বই মর্কট মঞ্জিল লেখক নিয়াজ মেহেদী | Morkot Monjil By Niaz Mehedi | বই রিভিউ [pdf short link]

বই: মর্কট মঞ্জিল
লেখক: নিয়াজ মেহেদী
প্রকাশনী: সতীর্থ
মুদ্রিত মূল্য: ১৯০টাকা
প্রকাশকাল: ২০২২
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬৮
Review Credit 💕 Rehnuma Prapty (thanks a lot apu)

লেখক নিয়াজ মেহেদী'র ১২টি ছোটো গল্পের সমাবেশে মলাটবদ্ধ হয়েছে "মর্কট মঞ্জিল" বইটি। শেষের গল্পের নামকরণে বইটির নাম দেয়া হয়েছে।
বই: মর্কট মঞ্জিল লেখক: নিয়াজ মেহেদী | Morkot Monjil By Niaz Mehedi. মর্কট মঞ্জিল pdf short link available.  মর্কট মঞ্জিল বই pdf download full no here
ছবি : বই: মর্কট মঞ্জিল

১. অজানা উড়ন্ত বস্তু

আলতাব ডাক্তার একজন হোমিওপ্যাথ। এককালে রোগী দেখে ভালোই কামাই করত। কিন্তু ইদানিং তার শনির দশা চলছে। নারায়ণবাড়ির হরিনারায়ণের জন্যে তার এই দশা। ডিগ্রি নিয়ে হোমিও চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও মূর্খ হরির সাথে পেরে উঠছে না সে। কী এক ধন্বন্তরি ঔষধ পেয়েছে যা নাকি সর্বোরোগের নিরাময় করে। তাতেই মানুষ পিল পিল করে ছুটে যাচ্ছে হরির কাছে। গভীর রাতে গ্রামবাসীরা উড়ন্ত থালা জাতীয় বস্তু দেখে। যা নারায়ণবাড়িতে গিয়ে শেষ হয়। কী সেই বস্তু? হরির সর্বোরগ নিরাময়ী ঔষুধের পিছের রহস্য কী?

২.আমনুরার নাম রহস্য

চৌধুরানীর সিঁধেল চোর লিয়াকত। মদ খেয়ে রাত কাবার করে বাড়ি ফিরে মুখোমুখী হয় গোলজার দারোগার। খোকা বাড়ির চুরির দায়ে তাকে জেলে যেতে হবে। আদতে যে চুরি সে করেইনি। দারোগাকে অনেক দহরম মহরম করে এ যাত্রায় বেঁচে যায় সে। তবে পালিয়ে চলে যায় বন্ধু হরেকেষ্টর বাড়ি আমনুরায়। সেখানে গিয়ে সন্ধান পায় এক আম বাগানের। আম বাগানকে ঘিরে আছে অভিশাপ। লিয়াকত কি সেই অভিশাপে বিশ্বাস করে? কী হবে তার পরিণতি? আমনুরার নাম কেন আমনুরা হলো?

৩. বাঘপীর

রণচন্ডী গ্রামে থিসিস করতে এসে জানতে পারেন "বাঘপীরের মাজার" এর কথা। অলৌলিক ঘটনা জড়িয়ে আছে এই মাজারকে ঘিরে। এখানে পীর যে বাঘ ছিলেন কিংবা বাঘের রূপ ধারণ করতে পারতেন তেমন কোন ঘটনা। এখানে আছে এক অলৌকিক বাঘ। যার সাথে জড়িয়ে আছে ৭১ এর যুদ্ধের এক রোমহর্ষক ঘটনা।

৪. দুই বন্ধু

দেশে হাঙ্গামা শুরু হয়েছে, যাকে আমজাদ চেয়ারম্যানের ভাষায় বলে মুক্তিযুদ্ধ আর ফজলু মৌলবিরা বলে গন্ডগোল। নাপিত বগার মন মেজাজ খারাপ। হাটের দিনে যেখানে কুমরগঞ্জ গমগম করে সেখানে আজ সব নিস্তব্দ। ওদিকে কিষাণ আনোয়ারের সেসব নিয়ে চিন্তা নেই। সে দিব্যি থাকে নিজের মতো। বগাকে তার প্রিয় বন্ধু হিসেবে মনে করে। তবে সেটা শুধু আনোয়ারের পক্ষ থেকেই। হাটের শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুজন মুখোমুখি হয় পাক সুবেদারের। হিন্দু হওয়ায় বগা শিকার হতে নেয় পাক সুবেদারের। কিন্তু বোকা আনোয়ার তাকে বাঁচানোর জন্য সাহসী এক পদক্ষেপ নেয়। আজীবন তুচ্ছ করে আসা আনোয়ারের এই সাহসীকতা বগাকে করে দেয় বাকরুদ্ধ। কী হয়েছিল সেদিন?

