Title | মুখোশ |
Author | ফারজানা মিতু |
Publisher | নালন্দা |
Quality | হার্ডকভার |
ISBN | 9789849382409 |
Edition | 1st Published, 2020 |
Number of Pages | 144 |
Country | বাংলাদেশ |
Language | বাংলা |
বইয়ের ফ্লাপে আমরা কাহিনি সংক্ষিপ্ত, চরিত্রর কথামালা যাই কিছু লিখি না কেন, বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠা আপনার চোখের সামনে খুলে দিবে তারচেয়েও অনেক বেশিকিছু। মুখােশ এমন একটি কাহিনি যার সারমর্ম আমি লেখক হয়েও লিখতে পারব না। সঠিক ভাবে। আমি শুধু এক আফজাল চৌধুরীকেই এনেছি নানাভাবে নানা রূপে। তারপর একে একে যারা এসেছেন আমার বিশ্বাস কেউই আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের সত্যিকার মুখােশ উন্মােচন করে যেতে পারেননি। তাই মুখােশ নিয়ে বেশিকিছুই বলতে যাব না। এই মুখােশে ঢাকা চরিত্রগুলাে ভেবে নিন আপনি, আমি কিংবা আমাদের খুব কাছে। দাঁড়িয়ে থাকা আপন মানুষটি। আমরা যাদের চিনি বলে ভুল করি। আমরা যাদের আপন ভেবে নিজেকে ভুল বােঝাই।
ছবি : মুখোশ লেখিকা ফারজানা মিতু |
নামকরন
বইয়ের কাহিনির সঙ্গে নামটার অনেক মিল রয়েছে।সাথে নামটা দেখেই একটা রহস্য রহস্য ভাব আসে।
বই মুখোশ লেখিকা ফারজানা মিতু এই গল্পের প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক। জীবিত কিংবা মৃত কারও সাথেই এই কাহিনি সম্পৃক্ত নয়। কারও জীবনের সাথে, কোনাে
কোনাে গল্পের মিল থাকবেই। কোনাে গল্পই জীবনের বাইরে থেকে নেওয়া নয়। মানুষ মানেই মুখােশ। আমাদের আশেপাশে চলতে-ফিরতে থাকা অসংখ্য মানুষ সেই মুখােশে আচ্ছাদিত। আপনি, আমি আমাদের মুখােশগুলাে সযত্নে আড়াল করে চলি কিন্তু তারপরও মাঝে মাঝে সেই মুখােশ আমাদের চমকে দেয়। আমরা আয়নায় মুখ দেখতে ভয় পাই।
-ফারজানা মিতু
কাহিনী সংক্ষেপ
গল্পটি শুরু হয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আফজাল চৌধুরীকে নিয়ে। তার ছেলে বুবুনের শিক্ষক হওয়ার সুবিধার্থে পরিচয় হয় রায়ানের সাথে। রায়ান গল্প লিখতে ভালোবাসে।কিন্তু তার তখন প্রয়োজন ছিলো একটা চাকরির, যা অনেক চেষ্টার পরেও হচ্ছিল না । বুবুনের কাছ থেকে তার শিক্ষক রায়ান সম্পর্কে টুকটাক জেনে রায়ানকে আফজাল চৌধুরী তার অফিসে একটি বিশেষ ধরনের চাকুরির অফার দেয়। আর তা হলো আফজাল চৌধুরীর সকল স্টাফদের ভিতরের মুখোশ বের করে আনা।আর রায়ান অফিসে জয়েন করার কিছুদিন পরেই ঘটে এক বিভৎসকর ঘটনা। ঘটনার সূত্র ধরেই বের হয়ে আসে একে একে প্রতিটার মানুষের ভেতরকার আসল রুপ। কারো মুখোশের আড়ালে লুকায়িত জীবন, কারো অতিত, কারো সরলতা। বইটির শেষের দিকে রয়েছে এক বিশাল চমক
ব্যাক্তিগত মতামত
বইটি পড়ার সময় একমুহূর্তের জন্যও বইটি ছেড়ে উঠতে মন চাচ্ছিল না, এরপর কর হবে এই ভেবে। বইটি পড়া শেষ করার নিজেকে একটা প্রশ্ন করতে বাধ্য হয়েছি, আমাদের নিজেদের আশেপাশের মানুষদের বাইরে আর ভিতরে কী এক? কিংবা আমি নিজেও? আমার মনে হয় পাঠকের মনে এই প্রশ্নটি জাগাতে পেরে লেখক সার্থক।
উপন্যাসিক কিংবা কবি যাই বলি না কেন, একজন ফারজানা মিতু আপাদমস্তক একজন কথাশিল্পী, যার কাজ সহজ কথায় কঠিন সব অর্থ পাঠকের সামনে তুলে আনা। আর ফারজানা মিতুকে জিজ্ঞেস করা হলে উনি এক কথায় বলে আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি আমার বাবার মেয়ে। সত্যিই তাই বাবা নুরুল কিবরিয়ার সম্পূর্ণ প্রতিচ্ছবি ধারণ করে। চলেছে তারই সন্তান ফারজানা মিতু। কথাশিল্পী ফারজানা মিতুকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। পাঠক তার লেখার আকর্ষণীয় ক্ষমতায় ডুবেছেন প্রতিবার। পরকীয়া, বারবনিতা উপাখ্যান, তুমি আমার নীল ঝিনুকের গল্পসহ তিরিশটি বই পাঠকের হাতে হাতে। কখনাে প্রেম কখনও রুঢ় বাস্তব সবই উঠে এসেছে মিতুর লেখায়। এবারও নিজেকে ভেঙেছেন নতুনভাবে আবারও। পাঠকের হাতে তুলে দিচ্ছেন ‘মুখােশ। ফারজানা মিতুর ভাষ্যমতে নিজেকে নিজের নিজস্ব লেখনীর বাইরে অন্যভাবে স্বাগতম জানিয়েছে ২০২০ একুশে বইমেলায়।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....