বই: তিথিডোর বইটি পিডিএফ ডাউনলোড করুন ফ্রিতে
লেখক: বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪)
প্রথম প্রকাশকাল:১৯৪৯
Publisher আজকাল প্রকাশনী বই পিডিএফ
Quality PDF Download Available ☑️
PDF File Size : 5 MB Only
ISBN 984569084x
Edition Reprinted, 2016
Number of Pages 303
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা
'তিথিডোর বই pdf' যারা পরিবার কেন্দ্রীক উপন্যাস ভালোবাসেন, তারা তিথিডোর pdf উপভোগ করবেন প্রায় নিশ্চিত। বইটি রচনা করেছেন জনপ্রিয় বহুল আলোচিত লেখক বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪) তিথিডোর বইটি প্রকাশ করেছে 'আজকাল প্রকাশনী' মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা রয়েছে ৩২৮ এবং অরিজিনাল কপি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩২৮ টাকায়। তিথিডোর বইটি পিডিএফ ডাউনলোড করতে নিচে দেখুন ⤵️
লেখক পরিচিতি: বুদ্ধদেব বসু রচনার অজস্রতা এবং অভিনব লিখনভঙ্গীর দিক দিয়ে তিনি খ্যাতি লাভ করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার পত্তনে যে কয়েক জনের নাম সর্বাগ্রে স্মরণীয় বুদ্ধদেব বসু তাঁদের অন্যতম। তাঁকে কল্লোল যুগ-এর অন্যতম প্রধান কাণ্ডারী হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলা কবিতায় আধুনিক চিন্তাচেতনা ও কাঠামো প্রবর্তনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। ১৯৭০ সালে পদ্মভূষণ উপাধি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে তপস্বী ও তরঙ্গিণী কাব্যনাট্যের জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে স্বাগত বিদায় গ্রন্থের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার (মরণোত্তর) লাভ করেন।
কাহিনী সংক্ষেপণ:
"সময় কাটাবার কত উপায় বের করেছে মানুষ, তবু সময়টাই সমস্যা। তবু জীবনে এমন সময় আছেই, যখন সময় আর কাটে না।"
রাজেন মিত্র খুব শৌখিন তাই অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা প্রকৃতির মানুষ। তাই ছেলের চেয়ে মেয়ে সন্তান বেশি কাম্য উনার। ভাগ্যবিধাতাও সে ইচ্ছে পূরণ করেছে। পাঁচ কন্যাসন্তান ও এক পুত্র সন্তানের জনক রাজেনবাবু শখ করে মেয়েদের নাম রাখেন শ্বেতা, মহাশ্বেতা, সরস্বতী, শ্বাশতী, স্বাতী, আর ছেলের নাম বিজন। স্বাতীর জন্মের সময় তাদের মা শিশিরকনা অসুস্থ হয়ে বিছানা পড়ে যান। তাই স্বভাবগতভাবেই মেয়েরা বেড়ে উঠে এক মুক্ত পরিবেশে বাবার আহ্লাদী হয়ে। শিশিরকনা বেঁচে থাকতে বড় তিন মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন। পরিবারের চারদেয়ালের ভিতরে সেই থেকে শুরু হয় শ্বাশতী, স্বাতীর গল্প। শ্বাশতী গানবাজনা প্রতি মুগ্ধ হয়ে একসময় হারিত নামক একজনের প্রতি দুর্বল হয়ে তাকে বিয়ে করে নেয়। অন্যদিকে স্বাতী যেন ওই সমাজের বাহিরে বেড়ে ওঠা এক মুক্ত পাখি। যে তার চিন্তা আর কল্পনা দ্বারা নিজেকে মুক্ত করে রেখেছিলো।
হঠাৎ করে তার এই কল্পনার পিপাসাকে আরো বাড়িয়ে দেয় তার কলেজের অধ্যক্ষ সত্যেন রায়। তাকে পরিচয় করিয়ে দেয় কবিতার সাথে, নতুন নতুন বইয়ের সাথে। দুইজন মানুষ এক নতুন জগত সৃষ্টি করে যেখানে তারা টুর্গেনিভ থেকে রবীন্দ্রনাথের গীতিবিতান সবখানেই তাদের কল্পনার বিচরণ করে যায়। হয়তোবা সেজন্য রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুতে এই দুইটা মানুষ ছুটে গিয়েছিলো নিমতলা, জোড়াসাঁকোয়। এই বইটি এমন হাজারো মিষ্টি অনুভূতি আর কষ্টের অনুভূতির সংমিশ্রণ। স্বাতী আর সত্যেনের চিঠি চালাচালি পড়ে মিষ্টি প্রেমের স্বাদ পাবেন।
আর হারিত আর শ্বাশতীর সম্পর্কের স্বাদহীনতা আপনাকেও স্পর্শ করবে। তিথিডোর অর্থাৎ বিশেষ সময়ে তৈরী হওয়া বন্ধন। অর্থাৎ বিয়ে তিথিডোর বইয়ে লেখক খু্ব সুন্দর করে হিন্দু ধর্মের বিয়ের সকল খুটিনাটি তুলে ধরেছেন। যেহেতু তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকাল, তাই গল্পে লেখক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার কী অবদান হারিতের এই নিয়ে সবসময় তর্ক, জাপানি বোমার ভয়ে কুঁকড়ে থাকা বা ব্ল্যাক আউটে ভোগান্তিও তুলে ধরেছেন।
নিজস্ব মতামত: একটা সাধারণ পরিবারের সম্পর্কের গল্পগুলো অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে ওঠার নাম যেনো তিথিডোর। স্বাতী মাঝে মাঝে বই পড়তো ভাবতো আরে এইতো আমার চিন্তা। এই লেখক কী করে জানলো। আমার একান্ত গোপনীয় চিন্তা। এটা বই পড়তে গিয়ে আমার অনেকবার মনে হয়। তিথিডোর বইটি যেন আমাকে ডোরে বেঁধে ফেলেছিলো, স্বাতীর কল্পনার ডোরে।
রেটিং: ৫/৫
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....