Novel Review

৫. ইনস্টাগ্রাম

ইনস্টাগ্রামের পশ গার্ল সঙ্গীতা। আধুনিক যুগের নতুন নতুন ট্রেন্ড ফলো করতে গিয়ে সে হারিয়ে যায় নেশার জগতে। প্রাক্তনের সাথে ছয় বছরের সম্পর্ক শেষ হয় যাবার এক বছর পর তাকে নিজ বাসায় ডাকে একসাথে মুভি দেখবে বলে। তাও কোনো ব্লকবাস্টার কিংবা সিনেপ্লক্সে নয়, নিজের বাসায়। হঠাৎ কী কারণে সঙ্গীতার এমন ইচ্ছে? এটাও কি নতুন কোনো ট্রেন্ডেরই অংশ?

৬. জবদুল হোসেনের জগত

রিক্সা আঁকিয়ে জবদুল হোসেন। সৈয়দপুরের সকলে এক নামে চেনে তাকে। তার মতো রিক্সা আর্ট করে তাকে টেক্কা দেবার কেউ নেই। তবে গণি ওস্তাদ নামে আরেকজন আর্টিস্টের প্রশংসা শুনে তাকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ায় জবদুল। পেয়েছিল কি তার দেখা? গণি ওস্তাদের ভালো আর্ট করার পিছে কোন জাদু মন্তর আছে কি?

৭. জলদেব

চলনবিলের এক রহস্য পুরুষ নিপেন হালদার। লোকে বলে সে নাকি খালি হাতে মাছ ধরতে পারে। তবে এ কথা বিশ্বাস করতে নারাজ থানার নতুন জয়েন করা অফিসার। তাই স্বচক্ষেই দেখতে যান এই রহস্য পানিচারি নিপেনকে। নিপেন কি সত্যিই পারে পানির নিচে কোন প্রকার জাল, বড়শি ছাড়াই মাছ ধরতে? কিভাবে সে পারে পানির নিচে দীর্ঘ সময় থাকতে? আসলেই কি সে জলদেব?

৮. নিরুদ্দেশ

মিলিটারি একাডেমির দুই ক্যাডেট অফিসার প্রেমে পরে এক নারীর। নাম তানজিনা মুনা। একদিন নিরুদ্দেশ হয়ে যায় মুনা নামের মেয়েটি। এতে পাগলপ্রায় হয়ে যায় অনিক নামের ক্যাডেট অফিসার। তবে তমাল নিজেকে ধীরে ধীরে সামলে নেয়। কিন্তু সাত বছর পর এক কনফারেন্সে তমাল তার মুনা রহস্য উদঘাটন করতে পারে। হতবাক হয়ে যায় সে। কি ছিল সেই রহস্য? মুনা কে? কেনই বা মুনা নিরুদ্দেশ হয়ে গেল?

৯. পয়সা

শাউরিয়ার মেলায় নাসরিন খুঁজে পেল একটা এক টাকার কয়েন। যা একটা থেকে দুটো হয়ে যায়। টাকা নিয়ে সে বাড়ি ফিরতে থাকে। পথিমধ্যে দেখা হয় এক অজানা ব্যক্তির সাথে। কে সে? টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরা হয়েছিল কি নাসরিনের?

১০. প্রতিধ্বনি

অফিস পলিটিক্সের শিকার হয়ে এনায়েত বদলি হয়ে যায়। নতুন ডাকবাংলোয় এসে সে সন্তুষ্ট হতে পারে না। এরমধ্যে রাত বিরাতে সে শুনতে পায় নিজের কথা বা একটু আগে শুনতে থাকা অঞ্জন দত্তের গানের প্রতিধ্বনি। এই প্রতিধ্বনির উৎস কোথায়? কেন বারবার নিজের কথারই রেকর্ড শুনতে পায় সে? ডাকবাংলোর অতিথিশালায় কি তবে আটকা পরে যাবে এনায়েত?

