জবানের হেফাজত লেখক : ইমাম মুহিউদ্দীন আন নববী রহ. | Jobaner Hefajot By Imam Mohiuddin An Nobobi Rh:

বই: জবানের হেফাজত
মূল: ইমাম মুহিউদ্দীন আন নববী রহ.
অনুবাদ: মাওলানা আহমদ ইউসুফ শরীফ
প্রকাশনায়: মাকতাবাতুন নূর
মুদ্রিত মূল্য- ১৬৫ টাকা

আপনার পছন্দের বইগুলো খুঁজুন


জবানের হেফাজত বইটি PDF Download (short) দেখতে অথবা বইটি ক্রয় করতে এখানে ক্লিক করুন। জবানের হেফাজত কিভাবে করবেন?
কভার ফটো : বই জবানের হেফাজত

জবানের হেফাজত সম্পর্ক আল্লাহ তাআলা বলেন :

ما يلفظ من قول إلا لديه رقيب عتيده

“সে (মানুষ) যা-ই উচ্চারণ করে, তা-ই গ্রহণ (সংরক্ষণ) করার জন্য তার নিকট রয়েছে সদা প্রস্তুত প্রহরী।”*

তিনি আরও বলেন :

إن ربك لبالمرصادف

“নিশ্চয়ই আপনার প্রতিপালক সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।”

ইমাম নববী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, 'আল্লাহ তাআলার দেওয়া তাওফিকে এবং তিনি সহজ করে দেওয়ায় ইতিপূর্বে আমি “মুস্তাহাব” তথা পছন্দনীয় বিষয়াবলির আলোচনা করেছি। এই অধ্যায়ে আমি অপছন্দনীয় ও নিষিদ্ধ তথা মাকরুহ ও হারাম কথাবার্তার আলোচনা করতে চাই, যেন এ গ্রন্থটি শব্দ ও বাক্যের ব্যবহারিক বিধান এবং এর প্রকারভেদ নির্ণয়ে সামগ্রিক ভূমিকা রাখে। এতে আমি এমন কিছু বিষয়ের আলোচনা করার ইচ্ছা রাখি, প্রতিটি দ্বীনদার ব্যক্তির জন্য যা জানা আবশ্যক। এবং এর অধিকাংশ বিষয়ই সর্বজনবিদিত। তাই এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ দলিল-প্রমাণই আমি উপস্থাপন করিনি। ওয়া বিল্লাহিত-তাওফিক।
১৫. সূরা ক্বাফ ৫০ : ১৮ ১৬. সূরা ফাযর, ৮৯:১৪

      জবানের হেফাজত বই রিভিউ

আচ্ছা আমরা এতো বোকা কেন? নিজের ভালো তো পাগলে ও বোঝে তবে আমরা কেন বুঝিনা? আপনি সারাদিন কতো ভালো কাজ করলেন। নামাজ পড়লেন, রোজা রাখলেন আর ও অনেক আমল করলেন। সাথে গীবত টা ও করলেন। এই যে এতোগুলা আমল করলেন। এই গীবত আপনার পরিশ্রম গুলো মাটি করে দিলো। দিনশেষে আপনার কষ্টার্জিত সওয়াব টুকু আপনার রইলো না আর। অন্য এক জন কোনো কষ্ট ছাড়াই আপনার প্রাপ্য সওয়াব টুকু নিয়ে নিলো। ওহ, একটু ভুল হয়েছে। আফওয়ান। আপনি নিজেই তো নিজের সওয়াব বিলি করার এক মহান ব্রত কাঁধে নিয়ে বসে আছেন।

আমরা কি জানি গীবতের ক্ষতিকর দিক গুলো। জানিনা। তাই না? আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক। চেষ্টা করবো গীবতের ক্ষতিকর দিক গুলো তুলে ধরে আপনাদের সতর্ক করার, ইন শা আল্লাহ।

১। মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। (সুরা হুজরাত, ৪৯:১২)


২। আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
রাসূল(সাঃ) দুটি কবরের পাশ দিয়ে গেলেন। এমন সময় বললেন, "এদের দুজনের শাস্তি হচ্ছে। আর তাদের আজাব বড় কোনো কারণে হচ্ছে না।"


বুখারীর বর্ণনায় রয়েছে, এর পরে রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ
তবে তা খুবই বড়(গর্হিত) বিষয়। তাদের একজন চোগলখুরি করতো আর অন্যজন প্রস্রাব হতে বেচে থাকতো না। (প্রস্রাবের ছিটা হতে বা প্রস্রাব পরবর্তী পবিত্রতা হতে) (বুখারীঃ২১৬ ; মুসলিমঃ ১০৫)


৩। আবু হুরায়রা(রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন,
"তোমরা কি জানো গীবত কী?

জনপ্রিয় কিছু ইসলামী বইয়ের রিভিউ


সাহাবায়ে কেরাম বললেন " আল্লাহ ও তার রাসুল(সাঃ) ভালো জানেন"

তিনি বললেন, " গীবত হলো তুমি তোমার ভাইয়ের এমন আলোচনা করলে যা সে পছন্দ করেনা। "


বলা হলো, "আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থেকে থাকে তবে কী মনে করেন?"


রাসূল(সাঃ) বললেন, তুমি যা বলো তা যদি তার মধ্যে পাওয়া যায় তবেই সেটি গীবত হবে। আর যদি তুমি যা বলছো তা তার মধ্যে পাওয়া না যায় তবে তো তুমি তার নামে অপবাদ রটালে।" (মুসলিমঃ২৫৮৯)


৪। আবু বাকরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
রাসূল(সাঃ) বিদায় হজের সময় মিনাতে কুরবানির দিন তার খুতবায় ফরমানঃ "তোমাদের রক্ত, সম্পদ ও ইজ্জত-আব্রু তোমাদের পরস্পরের জন্য এই শহরে এই মাসে এই দিনের মতোই হারাম। সাবধান! আমি কি পৌঁছে দিইনি?" (বুখারীঃ১০৫]


৫। আয়িশা(রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
আমি রাসুল(সাঃ) কে বললাম, "সাফিয়্যাহ(রাঃ) এর এমন এমন আপনার জন্য যথেষ্ট হওয়া উচিত। "


কোনো কোনো বর্ণনাকারী বলেন, এ কথার দ্বারা আয়িশা তার খর্বাকৃতিকেই বুঝিয়েছে।


এ কথা শুনে রাসুল(সাঃ) বললেন, "তুমি এমন কথা বলেছো যে, তা যদি সমুদ্রের পানিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়, সমুদ্রে পানির স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে"


আয়িশা (রাঃ) আরও বলেন, "আমি রাসুলের সামনে এক ব্যাক্তির আলোচনা করলাম।" তিনি বললেন, "আমি এটা পছন্দ করি না যে, আমি কারও সম্পর্কে কিছু বলি আর আমলনামায় এত এত (গুনাহ) লেখা হোক"
(আবু দাউদঃ৪৮৭৫; তিরমিযীঃ২৫০২-২৫০৩)


৬।আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, "রাসুল (সাঃ) বলেন, আমাকে যখন মিরাজে নিয়ে যাওয়া হলো তখন আমি এমন একদল মানুষের পাশ দিয়ে গেলাম, যাদের নখ ছিলো তামার। আর তারা তা দিয়ে নিজেদের চেহারা ও বুক আচড়াচ্ছিলো। আমি বললাম, জিবরীল, এরা কারা? তিনি বললেন, এরা ওই সমস্ত লোক, যারা মানুষের গোশত খেতো( গীবত করতো) আর তাদের মানহানি তে লিপ্ত থাকতো।
(আবু দাউদঃ৪৮৭৮]


