- হিফয করতে হলে - Hifz Korte Hole
- লেখক : শাইখ আব্দুল কাইয়্যূম আস-সুহাইবানী
- প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন
- বিষয় : কুরআন বিষয়ক আলোচনা, হিফয বিষয়ক বই
- ভাষান্তর : উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
- সম্পাদনা : উস্তায আকরাম হোসাইন
কুরআন মুখস্থ করার পদ্ধতি
আমার মতে যে-ব্যক্তি ভালোভাবে হিফ্য করতে চায় এবং যুগ যুগ ধরে কোনো একটি বিষয়কে স্মৃতিতে ধারণ করে রাখতে চায় তার কর্তব্য হলো নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা। অবশ্য কেউ যদি সাধারণ কোনো বিষয় সাময়িক সময়ের জন্য মুখস্থ করতে চায় তাহলে তার জন্য এই পদ্ধতির অনুসরণ অত্যাবশ্যক নয়। আল্লাহ আমাকে, আপনাকে এবং আগ্রহী সকলকে তাওফীক দান করুন!
উল্লেখ্য যে, নিম্নোক্ত পদ্ধতিটি আমার ব্যক্তিগত নয়; বরং সালাফদের মতামত এবং তাদের বাস্তব জীবন থেকে গৃহীত। এই মহান মনীষীদের দ্রুত হিফ্য করার ক্ষমতা, বিস্ময়কর স্মরণশক্তি এবং বিপুল পরিমাণ মুখস্থ করার বিস্ময়কর ঘটনা আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি। তাদের এই বিস্ময়কর হিফয নিম্নোক্ত পদ্ধতিতেই সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই কেউ যদি হিফয ও স্মরণশক্তিতে তাদের সমস্তরে পৌঁছাতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে তাদের অনুসৃত পথ অনুসরণ করতে হবে।
হিফযের এই কার্যকর পদ্ধতি আলোচনা করার পূর্বে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা জরুরি মনে করছি যে, হিফযের জন্য পর্যাপ্ত ধৈর্য, দৃঢ় সংকল্প ও নিরবচ্ছিন্ন সাধনার মানসিকতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ফলাফল লাভের ক্ষেত্রে ত্বরাপ্রবণতা এবং সময়ের দীর্ঘতায় বিরক্ত হওয়ার মানসিকতা পরিহার করা একান্ত অপরিহার্য। কেননা তার এই ধৈর্য, সাধনা ও সময়, কল্যাণসর্বস্ব কাজে ব্যয়িত হচ্ছে। আর জ্ঞান অর্জনে যে-সময় ব্যয় করা হচ্ছে তা বিফলে যাচ্ছে না। বরং লাভজনক ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে। নিয়ত ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়ে এই পুঁজি বহুগুণ লাভ বয়ে আনবে।
এবার তাহলে হিফযের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা যাক। হিফযের জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি দুটি অনুসরণ করা একান্ত আবশ্যক।
এক. স্বল্প পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ।
দুই. পুনরাবৃত্তি
স্বল্প পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
অতএব, কেউ যদি কোনো বিষয় মুখস্থ করতে চায় তবে অবশ্যই তাকে ওই বিষয়টি নির্দিষ্ট দিন ও সময়ে ভাগ করে নিতে হবে। এরপর প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে ওই বিষয়ের নির্দিষ্ট একটি অংশ মুখস্থ করতে হবে এবং অবশ্যই ওই অংশের পরিমাণ স্বল্প হতে হবে। কারণ, নির্দিষ্ট অংশের পরিমাণ বেশি হলে ক্লান্তি ও বিরক্তি ভর করবে। অধিকন্তু প্রচলিত আছে—
من رام العلم جملة ذهب عنه جملة
যে-ব্যক্তি প্রথম প্রচেষ্টায়ই সমস্ত জ্ঞান অর্জন করতে চায়, সে সহসাই সমস্ত জ্ঞান থেকেই বঞ্চিত হয়।
আরও বর্ণিত আছে
ازدحام العلم مضلة الفهم
একসাথে সমস্ত জ্ঞান অর্জন করতে গেলে বোধশক্তি লোপ পায়।
অধিকন্তু একটি হাদীসে বলা হয়েছে—
عن عائشة رضي الله عنها أن التي قال يا أيها الناس خذوا من الأعمال ما تطيقون فإن الله لا يمه حتى تملوا وإن . أحب الأعمال إلى الله ما دام وإن قل আয়িশা রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “হে লোক সকল, তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমল করতে থাকো। কারণ, আল্লাহ তাআলা ক্লান্ত হন না; বরং তোমরাই ক্লান্ত হয়ে পড়ো। আর আল্লাহর নিকট ওই আমল সবচেয়ে প্রিয়, যা সর্বদা করা হয়, যদিও তা পরিমাণে কম হয়। [১]
