বাসর ঘরে মেয়েদের করণীয় ও বর্জনীয়
১. স্বামী যখন স্ত্রীর নিকট বাসর ঘরে প্রবেশ করবে তখন স্ত্রীর প্রতি সদয়,
সহানুভূতি ও ভালােবাসা প্রকাশ করবে। তার মাথায় হাত রেখে বিসমিল্লাহ বলবে ও বরকতের জন্য দোয়া করবে। অত:পর বলবে
اللهم إني أسألك خيرها وخير ما جبلتها عليه، واعود به من شيرها ومن شر ما جبلتها علي.
“আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা জাবালতাহা ‘আলাইহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া মিন শাররি মা জাবালতাহা আলাইহু।” (হাদীসটি হাসান, আবু দাউদ, হাদীস নং ২১৬০; ইবনে মাজাহ : হাদীস
নং ২২৫২) . ২ সহবাসের সময় হাদীসে উল্লেখিত দোয়াটি পড়া সুন্নাত। দোয়াটি হলাে :
باسم الله، اللهم جنبت الشيطان وجنب الشيطان ما رزتا: تائه إن قدر بينهما ولد في ذلك لم يضره شبطان
.. “বিসমিল্লাহ, আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইত্ব না ওয়া জান্নিবিশ শাইত-না মা রাজাকতানা।” যদি এ সহবাসে তাদের মাঝে সন্তান হয় তবে শয়তান তার কখনােই অনিষ্ট সাধন করতে পারবে না।” (বুখারী, হাদীস নং ৬৩৮৮; মুসলিম, হাদীস নং ১৪৩৪)
৩. স্বামীর জন্য স্ত্রীর যােনীপথে সামনে থেকে বা পিছন থেকে যে কোন ভাবে
মিলন করা বৈধ। আর স্ত্রীর মলদ্বারে মিলন করা সম্পূর্ণভাবে হারাম। ১. বাসর রাতের সাথে ভালাে আচরণ করা। যখন কোন স্বামী তার নতুন বিবাহিত স্ত্রীর নিকট বিবাহের প্রথম (বার) রাতে গমন করবে তখন তার জন্য মুস্তাহাব হলাে, সে স্ত্রীর সাথে উত্তম আচরণ করে বন্ধুত্ব গড়ে তুলবে এবং তার নিকট শরবত বা অন্য কিছু দিবে।
عن أسماء بنت يزيد بني الگي، قالت : رانی بنت
، ثم جثثه عوثه لجثوتها، نجاة عائشة الرسول الله تجلس الى جثبها، نانی بمسي لبن، شرب، ثم ناولها
تخفض رأسها واستبث، قالت أسماء : النبى ناثهثها، وقلت لها : ي من يد النبي ، قالت : قادت، تشيرت شبا، ثم قال لها النبى : أعطى ترتي، قالت أسماء : قلت : يا رسول الله بن ده ناشرب مثه ثم ناولته من يدك. قاځه نشريه ثم تاوانبه، قال : تجلس، ثم وضعه على ركبني، ثم طنشت اديره واثبة
ثم تان لنشوة عثدى : بشقتي أصبت مثه شرب النبي
: لا تجمعبن جوعا تاوليهن ، تثن لا تشتهيه قال وكبا.
আসমা বিনতে ইয়াযিদ বিন সাকান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমি রাসূলুল্লাহর জন্য আয়েশাকে তেল মালিশ করে দিলাম। অতঃপর নবী করীম
এর নিকট আসলাম। তারপর তাকে ভােলা অবস্থায় স্পষ্ট দেখার জন্য তাঁকে ডাকলাম। কাজেই তিনি আসলেন অতঃপর তার পাশে বসলেন। তারপর দুধের বড় একটি পাত্র নিয়ে আসলে তিনি তা পান করলেন, তারপর তিনি তাঁর দিকে অগ্রসর হলেন, অতঃপর তিনি মাথা নিচু করলেন এবং অগ্রসর হলেন। আসমা বলেন, আমি তাকে ধমক দিলাম এবং বললাম : তুমি নবী করীম এর হাত থেকে গ্রহণ কর। তিনি বলেন, তারপর সে গ্রহণ করল এবং কিছু পরিমাণ পান করল। তারপর নবী করীমতাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আমি কি তােমার বান্ধবীকে দিব। আসমা (রা) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! বরং তা আপনি গ্রহণ করুন ও পান করুন। অতঃপর আপনার হাত থেকে তা আমাকে দিন। তিনি তা গ্রহণ করলেন, অতঃপর পান করলেন, তারপর আমার উরুদ্বয়ের উপর রাখলাম। অতঃপর আমি তাকে ঘুরাতে লাগলাম ও আমার ঠোট দ্বারা তা অনুসরণ করতে লাগলাম যেন নবী করীম এর পান করা পাই। অতঃপর নবী আমার সাথে উপস্থিত নারীদের উদ্দেশ্য করে বললেন, তাদেরকে তুমি দাও, তারা বললেন, আমরা তা ইচ্ছা পােষণ করি না, অতঃপর নবী করীম বললেন, তারা ক্ষুধা ও মিথ্যা একত্রিত করে না। ২. স্ত্রীর মাথায় হাত রাখা ও তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করা। স্বামী তার হাতকে খ্রীর মাথার সামনের স্থাপন করবে এবং আল্লাহ তা'আলার নাম নিয়ে দোয়া করবে। হাদীসে বর্ণিত দোয়া পাঠ করবে।
إذا تزوج أحدكم امراة، آواشری ادا، تتبابنا صنها، تثبسم الله عز وجل ، وليدع بالبركة، ولبن : اللهم إني أسألك من خيرها ويرما جبلتها علبه وأعوذ بك من شها وشرما جبلتها عليه. واذا اشترى بعيرا نبأ بذروة سنابه، وثبت بثل ذلك.