৭। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, " রাসুল (সাঃ) বলেছেন, এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই, তার ব্যাপারে মিথ্যা বলবে না, তাকে অসম্মান করবে না। প্রত্যেক মুসলমানের সম্মান, সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের ওপর হারাম। তাকওয়া এখানে(অন্তরে)। কোনো ব্যাক্তির খারাপ হওয়ার জন্য এতোটুকুই যথেষ্ট যে সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য করে"
(তিরমিযীঃ১৯২৭)


৮। আল্লাহ তাআলা বলেন," আপনি যখন তাদের দেখেন যারা আমার আয়াতসমূহে ছিদ্রান্বষেণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়। আলোচনায় মগ্ন হয়, আর শয়তান যদি আপনাকে ভুলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ায় পর জালিম সম্প্রদায়ের সাথে উপবেশন করবেন না"
(সূরা আনআম, ৬ঃ৮)


৯। আল্লাহ তাআলা বলেন, " সে যা কিছু উচ্চারণ করে, তা-ই সংরক্ষণ করার জন্য তার নিকটে রয়েছে একজন সতর্ক প্রহরী "
(সূরা ক্বাফ, ৫০ঃ১৮)


১০। আল্লাহ তাআলা আর ও বলেন, "তোমরা একে হালকা মনে করলে ও আল্লাহর নিকট তা বিশাল"
(সূরা নূর, ২৪ঃ১৫)


১১। হাসান বসরীর (রাহঃ) এর ব্যাপারে কথিত আছে যে, জনৈক ব্যাক্তি তাকে বললেন, "আপনি আমার গীবত করেন!" তিনি বললেন, আমার নিকট তোনার মর্যাদা এতোটা সুউচ্চ নয় যে, তোমার জন্য আমি আমার পূণ্য জলাঞ্জলি দেবো"
(ইহইয়াউ উলুমিদ্দীন, ৩/১৪৮)


১২। আব্দুল্লাহ বিন মুবারক (রাহঃ) বলেন, "আমি যদি কার ও গীবত করতাম তবে আমার পিতা-মাতার গীবত করতাম। কেননা, তারাই আমলের সর্বাধিক হকদার।"
(রিসালাতুল কুশাইরিয়াহঃ ১/২৯২)


দেখলেন তো গীবতের ফল কতোটা ভয়াবহ। আসুন আমরা গীবত থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।

উত্তম কথা ব্যতীত অন্য কথা হতে জবানকে হেফাজত করা

প্রতিটি দ্বীনদার ব্যক্তির জন্যই সকল বিষয়ে নিজের জিহ্বা তথা ভাষার ব্যবহারকে সংযত রাখা অত্যন্ত জরুরি। শুধু কল্যাণকর বিষয়েই তার ব্যবহার হতে পারে। এমনকি কল্যাণলাভের বিচারে যদি কথা বলা বা না বলা উভয়ই সমান হয়, তবে সে ক্ষেত্রেও নীরব থাকাই সুন্নাত। কেননা, স্বাভাবিক জায়েজ কথাবার্তাও ক্ষেত্রবিশেষে মানুষকে মাকরুহ ও হারামের দিকে ধাবিত করার আশঙ্কা রাখে; বরং অভ্যাসবশত অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুলের আশঙ্কাই প্রবল। আর তখন কোনো কিছুই শান্তি বয়ে আনতে পারে না।

০১. আবু হুরাইরা (৯) রাসূল (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليقل خيرا أو ليصمت

‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ-দিবসের প্রতি ঈমান এনেছে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।

ইমাম নববী (as) বলেন, হাদীসটি সহীহ হওয়ার ব্যাপারে ইমাম বুখারী ও মুসলিমের ঐকমত্য এ কথার অকাট্য প্রমাণ যে, কারও জন্য এমন কথা বলা উচিত নয়, যাতে ভালো বা কল্যাণকর কিছু নেই। অর্থাৎ স্পষ্ট কল্যাণ নিশ্চিত হলেই কথা বলবে। নতুবা কল্যাণের ব্যাপারে সন্দিহান হলেও কথা বলবে না।