১১. রূপান্তর

ডাকাত সর্দার মাকড়া। পুলিশ যাকে কোনদিন পাকড়াও করতে পারেনি। লোকে বলে সে নাকি মাকড়সার আকার ধারণ করতে পারে। তাই পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারে সে। মাকড়ার পাকড়াও না হবার পিছের রহস্য কি আসলেই তার মাকড়সায় রূপান্তর হয়ে যাওয়া?

১২. মর্কট মঞ্জিল

ভাদ্র মাসের অনাকাঙ্খিত টানা বর্ষণে আওলাদ মিয়া সহ পলাশবাড়ির সকলে অলস সময় পার করছে। সানোয়ার নামের ব্যক্তি এসেছে গল্প বলতে। গল্প শোনার পাগল আওলাদ মিয়াকে তাই তলব করেছে তার বন্ধু আলতাব হোমিওপ্যাথ। সানোয়ার সাহেবের সেই গল্প কী ছিল? তার গল্পের শেষটা কী ছিল, যাতে সকলেই অবাক হয়ে যায়? টাঙ্গাইল জেলার উত্তরে মধুপুর জঙ্গলের বিতাড়িত বানরের রহস্য কী?

পাঠ প্রতিক্রিয়া

লেখক নিয়াজ মেহেদির লেখা আমার পড়া প্রথম বই ছিল "আওলাদ মিয়ার ভাতের হোটেল"। বইটা পড়ে আওলাদ মিয়া নামক চরিত্রটাকে আমার বেশ ভালো লাগে। যার রেশ ধরেই "মর্কট মঞ্জিল" বইটা নেয়া। গল্পগ্রন্থ বা গল্প সংকলন পড়তে ব্যক্তিগতভাবে আমার বিশেষ ভালো লাগে না। শুরু হতে হতেই শেষ হয়ে যায় এমন একটা অনুভূতি হয়। তবে ১৬৩পৃষ্ঠার ক্রাউন সাইজের এই বইটি পড়তে খুব একটা খারাপ লাগেনি। ১২টি ছোটো গল্প নিয়ে বইটি রচিত। আমার কাছে সবথেকে ভালো লেগেছে "নিরুদ্দেশ" গল্পটি। শেষের দিকে এসে বেশ ভালো একটা ধাক্কা খেয়েছি। গল্পের শেষে এসে আমার একটা হলিউড মুভির নাম মাথায় এসেছিল। যদিও একদম একইরকম না, তবে আমার মাথায় ঐ মুভির নামটাই ঘুরছিল। নামটা বললে হয়তো এই গল্পের জন্য স্পয়লার হয়ে যাবে। তবে অভিনেতার নাম বলাই যায়। মুভিটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল "𝙹𝚘𝚊𝚚𝚞𝚒𝚗 𝙿𝚑𝚘𝚎𝚗𝚒𝚡." এরপর "জলদেব" গল্পটা মোটামুটি ধরনের লেগেছে। আর অবশ্যই জলদেবকে আমি বারবার "𝒜𝓆𝓊𝒶𝓂𝒶𝓃" ই ভাবছিলাম। "বাঘপীর" গল্পের মুক্তিযুদ্ধের বর্ণনাটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। "ইনস্টাগ্রাম" পড়ার পর মনে হচ্ছিল আসলেই এখনকার প্রযুক্তিনির্ভর আর নতুন নতুন ট্রেন্ড্রের দুনিয়ায় এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক না। মাঝে "Blue Whale" চ্যালেঞ্জ নিয়েও এরকম ঘটনা ঘটেছিল। "দুই বন্ধু" গল্পে বন্ধুত্বের ব্যাপারটা ভালো লেগেছে বেশ। "জবদুল হোসেনের জগত" গল্পের শিক্ষাটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। নিজেকে উন্নত করার জন্য শুধু নিজের ধৈর্য আর শ্রমটাই আসল। "মর্কট মঞ্জিল" গল্পটা প্রেডিক্ট করতে পেরেছিলাম। আরেকটু ভালো আশা করেছিলাম। বাকি গল্পগুলো মোটামুটি ভালো লেগেছে।

তবে প্রথম গল্পের আলতাব ডাক্তার আর শেষ গল্পের আলতাব ডাক্তার কি একই মানুষ? আমার কাছে মনে হয়েছে দুইজন এক।
ওয়ান টাইম রিড হিসেবে পড়ে নেয়া আয় বইটি।

