তোমার দেওয়া আমার কোনো নাম ছিল না লেখক : আমিনুল ইসলাম | Tomar Dewa Amar Kono Naam Celona [pdf short]

বইয়ের নাম: তোমার দেওয়া আমার কোনো নাম ছিল না
লেখক: সারিয়া আবেদীন ইতু , সাইফুল্লাহ মনসুর ইসহাক
বইয়ের ধরন: ক্রাইম থ্রিলার
প্রচ্ছদ: আদনান আহমেদ রিজন
প্রকাশনা: সতীর্থ প্রকাশনা
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৫২

বইঃ তোমার দেওয়া আমার কোনো নাম ছিল না লেখক : আমিনুল ইসলাম বই | Tomar Dewa Amar Kono Naam Celona [pdf short] রোমান্টিক উপন্যাস সমগ্র দেখুন ও পিডিএফ
কভার ছবি : তোমার দেওয়া আমার কোনো নাম ছিল না

তরুণ থ্রিলার লেখকদের মধ্যে সম্প্রতি আমিনুল ইসলামের লেখা আমাকে বেশি টানে। এর সহজ ব্যাখ্যা বোধহয় তার লেখাতে দেখা মেলে। টানটান উত্তেজনা নিয়ে কাহিনীর শেষ প্রান্তে নিয়ে পিলে চমকানোর মতো ঘটনার শতভাগ নিশ্চিত করায় তার লেখার লেখনশৈলী বলে আমি মনে করি। 'তোমার দেওয়া আমার কোনো নাম ছিল না' বইটি তেমন একটি বই। শুরুতে ঘটনাগুলো খাপছাড়া লাগছিলো তবে এগিয়ে নিয়ে গেছে। খাপছাড়া লাগলে যে পড়তে ইচ্ছে করে না ; তেমনটা অনুভূত হয়নি। টানা পড়ে গেছি শেষ পর্যন্ত। আর আমিনুল ইসলামের লেখনশৈলীতে ভিন্নতা আছে, সেটা শুধু তার কয়েকটা বই পড়লে ধরা পড়বে। 

সমালোচনা 

বইটির মোটিফগুলো আমার কাছে স্ট্রং মনে হয়নি। এখানে মনে না হওয়ার কারণ, প্রথমে যে ব্লাস্ট নিয়ে শহরে হৈচৈ পড়ে সেরকম বড়সড় কোনো ক্রাইমকে হাজির হতে দেখা যায়নি। জাস্ট বিশ্বাসঘাতকতা। এটা আবার লেখকের লেখায় আমার অতিরিক্ত আশার ফলও হতে পারে। 

আলোচনা

সবচেয়ে মজার বিষয়টি হলো খুনীকে আমি মাঝপথে সন্দেহ করলেও লেখক শেষপ্রান্তে গিয়ে আমার ধারণাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে হতাশ করে। কিন্তু শেষে চমকিয়ে আবার ধারণকৃত খুনীকেই খুনী হিসেবে হাজির করে! এ দিকটি আমাকে বইটি পড়ার সার্থকতা ফিল আপ করে। তবে একটি প্রশ্ন থেকে যায়, আজমল হোসেন কেন নীরব ছিলেন? অর্ক যে মাপের গোয়েন্দা আমি 'বাটারফ্লাই ইফেক্ট' এ পেয়েছি তার নজরে প্রদীপের বিষয়টি আসেনি কেন? এসব প্রশ্ন নিয়ে আমাকে হয়তো পরবর্তী পার্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

এক মলাটে দুই বইয়ের মধ্যে একটি হলো ' তোমার দেওয়া আমার কোনো নাম ছিল না '। আমিনুল ইসলাম তার স্বাক্ষর রেখেছে এ নভেলায়। অপর মলাটের ' দেজা ভ্যু ' পাঠ শেষ করবো শীঘ্রই। 

থ্রিলার ইজ অ্যা জার্নি। দিজ সেনটেন্স অ্যাবসুলেটলি রাইট ফর আমিনুল ইসলাম'স রাইটিং।

তোমার দেওয়া আমার কোনো নাম ছিল না রিভিউ ২

মানুষের একটা সাইকোলজি হলো যেকোনো ঘটনাকে জেনারালাইজ করতে চাওয়ার প্রবণতা। আমরা কোনো ঘটনাকে পুরো বিশ্লেষণ না করেই জেনারালাইজ করে একটা ক্যাটাগরিতে ফেলে দিতে চাই।


