লাশকাটা ঘরে : নিঝুম - বই রিভিউ | Lashkata Ghore By Nijhum

লাশকাটা ঘরে : নিঝুম - বই রিভিউ | Lashkata Ghore By Nijhum

  • বইঃ লাশকাটা ঘরে বুক রিভিউ
  • লেখকঃ নিঝুম
  • প্রচ্ছদঃ জাওয়াদ উল আলম।
  • সম্পাদনাঃ আরজুদা আঞ্জুম।
  • জনরাঃ থ্রিলার।
  • প্রকাশ কালঃ একুশে বইমেলা ২০২২।
  • মুদ্রিত মূল্যঃ ২৩৫/- ।
  • পৃষ্ঠাঃ ১৫২ (ক্রাউন সাইজ)।
  • প্রকাশনীঃ বেনজিন প্রকাশন।
  • পার্সোনাল রেটিংঃ ৪.৫/৫।
  • ©Review Credit 💕 NK Medha

ফ্ল্যাপ থেকে
পার্কে ঘুরতে এসে দুজন ব্যক্তির দেখা।আলাপ আলাপে পরিচয় থেকে বাড়িতে দাওয়াত পর্যন্ত গড়ালো বিষয়টা।এদিকে শহরে এক মগজখেকোর আবির্ভাব ঘটেছে।পাওয়া যাচ্ছে মগজবিহীন লাশ।শেষ পর্যন্ত কি পরিণতি হবে ওই দুই ব্যক্তির? মগজখেকো কি ধরা পড়বে?

▫️ খুন ঠেকাতে বহুদিনের পুরনো রাগ ভুলে লেখক বন্ধু ইমতিয়াজের সাথে দেখা করতে গেলো পুলিশ অফিসার মাহিন।আসলেই কি তা খুন,নাকি কাউকে ফাসানোর ষড়যন্ত্র?

▫️ আত্মহত্যা করতে গিয়ে দূর্ঘটনা বশতঃ পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে জয়িতার স্বামী রাজীবের।তদন্ত করতে এসেছে তারই প্রাক্তন প্রেমিক শফিকুল।কেন আত্মহত্যা করতে চাইলো রাজীব? তদন্ত কি সঠিক পথে এগুবে? নাকি নিছক দূর্ঘটনা থেকে শুরু হবে কাছে আসার নতুন গল্প?

▫️ ভাবতে ভাবতে শুভ এমন এক থিওরি আবিষ্কার করে ফেললো যা পরিবর্তন করে দিতে পারে মানবজীবনের উদ্দেশ্যই।সে তা শেয়ার করতে গেলো তারই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক প্রফেসর মঞ্জুরের কাছে।এ বিষয়ে জানাটাই কি কাল হয়ে দাঁড়ালো তাদের দুজনের জন্য?

▫️ জীবনানন্দ দাশের ‘আট বছর আগে একদিন’ কবিতা শুনে জেগে উঠলো একজন।লাশকাটা ঘরে আড্ডা জমিয়েছে বেশ কয়েকজন লাশ। তাদের মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে দিয়ে উঠে আসলো সমাজের নানা অসংগতি।কিন্তু তাদের গল্প শুনছে কে এই আগন্তুক?

গল্পের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা রহস্য রোমাঞ্চিত হয়ে উঠার জগতে পাঠককে স্বাগতম।

বই সম্পর্কে - বইটা মূলত একটা একক থ্রিলার গল্প সংকলন।মোট ৫ টি অসাধারণ গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এটি।গল্প ৫ টি হলোঃ

১. মগজ।
২. বিষ।
৩. সন্দেহ।
৪. ইশ্বর।
৫. লাশকাটা ঘরে।

আমরা গল্পের নামগুলো দেখেই বুঝতে পারছি যে এই বইটার নামকরণ করা হয়েছে একদম শেষ গল্প অনুসারে “লাশকাটা ঘরে”।চলুন এবার বিস্তারিত আলোচনা করি সবগুলো গল্প নিয়ে।

