স গ্রো করেছে, আগের থেকে ভালো লাগে এখন ভাবতে!.... ভাবখানা এমন যে, 'কে আসবা আসো ২ মিনিট ডিবেট করে তোমায় নাড়া দেই।'
আমাদের চোখে ব্যাংক একপ্রকার বুজুর্গ টাইপ যে অনেক বড় আমানত হেফাজতকারী। ব্যাংকিং সিস্টেম পুরোটাই সুদের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। ভাই যত নীতি কথাই শুনান না কেন, অমুক ব্যাংকে সুদ নাই, তমুক ব্যাংক হালাল। তাহলে আপনি এখনও বোকার স্বর্গ বসবাস করছেন। খাঁটি বাংলায় বলতে গেলে ব্যাংক হলো সূদী মহাজন পাশের বাড়ির শামসু কাকা, যার ৭০ বছর বয়স এখনও গায়ে শক্তি আছে বড় বড় কথা বলে আর গায়েবি নামায পরে এবং জীবনে রোজা রাখে না। আর মাঝখান দিয়ে সূদে টাকা লাগায়। শামসু চাচা (ব্যাংক) যত ভালো কথাই বলুক দিন শেষে সে এক ভন্ড পীরের মুরিদ। যার মুখে নীতি কথার অভাব নেই, কিন্তু নিজের নীতির ঠিক নাই।
কীভাবে ব্যাংক মানুষকে, একটি দেশকে ঋণের অক্টোপাসে জর্জরিত করে সেটি খুব ভালোমতো বইটাতে ব্যাখা করা আছে। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন এই ঋণ থেকে কখনো বেড়িয়ে আসতে পারবেন না, সমস্ত সিস্টেমটাই এভাবে ক্রিয়েট করা।
কিছু লোক (ব্যাংক) নিজের সুবিধার জন্য নিজের অপকর্মকে বৈধতা দিতে রাষ্ট্রের আইন তৈরী করে নেয়। এজন্যই এত-শত ভেলকিবাজির পরেও ব্যাংক স্রেফ ফেরেস্তা!....
মূলত এই ব্যাংকিং সিস্টেমটাই পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করে।
ব্যাংক যেভাবে কাজ করে, আপনি আমি যেই টাকা জমা রাখি সেই টাকা সূদে লাগায় জনে জনে। আয় করে ফুলে কলা গাছ হতে থাকে ব্যাংক। আর মাঝখান থেকে আপনি আমি হই দেউলিয়া!.... খুব চিকন বুদ্ধির সাহায্যে পুরো ব্যাংকিং সিস্টেম চলে।
আর আমাদেরকেই ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে প্রত্যেকটা মূহুর্ত, এভাবে আমাদেরকে দাসে পরিণত করে ব্যাংক চন্ডাল থেকে বসছে রাজার আলয়ে।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....