মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া pdf : আগাথা ক্রিস্টি | Murder in Mesopotamia by Agatha Christie

মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া - আগাথা ক্রিস্টি ও এরকুল পোয়ারোর মেলবন্ধনে যে উচ্ছ্বাসিত অনাবিল সুখের ছোঁয়া পাঠক অনুভব করে সেটা থেকে বঞ্চিত থাকাটা বরঞ্চ অদ্ভুত ঠেকে। "কুইন অব ক্রাইম" খ্যাত আগাথা ক্রিস্টি'র সৃষ্টির অন্যতম আকর্ষিত চরিত্রের মধ্য ডিটেকটিভ 'এরকুল পোয়ারো' হচ্ছে অন্যতম। শার্লক হোমসের পরে হয়তো প্রাইভেট গোয়েন্দা হিসেবে এরকুল পোয়ারো নাম অনায়াসে লিস্টের উপরের সারিতে থাকবে। এরকুল পোয়ারো আত্মপ্রকাশ ঘটে "দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ারর্স অব স্টাইল" উপন্যাস দিয়ে ১৯২০ সালে। সেই সময়টা অর্থাৎ ১৯১৮-১৯৩০ এই সময়টাকে গোয়েন্দা কাহিনীর সোনালি যুগ বলে আখ্যায়িত করা হয়। 
  • বইঃ মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া | আগাথা ক্রিস্টি 
  • জনরাঃ মিস্ট্রি, ক্রাইম, ডিটেক্টিভ ফিকশন 
  • প্রথম প্রকাশঃ জুলাই ২০১৭
  • অনুবাদঃ রুদ্র কায়সার
  • প্রকাশনীঃ ভূমি প্রকাশ | মূল্যঃ ২২০ টাকা মাত্র

আগাথা দিদি পোয়ারোকে নিয়ে লিখেছেন প্রায় ৩৪টি উপন্যাস এছাড়া নাটক ও ছোট গল্পগুলোতে এই গোয়েন্দার প্রবেশ সদা আমন্ত্রিত ও পাঠক নন্দিত ছিলেন। পোয়ারোকে বেলজিয়ামের বাসিন্দা বলে পরিচিত করিয়েছেন, স্বভাবের দিক থেকে তিনি ভীষণ সময়ের কদর রেখে চলেন। "মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া" হচ্ছে এরকুল পোয়ারো সিরিজের ১৪ নং উপন্যাস, এইখানে পোয়ারোকে নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা না থাকলেও লেখিকা দেখিয়েছেন কিভাবে পোয়ারো অতি সূক্ষ্মতর বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখে রসহ্যর সমাধান করেন। 

পূর্বে আগাথা দিদির বই সম্পর্কে বিশেষ অভিজ্ঞতা না থাকলেও থৃলার ও রহস্য জগতের আমি নিয়মিত একনিষ্ঠ ভক্ত। আপনি যখন প্রচুর পরিমাণে থৃলার সিনেমা, সিরিজ দেখবেন ও বই পড়বেন অনেক কিছু নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারবেন বিশেষ করে খুন ও খুনীর মোটিভ আপনাকে বিশেষ ভাবে আগ্রহ তৈরি করাবে। "মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া" তেমনি দুর্দান্ত সৃষ্টি যেটা পাঠকদের মস্তিষ্কে সেই খুন বা খুনীর মোটিভ গুলো বেশ যুক্তি দিয়ে বুঝানো হয়েছে, আমি বলবো এই উপন্যাসে থৃলার যতোটাই তার চাইতে একজন খুনীর মোটিভ বা কি কারণে খুন করেছে সেটা বেশ আকর্ষণীয় ভাবে গুছানো ছিলো এবং সেটার সম্পূর্ণ ক্রেডিট অবশ্যই কুইন অব ক্রাইম আগাথা দিদির!

