কৃষ্ণকান্তের উইল PDF বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় | Krisnokanter Wil By Bankim Chandra Chattapadhyaya

Title কৃষ্ণকান্তের উইল
Author বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
Publisher যুথিকা বুক স্টল (ভারত)
Quality হার্ডকভার
Edition Reprint, 2016
Number of Pages 80
Country ভারত
Language বাংলা

বই কৃষ্ণকান্তের উইল PDF বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর সকল বই পিডিএফ | Krisnokanter Wil By Bankim Chandra Chattapadhyaya books pdf download free
ছবি : কৃষ্ণকান্তের উইল

ছোট একটি উইলকে কেন্দ্র করে কত কিছুই না ঘটে গেলো গোবিন্দলাল, রোহিণী ও ভ্রমরের জীবনে! মানুষের ভেতরে কত কিছুরিনা লোভ-লালসা থাকে! তার মধ্যে সবচেয়ে বড় লোভ হয়তো সম্পত্তির, আর লালসা হয়তোবা রুপের। চাহিদার ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ই একে অপরের পরিপূরক।

অসাধারণ একটি বই যে বইতে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে সম্পদ মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়!ইহা মানুষকে উপরেও উঠায় আবার নিচেও নামাতে পারে। এছাড়াও সুন্দর কৌশলী হাতে দেখিয়ে দিলেন আরেকটি ঘটনা,তৃতীয় নারীর বর্তমানে সোনার সংসার এবং ভালোবাসা কিভাবে কয়লায় পরিনত হয়! যা বর্তমান সমাজে অহরহ ঘটে যাচ্ছে। 

যগতে রুপ শুধু ভোগ করার জন্যই, সুখ করার জন্য হলো গুন। যা গল্পের নায়ক প্রথমা স্ত্রীর মাধ্যমে অবগত হইলেন। আরো একটি বিষয় লক্ষ্য করলাম,,, আজকের দিনের মতো হয়তো সে সময়েও টাকার কাছে আইন নিতান্তই তুচ্ছ ছিলো। গল্প নায়ক দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুন করেও টাকার মাধ্যমে কিভানে খালাস পেয়ে গেলো। 

এ্যাটলাস্ট প্রশংসার সুরে বলতেই হয়!! একটি ঘটনা প্রবাহের মধ্যে দিয়ে অন্য একটি ঘটনা প্রবেশের ভিন্ন কৌশল যা আমাকে অচম্বিত করেছে, এক কথায় অসাধারণ ছিলো উপন্যাসটি।

🔍People Also Search On Our Website

  1. ইহা এমনি একটি বই ছিলো যা ধরার পরে শেষ না করা পর্যন্ত আর ছাড়তে মন চায়নি।
  2. কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসের নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।
  3. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস pdf download
  4. রোহিনী কোন উপন্যাসের চরিত্র
  5. কৃষ্ণকান্তের উইল epub
  6. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উপন্যাস কয়টি
  7. রাজসিংহ উপন্যাস pdf
  8. কৃষ্ণকান্তের উইল সিনেমা
  9. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় mcq

Crime Thriller

Desh

Dr. Abul Kalam Azad Bashar

Dr. Adham Ash Sharkabi

     বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর জীবনী

বই কৃষ্ণকান্তের উইল PDF বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর সকল বই পিডিএফ | Krisnokanter Wil By Bankim Chandra Chattapadhyaya books pdf download free
ছবি : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

Bankim Chandra Chattapadhyaya - জন্ম হয় বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে। তারিখ ২৬ জুন, ১৮৩৮ অর্থাৎ ১৩ আষাঢ় ১২৪৫। চট্টোপাধ্যায়দের আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপিতামহ রামহরি চট্টোপাধ্যায় মাতামহের সম্পত্তি পেয়ে কাঁঠালপাড়ায় আসেন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। রামহরির পৌত্র যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় পুত্র বঙ্কিমচন্দ্র। বঙ্কিমের পূর্বে তাঁর আরও দুই পুত্র জন্মান – শ্যামাচরণ ও সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বঙ্কিমের জন্মকালে তিনি সদ্য অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ডেপুটি কালেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন।
জন্মের পর ছয় বছর বঙ্কিমচন্দ্র কাঁটালপাড়াতেই অতিবাহিত করেন। পাঁচ বছর বয়সে কুল-পুরোহিত বিশ্বম্ভর ভট্টাচার্যের কাছে বঙ্কিমচন্দ্রের হাতেখড়ি হয়। শিশু বয়সেই তাঁর অসামান্য মেধার পরিচয় পাওয়া যায়। বঙ্কিমের কণিষ্ঠ সহোদর পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, “শুনিয়াছি বঙ্কিমচন্দ্র একদিনে বাংলা বর্ণমালা আয়ত্ত করিয়াছিলেন।” যদিও গ্রামের পাঠশালায় বঙ্কিম কোনওদিনই যান নি। পাঠশালার গুরুমশাই রামপ্রাণ সরকার বাড়িতে তাঁর গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হন। বঙ্কিমচন্দ্রের রচনা থেকে মনে হয় তিনি রামপ্রাণের শিক্ষা থেকে বিশেষ উপকৃত হন নি। 

