আশ্চর্য ঝোলা বই রিভিউ লেখক: মিনা শারমিন

নাম: আশ্চর্য ঝোলা 
লেখক: মিনা শারমিন

জীবন এক গোলকধাঁধা যেন... 
                 বহুবছর ধরে যে চেনা নিশ্চিতভাবে কি বলা যায় তাকে সম্পূর্ণরূপে চিনি? কখনও কি এমন হয় না যে চেনা অচেনা আর অচেনা চেনা হয়ে যায়... 

               ● আখ্যান —

অদিতি চিন্তিত মনে বসে আছে ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশনে। একদিকে পরীক্ষা তো আর একদিকে বিয়ের চিন্তা। ঘুমও হচ্ছে না। হঠাৎ মায়ের ফোন পেয়ে চিন্তায় ছেদ পড়ে অদিতির। মাকে উৎকন্ঠিত মনে হয়! বাসায় কিছু একটা হয়ে গেছে কিন্তু কী?

সময় যত যায় অদিতির ভাবনা ততই বাড়ে। এমন সময় হঠাৎই উদয় হয় এক রহস্যময় ব্যক্তি ঝোলা হাতে। অনুরোধ করে বসে অদিতিকে তার ঝোলাটি রাখতে! অস্বীকৃতি জানায় অদিতি কিন্তু তার অগোচরে রেখে যায় ঝোলাটি। অন্যের আমানত অদিতির জীবনে কী পরিণতি আনবে? 

               ● পর্যালোচনা ও প্রতিক্রিয়া —

কলেবরে ছোট গল্প "আশ্চর্য ঝোলা"। সমস্যায় পড়ে অনেকে ভুল করে ফেলে আবার পরে অনুশোচনায় পুড়ে মরে। আবার অনেকেই আমরা সম্পূর্ণ ঘটনা না জেনে নিজের দৃষ্টিকোণের বিচারে একজনকে দোষী বানিয়ে ফেলি। আদোও সে কোনো দোষ করেছে কিনা জানার চেষ্টাও করি না। গল্পের কাহিনীর ভিত্তি মূলত এটাই। 

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র অদিতি যখন সমস্যায় জর্জরিত তখন তার জীবনে আসে ঝোলা রহস্য। কিন্তু এই ঝোলা আশির্বাদ হবে নাকি অভিশাপ জানতে পড়তে হবে "আশ্চর্য ঝোলা"। গল্পের কিছু জিনিস খটকা লেগেছে। অদিতি যাকে বিয়ে করবে তার নাম তার চেহেরা জানে না বিষয়টা কেমন জানি! একজন আধুনিক মেয়ে বিয়ের কাজও করছে কিন্তু যাকে বিয়ে করবে তার সম্পর্কে কিছু জানে না! আবার ঝোলায় কী আছে না দেখেই বাসায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়টাও ঠিক মনপুত হয়নি। তবে লাস্টের টুইস্টটা বেশ ভালো লেগেছে। 

লেখনী এককথায় সুন্দর ও সাবলীল। গল্পের বর্ণনাও আকর্ষনীয়। তবে বারবার 'বর' না বলে নির্দিষ্ট কোনো নাম দিয়ে সম্বোধন করলে ভালো হতো। 

ছোট গল্প পড়তে যাদের ভালো লাগে তারা "আশ্চর্য ঝোলা" পড়ে দেখতে পারেন। ভালো লাগবে আশা করি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