খতীব বাগদাদী রাহিমাহুল্লাহ বলেন—
وينبغي له أن يثبت في الأخذ ولا يكثر ، بل يأخذ قليلاً قليلاً ، حسب ما يحتملة حفظه ، ويقرب من فهمه .، فإن الله تعالى يقول : وقال الذين كفروا لولا نزل عليه القرآن جملة واحدة كذلك لتثبت به فؤادك ورتلناه ترتيلاً
হিফযের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক নিয়ম হলো, দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হওয়া। কোনোক্রমেই তাড়াহুড়ো না করা; বরং মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী একটু একটু করে হিফ্য করা। এতে হিফ্য ও অনুধাবন, দুটোই অপেক্ষাকৃত সহজ হয়। কারণ, মহান আল্লাহ বলেন, “কাফিররা বলে, তার ওপর পুরো কুরআন একসাথে কেন নাযিল হলো না? এটা এ জন্য যে, আমি এর মাধ্যমে তোমার হৃদয়কে সুদৃঢ় করব। আর আমি তা আবৃত্তি করেছি ধীরে ধীরে।। 10
খতীব বাগদাদী রাহিমাহুল্লাহ আরও বলেন, ‘অন্তরও বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ন্যায় একটি অঙ্গ। ফলে স্বভাবতই সে-ও কিছু বিষয় ধারণ করতে পারে; আর কিছু বিষয় ধারণ করতে পারে না। যেমন, মানবদেহ। কেননা, কেউ কয়েক মণ বহন করতে পারে আবার কেউ বিশ কেজিও ওপরে তুলতে পারে না। অনুরূপ কেউ দিনে শত মাইল অনায়াসে হাঁটতে পারে; আবার কেউ অর্ধমাইলও হাঁটতে পারে না। কেউ এক বসাতে কয়েক কেজি খেতে পারে; আবার কেউ সামান্য পরিমাণ খেলেই হাঁপিয়ে ওঠে।
মানুষের অন্তরও ঠিক একই রকম। কেউ এক ঘণ্টায় দশ পৃষ্ঠা মুখস্থ করে ফেলতে পারে; আবার কেউ কয়েক দিনেও আধা পৃষ্ঠা মুখস্থ করতে পারে না। অতএব, যে-ব্যক্তি কয়েক দিনে আধা পৃষ্ঠা মুখস্থ করতে পারে না, সে যদি দশ পৃষ্ঠা মুখস্থ করতে যায়, তাহলে সে বিরক্ত ও হতাশ হয়ে পড়বে। যেটুকু মুখস্থ করেছিল, একসময় সেটুকুও ভুলে যাবে। ফলে পড়া না-পড়া, উভয়ই সমান হয়ে যাবে।
[১] সহীহ বুখারী, ৫৮৬১; সহীহ মুসলিম, ৭৮২।
[২] সূরা ফুরকান, আয়াত ৩২।
[৩] আল-ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, ২/১০১।
কাজেই হিফযের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের ততটুকু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিত যতটুকু সে উদ্যম ও প্রফুল্লতার সাথে মুখস্থ করতে পারবে। এই পদ্ধতি অনেক সময় ভালো মেধা ও দক্ষ শিক্ষকের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।[১]
যারনূজী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকগণের ভাষ্যমতে, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ততটুকু পাঠ দেওয়া উচিত, যতটুকু তারা দুবার পড়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ভালোভাবে মুখস্থ করে ফেলতে পারে।[২]
ইউনুস ইবনু ইয়াযীদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘আমাকে ইবনু শিহাব বলেছেন, ইলম নিয়ে অহংকার করো না। কারণ, ইলম হচ্ছে কয়েকটি উপত্যকার সমষ্টি। তুমি যে-উপত্যকায়-ই বিচরণ করো না কেন, লক্ষ্যে পৌঁছার পূর্বেই ক্লান্ত ও স্থবির হয়ে পড়বে। কাজেই তুমি দিন-রাত পরিশ্রম করে ইলম অর্জন করতে থাকো। আর একবারেই সমস্ত ইলম অর্জন করতে যেয়ো না। যে একবারেই সমস্ত ইলম অর্জন করতে চায়, সে সম্পূর্ণরূপে ইলম থেকে বঞ্চিত হয়। তাই দিন-রাত পরিশ্রম করে অল্প অল্প করে ইলম অর্জন করো।”[৩]
ইউনুস ইবনু ইয়াযীদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি যুহরীকে বলতে শুনেছি, “ইলম একসাথে বেশি পরিমাণ অর্জন করতে গেলে ইলমের কাছে পরাস্ত হয়ে যাবে, সামান্যও অর্জন করতে পারবে না। তাই দিন-রাত পরিশ্রম করে অল্প অল্প করে অর্জন করবে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে সফলতার সাথে ইলম অর্জন করতে সমর্থ হবে।'[৪]
