আশি দিনে বিশ্বভ্রমন pdf লেখক জুল ভার্ন | 80 Dine Bisso Vromon

বই- আশি দিনে বিশ্বভ্রমন pdf
লেখক- জুল ভার্ন
অনুবাদ-শামসুদ্দিন নওয়াব
প্রকাশনী- সেবা প্রকাশনী 



❝অ্যাডভেঞ্চার যারা ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই বইটি আদর্শ একটি বই৷❞

প্লট—

রিফর্ম ক্লাবের সদস্য ফিলিয়াস ফগ৷ ব্যাক্তি হিসেবে তিনি একজন জিনিয়াস এবং বিরাট টাকা-পয়সার মালিক৷ তিনি যা বলেন তা সদাসর্বদা পালন করার চেষ্টা করেন৷ তার মাঝে কোনো বিলাসিতা নেই, এমনকি কৃপণতাও নেই। একদিন ফিলিয়াস ফগ তার বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে যে, মাত্র আশি দিনে ঘোটা পৃথিবীটা চক্কর দেওয়া সম্ভব এবং তিনি নিজেই এ অসম্ভব কাজটি করে দেখাবেন। তারপর এই বাজির দরুন তিনি বের হয়ে যান পৃথিবীকে একবার চক্কর দেওয়ার উদ্দেশ্যে এবং যা করতে হবে মাত্র ৮০ দিনে এবং তার সঙ্গী হিসেবে থাকে তার ভৃত্য পাসোপার্তো৷ 

আঠারো শতকের শেষের দিকে যখন উরোজাহাজ নেই, রেললাইন ঠিকমতো বসেনি সব জায়গায়, পাল তোলা জাহাজের চলাচল সবেমাত্র শুরু হয়েছে—সেই সময় আশিদিনে বিশ্বভ্রমণ সত্যিই কি এক দুঃসাহসিক অভিযান নয়?

অন্যদিকে ইংল্যান্ডের ব্যাংক থেকে আট লাখ টাকা চুরি হয়েছে এবং ফিলিয়াস ফগের এই বিশ্বভ্রমণে বের হবার পর একটা সন্দেহ বেশ চাউর দিয়ে উঠে যে, তিনি নাকি ব্যাংকের টাকা চুরি করে এখন বিশ্বভ্রমণের ছুতো দিয়ে দেশ ছেয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। সঙ্গে সঙ্গে ফিলিয়াস ফগের পিছু নেয় এক গোয়েন্দা৷ কিন্তু আসলেই কি সে এই টাকা চুরি করেছে? 

ফিলয়াস ফল কি আসলেই মাত্র ৮০ দিনে বিশ্বভ্রমণ করতে পারবে? এই অজানা অজ্ঞাত পৃথিবীতে যেখানে হাজারো বিপদের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা অতিমাত্রায় এবং যেখানে তার পিছু নিয়েছে গোয়েন্দা সেখানে তিনি কি সফল হতে পারবেন? কিংবা তিনি কি আসলেই ব্যাংকের টাকা চুরি করেছেন?
জানতে হলে পড়তে হবে জুল ভার্নের ❝আশি দিনে বিশ্বভ্রমণ❞ বইটা। 

পাঠ-প্রতিক্রিয়া

 ◑পজিটিভ দিক–

আমার একটি স্বভাব হচ্ছে, কোনো একটি ভালো বই পড়ার পর তা সম্পর্কে অন্যদেরকে না জানাতে পারলে আমার মোটেই শান্তি লাগে না। তাই সেজন্য ভালো বই পড়লেই তা সম্পর্কে একটু-আধটু লেখার চেষ্টা করি৷ 
অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আর সেই ভালোলাগা থেকেই এই বইটা পড়া৷ প্রথম থেকেই বেশ আগ্রহ নিয়ে শুরু করেছি বইটা।কারণ গল্পের প্লট আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছে৷ আসলে এই বইয়ের প্লট যেকোনো পাঠককে আগ্রহী করে তুলবে বইটা পড়ার জন্য৷ 

আমার পাঠকজীবনে আমার পড়া অন্যতম বেস্ট বই বলব এটাকে৷ একের পর এক পৃষ্টা, একের পর এক অধ্যায় পড়েছি বেশ কৌতূহল নিয়ে৷ সময় কীভাবে চলে গেছে বুঝতেই পারিনি৷ কোনো প্রকার বিরক্ত আচ্ছাদন করেনি আমাকে। একবসায় শেষ করার মতো একটা বই।ফিলিয়াস ফগের তুখোড় অভিযান আমাকে মুগ্ধ করেছে বারবার৷ বইয়ের শেষটাও হয়েছে একরাশ মুগ্ধতার মধ্যে দিয়ে৷  

 ◑নেগেটিভ দিক–

বইটা এতই চমৎকার যে আমার তেমন কোনো নেগেটিভ দিক চোখে পড়েনি ৷ তবে এই বইয়ের কিছু বর্ণনা আমার কাছে অস্পষ্ট ও অসম্পূর্ণ থেকে গেছে; যা একটু খারাপই লেগেছে বলতে হবে৷ 

যেমন ছিলো বইয়ের চরিত্রগুলো— 

লেখক খুব কম উল্লেখযোগ্য চরিত্রই এই বইয়ে এনেছেন, হাতে গোনা দু-চারটা হবে আরকি! প্রথমে যদি বইয়ের প্রধান চরিত্র ফিলিয়াস ফগের কথা বলি তাহলে এককথায় বলবো অসাধারাণ একটা চরিত্র। মনের মধ্যে গেঁথে যাওয়ার মতো চরিত্র এটি৷ একজন মানুষকে যতটা একনিষ্ঠ হওয়ার দরকার তার সবটাই আছে তার মাঝে।   

তারপর রয়েছে ফিলিয়াস ফগের ভৃত্য পাসোপার্তো৷ তার উপরও আমি বিশেষভাবে মুগ্ধ হয়েছি৷ মনিবের উপর যতটা ভালোবাসা, শ্রদ্ধা থাকা উচিৎ তার সবটাই আছে তার মধ্যে৷ বেশ বোঝায় যাচ্ছে লেখক চরিত্র গঠনে বেশ মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন৷ 

❝পরিশেষে আবারও বলবো যারা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাদের জন্য আদর্শ একটি বই এটি৷ কোনপ্রকার খারাপলাগা যেখানে কাজ করবে না৷ তাই যারা এখনো বইটা পড়েননি তাদেরকে বলবো, এত চমৎকার বই না পড়াটা আপনার বোকামি হবে৷❞

লেখা ও ছবি: বায়েজিদ আহমেদ

Download Now Or Read Online


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