🔷 মগজ :--------------------------------------------------

▫️ পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ- মগজ গল্পটা পড়ে আমার কাছে এভারেজ লেগেছে।খুব বেশি যে খারাপ লেগেছে এমন ও না আবার খুব যে ভালো লেগেছে সেরকম কিছুও না ।যেহুত ছোটগল্প এখানে বোরিং ফিল করার কোনো বিষয় ই আসেনা,জাস্ট এক নিশ্বাসে পড়ে গেছি।গল্পের প্রথম দিকটায় তেমন ভিন্ন কিছু বা ইউনিক কিছু খুঁজে পাইনি।অনকটাই আইডিয়া করতে পারছিলাম কোনটার পর কোনটা হবে।কিন্তু আমার কাছে এন্ডিং টা বেশ ভালো লেগেছে।আরেকটা বিষয় যেটা আমার ভালো লেগেছে সেটা হলো।ব্যক্তিগত দিক দিয়ে জয়নুল আবেদিন পার্ক টা আমার খুব পছন্দের একটা জায়গা আর এটার নাম করণ নিয়ে ছোট্ট একটা ইনফরমেশন দিয়েছে লেখক যেটা আমি আগে জানতাম না।মগজ গল্প থেকে জয়নুল আবেদিন পার্ক এর ছোট একটা ইতিহাস জেনেছি তাই ভালোই লেগেছে।কাহিনী আমার কাছে খুব বেশি ইউনিক না লাগলেও লেখকের লেখনী অনেক নিখুঁত।প্রতিটা জায়গায় ডিলেইলিং অনেক ভালো লেগেছে আমার।মোটামুটি ভালো লেগেছে আমার কাছে মগজ গল্পটা।

আলাদা ভাবে এটা রেট করতে হলে ৩/৫।

▫️ প্রিয় বাক্যঃ- এই গল্পটা থেকে আমার দুইটা লাইন মনে ধরেছে।সেইগুলা হলো-
১) ‘পিছুটান না থাকাই জীবনের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা।’
২) ‘𝘛𝘩𝘦 𝘉𝘦𝘢𝘶𝘵𝘪𝘧𝘶𝘭 𝘪𝘴 𝘢𝘭𝘸𝘢𝘺𝘴 𝘴𝘵𝘳𝘢𝘯𝘨𝘦.’

🔷 বিষঃ—------------------------------------------

▫️ পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ- বিষ গল্পটা আমার ভালো লেগেছে।গল্পের স্টার্টিং এর কথোপকথন পড়ে মজা পেয়েছি।এই গল্পটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ই আসলে আমার ভালো লেগেছে।এটা আগাথা ক্রিস্টির ‘Wasp’s Nest’ গল্পের ছায়া অবলম্বন করে লিখলেও লেখকের নিজস্বতা ছিলো।আর লেখনী ডিটেইলিং এই গল্পেও আমার ভালো লেগেছে।তবে একটা বানান ভুল পেয়েছি।এছারা এই গল্পে আর কোনো খুত ছিলো না।

এটাকে আলাদা ভাবে রেটিং করতে হলে ৪.৫/৫।

◽️ প্রিয় বাক্যঃ- বিষ গল্প থেকে যেই লাইনোগুলো আমার মনে ধরেছে-

১) ‘তীব্র ঘৃণা মনে চাপা রেখেও হাসিমুখে চরম সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে পারে কেউ কেউ।’
২) ‘মানুষ ঘৃণা আর হিংসা কোনভাবেই লুকাতে পারে না।কোনো না কোনোভাবে সেটা প্রকাশ করেই ফেলে।’

এই দুইটা লাইন পছন্দ হলেও এই দুইটা লাইন দুইটার প্রতিদন্ধি মনে হয়েছে পড়ে কেনো যেনো।

🔷 সন্দেহঃ—------------------------------------------

▫️ পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ- রোমাঞ্চকর একটা গল্প ছিলো এটা।ছোট হলেও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একদম চুম্বকের মতো লেগে ছিলাম,যেন এক নিশ্বাসে পড়ে শেষ না করলে ভাত হজম হবে না এরকম।গল্পের প্রথম দিকে দুই একটা বানান ভুল চোখে পরেছে এছাড়া বাকি সব কিছুই আমার কাছে ভালো লেগেছে।প্লট টাও ভালোই ছিলো মোটামুটি।গল্পটা সুন্দর করে সাজিয়েছে লেখক।পড়তে ভালো লেগেছে।আর এই গল্পে রাজনীতির কিছু “বিটার ট্রুথ” লেখক সাহেব তুলে ধরেছেন যেটা ভালো লেগেছে।