প্রচ্ছদ, মুদ্রণ প্রমাদ

বইয়ের প্রচ্ছদটা ভালোই লেগেছে। তবে বইতে টুকিটাকি বানান ভুল ছিল। ফ্ল্যাপের দিকে "নিপেন" কে "নিপেল" লেখাটা বেশ দৃষ্টিকটু লেগেছে। আশা করছি পরবর্তী সংস্করণে ঠিক করে নেওয়া হবে। বইয়ের প্রোডাকশন এভারেজ লেগেছে।

New Islamic Book 2022

নিজের লেখা সম্পর্কে

গল্প বা উপন্যাসের রিভিউ লিখতে পারি একটু-আধটু। তবে গল্প সংকলন বা গল্প গ্রন্থের রিভিউ এই প্রথম লেখা। আমার জন্য কাজটা একটু কঠিন মনে হয়েছে। ভুল ত্রুটি বাদ দিয়ে ভালোটুকু গ্রহণ করবেন আশা করি। নিজের বানান কয়েকবার প্রুফ চেক করেছি। ভুল থেকে গেলে দায় ছাপাখানার ভূতের।

শুনিয়া রাখ দু’কান খুলে
ওহে নারী-নর
ডারউইন কিন্তু বলেননি হে-
মানুষ ছিল বানর।

একই রকম আদি কোষ
হইতে উদ্ভব
জীবজগতে বিরাজ করি
আমরা যত সব।

বহু মিলিয়ন বছর ধরে
পরিবেশের হয় বদল
কেউ বা হয় বিলুপ্ত
কেউ থেকে যায় সচল।

পরিবেশে তাল মিলাতে
কেউ বা পালটে আকার,
এক দু-দিনে ঘটেনি
এ সব বিবর্তনের ব্যাপার।

বানরের যে আদি পুরুষ
মানুষের ও তা
মানুষ তবে ছিল বানর
এ ডাহা মিথ্যা।

না পড়িয়া, না জানিয়া
ডারউইনকে দেয় গালি,
এরাই যদি বানর না হয়
বানর কাদের বলি!
- চক্রবাক

মর্কট মঞ্জিল বই রিভিউ ২

বই: মর্কট মঞ্জিল
লেখক: নিয়াজ মেহেদী 
প্রকাশকাল: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২
প্রকাশনী: সতীর্থ প্রকাশনা
মূল্য: ১৯০ টাকা
Review Credit 💕 Sheila Mony 

রেটিং: সাহিত্যের মানদণ্ড বিচার আমার কার্য নহে বলিয়া আমি মনে করি।বই মাত্রই আত্নার তৃপ্তি আনয়নকারী

প্রথমত, "মর্কট মঞ্জিল" নামটা প্রথম যেদিন শুনলাম, সেদিনই কি অদ্ভুত এক আলোড়ন তৈরী হলো মস্তিষ্কে। অপেক্ষায় ছিলাম কখন বইটা পড়বো।অবশেষে হাতে পেলাম এবং পড়ে শেষ করবার পর মনে হলো,এই ভদ্রলোকের লেখা এর আগে কেন পড়ি নাই! রীতিমতো নিজের ওপর অসন্তোষ বোধ করছি।যাক সে কথা।

বইয়ের ধরন:
 "মর্কট মঞ্জিল" - একটা গল্পগ্রন্থ।এতে রয়েছে লেখকের ১২ টি ছোটোগল্প,প্রত্যেকটিই ভিন্ন আবহ তৈরী করেছে। বইয়ের জনরা টা কি,সঠিক করে বলা বোধ করি সম্ভব নয়।তবে এতোটুকু বলা যায়, এ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যা কিছু ঘটে,যা আমরা দেখি তার বাইরেও অনেক কিছু ঘটে আমাদের দৃষ্টির অগোচরে।কিন্তু, এই সকল ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা আমরা দিতে পারি না সবসময়। এই ব্যাখ্যাবিহীন কিছুই লেখক তুলে এনেছেন তার লেখায়।বলা যায়, অতিলৌকিক আবহ তৈরী হয়েছে। 
একেকটি লেখা যেন একেকভাবে ডানা মেলেছে ভিন্ন ভিন্ন রঙের আদলে।কোনোটি হয়তো রক্তিম কৃষ্ণচূড়ার মতন,আবার কোনোটি সোনালু ফুলের মতন আগুনরঙা হলুদ, হয়তোবা কোনোটি গাছভর্তি বেগুনী জারুল ফুলের মতন!

