মাদারিজুস সালিকীন : ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম জাওযিয়্যাহ রহ. | Madarujis Salikin

  • বই : মাদারিজুস সালিকীন (প্রকাশিতব্য)
  • লেখক : ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম জাওযিয়্যাহ রহ.
  • অনুবাদ : মাওলানা আসাদ আফরোজ
  • প্রকাশনী : Maktabatul Bayan
  • Review Credit 💕 Abdullah Al Maruf
Cover image : মাদারিজুস সালিকীন


মা’রিফাতের আলামত ও নিদর্শন
কেউ কেউ বলেছেন, ‘আল্লাহর মা’রিফাত প্রাপ্তির একটি আলামত হলো : আল্লাহর ভয় হাসিল হওয়া। যার মা’রিফাত বা আল্লাহর ব্যাপারে জানাশোনা যত বেশি হবে, আল্লাহর ভয়ও তার তত বেশি হবে।’ (আর-রিসালাতুল কুশাইরিয়্যা, ২/৪৭৭।)

আরিফ বা আল্লাহ সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তির কিছু আলামত হলো : সে কারও কাছে কোনোকিছু চাইবে না, কারও সাথে ঝগড়ায় জড়াবে না, কাউকে গালি দেবে না, কারও ওপর নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দেখবে না এবং কারও ওপর তার কোনো হক নজরে পড়বে না।

তার আরও কিছু নিদর্শন হলো : সে হারিয়ে যাওয়া আর না-পাওয়া কিছুর জন্য হাহুতাশ করবে না এবং কোনোকিছুর প্রাপ্তিতে উল্লসিতও হবে না। কারণ সে বস্তুজগতের প্রতি এ দৃষ্টিভঙ্গিই রাখে যে, এর সবকিছু নশ্বর ও ধ্বংসশীল। কেননা এই জগৎ তো প্রকৃতপক্ষে ছায়া আর কল্পনারই নামান্তর।

জুনাইদ বাগদাদি রা. বলেছেন, ‘আরিফ ততক্ষণ পর্যন্ত আরিফ হতে পারে না, যতক্ষণ-না সে জমিনের মতো হয়; যার ওপর দিয়ে সৎ-অসৎ সবাই অতিক্রম করে এবং যতক্ষণ-না মেঘের মতো হয়; যা সবাইকেই ছায়া দান করে এবং যতক্ষণ-না বৃষ্টির মতো হয়; যা পছন্দের-অপছন্দের সবাইকেই সিক্ত করে।’ (আর-রিসালাতুল কুশাইরিয়্যা, ২/৪৮০।)

ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু মুআয রা. বলেছেন, ‘আরিফ বা মা’রিফাতের অধিকারী ব্যক্তি পার্থিব জগৎ থেকে বের হয়ে যায়। দুটি বিষয়ে সে কখনো অবহেলা করে না : ১. নিজের ওপর ক্রন্দন, ২. রবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন।’ (ইবনুল মুলাক্কিন, তবাকাতুল আউলিয়া, ৩২৪।)

এটি অনেক সুন্দর ও অর্থবহ একটি কথা। কারণ এটি নিজের দোষত্রুটির পরিচয়ের প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করে এবং আল্লাহ তাআলার বড়োত্ব, মহত্ত্ব ও পূর্ণাঙ্গতারও প্রমাণ বহন করে। তাই সে সবসময় নিজের ওপর কান্না করতে থাকে আর আল্লাহ তাআলার প্রশংসায় রত হয়।

মাদারিজুস সালিকীন লেখক : ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম জাওযিয়্যাহ রহ. বইটির হার্ডকপি লিংক ⤵️ 
Coming Soon.......

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