এটাকে আলাদাভাবে রেটিং করতে হলে ৪.৮/৫।

▫️ প্রিয় বাক্যঃ- যেই দুটো লাইন মনে ধরেছে আমার

১) “স্বাধীনতার অর্জনের এতো বছর পরেও কি এদেশের জনগণ স্বাধীনতার স্বাদ অস্বাদন করতে পেরেছে?স্বাধীনতার মরিচীকা দেখে দেখেই কেটে যাচ্ছে যুগের পর যুগ।”
২) “এদেশের সিস্টেমটাই পঁচে গিয়েছে।ভালোমানুষ এই সিস্টেমে ঢুকে সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য।কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতে নিজেই সিস্টেমের দাস হয়ে যায়,সিস্টেমের চোখে সমাজকে দেখা শুরু করে।”

🔷 ইশ্বরঃ—----------------------------------------------

▫️ পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ- টপ টু বটম জাস্ট জোস।গল্পের একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লাশকাটা ঘরের ইশ্বর লেখক নিঝুম যেন ইশ্বর গল্পটা একদম নিখুঁত ভাবে সাজিয়েছে।মাথা জাস্ট আওলায় ফেলার মত সব থিওরি নিয়ে আসা হয়েছে এখানে।কিন্তু এই গল্প পড়ে অনেকে ধর্মের সাথে দ্বন্দ খুঁজে পেতে পারেন,তাই দুর্বল ঈমান নিয়ে এই গল্প না পড়াই বেটার।আর কেও যদি ধর্ম ধর্মের জায়গায় আর গল্প গল্পের জায়গায় রেখে পড়তে পারেন তাহলে বেশি ভালো হয়।গল্পটাও উপভোগ করতে পারবেন আবার ঈমান ও ঠিক থাকবে।এখানে আমি কোনো বানান ভুল বা অন্য কোনো নেগেটিভ সাইড ও দেখিনি।গল্পের প্লট সুন্দর করে সাজানো আর খুব ইউনিক লেগেছে আমার কাছে।লেখকের কল্পনা শক্তি দারুণ এটা না বললেও না,কারণ এখানের সবগুলো থিওরিই মূলত কল্পনার উপর ভর করে দাঁড়িয়ে আছে।আর প্রত্যেকটা থিওরি খুব ডিলেইলেই আলোচনা করা হয়েছে।সব মিলিয়ে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে।

এটাকে আলাদাভাবে রেটিং করতে বললে ৫/৫।

*এখানে পুরা গল্পটাই প্রিয় তাই আলাদা কোনো প্রিয় বাক্য চোখে পরেনি*

🔷 লাশকাটা ঘরেঃ—-------------------------------------

▫️ পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ- আমাদের সমাজের বেশ কয়েকটা বাস্তব ঘটিনা নিয়ে সাজানো এই গল্পটা।ঠিক যেন আমাদে আশেপাশে প্রতিদিন যা যা ঘটছে আমাদের চোখের আড়ালে,যা ঢাকা পরে যাচ্ছে পলকে পলকে সেটাই তুলে ধরেছে লেখক এখান কিন্তু একটু ভিন্ন উপায়ে।গল্পটার ভিতরে ঘটিনাগুলা আমাদে সবাক জানা হলেও গল্প সাজানোর ধরণ বা ম্যাসেজ ডিলেভারি করার ধরণ টা বেশ ইউনিক ছিলো এটা মানতে হবে।আমাদের সমাজের হাজারো মানুষ এমন হাজারো গল্প নিয়ে বেঁচে থাকে।কেও কেও হয়ত বেঁচেই থাকতে পারে না মুক্তি পেয়ে যায়।গল্প সাজানো,স্টরি টেলিং সব কিছুই ভালো লেগছে পড়ে।