_ ফ্ল্যাপ থেকে আখ্যানভাগ তুলে ধরছি

প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. এরিক লিডনারের ধারণা তার স্ত্রী লুইস লিডনার সবসময় ডুবে থাকেন উদ্ভট সব ভাবনা আর আতঙ্কের মধ্যে। একটি বিচ্ছিন্ন হাত, জানালায় টোকা দেওয়া মৃত মানুষের মুখ—এসব কাল্পনিক জিনিস হলো তার ভীতির কারণ। তাই তার দেখভালের জন্য ডা. রিলির অনুরোধে নিয়োগপ্রাপ্ত হোন নার্স অ্যামি লিথেরান। 

ইরাকি মরুর যে বিচ্ছিন্ন স্থান হাসানিয়াতে খনন কাজ চলছে, সেখানে নিশ্চিতভাবেই মিসেস লিডনার নিরাপদ। এমনকি তাদের সাথে থাকা অধিকাংশই পুরনো সহকর্মী আর বন্ধু। তারপরও সবখানেও কেমন যেন দুশ্চিন্তা, অস্বস্তি। বাতাসেও গুনগুন করছে অশুভ কিছু। 

নার্স লিথেনার আসার পর রহস্যজনকভাবে খুন হয়েই গেল 
একজন।

সেসময় সিরিয়া থেকে হাসানিয়া হয়ে বাগদাদে যাচ্ছিলেন এরকুল পোয়ারো। ডা. রিলির অনুরোধে তিনি কেসটা হাতে নিতেই সন্দেহের তীর চালিয়ে দেন সবার দিকে। এখন তীরটা শেষ পর্যন্ত বিদ্ধ করবে কাকে? 

মিসেস লিডনার আসলে কার বা কীসের জন্য আতঙ্কিত? খুন হবার ঠিক দুদিন আগে বাড়ির সামনে উঁকিঝুঁকি দিতে দেখা অচেনা আগন্তুকটি আসলে কে? লিপিবিশারদের রহস্যজনক আচরণের ব্যাখ্যা কী? ডা. রিলির মেয়ে শিলা রিলিই বা মিসেস লিডনারের ওপর এত খ্যাপা কেন? 

● পাঠ প্রতিক্রিয়া ও পর্যালোচনা

বইয়ের শুরুটা প্রকাশক ও অনুবাদকের কিছু বিশেষ বার্তা ও সুখকর স্মৃতিকথার মাধ্যমে শুরু, বুঝে ফেলেছিলাম বেশ দারুন একটা রোমাঞ্চকর রাইডে বসে রয়েছি যেটা আমার আত্মাকে খানিকটা কাঁপিয়ে দিতে পারে। শুনেছিলাম আগাথা দিদির গল্পে ঢুঁকতে নাকি খানিকটা সময় লাগে অর্থাৎ হুট করে হুকড হতে পারা যায় না। তবে বাস্তব কথা, আমি অধ্যায় এক থেকে রীতিমতো হুকড হয়ে গল্পের আভরণে নিজেকে ঢেকে নিয়েছি। পুরো উপন্যাসটা আপনি পড়ার সাথে কল্পনা করতে পারবেন সুন্দরী ও বিচক্ষণ নার্স 'অ্যামি লিথেরানের" জবানবন্দিতে!

ইরাকি মরুর স্থান "হাসানিয়াত" সম্পর্কে জ্ঞান ও বিস্তারিত ধারণা, সেই সাথে প্রত্নতাত্ত্বিকদের জীবনের একরোখা কাহিনী আপনার কল্পনার চেতনা গুলোকে বেশ অভিভূত করবে। উপন্যাসের সবচেয়ে সূক্ষ্ম দিকটা হচ্ছে 'বিস্তারিত' আলোচনা। আগাথা দিদি প্রত্যকটা ঘটনা, চরিত্রের বিশ্লেষণ এমনকি প্রতিটা বিবরণ এতোটা নিঁখুত ভাবে লিখেছেন যে সেখানে বিদ্যমান শৈল্পিক ছোঁয়াটা আমাকে বেশ প্রলুব্ধ করেছে। আমি আকৃষ্ট হয়ে বইয়ের মধ্য বুঁদ হয়ে থেকেছি পুরোটা সময় জুড়ে, দার্শনিকতার সাথে পরিচয় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা লেখিকার কল্পনাপ্রবণ উপন্যাস আপনাকে বাস্তবে ভাবতে একপ্রকার বাধ্য করেছে। 