ইমাম শাফেয়ী (৯) বলেন, 'মানুষ যখন কথা বলতে চায়, তখন তার উচিত আগে ভেবে নেওয়া। যদি স্পষ্টত কল্যাণকর হয়, বলবে; আর যদি সন্দেহ হয়, তাহলে স্পষ্ট কল্যাণ না দেখা পর্যন্ত কথা বলবে না।'

১৭. বুখারী: ৬১৩৬; মুসলিম : ৪৭

০২. আবু মুসা আশআরী (4) বলেন,

قلت: يا رسول الله أي الإسلام أفضل؟ قال: من سلم المسلمون من لسانه ويده ‘আমি বললাম, 'হে আল্লাহর রাসূল (Å),' কোন মুসলমান উত্তম? তিনি বললেন, যার জিহ্বা ও হাত হতে অন্য মুসলমান নিরাপদ। ১৮ ০৩. সাহল বিন সাদ (*) রাসূল (*) থেকে বর্ণনা করেন,

من يضمن لي ما بين لحييه وما بين رجليه أضمن له الجنة

‘যে ব্যক্তি আমার জন্য দুই চোয়াল আর দুই রানের মধ্যবর্তী বস্তুর (জিহ্বা ও লজ্জাস্থান হেফাজতের) দায়িত্ব নেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব নেব।”

০৪. আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, তিনি রাসূল (সাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, إن العبد يتكلم بالكلمة ما يتبين فيها يزل بها إلى النار أبعد مما بين المشرق

নিশ্চয় বান্দা কখনো এমন কথা বলে ফেলে, যার পরিণাম সে চিন্তা করে না। অথচ এ কথার কারণে সে জাহান্নামের এমন গভীরে নিক্ষিপ্ত হবে, যার দূরত্ব পূর্ব-পশ্চিমের দূরত্ব পরিমাণ। ২০

বুখারীর বর্ণনায় উক্ত হাদীসটিতে পশ্চিম শব্দটির উল্লেখ নেই। এখানে ‘ দ্বারা এমন কথা উদ্দেশ্য, যার ভালো-মন্দ যাচাই করা হয় না।

জবানের হেফাজত বইটি PDF Download (short) দেখতে অথবা বইটি ক্রয় করতে নিচে দেখুন ⤵️

০৫. আবু হুরাইরা (+) রাসূল (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে,

"إن العبد ليتكلم بالكلمة من رضوان الله تعالى ما يلقي لها بالاً، يرفع الله تعالى بها درجات، وإن العبد ليتكلم بالكلمة من سخط الله تعالى لا يلقي لها بالاً يهوي بها في جهنم"

১৮. বুখারী: ১১; মুসলিম: ৪১, ৪২ ১৯. বুখারী : ৬৪৭৪ ২০. বুখারী: ৬৪৭৭; মুসলিম: ২৭৮৮

বান্দা কখনো আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টিমূলক এমন কথা বলে ফেলে যার গুরুত্ব সে নিজেও অনুধাবন করতে পারে না। অথচ এ কারণে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। এমনিভাবে বান্দা কখনো আল্লাহ তাআলার ক্রোধোদ্দীপক এমন কথা বলে ফেলে, যার গুরুত্ব সে নিজেও অনুধাবন করতে পারে না। অথচ এ কারণে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়।”

০৬. বেলাল বিন হারেস মাজুনী (৯) বর্ণনা করেন, রাসূল (*) বলেছেন,

"إن الرجل ليتكلم بالكلمة من رضوان الله تعالى ما كان يظن أن تبلغ ما بلغت، يكتب الله تعالى له بها رضوانه إلى يوم يلقاه، وإن الرجل ليتكلم بالكلمة من سخط الله تعالى ما كان يظن أن تبلغ ما بلغت، يكتب الله

