- বইঃ ❝বা জে হু মা য়ূ ন❞
- সম্পাদনাঃ ইমরান মাহফুজ
- প্রকাশকালঃ জুলাই ২০২১
- প্রচ্ছদঃ চারু পিন্টু
- প্রকাশকঃ অঞ্জন হাসান পবন
- প্রকাশনীঃ কিংবদন্তী পাবলিকেশন
- প্রচ্ছদ মুল্যঃ ৪০০টাকা
- রিভিউদাতাঃ এম.এ.রানা
❝সলিমুল্লাহ খান - সাহিত্য সমাজ বিশ্লেষক। যাঁর চিন্তা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে!❞
ফ্লাপ থেকে
❝শিল্প ও শিল্পী টিকে থাকে সম-আলোচনায়। হুমায়ূন নিয়ে অনেক মৌখিক সমালোচনা হয়েছে। লিখিত সমালোচনা থাকুক- সেই প্রেক্ষিতে উদ্যাগ। সূচিবদ্ধ প্রবন্ধগুলো তাঁর সাহিত্যভাবনা ও চিন্তাচর্চার ধারাক্রম স্পষ্ট করবে। সংকলনে হুমায়ূনের লেখকের লেখালেখির উপকরণ প্রকরণ ও সীমাবদ্ধতা নিয়েও আলোচনা করেছেন। বিচিত্র চিন্তাসমৃদ্ধ প্রকাশনাটি হুমায়ূন পাঠক মাত্রই উপকৃত হবেন।❞সম্পাদকের কথা
❝শৈশবে গ্রামের মাদ্রাসা স্কুলে দেখতাম ঘণ্টা বাজিয়ে ক্লাস শুরু আবার শেষ হতে।কখনো কখনো মেঘ দেখলেই শুনতাম বাজছে ছুটির ঘণ্টা।মোলায়েম এক ছেলেবেলা।প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় এর লেখা 'আমি মেলা থেকে তালপাতার এক বাশিঁ কিনে এনেছি, বাঁশি তো আর আগের মতো বাজে না,মন আমার কেমন কেন সাজে না,তবে কি ছেলেবেলা অনেক দূরে ফেলে এসেছি?কথাগুলো ঠিকঠাক না বুঝলেও এইটুকু অনুভব করতাম কত স্মৃতি ফেলে এসেছি -অগণিত।সময়ের পরিক্রমায় অনুভূতি বেশ গাঢ হয়েছে।যেন আমার দেখা জীবন ও হুমায়ূনের চেনানো বইয়ের পৃথিবী দুটো 'মম হৃদি যন্ত্র বাজে,পরশে তোমার ' কিংবা 'শ্যামের বাঁশি বাজে' এমন।❞
বই থেকে আলোচনা
❝বইটি দুই অংশে ভাগ করা। প্রথম অংশ- স্মৃতি, মানস ও জীবনবোধ। অপর অংশ-পাঠসূত্র,ব্যবচ্ছেদ ও হুমায়ূন দিগন্ত।প্রথম অংশে লেখেছেন ৭জন লেখক,কথা সাহিত্যিক, অধ্যাপক সহ অনেকে আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, আসিফ নজরুল, অমিত গোস্বামী, সাদাত হোসাইন,ও রাসেল আবদুল রহমান।
দ্বিতীয় অংশে লেখেন আরও ১৩ জন।আহমেদ মাওলা,শান্তা মারিয়া,মোহাম্মদ আজম,হামীম কামরুল হক, কুদরত-ই-হুদা, মো.আব্দুল হামিদ, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, ড.মো. আদনান আরিফ সালিম, শিবলী আহমেদ, সুহৃদ সাদিক, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, জুবায়ের ইবনে কামাল, ও ইমরান মাহফুজ❞
বই থেকে কিছু কথা
❝হুমায়ূন আহমেদ জনপ্রিয় লেখক। তিনি কলকাতা কেন্দ্রিক সাহিত্যিকদের পেছনে ফেলে দেশের সাহিত্যকে জনপ্রিয় করে তুলেন। যার জন্য সুনীল, শীর্ষেন্দু,সমরেশদের দাপট এপার বাংলায় খর্ব হয়।তিনি লেখালেখির জগতে সুদৃঢ় অবস্থান নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দেন।