আমি যখন বইয়ের ১৭৮ পৃষ্ঠাতে অবস্থান করেছি তখন অনুমেয় করে নিয়েছি আসলে খুনী কে ছিলো! এই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছি অতিরিক্ত ছোঁকছোঁক অভ্যাস নিজের মধ্য পূর্ব থেকে তৈরি করে রেখেছিলাম বলে। আসলেই ইচ্ছে করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম পোয়ারোর সাথে নিজের চিন্তাগুলোকে সংযোজিত করতে! আমি হতাশ হয়নি আপনিও হবেন না, বরঞ্চ আপনি যদি কোনভাবে অনুমান করতে পারেন কে খুনী তাহলে খিদেটা বেড়ে গিয়ে দিগুণ দাঁড়াবে। নার্স লিথেরানের ভাষ্যমতে এতোটা সুন্দর উপস্থাপনা আপনাকে বেশ প্রভাবিত করবে! 

বইটিকে আমি নারী কেন্দ্রিক উপন্যাস হিসেবে বিশেষভাবে আলোচনাতে রাখবো, নারীদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়বস্তু লেখিকা খুব সুনিপুণ ভাবে আলোচনা করেছেন অনেকটা খোলামেলা ভাবে। তবে উপন্যাসে অনেক বিশেষ নারী চরিত্রের দেখা পাবেন, তাদের আলাদা ভাবে বিশেষ গুণ ও চিন্তাশক্তিকে বাস্তবিক জীবনের সাথে আপনি অনায়াসে তুলনা করতে পারবেন কারণ লেখক নিজে একজন নারী! 

চরিত্র নিয়ে বিশ্লেষণ আমার পছন্দ না, কারণ হচ্ছে স্পয়লার চলে আসে। আমি জানি কোন চরিত্রের কার্য কেমন সেটা আমার মস্তিষ্কে দারুন ভাবে লেগে রয়েছে তাই ছোট আকারে কিছু লিখতে গেলে মনে হবে রিভিউ পাঠকদের নিরুৎসাহিত করছি তাই শুধুমাত্র এরকুল পোয়ারো ও নার্স লিথেরান নিয়ে হালকা বক্তব্য ব্যাক্ত করে নিজেকে সংযত রাখলাম। আমি চাই আপনি নিজে এই রহস্য ঘেরা আবদ্ধ জায়গাতে ঢুঁকে আবিষ্কার করুণ। আনন্দ ও সামনে থাকা ভয়, রহস্য প্রতিটা স্টেপের সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিয়ে অ্যাডভেঞ্জার জার্নিটা উপভোগ করুন। 

আগাথা দিদির এই মেসোপটেমিয়াতে আপনাকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এই মেসোপটেমিয়া সম্পর্কে আপনাদের হালকা ধারনা দিয়ে রাখি। "মেসোপটেমিয়া" অর্থ হচ্ছে ‘দুটি নদীর মধ্যবর্তী ভূমি’ এইটা বর্তমান ইরাকের টাইগ্রিস বা দজলা ও ইউফ্রেটিস বা ফোরাত নদী দুটির মধ্যবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। মেসোপটেমিয় সভ্যতা পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার অন্যতম। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ হতে খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের মধ্যে মেসোপটেমিয়ায় অতি উন্নত এক সভ্যতার উম্মেষ ঘটেছিল। 

খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০ সালের দিকে মেসোপটেমিয়া পার্সিয়ানদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল কিন্তু পরে এই ভূখন্ডের আধিপত্ত নিয়ে রোমানদের সাথে যুদ্ধ হয় এবং রোমানরা এই অঞ্চল ২৫০ বছরের বেশি শাসন করতে পারে নি। । দ্বিতীয় শতকের শুরুর দিকে পার্সিয়ানরা এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং সপ্তম শতাব্দী পর্যন্ত এই অঞ্চল তাদের শাসনেই থাকে, এরপর মুসলিম শাসনামল শুরু হয় । মুসলিম খিলাফত শাসনে এই অঞ্চল পরবর্তীতে "ইরাক" নামে পরিচিতি লাভ করে। 

