পাহাড় এবং পাহাড়ি জীবন দূর থেকে যতটা সুন্দর দেখতে ভিতরে ততই বেদনায় আচ্ছন্ন।
ঘটনা আশির দশকের মাঝামাঝি সময় নিয়ে।দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনার ঝড় ওঠার আগেই ঝিমিয়ে পড়েছি।কিন্তু পাহাড়ের অবস্থা তার বিপরীত। খুন,হত্যা,অপহরণ, ধর্ষণ নিয়মিত ঘটনা।
পাহাড়ি-বাঙালিদের দ্বন্দ্ব তখন চরমে।
সেই সময়ে পাহাড়ে ঠাঁই হয় ডা.মানিকের। সরকারি কর্মচারীদের শাস্তি(মুলত উর্ধতন কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে যারা প্রতিবাদ করবে তাদের জন্য নেওয়া ব্যবস্থা) হিসেবে বদলি করা হতো পাহাড়ের দুর্গম সব জায়গায়।
বলা হয়,"পাহাড় কাউকে ফেরায় না,নিজের উদরে স্থান করে দেয় সবার। সব পাপ লুকিয়ে রাখে।"
সারাজীবন মায়ের মমতা খুঁজে বেড়ানো ডা.মানিক পাহাড়ে খুঁজে পান মমতা,ভালোবাসা,ভরসা। পাহাড়ের সেই মানুষদের সাথে নিজেও একসময় মিশে যান।
রহস্যময়ী নীল পাহাড়ের রহস্যের সমাধান একসময় পেয়ে যান।পরবর্তীতে গতানুগতিক জীবনে ফিরে যান তবে পাহাড়ের একটা আহ্বানের জন্য রোজ অপেক্ষায় থাকেন।
"একদিন চিঠি পায় মানিক। প্রেরকের ঘরটা খালি। যার চোখে সাঙ্গু নদী বয় সে পাঠিয়েছে চিঠিটি। তার চোখের জলে আকাঁবাকাঁ ঢেউ হয়েছে চিঠিতে।চিঠিতে কিছু লেখা নেই,শুধু অশ্রু আছে।সাদা চিঠিটি মেলে ধরে কলমে কালি ভরে মানিক লিখল, ক্রাসিমা"
[ছবি সংগৃহীত]
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....