তিনি একবার বাংলা সাহিত্যের একজন অধ্যাপককে গল্পের পান্ডুলিপি পড়তে দেন। তিনি বলেন,গল্পের গভীরতা কম। প্রকৃতপক্ষে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পটির চরিত্রের নাম বদলে দেন।হুমায়ূন ভাবেন, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্পের গভীরতা কম হলে নিজের গল্প অগভীর হলেও ক্ষতি নেই।❞
❝পাঠক তাঁর সাহিত্যকর্মকে লুফে নেয়। এজন্য প্রকাশকরা পান্ডুলিপির জন্য লেখকের কাছে ধরনা দিতেন। অগ্রিম টাকা দিতে কুন্ঠাবোধ করতেন না। তাঁর সৃষ্টিকর্মগুলো ছিল তাঁর মতোই বৈচিত্রময়,গভীর ও আনন্দময়। সবঅর্থেই তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সাহিত্যজগতের মেগাস্টার!❞
❝আহমেদ মাওলা 'হিমু ও আহমেদ অচরিতার্থ কল্পনার রূপায়ণ 'শিরোনামে লিখেছেন---
বাংলাদেশের পাঠক,দর্শক, শ্রোতাকে প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে ম্যাজিশিয়ানের মতো মুগ্ধ, বিহ্বল করে রেখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। উপন্যাস, গল্প,নাটক,চলচ্চিত্র, গান - যেখানে তইনি হাত দিয়েছেন সেখানেই সোলা ফলেছে। এমন বিপুলভাবে জনচিত্তকে স্পর্শ করার আশ্চর্য দক্ষতা হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া আর কারও পক্ষে সম্ভব হয়নি❞
বই নিয়ে ব্যাক্তিগত অভিমত
❝বইয়ের নাম দেখে কিছুটা ভড়কে গেলাম! বাজে হুমায়ূন- এটা কী নাম হলো। বইটি পড়তে ইচ্ছে হলো মূলত নাম দেখেই।আবার আমার প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ। সেই জন্য এই বই পড়ার প্রতি ইচ্ছা ছিল একটু বেশিই।এই বই পড়ে প্রিয় লেখক সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য, দুষ,গুণ অনেক কিছু জানতে পেরেছি।বইয়ের বাইন্ডিং ,প্রচ্ছদ, পৃষ্ঠা এগুলো নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই।কিংবদন্তী পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত প্রত্যেকটি বইয়ের বাইন্ডিং, পৃষ্টা অতুলনীয়।❞
সম্পাদকের পরিচিতি
ইমরান মাহফুজ ১০ অক্টোবর কুমিল্লা দৌদ্দগ্রামের কোমাল্লা গ্রামে জন্ম নেন।বাবা নুরুল আলম (বীর মুক্তিযোদ্ধা) ও মা বিলকিছ বেগম।একাডেমিক পড়াশোনা উদ্ভিদবিদ্যায়। লিখেন কবিতা- বাংলায়।কাজ করেন ইংরেজি দৈনিকে।গবেষণা ক্লাসিক সাহিত্যে। সম্পাদনা করেন কালের ধ্বনি।তার সম্পাদনা ও গবেষণা গ্রন্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স,মাস্টার্স ও এমফিলে পাঠ্য সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে ব্যাবহার হচ্ছে অনেকদিন।লেখকের প্রকাশিত ও সম্পাদিত অনেকগুলো গ্রন্থ রয়েছে👉ব্যাক্তিগত রেটিংঃ ৪.৫/০৫
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....