রিভিউ' টুলেট লেখক: সুস্মিতা জাফর | To Let By Sushmita Zafar

নাম: টুলেট
লেখক: সুস্মিতা জাফর
জনরা: কমেডি ফিকশন
Review Credit 💕 Rafia Rahman



ব্যাচেলর লাইফের সবচেয়ে বড় ঝামেলা কী যদি ব্যাচেলরদের জিজ্ঞেস করা হয় তবে উত্তর বিভিন্ন পাবেন। তবে কী জানের অধিকাংশের উত্তর হবে বাসা ভাড়া পাওয়া! ❝টুলেট❞ বোর্ড দেখলেই মনে ঘন্টা বেজে উঠে। এবার যদি পাওয়া যায় আবাস...

               ● আখ্যান —

চার বন্ধু বাসা খুঁজতে খুঁজতে হয়রান। কেউ তাদের বাসা ভাড়া দিতে চায় না। কারণ একটাই, ব্যাচেলর! সবাই মুখের ওপরই বলে দেয়, "দুঃখিত, ব্যাচেলর ভাড়া দেই না"। তবে ভাগ্যের সহায়, অবশেষে মেলে দুই রুমের একটা বাসা। কিন্তু সাত তলায়। সে যায় হোক অন্তত মিলেছে তো আবাস...

শখের বশেই গল্পকথক শুরু করে ভাড়া বাসায় বাগান করা। কিন্তু, কিন্তু এই বাগান করার পিছনে আছে আরও একটি কারণ! কী সে রহস্য? তিন তলার বারান্দা থেকে প্রায়সময়ই চেয়ে থাকে তারিন! একদিন হঠাৎই খুলে যায় তিন তলার দরজার ছিটকিনি। চমকে উঠার কারণে হাতের ব্যাগ থেকে সকল জিনিস বেড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে। তবে তারিন যা বলে শোনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না আমাদের গল্পকথক, কী এমন বলেছে তারিন? অপরিচিত এক মেয়ের আগমন ঘটে বাসায়। অজানা দেখে মুখের উপরই বন্ধ করে দেয় গেট কথক সাহেব। কিন্তু ঘুরে যায় গল্পের মোড়... 

               ● পর্যালোচনা ও প্রতিক্রিয়া —

কলেবরে হাস্যরসাত্মক ছোটগল্প ❝টুলেট❞। ব্যাচেলর দেখলেই নাক সিটকায় বাড়ির মালিকেরা। ব্যাচেলর ভাড়া দেওয়া এক ঝামেলায় বটে। কারণ? জানতে হলে পড়তে হবে গল্পটি। 

বর্তমান সময়ের আলোচিত এক সমস্যার নাম ব্যাচেলরদের কেউ সহজে বাসা ভাড়া দিতে চায় না। যদি তা হয় ব্যাস্ত কোনো শহর তাহলে তো কথাই নেই। এমনি চার বন্ধুর গল্প নিয়ে লেখা ❝টুলেট❞; গল্পকথক, প্লাবন, জীবন আর রাজেদ। গল্পের প্রথম ভাগে দেখা যায় চার বন্ধুর বাসা খোঁজার সংগ্রাম। তারপর নতুন ঠিকানায় ঘটে যাওয়া একের পর এক মজার ঘটনা। শেষটা এমন হবে ভাবি নাই তবে অনেক হেঁসেছি।

               ● লেখনশৈলী ও বর্ণনা —

লেখিকা সহজভাবে এঁকে গেছেন ব্যাচেলর জীবনের কষ্টের গল্প তবে গুরুগম্ভীরভাবে নয় বরং কমেডি ধাঁচে। একের পর এক ছোট কাহিনী বলে গেছেন। কল্পপট ফুটিয়ে তুলেছেন সুন্দরভাবে। শেষ অংশ পড়ে না হেঁসে থাকতে পারিনি। 

যারা ছোট গল্প পড়তে পছন্দ করেন তারা ❝টুলেট❞ পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে। যদি মন খারাপ থাকে তো পড়তে বলবো আরও বেশি করে। পড়া শেষে পাঠক না হেঁসে থাকতে পারবে না। তবে আরও একটা বিষয় আছে গল্পে, তা হলো মানিয়ে নেওয়া শিখতে হবে। পরিস্থিতি যেমনই হোক, হেরে গেলে চলবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