তিনি লিখেছেন, “সৌভাগ্যক্রমে আমরা আট দশ মাসে এই মহাত্মার হস্ত হইতে মুক্তিলাভ করিয়া মেদিনীপুর গেলাম।”
১৮৪৪ সালে বঙ্কিমচন্দ্র পিতার কর্মস্থল মেদিনীপুরে আনীত হলে, সেখানেই তাঁর প্রকৃত শিক্ষার সূচনা হয়। মেদিনীপুরের ইংরেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনৈক এফ টিডের পরামর্শে যাদবচন্দ্র শিশু বঙ্কিমকে তাঁর স্কুলে ভর্তি করে দেন। এখানেও বঙ্কিম অল্পকালের মধ্যেই নিজ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন। পূর্ণচন্দ্রের রচনা থেকে জানা যায়, বার্ষিক পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট হয়ে টিড সাহেব বঙ্কিমকে ডবল প্রমোশন দিতে উদ্যত হলে যাদবচন্দ্রের হস্তক্ষেপে তিনি নিরস্ত হন। ১৮৪৭ সালে টিড ঢাকায় বদলি হয়ে গেলে সিনক্লেয়ার তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন; তাঁর কাছেও বঙ্কিম প্রায় দেড় বছর ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করেন।

১৮৪৯ সালে বঙ্কিমচন্দ্র পুনরায় কাঁটালপাড়ায় ফিরে আসেন। এইসময় কাঁটালপাড়ার শ্রীরাম ন্যায়বাগীশের কাছে বঙ্কিম বাংলা ও সংস্কৃতের পাঠ নেন। বঙ্কিমচন্দ্র খুব ভালো আবৃত্তিকারও ছিলেন। সংবাদ প্রভাকর ও সংবাদ সাধুরঞ্জন নামক সংবাদপত্রে প্রকাশিত বহু কবিতা তিনি এই বয়সেই কণ্ঠস্থ করে ফেলেন। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর বিরচিত বিদ্যাসুন্দর কাব্য থেকে বিদ্যার রূপবর্ণন ও জয়দেব প্রণীত গীতগোবিন্দম্ কাব্য থেকে ধীরে সমীরে যমুনাতীরে কবিতাদুটি তিনি প্রায়শই আবৃত্তি করতেন। এছাড়াও পণ্ডিত হলধর তর্কচূড়ামণির কাছে এই সময় তিনি মহাভারত শ্রবণ করতেন। হলধরই তাঁকে শিক্ষা দেন - “শ্রীকৃষ্ণ আদর্শ পুরুষ ও আদর্শ চরিত্র”। এই শিক্ষা তাঁর পরবর্তী জীবনে রচিত নানা রচনাতে প্রতিফলিত হয়েছিল।

Horror Book In Bangla

Humayun Ahmed

Iftekhar Sifat

Imam Mohiuddin An Nobobi

কিছুকাল পরে ১৮৪৯ সালে হুগলি কলেজে ভর্তি হন। এখানে তিনি সাত বছর পড়াশোনা করেন। হুগলি কলেজ পড়াকালীন ১৮৫৩ সালে জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে মাসিক আট টাকা বৃত্তি লাভ করেন। এই বছরেই সংবাদ প্রভাকরে কবিতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কুড়ি টাকা পুরস্কার লাভ করেন। হুগলি কলেজ অধ্যয়নকালেই বঙ্কিমচন্দ্র কবিবর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সংবাদ প্রভাকর ও সংবাদ সাধুরঞ্জনে গদ্য-পদ্য রচনা আরম্ভ করেন। পরবর্তীকালে তাঁর বহু রচনা এই দুই কাগজে প্রকাশিত হয়। হুগলি কলেজ ১৮৫৬ সালে সিনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় সব বিষয়ে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করে তিনি দুই বছরের জন্য কুড়ি টাকা বৃত্তি লাভ করেন। এই বছরই তিনি হুগলি কলেজ ছেড়ে আইন পড়বার জন্য কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ১৮৫৭ সালে জানুয়ারী মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এন্ট্রান্স বা প্রবেশিকা পরীক্ষা প্রবর্তন করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজের আইন বিভাগ থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরের বছর ১৮৫৮ সালে প্রথমবারের মতো বি.এ. পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট দশজন ছাত্র প্রথমবারে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। উত্তীর্ণ হয়েছিলেন কেবলমাত্র বঙ্কিমচন্দ্র ও যদুনাথ বসু।

তার বাবার মতো তিনিও সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্‌টার পদে। সারা জীবন তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। স্বীকৃতি স্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাকে দুটি খেতাবে ভূষিত করে - ১৮৯১ সালে রায় বাহাদুর খেতাব এবং ১৮৯৪ সালে কম্প্যানিয়ন অফ দ্য মোস্ট এমিনেন্ট অর্ডার অফ দ্য ইন্ডিয়ান এম্পায়ার খেতাব। তবে সরকারি কর্মকর্তা নয় বরং লেখক এবং হিন্দু পুনর্জাগরণের দার্শনিক হিসেবেই তিনি অধিক প্রখ্যাত।

শেষ জীবনে তাঁর স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ছিল না। ১৮৯৪ সালের মার্চ মাসে তাঁর বহুমূত্র রোগ বেশ বেড়ে যায়। এই রোগেই অবশেষে তাঁর মৃত্যু হয়, এপ্রিল ৮, ১৮৯৪ (বাংলা ২৬ চৈত্র ১৩০০ সাল)

কৃষ্ণকান্তের উইল pdf download
by বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