কাহিনি সংক্ষেপ

সারাদেশ জুড়ে শুরু হয়েছে খুন। খুনের বিশেষত্ব হচ্ছে, ভিক্টিমরা সবাই নারী এবং খুনের ঘটনাগুলো ঘটছে ঠিক ছয়মাস পরপর। তবে এছাড়া খুনগুলোর মাঝে আর কোনো কানেকশন বের করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ খুনগুলো কোন নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হচ্ছে তা এখনো বের করা সম্ভব হয়নি গোয়েন্দা বিভাগের ক্ষেত্রে। আর খুনগুলো কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় না বরং খুন হচ্ছে একবার দেশের একপ্রান্তে তো আরেকবার অন্যপ্রান্তে। ধরা হচ্ছে এটা কোনো সিরিয়াল কিলারের কাজ। আপাতত তাকে ডাকা হচ্ছে- সিক্স মান্থ সিরিয়াল কিলার!
ভার্সিটির তিনবন্ধু- ফারহান, নীলা এবং প্রদীপ। তারা নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের হতাশা, ব্যর্থতা আর কষ্ট ভুলতে যায় একজন দূতের কাছে। দূত তাদেরকে সহায়তা করেন কষ্ট থেকে বের হতে। তারাও দূতকে বিশেষ শক্তিধর বলেই চিন্তা করে। এরই মধ্যে কয়েকবছর ধরে নিখোঁজ থাকা ফারহানের বাবা ফিরে আসে তার কাছে। পূর্বে তিনি লেখক ছিলেন। আবারো শুরু করেন লেখালিখি আর জনরা হিসেবে বেছে নেন থ্রিলার। 
অন্যদিকে, সিক্স মান্থ সিরিয়াল কিলারের রহস্য উদ্‌ঘাটন হতে না হতেই শুরু হয় নতুন খুন। এবার আর ছয় মাস পরপর না খুন হচ্ছে দ্রুত এবং লাশগুলোকে করা হচ্ছে পাঁচ টুকরো। তবে দুইধরনের খুনের মধ্যে একটা সাদৃশ্য আছে। দুই ক্ষেত্রেই ভিক্টিম কেবল নারী। অবাক করার মতো বিষয় হলো, ফারহানের বাবার লেখা থ্রিলার গল্পের ভিক্টিমদের সাথে মিলে যাচ্ছে এবারের খুন হওয়া নারীদের নাম-ধাম পরিচয়। 

পাঠ প্রতিক্রিয়া

ক্রাইম থ্রিলার হিসেবে যথেষ্ট থ্রিল পেয়েছি বইটাতে। বইটা বলতে গেলে খুবই ফাস্ট রিডিং। একের পর কাহিনি ঘটে চলে খুব দ্রুত। কাহিনির মাঝেও ছিল প্রচুর টুইস্ট। 

বইটা পড়ে মনে হলো খুব তাড়াতাড়িই শেষ হলো। আরেকটু বড়ো হলে ভালো লাগতো। গল্পের প্লট, চরিত্রায়ন খুব দ্রুত হয়েছে বলেই মনে হয়েছে। অনেকের কাছে এটাই ভালো লাগে। আমার কছেও ভালোই লেগেছে। তবে মনে হয়েছে আরেকটু সময় নিয়ে চরিত্রগুলো তৈরি করলে আরেকটু মজা নিয়ে পড়তে পারতাম। 

লেখকের লেখার ধরন, বর্ণনা করার পদ্ধতি ভালো লেগেছে। কোথাও মনে হয়নি কাহিনিকে টেনে লম্বা করা হয়েছে। তো এক্ষেত্রে বইটা সুখপাঠ্য বটেই। 
তোমার দেওয়া আমার কোনো নাম ছিল না বইটির Short PDF দেখতে অথবা বইটি ক্রয় করতে এখানে ক্লিক করুন
শেষের দিকের প্রতিটা ঘটনা প্রায় চমকে দেওয়ার মতোই ছিল। 

তবে, কিছু বিষয় আমার কাছে ঠিক পরিষ্কার নয়। দুই ধরনের খুন হলো। খুনীও দুজন। একজন ধরা পড়লো। দোষও স্বীকার করলো। কিন্তু শেষের তিনটে খুন যেগুলো তিনি করেননি সেগুলোর কথা কেন বললেন না? কেন পুলিশ/গোয়েন্দার কাছে বললেন না, আগের খুনগুলো তিনি করলেও পরবর্তী খুনগুলো তিনি করেননি?
আবার, কাহিনির শেষে বলা হয়েছে, ফারহানের বাবাকে গল্পের আইডিয়া এবং চরিত্রের সন্ধান দিয়েছিল প্রদীপ। অথচ ফারহানের বাবাকে গ্রেফতার করা হলে তিনি কেন প্রদীপের নাম বলেননি? 

বইয়ের প্রচ্ছদ ভালো লেগেছে৷ কনসেপ্টটা দারুণ ছিল। 

এক মলাটে দুই গল্প কনসেপ্টটা ভালো লেগেছে। বইয়ের পেজও মোটামুটি ভালোই ছিল। তবে বাইন্ডিং আরেকটু ভালো হতে পারতো। 

বি.দ্র: The book was gifted by Aminul IsLam vai. thanks vaia for this gift...

Review Credit 💕 Arpita Kundu

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