প্রচ্ছদ: বইটা না পড়ে ফেলা পর্যন্ত প্রচ্ছদ টা কেন আঁকা হয়েছে বুঝবেন না। আলাদা কিছু একটা আছে,যা আমার চোখকে ভাবাচ্ছিল।ক্রাউন সাইজের কি কিউট একটা বই!গাঢ় সবুজের মাঝে রূপালী হরফ জ্বলজ্বল করছে। 

আমার যা সবচেয়ে ভালো লেগেছে: 
উৎসর্গপত্র: বই পড়ার সময় আমি সবার আগে পড়ি উৎসর্গপত্র।কি যে ভালো লাগে এই অংশ টা পড়তে! লেখক তার কাছের মানুষদের নিজের লেখা বইটি উৎসর্গ করেন।
নিয়াজ মেহেদী বইটি উৎসর্গ করেছেন পুত্রকে এবং পুরো পৃষ্ঠা জুড়ে এঁকেছেন উনার বাবার ভালোবাসার কথামালা।ব্যাপারটা কত যে সুন্দর! তিন প্রজন্ম মিশেল হয়ে থাকলো এক পাতায়।
আমি ভীষণ বাবাপাগল মেয়ে,বাবাপ্রিয় মানুষ!তাই বিশেষ করে উৎসর্গপত্রের কথা মনে রেখেছি।

অবশেষে,
সব মানুষের ভেতর কিছু আদিম ভয় লুকিয়ে থাকে। সে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই ভয় লালন করে। খুব অল্প সংখ্যক মানুষই সেই আদিম ভয়ের মুখোমুখি হয়।
"মর্কট মঞ্জিল" - হয়তো সেই আদিম ভয়ের একটি দরজামাত্র!

PDF book Zone

মর্কট মঞ্জিল বই রিভিউ ৩

বই: মর্কট মঞ্জিল
লেখক: নিয়াজ মেহেদী
প্রচ্ছদ: পার্থপ্রতিম দাস
জনরা: অতিলৌকিক গল্পগ্রন্থ
নির্ধারিত মলাট মূল্য/ফিক্সড প্রাইজ: ১৯০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬৮
প্রকাশনীঃ Satirtho Prokashona 
Review Credit 💕 Tanishka Binte Kaira

ব্লার্ব:
আওলাদ মিয়া আবার ফিরে এসেছে। ঝড়ের রাতে তার কাছে হাজির এক রহস্যময় লোক। আসল রহস্য তার জবানিতে। যার সমাপ্তি অভাবনীয়।
রাস্তায় এক টুকরো রিকশা আর্ট দেখে আওয়ারা হয়ে ফিরছেন রিকশা পেইন্টার জবদুল হোসেন। কে দেবে ওই আর্টিস্টের সন্ধান? হোমিও চিকিৎসক আলতাব হোসেনের ব্যবসা লাটে উঠেছে হাতুড়ে হরিনারায়ণের দাপটে। কী এমন ঔষধের খোঁজ পেয়েছে যে পিল পিল করে লোক জড়ো হচ্ছে তার বাড়িতে? 

আছে চৌধুরানীর সিঁধেল চোর লিয়াকত, পরিত্যক্ত পীরের মাজারে ঘাঁটি গেড়ে থাকা এক অলৌকিক বাঘ, শাউরিয়ার মেলায় কুড়িয়ে পাওয়া একটা এক টাকার কয়েন, ডাকবাংলোতে আটকে পরা সরকারি চাকুরে যুবক, চলন বিলের রহস্যপুরুষ নিপেল হালদার, ইনস্টাগ্রামের পশ গার্ল সঙ্গীতা, ত্রিমোহনী ঘাটের ডাকার সর্দার মাকড়া; পুলিশ যাকে কোনোদিন পাকড়াও করতে পারেনি। কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সুবেদার মেজরের দাড়ি কামাতে বাধ্য হওয়া কুমরগঞ্জের নাপিত বগার দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অদ্ভুত সময়। অথবা একই মেয়ের প্রেমে পড়া মিলিটারি একাডেমির দুই ক্যাডেট অফিসারের গল্প। 

নিয়াজ মেহেদী ফিরেছেন তার প্রিয় বিষয় অতিলৌকিকে।
‘মর্কট মঞ্জিল’ এর বারোটি গল্প পাঠককে রোমাঞ্চিত করবে, ভাবাবে, মানব মনের ওইসব বন্ধ দরজায় কড়া নাড়তে বলবে যেগুলো বন্ধ রাখতেই আমরা স্বচ্ছন্দ।

Read Morkot Monjil PDF Short & Buy Hardcover From Rokomari

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