تعالى بها سخطه إلى يوم يلقاه"

‘মানুষ কখনো কখনো আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টিমূলক এমন কথা বলে দেয় যার চূড়ান্ত সীমা সম্পর্কে সে কোনোরূপ ধারণা রাখে না। অথচ এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা সাক্ষাৎ-দিবস (কিয়ামত) পর্যন্ত তার প্রতি সন্তুষ্টি লিখে দেন। এমনিভাবে মানুষ কখনো আল্লাহ তাআলার অসন্তোষমূলক এমন কথা বলে দেয় যার চূড়ান্ত সীমা সম্পর্কে সে কোনো ধারণা রাখে না। অথচ এ কারণে আল্লাহ তাআলা সাক্ষাৎ-দিবস পর্যন্ত তার প্রতি অসন্তুষ্টি লিখে দেন। א

ইমাম তিরমিযী (৯) বলেন, 'হাদীসটি হাসান সহীহ। ০৭. সুফিয়ান বিন আব্দুল্লাহ (c) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,

قلت: يا رسول الله حدثني بأمر أعتصم به، قال: " قل: ربي الله، ثم استقم " قلت: يا رسول الله ما أكثر ما تخاف علي؟ فأخذ رسول الله صلى

الله عليه وسلم، بلسان نفسه، ثم قال: "هذا"

২১. বুখারী: ৬৪৭৮ ২২. তিরমিযী : ২৩১৯; ইবনে মাজাহ : ৩৯৬৯; মুয়াত্তা ইমাম মালিক: ১৮৪৮
‘আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি আমাকে এমন একটি বিষয় বাতলে দিন যা আমি দৃঢ়ভাবে ধারণ করব।' তিনি বললেন, 'তুমি বলো যে, আল্লাহ আমার প্রতিপালক আর এ কথার ওপর দৃঢ়পদ থাকো।' আমি বললাম, 'আমার মধ্যকার আশঙ্কাজনক বিষয়াবলির মধ্যে সবচেয়ে আশঙ্কাজনক কোনটি?

তিনি নিজের জিহ্বা মুবারক ধরে বললেন ‘এটি। ২৩

ইমাম তিরমিযী (৯) বলেন ‘হাদীসটি হাসান সহীহ।'

০৮. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর () বলেন, রাসূল () বলেছেন,

"لا تكثروا الكلام بغير ذكر الله، فإن كثرة الكلام بغير ذكر الله تعالى قسوة للقلب، وإن أبعد الناس من الله تعالى القلب القاسي"

'তোমরা আল্লাহ তাআলার জিকির ব্যতীত অন্য কথা বেশি বোলো না। কেননা, আল্লাহর জিকির ব্যতীত অন্য কথার আধিক্য মূলত অন্তরের কাঠিন্য (এর কারণ হয়)। আর মানুষের মধ্যে কঠিন হৃদয় লোকেরা আল্লাহ থেকে বেশি দূরের হয়।

০৯. আবু হুরাইরা (+) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, 'আমি রাসূল ()-কে বলতে শুনেছি,

"من وقاه الله تعالى شر ما بين لحييه، وشر ما بين رجليه دخل الجنة"

আল্লাহ যাকে দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী বস্তু (জিহ্বা) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী বস্তুর (লজ্জাস্থান) ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছেন, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।**

ইমাম তিরমিযী (৯) বলেন, 'হাদীসটি হাসান।

২৩. আবু দাউদ : ২৪১০; ইবনে মাজাহ : ৩১৭২; দারেমী: ২৭১১

২৪. তিরমিযী : ২৪১১ ২৫. তিরমিযী : ২৪০১

জবানের হেফাজত বইটি PDF Download (short) দেখতে অথবা বইটি ক্রয় করতে এখানে ক্লিক করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