বইঃ- নিকাব
লেখকঃ- মারুফ রুসাফী
রিভিউ : রাসেল মাহমুদ
নিকাব বলতে আমরা সাধারণত মেয়েরা যে নিকাব পড়ে নিজেদের সৌন্দর্য ঢেকে রাখে তাই বুঝি কিন্তু লেখক এইখানে নিকাব দ্বারা বুঝিয়েছেন আমাদের অনেক ক্ষমতাশালী নেতা যারা কিনা নিজেদের ভাল চরিত্র সামনে উপস্থাপন করে আসল চেহারাকে ঢেকে রাখে।
নিকাব গল্পের মূল চরিত্রে রয়েছে আলো এবং জেনিতা। জেনিতা এবং আলোর যে বন্ধুত্ব তাদের ভালবাসা জীবন মরণে একসাথে চলার যে বন্ধন যা বাস্তবতায় আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনৈতিক ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা তাদের দুইজনের পরিবার কে ধ্বংস করে দেয়।বইটিতে বর্তমান চরিত্রের আমাদের সমাজের কিছু ক্ষমতাসীন নেতাদের বৈশিষ্ট্য খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা আছে। পরকীয়ার মত ভয়াবহ যে ঘটনাগুলো রয়েছে একটি পরকীয়ার ফলে যেভাবে একটি সুন্দর গোছানো পরিবার ধ্বংস হয়ে যায় এই নিকাব বইয়ে বাস্তবতার আলোকে তা লেখা হয়েছে।
বইটি পড়ে আমি যে বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে পেরেছি তার কিছু উল্লেখ্য করতেছি
১.জেনিতা এবং আলোর যে গভীর বন্ধুত্ব
২.বাবার ক্ষমতায় বখাটে ছেলের নানান অপকর্ম
৩.ভদ্রের মুখোশ পড়া এলাকার ক্ষমতাসীন নেতা
৪.একটি গরিব পরিবারের করুণ চিত্র
৫.ক্ষমতাশীন নেতার নানান ষড়যন্ত্রের ফাদ
৬.ভাল মানুষের এই সমাজের দাম নেই
৭.পরকীয়ার মত সর্বনাশী ঘটনা ইত্যাদি
বইটি থেকে ভাল লাগার মত কিছু লাইন
এক. একজন মেয়ে মৃত্যুর চেয়ে বখাটে ছেলেকে অনেক বেশি ভয় পায়।
দুই. জগতের কিছু কিছু মানুষের জীবন ব্যর্থতা কিংবা দুঃখ দিয়েই ভরপুর থাকে।
তিন. বাস্তবতা সবসময় অবিশ্বাসের মত হয়,বিশ্বাস করা বড় কষ্ট হয়ে যায়।
চার. ঘোরের মায়া কেটে গেলেই তোমার চলে যাবার সন্ধ্যা নামে।
পাচ. মানুষের চেহারায় যদি পাপের ছাপ ভেসে ওঠত, তাহলে সুদর্শন সন্তানের চেহারা দেখে বাবা মায়েরাও চমকে উঠত।
ছয়. জীবনের লাইনগুলোতে কমা কিংবা দাঁড়ি পাল্টে গিয়ে কখন কোথায় বিরামচিহ্ন বসে যেতে পারে তা আমরা কেউ জানি না!
সাত. এ শহরের ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষগুলো কোনো সাধারণ মানুষ নয়, তাদের প্রতিটি জীবনের উপর বয়ে গেছে এক অনাকাঙ্ক্ষিত তুমুল ঝড় কিংবা এখনও বয়ে যাচ্ছে।
আট. আমাদের একজন মানুষ দরকার কেবল জটিয়ে ধরে অনেক কান্না করার জন্য।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....