অর্থনৈতিক সমস্যার ইসলামী সমাধান by সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
সূচীপত্র
চতুর্থ সংস্করণের ভূমিকা
- প্রসঙ্গ কথা
- ইসলামী অর্থনীতির সংজ্ঞা ও মূলনীতি
- ইসলামী অর্থনীতির রূপরখা
- সুদবিহীন অর্থনীতি বনাম ইসলামী অর্থনীতি
- ইসলামী ভোক্তার স্বরূপ
- ইসলামী অর্থনীতিতে আয় ও সস্পদ বন্টন
- দারিদ্র বিমোচন ও মানব সম্পদ উন্নয়নে যাকাত
- সুদ : অর্থনৈতিক কুফল ও উচ্ছেদের উপায়
- ইসলামী ব্যাংকিংএর রূপরেখা
- বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং
- ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক
- ইসলামী বীমা বা তাকাফুল : বৈশিষ্ট্য ও কর্মপদ্ধতি
- ইসলামী অর্থনীতি বাস্তবায়নের সমস্যাঃ প্রসঙ্গ বাংলাদেশ
- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যা ও ইসলামী সমাধান
- দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলামী সরকারের ভূমিকা
- বাংলাদেশে ইসলামী অর্থনীতি চর্চার প্রসারে প্রতিবন্ধকতা
- ইসলামী অর্থনীতি চিন্তার ক্রমবিকাশ
- ইসলামী অর্থনীতি পাঠসহায়ক বইপত্র
- ইসলামী ব্যাংক, বীমা ও ফাইন্যান্সিং প্রতিষ্ঠান
- পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র ও ইসলাম
ইসলামী অর্থনীতি সম্বন্ধে আমার প্রথম কৌতুহল সৃষ্টি হয় ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি, ছাত্রজীবনে। সে সময়ে ইসলামী অর্থনীতি প্রসঙ্গে দু-একটা বই ও প্রবন্ধ পড়লেও বিষয়টি সম্বন্ধে গভীরভাবে জানার আগ্রহের সৃষ্টি হয়নি। এ ব্যাপারে সত্যিকার অনুসন্ধিৎসু হয়ে উঠি ১৯৭০-এর দশকে, বিশেষতঃ ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর। এরপর বাংলা ভাষায় যেসব বই-পত্র পাওয়া গেল সেসব পড়ে কৌতূহলে নিবৃত্ত হলা না, বরং বেড়ে গেল। সেই সঙ্গে সৃষ্টি হলো অনেক প্রশ্নেরও। তার উত্তরের জন্যে হাত বাড়াতে হলো অন্যত্র। কিন্তু আরবী ও উর্দূ ভাষা না জানা এক্ষেত্রে হয়ে দাঁড়ালো বিরাট প্রতিবন্ধক। সেই সময়ে কয়েকজন সহৃদের সৌজন্যে আধুনিক অর্থনীতির আঙ্গিকে ইংরেজী ভাষায় লেখা বেশ কয়েকটি মূল্যবান বই পেলাম। সেগুলি পড়ে চমৎকৃত হলাম। বস্তুত: তখন হতেই ইসলামী অর্থনীতি বিষয়ে আমার সত্যিকার পড়া-লেখা ও চিন্তা-ভাবনা শুরু।
ইতিমধ্যেই আমাদের চেষ্টায় গড়ে উঠলো ইসলামিক ইকনমিকস্ রিসার্চ ব্যুরো। এর মাধ্যমে আরও গভীরভাবে ইসলামী অর্থনীতি জানার ও চর্চার সুযোগ হলো। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে সেমিনার ও সম্মেলনে বক্তৃতার আহবান আরও পড়াশুনা ও লেখালেখির সুযোগ করে দিল। ফলশ্রুতিতে ১৯৮০-১৯৮৬ সালের মধ্যে চারটি বই সমাজে সমাদৃতও হলো। এরপরও দেশের বিভিন্ন সাময়িক, মাসিক ও দৈনিক পত্রিকায় লেখাপ্রকাশিত হতে থাকলো। বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজীতেও কিছু গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হলো দেশী-বিদেশী জার্নাল ও সংকলণ গ্রন্থে।
বিগত এক যুগ ধরে প্রকাশিত সেসব প্রবন্ধ হতে নির্বাচিত তেরটি প্রবন্ধ এই বইয়ে সন্নিবেশ করা হয়েছে। িএর মধ্যে চারটি প্রবন্ধ প্রায় পূর্বের অবয়বে রয়েছে। আটটি প্রবন্ধ নতুন সংজোনসহ ব্যাপকভাবে পরিমার্জিত ও পুনর্লিখিত হয়েছে। একটি প্রায় পুরোটাই নতুন করে লেখা হয়েছে। এছাড়া পূর্বের কোথাও প্রকাশিত হয়নি এমন তিনটি বড় প্রবন্ধ সংযুক্ত হলো। গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রকাশিত ইংরেজী প্রবন্ধ থেকেও একটির অনুবাদ সংযোজিত হলো। উল্লেখ্য, সকল ক্ষেত্রেই সাম্প্রতিক তথ্য সন্নিবেশের সাধ্যমত চেষ্টার ত্রুটি হয়নি।
এ ধরনের একটি বই প্রকাশের জন্যে আমার স্ত্রী, বন্ধু-বান্ধব, শুভানুধ্যায়ী এবং অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে নিরন্তন অনুরোধ পেয়েছি। বিশেষ করে এদেশের শিক্ষাঙ্গনে যারা ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মী তাদের দাবী ছিল প্রবল। কিন্তু সময় ও সুযোগ, বিশেষ করে প্রকাশকের অভাব ছিল এক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধক। শেষ পর্যন্ত তাদের ইচ্ছা পূর্ণ হলো। এ জন্যে মহান রাব্বুল আলামীনের শুকরিয়া আদায় করছি। বইটি দেখে যাঁরা সবচেয়ে বেশী খুশি হতেন সেই আব্বা-আম্মা আজ আর দুনিয়াতে নেই। আল্লাহ গাফুরুর রহীম তাঁদের চির শান্তি দান করুন। ইসলামী অর্থনীতির বিবিধ প্রসঙ্গ বুঝতে ও জানতে বইটি তরুণ প্রজন্মের কাজে আসলে আমার শ্রম সার্থক বিবেচনা করবো।
শাহ্ মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান
১২ রবিউল আওয়াল, ১৪১৭
২৯ জুলাই, ১৯৯৬
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....