আলাদাভাবে এটাকে রেট করতে বললে ৪.৫/৫।

▫️ প্রিয় বাক্যঃ- এখান থেকে আমার মনে ধরা লাইন-

১) “এই জগৎ-সংসারে সবাই শুধু চেয়ে যায়।আরো দাও আমায়,আরো বেশি দাও।এদের চাহিদা কখনো শেষ হয় না।কিন্তু একবার যদি তুমি এদের চাওয়া পূরণ করতে না পারো,তবে তুমি এই সমাজের যোগ্য নও।মানুষ হিসেবে তুমি ব্যর্থ।”

সম্পূর্ণ পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ- পুরা বইটা পড়ে আমার কাছে বেশ ভালোই লেগেছে।প্রথমে মগজ গল্পটা পড়ে মনে হয়েছিলো যে না আমি আরেকটু ভালো কিছু এক্সপেক্ট করতেছিলাম কিন্তু একদম এরকম সাদামাটা মানে এত কমন গল্প পড়ে একটু আশাহতই হয়েছিলাম এক প্রকার।কিন্তু এরপর আস্তে আস্তে প্রত্যেকটা গল্প পরেছি আর মনে হয়েছে একেকটা লেভেল আপ হচ্ছে বইয়ের।মনে হচ্ছিলো লাশকাটা ঘরে একটা গেইম সেই গেইম এর একেকটা লেভেল পার করছি,আর একেকটা লেভেল এর রোমাঞ্চ ততই বাড়ছে।তাই শেষ পর্যন্ত পড়ে খুবই ভালো লেগেছে সব মিলিয়ে।লেখকের লেখনী,গল্পের ডিলেইলিং,প্লট,গল্প সাজানো সব ই ভালো লেগেছে।এত ছোট ছোট গল্পেও লেখকের ডিলেইলিং বেশ ভালো ছিলো।সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে।তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে ইশ্বর গল্পটা।

নেগেটিভ সাইডঃ- কয়েকটা গল্পের মধ্যে ৩-৪ টা টাইপিং মিস্টেক ছাড়া তেমন কোনো নেগেটিভ সাইড আর চোখে পরেনি আমার পুরা বইয়ে যেটা প্রত্যেকটা আলাদা পাঠ প্রতিক্রিয়ায় ই আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম।

পজিটিভ সাইডঃ- বইয়ের মাঝের অংশ থেকে একদম চুম্বকের মত আটকে যাওয়া।যখন আপনি কোনো বই পড়তে গিয়ে বইয়ের মধ্যে ঢুকে যান এবং সেটার সাথে চুম্বকের মত লেগে থাকেন শেষ না করা পর্যন্ত সেটাই একটা বইয়ের স্বার্থকতা বা পজিটিভ সাইড বলে মনে করি আমি।

বই প্রডাকশন ও প্রচ্ছদঃ- বইয়ের প্রডাকশন বেশ ভালো ছিলো।নতুন প্রকাশনী হলেও এদের কাজ দেখে বোঝার উপায় নেই যে এরা কয়েকদিন আগে মাঠে নেমেছে।বইয়ের বাইন্ডিং,প্রাডাকশক দেখে তাদের পাক্কা খেলোয়াড় মনে হওয়া ছাড়া উপায় ই নেই।এবার আসি প্রচ্ছদে, বইটাতে যেই পাঁচটা গল্প আছে সবগুলোর ই যেনো প্রতিচ্ছবি ফেলতে চেয়েছে প্রচ্ছিদের বিক্রিত মানুষের মাথাটার মধ্য দিয়ে।প্রচ্ছদটা বেশ ইউনিক লেগেছে আমার কাছে।
পুরো বেনজিন টিম ও লেখকের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।আশা করি ভবিষ্যৎ এ এরকম আরো সুন্দর বই উপহার পাব আমরা পাঠকরা লেখকের থেকে

ব্যক্তিগত মতামতঃ- ‘নিঝুম’এর লেখা “লাশকাটা ঘরে” বইটা একবসায় পড়ে শেষ করে ফেলার মত বেশ ভালো একটা বই।যারা থ্রিলার প্রেমী তাদের সাজেস্ট করব বইটা পড়ে ফেলতে।পাঁচফোড়ন এর মত এই পাঁচটি গল্প পাঁচ রকম স্বাদ দিবে আপনাকে।বেশ রোমাঞ্চকর একটা বই,তাই যার নিজেদের থ্রিলার প্রেমী বলে দাবী করেন তারা অবশ্যই বইটা পড়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে।