● অনুবাদ, প্রচ্ছদ, মলাট ও বাইন্ডিং

অসাধারণ উপন্যাসটি রুপান্তর করেছে "রুদ্র কায়সার" ভাই। উনার প্রথম অনুবাদ পড়ে রীতিমতো মুগ্ধ। এতোটা সাবলীল বর্ণনা উনি করেছেন যেটা পড়ার আগ্রহ ও গল্পের প্রেক্ষাপটের সাথে নিজেকে মিশিয়ে দিতে কোনপ্রকার কষ্ট পোহাতে হয়নি। এই ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ উনার একান্ত প্রাপ্য! চালিয়ে যেতে থাকুন এইভাবে আরো অনেক অনুবাদ তৈরি করে, যাতে সাবলীল ও সুন্দর ভাবে ভবিষ্যতে আরো বেশি অনুবাদ পড়তে পারি এইজন্য আমার তরফ শুভকামনা রইলো ভাই। আগাথা ক্রিস্টি'র প্রতি বিশেষ সম্মান ও উপন্যাসের প্রতি মুগ্ধতা থেকে এইরকম অনুবাদ উপহার দেওয়াটা আসলেই চ্যালেঞ্জের ছিলো আপনি সেইখানে অনায়াসে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

সব অনুবাদকদের প্রতি আমি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি, এনারা না থাকলে বিদেশী লেখকের বইয়ের আসল স্বাদ নিজ মাতৃভাষাতে কখনো পেতাম না। ভালোবাসা ও দোয়া সবসময় থাকবে উনাদের প্রতি। 

প্রচ্ছদ অলংকরণ করেছেন "রাজিবুর রহমান রোমেল" ভাই এবং অক্ষর অলংকরণে সহযোগিতা করেছেন প্রিয় "সজল চৌধুরী" ভাই! দুইজনের মিলনায়তনের প্রচেষ্টাতে উপন্যাসের আক্ষরিক বিষয় বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে, তবে উপন্যাসের শেষ দিকে এসে আপনি এই প্রচ্ছদের বিশেষ দিকটা বুঝতে সক্ষম হবেন সেই পর্যন্ত প্রচ্ছদ শুধু উপভোগ করে যেতে হবে। 

মলাট বেশ যুতসই তবে কুরিয়ারে অনেকটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাই স্কচটেপ দিয়ে কোনাতে জোড়াতালি মেরে দিয়েছি যাতে আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হয়ে যায়। বাদবাকি মলাট দারুন এবং আকর্ষণীয়। বাইন্ডিং কিছুটা ঢিলেঢালা মনে হলেও পড়ার সময় তেমন অসুবিধা হয়নি। সেদিক থেকে শান্তি বিরাজমান। 

● আগাথা ক্রিস্টি 

বিখ্যাত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ড্যাম আগাথা মেরি ক্লারিসা ক্রিস্টি সর্বদা "আগাথা ক্রিস্টি" নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি "মেরি ওয়েস্টম্যাক্ট" ছদ্মনামে বেশ কিছু লিখালিখি করেছেন তিনি। 

আগাথা ক্রিস্টির জন্ম ১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে। রহস্য উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্ভাবনী লেখিকাদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। স্যার আর্থার কোনেন ডয়েলের পরেই তাঁর স্থান। "দ্য কুইন অফ ক্রাইম" (অপরাধ উপন্যাসের রাণী বা রহস্য সাম্রাজ্ঞী) নামেও তিনি পরিচিত।

সর্বমোট ৬৬টি রহস্য উপন্যাস লিখেছেন তিনি। এর পাশাপাশি লিখেছেন ১৪টির মতো ছোটগল্প ও রোম্যান্টিক গল্প। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলো হলো - মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্টাল এক্সপ্রেস, মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া, হিকোরি ডিকোরি ডক, দ্য এবিসি মার্ডার, অ্যান্ড দেন দেয়ার ন্যান প্রভৃতি। 

এরকুল পোয়ারো ও মিস মার্পল তাঁর সৃষ্ট বিখ্যাত দুইটি চরিত্র। 

তিনি ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ারে উইন্টারব্রুকে ৮৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। 

  • বইঃ মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া pdf| আগাথা ক্রিস্টি 
  • জনরাঃ মিস্ট্রি, ক্রাইম, ডিটেক্টিভ ফিকশন 
  • প্রথম প্রকাশঃ জুলাই ২০১৭
  • অনুবাদঃ রুদ্র কায়সার
  • প্রকাশনীঃ ভূমি প্রকাশ | মূল্যঃ ২২০ টাকা মাত্র

মার্ডার ইন মেসোপটেমিয়া
PDF Download Free Link

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