ষোলো ম্যাগাজিন সম্পর্কে পাঠকের অনুভূতি !

কোথাও কি এমন দেখেছেন যেখানে একই ঘরের সব ছেলেদের নাম একই রাখা হয়েছে? ব্যাপারটা মজার না?




হাজির হলাম একই ঘরের তিন ভাইয়ের পরিচয় নিয়ে। এই ঘরের বড় ভাইয়ের নাম ষোলো, মেজো ভাইয়ের নাম ষোলো আবার ছোট ভাইয়ের নামও ষোলো। আর সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ঘরে যত ভাই আসবে তাদের সবার নাম হবে ষোলো। অর্থাৎ এরা বয়সে জমজ নয়, এরা সবাই নামে জমজ। 


ষোলোর ছোট ভাইকে এখনো পড়ার সুযোগ হয়নি। তাই বড় আর মেজো ভাইকে নিয়েই আলোচনা শুরু করি। 


ষোলোর বড় ভাইয়ের জন্ম গত বছর ডিসেম্বরে। এর মাত্র দুই মাস পরই দেখা মিলল মেজো ভাইয়ের। আমাদের ছোট ছোট ভাই-বোনগুলো যাতে বয়ঃসন্ধিকালের ভুলগুলোতে পা না বাড়ায়, এজন্যই এই ‘ষোলো’ পরিবারের জন্ম। বলতে গেলে বর্তমান সমাজের ছেলেপেলেদের জন্য এই ষোলো ভাই হচ্ছে কাগুজে প্রতিরক্ষা বেষ্টনী। যারা অক্ষরে অক্ষরে শব্দের বুননে তৈরী করছে হারিয়ে না যাবার গল্প। একজন সত্যিকারের ভাইয়ের মতো আমাদের ভাই-বোনগুলোকে দেখাচ্ছে আলোর পথ। 

যেখানে ষোলোকে হারিয়ে যাবার সময় বলা হয়, সেখানে এই ষোলোকে হারিয়ে না যাবার বেলা হিসেবে তৈরী করছে ষোলো পরিবার। আল্লাহ ষোলো পরিবারে বারাকাহ দিন। 


ষোলোর বড় আর মেজো ভাইদের পড়ার পর মনে হলো গ্রাফিক্স আর ডিজাইনের কাজে মেজো ভাই এগিয়ে। লেখার টপিকের সংখ্যায় মেজো ভাই এগিয়ে থাকলেও লেখার মানের দিক থেকে আমার কাছে বড় ভাই বেশি শক্তপোক্ত মনে হয়েছে। বড় ভাইয়ে গল্প বেশি, মেজো ভাইয়ে প্রবন্ধ বেশি। হয়ত গল্প প্রেমিক হওয়ার কারণেই বড় ভাইকে বেশি ভালো মনে হয়েছে। কিছু সম্পাদনার ভুল ছিল, আর বড় ভাইয়ের কিছু কিছু লেখা একটু কঠিন মনে হয়েছিল। কিন্তু সবথেকে ভালোলাগার ব্যাপার হচ্ছে বড় ভাইয়ের থেকে মেজো ভাইয়ে মগজ ধোলাই, অংকের জট ইত্যাদি টপিকগুলো বেশি ছিল। সবকিছু মিলিয়ে মনে হয়েছে ষোলোর সাথে জড়িত সবাই ষোলোর মানোন্নয়ন নিয়ে যথেষ্ট চেষ্টা করছেন। তবে মেজো ভাইয়ের বেশির ভাগ লেখাই সব বড় বড় লেখকদের। নতুন আর স্টুডেন্টদের লেখা খুবই কম। যেহেতু কিশোরদের নিয়ে এই ম্যাগাজিন, সেহেতু কিশোরদের লেখাগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। এতে কিশোররা ষোলো পড়ার পাশাপাশি নিজেরাও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করার চেষ্টা করবে। আর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছি সেটা হচ্ছে ষোলোতে যখন লেখা চাওয়া হয় তখন আটশত শব্দের ভেতর লেখা শেষ করতে বলা হয়। অথচ ষোলোর বেশিরভাগ লেখাই আটশত শব্দের বেশি। 


ষোলোকে দেয়ার মতো পরামর্শ আমার নেই। তবে দুই একটা সম্পাদনা, শব্দের ব্যাপারে নির্দিষ্টতা আর নতুনদের সুযোগের ব্যাপারে ভাবার অনুরোধ রইল আর পিচ্চিপাচ্চাদের ষোলো পড়ার আমন্ত্রণ জানালাম। তোমাদের ষোলো ভালো লাগবে নিশ্চিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