[বি.দ্র.- গুছিয়ে লেখার বা রিভিউ লেখার কোনোটার ই অভ্যাস নেই আমার।নিজের মতামত ও বইটা পড়ার পরের অনুভূতি টাই নিজের মত করে ছোট করে লিখলাম রিভিউ হিসেবে।ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।]

💙 হ্যাপি রিডিং 
©Nk Medha

🤚লাশকাটা ঘরে বইটি pdf free download এখনো অফিশিয়ালি পাবলিস্ট করা হয়নি। কারণ এটি একটি নতুন বই তাই বইটির হার্ডকপি ক্রয় করুন। লেখকঃ নিঝুম এর বই লাশকাটা ঘরে পিডিএফ ডাউনলোড 🚫

লাশ কাটা ঘরে বই রিভিউ ২
লেখকঃ নিঝুম 

শোনা গেল লাশকাটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে ফাল্গুনের রাতের আধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাদ
মরিবার হল তার সাধ।

বই এর নাম শোনা মাত্র এই লাইনগুলো মাথায় আসবেই। বই এ প্রতিটি গল্প চমৎকার ছিল। ঈশ্বর আর লাশকাটা ঘরে গল্পটা আমার বেশি ভালো লেগেছে। ঈশ্বর গল্পটা বেশি ভালো লাগার কারণ হল অন্য গল্পের শেষটা আর টুইস্ট প্রেডিক্টেবল ছিল। ঈশ্বরের টুইস্ট একদম অন্যরকম। শেষ গল্প বা নাম ভূমিকার গল্পে আগন্তুক কে সেটা আমার মনে হয় মোটামুটি পাঠক জাতি ধরতে পারবেন। থ্রিলার বই হলেও গল্পগুলো বেশ বাস্তবসম্মত লেগেছে। আসলে বাস্তব থেকেই গল্প হয়। সন্দেহ গল্পটি বেশ সুন্দর করে শুরু হলেও কিছুক্ষন পরেই খেই হারিয়ে ফেলেছে। বিশেষ করে খুনের বর্ণনার জায়গাটা একটু এলোমেলো লেগেছে। মগজ গল্পে বেশ সাধারণ হলেও লাস্টে একটা সাসপেন্স ছিল, যেটা বেশ ভালো। রবী ঠাকুরের শেষ হইয়াও হইলো না শেষের মত ছিল মগজ। এই ছোট্ট টুইস্ট মাথায় বেশ কিছু প্রশ্ন রেখে যায়। বিষ গল্পটা আগাথার একটি বিখ্যাত গল্পের ছায়া অবলম্বনে। তবে এটাতে শেষ দিকে একটু তাড়াহুড়া করেছেন লেখক বলে মনে হয়েছে। আর একটু গুছিয়ে লেখা যেত বিষ আর সন্দেহ। 

বেশ কিছু বানানে ভূল ছিল, সেটা প্রুফ রিডিং এর জন্য হতে পারে। তবে শেষ গল্পে যত না সাসপেন্স বা থ্রিল তার চাইতে মন খারাপ হচ্ছে বেশি। শেষ পৃষ্ঠা পড়ে একটা ধাক্কা লাগে। বইটার আর একটা ভালো লাগার জায়গা হল এর উৎসর্গ। এখানেও একটা সাসপেন্স। ভালোই লাগবে।

Comments

Popular posts from this blog

সিক্রেটস অব জায়োনিজম Full PDF : লেখক হেনরি ফোর্ড | Secrets of Jainism Bangla Anubad PDF

[PDF] সীরাহ মুহাম্মদ প্রথম খন্ড এবং দ্বিতীয় খণ্ড রেইনড্রপস পিডিএফ - Sirah Muhammad (sa:) First & Last Raindrops

গাযওয়াতুল হিন্দ বই pdf - প্রফেসর ড. ইসমাতুল্লাহ | Gazwatul Hind by Professor Dr. Ismatullah