নবী করীম ইরশাদ করেন, তােমাদের কেউ যখন কোন নারীকে বিবাহ করবে অথবা চাকর খরিদ করবে, সে যেন তার কপাল ধরে এবং আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা-এর নাম পাঠ করে ও বরকতের দোয়া প্রার্থনা করে। আর যেন সে বলে, হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট তার সার্বিক কল্যাণ ও যে কল্যাণের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন তা প্রার্থনা করছি। আর তার অকল্যাণ ও যে অকল্যাণের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন তা থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা
করছি। আর যখন উট খরিদ করবে তখন তার ফুট বা ছড়া ধরবে এবং অনুরূপ কলবে। ৩. স্বামীজী উভয় একসাথে সালাত আদায় করা। আর মুস্তাহাব কাজ হলাে যে, তারা উভয়ে এক সাথে দুই রাক'আত সালাত আদায় করবে। কেননা এটা সালাফ থেকে বর্ণিত আছে। আর এ বিষয়ে দু'টি হাদীস বর্ণিত আছে। প্রথম হাদীস
عن ابی سعید مولی آبی سبد نال : تزوجت وانا مثلك.
فيهم ابن مسعود وابو تدعوت نقرا ن أشعاب النبي در وحديقة، قال : وأنبتت الصلاة، قال : قدم أبو در يتقيم، فقالوا : إليك قال أو كذلك؟ قالوا : نعم، قال : تقدنت بهم وانا عبد نئوك، علمی نقالوا : إذا دخل قلبك أثنك تصلي ركعتين، ثم شي الله يث خير ما دخل علبة، وتعو به من شوه، ثم شائك شأن آثية.
আবু উসাইদের মাওলা আবু সাঈদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি দাস অবস্থায় বিবাহ করলাম। অতঃপর নবী করীম -এর সাহাবীদের (রা) একটি ছােট দলকে আমন্ত্রণ করলাম। তাদের মধ্যে ইবনে মাসউদ, আবু যার এবং হুযাইফা (রা) হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, সালাতের ইকামাত দেয়া হল। তিনি বলেন, অতঃপর আবু যার সামনে যেতে আরম্ভ করলেন, অতঃপর তারা বললেন, সাবধান। যাবেন না। তিনি বললেন, অনুরূপ কি? তারা বললেন, হ্যা। তিনি বলেন, আমি তাদের সামনে গমন করলাম। অথচ আমি ছিলাম একজন দাস। অতঃপর তারা আমাকে উপদেশ দিয়ে বললেন, (যখন তােমার স্ত্রী তােমার নিকট আসবে তখন দুরাক'আত সালাত আদায় করবে। তারপর তােমার নিকট যে প্রবেশ করেছে আল্লাহর নিকট তার কল্যাণ কামনা করবে এবং তার যাবতীয় অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। তারপর তােমার ও তােমার স্ত্রীর বিষয়।
عن شقتي قال : جاء رجل يقال له : أبو تريز، قال : إني تزوجت جارية شابة برا، وإني أخاف أن تشركني، نقال عند الله (بثني ابن مسعود) : (إن الألف من الله، والفرك من الشبطاني، يريد أن يگير إليهم ما أحل الله لكم، ناا أنث قاما أن تصلى ورا من رئتين، . زاد في رواية أخرى عن ابن مسعود : (وقل : اللهم بارك لي في أثلى ، وبارك لهم في، اللهم اجمع بيننا ماجتثت ببي، وترق بيتنا
بر.. اذا فرقت إلى
শাকীক থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি আসল, তাকে আবু হুরাই বলে সম্বােধন করা হতাে। তারপর তিনি বলেন, আমি একজন যুবতী কুমারী নারীকে বিবাহ করেছি। আর আমি আশংকা করছি যে, সে আমাকে সন্তুষ্টি করতে পারবে
। তারপর আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বললেন, নিশ্চয় বন্ধুত্ব ও ভালােবাসা আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর ক্রোধ অসন্তুষ্টি শয়তানের পক্ষ থেকে। শয়তান ইচ্ছা করছে যে, আল্লাহ তােমাদের জন্য যা জায়েয করেছেন তা সে তােমাদের নিকট ঘৃণা সৃষ্টি করবে। কাজেই সে যখন তােমার নিকট আগমন করবে তখন তাকে জামা'আত সহকারে তােমার পেছনে দু' রাক'আত সালাত আদায় করতে আদেশ করবে। ইবনে মাসউদ (রা)-এর অন্য এক বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে, তিনি বলেছেন, তুমি বল
اللهم بارك لي في أهلي، وبارك لهم في، اللهم اجمع بيننا ما جمعت بخبر، وفوق وترق بيننا إذا قژت إلى خير -
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....