লেখক : আব্দুল হামীদ ফাইযী আল-মাদানী
প্রকাশনী : আলোকিত প্রকাশনী
বিষয় : আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
পৃষ্ঠা : 232, কভার : পেপার ব্যাক
ভাষা : বাংলা
ছবি : তাক্বওয়া ও মুত্তাক্বীন |
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على إمام المتقين، نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين، ومن تبعهم بإحسان إلى يوم
বর্তমান বিশ্বে তাক্বওয়ার গুরুত্ব যে কত বিশাল তা বুঝাবার সাধ্য নেই। কিছু মানুষ ছাড়া সকল মানুষ তাক্বওয়া-হারা, সকলেই যেন দুনিয়ামুখী আখেরাত-বৈমুখ। সবাই যেন অর্থ, বাড়ি-গাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠার জন্য মহা প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যস্ত। সবাই উচ্চ ডিগ্রি অর্জন করতে চায়... দ্বীনের শিক্ষায় হোক বা দুনিয়াবী শিক্ষায়... উদ্দেশ্য হল একটা ভালো চাকরি পাওয়া। একটি পুরুষ ধনবতী সুন্দরী স্ত্রী চায়, একটি নারী ধনবান সুশ্রী স্বামী পেতে চায়। যেন দুনিয়াই সবকিছু, সকল প্রাপ্তির এখানেই শেষ। যেন পরকাল বলে কিছু নেই, মরণ হলেই সব শেষ। যেন কোন কিছুর হিসাব দিতে হবে না। প্রকৃত সাফল্য যেন পার্থিব জগতের সাফল্য।
অধিকাংশ মানুষের ধারণা, এ দুনিয়ায় যে বঞ্চিত সেই প্রকৃত বঞ্চিত। তাদের ধারণায় নেই যে, পার্থিব সুখ-সম্পদ ও বিলাসসামগ্রী লাভ করাই প্রকৃত সৌভাগ্যের কারণ নয়। তারা জানে না যে, প্রকৃত সুখী হল তাক্বওয়াবানেরা।
তারা জানে না যে তাক্বওয়ার গুরুত্ব কী? তাক্বওয়ার মাহাত্ম কী?
তারা জানে না যে, তাক্বওয়া হল বহু সমস্যার সমাধান। তাক্বওয়া হল ইসলামী সুখী পরিবার, শান্তিময় সমাজ গড়ার মূল বুনিয়াদ।
তাক্বওয়ার গুরুত্ব যে কত ব্যাপক তা বলে বুঝানো হয়ত কঠিন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা তার কালাম মহা গ্রন্থ আল কুরআন দিয়েছেনই মুত্তাক্বীদের হেদায়েতের জন্য। এমনকি ইবাদতের ক্ষেত্রেও আল্লাহ তাআ’লা বিধান প্রনয়ণ করে এর কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন যেন আমরা মুত্তাক্বী হতে পারি, আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হল, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর ফরয করা হয়েছিল। যাতে তোমরা পরহেযগার(মুত্তাক্বী) হতে পার। (কুরআনুল কারীম ২/১৮৩)
আল্লাহ তাআ’লা চান আমরা যেন মুত্তাক্বী তথা আত্মসংযমী, পরহেজগার হই, প্রকাশ্য এবং গোপনে তার বিধানগুলো মেনে চলি, সর্বাবস্থায় তাকে ভয় করে চলি, এমন সম্প্রদায়ের মত না হই যারা প্রকাশ্যে ভালো সাজে অথচ গোপনে আল্লাহকে ভয় করে না, তার বিধানের তোয়াক্কা করে না, এমন লোকদের তিহামা(মক্কা ও ইয়ামানের মধ্যবর্তী এক বিশাল লম্বা শ্রেণীবদ্ধ) পর্বতমালার সমতুল্য নেক আমলসমূহও মহামহিম আল্লাহ বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবেন। তাদের আমল তাদের কোনোই কাজে আসবে না (ইবনে মাজাহ- ৪২৪৫, হাদিসের মান- সহিহ)
আল্লাহ তাআ’লা আমাদের প্রকাশ্য এবং গোপনে তার তাক্বওয়া অবলম্বনের তাওফিক দান করুন। বক্ষমান গ্রন্থটিতে তাক্বওয়া বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি বইটা পাঠকদের জন্য বেশ উপকারী হবে, তাদের তাক্বওয়ার লেভেল কিছুটা হলেও উঁচু করবে ইন শা আল্লাহ।
তাক্বওয়ার গুরুত্ব যে কত ব্যাপক তা বলে বুঝানো হয়ত কঠিন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা তার কালাম মহা গ্রন্থ আল কুরআন দিয়েছেনই মুত্তাক্বীদের হেদায়েতের জন্য। এমনকি ইবাদতের ক্ষেত্রেও আল্লাহ তাআ’লা বিধান প্রনয়ণ করে এর কারণ হিসাবে উল্লেখ করেছেন যেন আমরা মুত্তাক্বী হতে পারি, আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হল, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর ফরয করা হয়েছিল। যাতে তোমরা পরহেযগার(মুত্তাক্বী) হতে পার। (কুরআনুল কারীম ২/১৮৩)
আল্লাহ তাআ’লা চান আমরা যেন মুত্তাক্বী তথা আত্মসংযমী, পরহেজগার হই, প্রকাশ্য এবং গোপনে তার বিধানগুলো মেনে চলি, সর্বাবস্থায় তাকে ভয় করে চলি, এমন সম্প্রদায়ের মত না হই যারা প্রকাশ্যে ভালো সাজে অথচ গোপনে আল্লাহকে ভয় করে না, তার বিধানের তোয়াক্কা করে না, এমন লোকদের তিহামা(মক্কা ও ইয়ামানের মধ্যবর্তী এক বিশাল লম্বা শ্রেণীবদ্ধ) পর্বতমালার সমতুল্য নেক আমলসমূহও মহামহিম আল্লাহ বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করবেন। তাদের আমল তাদের কোনোই কাজে আসবে না (ইবনে মাজাহ- ৪২৪৫, হাদিসের মান- সহিহ)
আল্লাহ তাআ’লা আমাদের প্রকাশ্য এবং গোপনে তার তাক্বওয়া অবলম্বনের তাওফিক দান করুন। বক্ষমান গ্রন্থটিতে তাক্বওয়া বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি বইটা পাঠকদের জন্য বেশ উপকারী হবে, তাদের তাক্বওয়ার লেভেল কিছুটা হলেও উঁচু করবে ইন শা আল্লাহ।
Available On Rokomari & Wafilife
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....