খলীল ইবনু আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘ইলমকে গবেষণার বিষয় হিসেবে গণ্য করবে আর বিতর্ককে অজানা বিষয় জানার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবে। জানার জন্য অধিক পরিমাণ জ্ঞান আহরণ করবে আর মুখস্থ করার জন্য অল্প পরিমাণ নির্ধারণ করবে।'ll
[১] আল-ফাকীহ ওয়াল মুতাফাকিহ, ২/১০৭।
[২] তা'লীমুল মুতাআল্লিম, তুরুকুত তা'লীশ, পৃষ্ঠা-সংখ্যা : ৩২-৩৩, মাকতাবাতুল কাহিরা।
[৩] জামিউ বায়ানিল ইলম ওয়া ফাযলিহ, পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৬৮।
[৪] হিলয়াতুল আউলিয়া, ৪/৩৬৪।
[৫] জামিউ বায়ানিল ইলম ওয়া ফাযলিহ, পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২০৬।
ইবনু সালাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “দিন-রাত পরিশ্রম করে ধারাবাহিকভাবে অল্প অল্প করে হাদীস মুখস্থ করবে। তাহলে মুখস্থ জিনিস থেকে উপকৃত হতে পারবে। শুবা, ইবনু উলাইয়া, মামার ও অন্যান্য হাফিযে হাদীসগণ এমনই বলেছেন।'[১]
এ বিষয়ে সালাফদের জীবন থেকে নেওয়া বাস্তব কিছু ঘটনা
সালাফদের জীবন থেকে এ সম্পর্কিত বাস্তব কিছু ঘটনা তুলে ধরছি। এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে জানা যাবে যে, তারা যথাযথ হিফ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিজেদের এবং ছাত্রদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগের ব্যাপারে কতটা যত্নবান ছিলেন।
মায়মুন রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু দীর্ঘ চার বছর ধরে সূরা বাকারা শেখেন।'[২] এমনও বলা হয়ে থাকে যে, ‘তিনি সূরা বাকারা শিখতে দীর্ঘ আট বছর সময় নেন।[৩]
আবু আব্দির রহমান সুলামী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, 'আমরা কুরআনের দশ আয়াত শেখার পর পরবর্তী দশ আয়াত ততক্ষণ পর্যন্ত শিখতাম না, যতক্ষণ না পূর্বের দশ আয়াত-সংশ্লিষ্ট হালাল-হারাম ও অন্যান্য বিধি-নিষেধ ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারতাম।'[৪]
আবুল আলিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “তোমরা পাঁচ আয়াত করে কুরআন শিখবে। কেননা, তা মুখস্থ করতে সহজ। জিবরীল আলাইহিস সালাম সাধারণত পাঁচ আয়াত করে নিয়ে আসতেন। []
সুফইয়ান সাওরী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘আমি আমাশ ও মানসূরের নিকট এসে চার থেকে পাঁচটি করে হাদীস শিখতাম, যেন বেশি শিখতে গিয়ে ভুলে না যাই।”[৬]
[১] উলূমুল হাদীস, পৃষ্ঠা সংখ্যা :২২৭
[২] ইবনু সাদ, আত-তবাকাতুল কুবরা, ৪/১২৩
[৩] আল জামি লি-আহকামিল কুরআন, ১/৪০
[৪] আল জামি লি-আহকামিল কুরআন, ১/৩৯
[৫] হিলয়াতুল আউলিয়া, ২/২১৯
[৬] ফাতহুল মুগীস, ৩/৩১৬
আবু বকর ইবনু আইয়াশ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “আমি আসিম ইবনু আবিন নাজুদের কাছে কুরআন শিখেছি। তিনি আমাকে বলতেন, “দিনে এক আয়াত করে শিখবে; এর বেশি নয়। কারণ, এভাবে শিখলে খুব ভালোভাবে আয়ত্তে থাকবে।'
তিনি আরও বলেন, ‘তার এই ধীর ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার কারণে আশঙ্কা হচ্ছিল যে, আমার কুরআন হিফয সম্পন্ন হওয়ার আগেই তিনি মারা যাবেন। এ কারণে আমি তাকে অধিক পড়া দেওয়ার জন্য ক্রমাগত ‘প্ররোচনা' দিতে থাকি। অবশেষে তিনি আমাকে দিনে সর্বোচ্চ পাঁচ আয়াত পড়ার অনুমতি দেন।” [১]
মোটকথা, আসিম আবু বকরকে এ পদ্ধতিতে অবলম্বনে বাধ্য করেন। তিনি তাকে অল্প অল্প করে মুখস্থ করতে বলতেন, যেন প্রতিদিনের পড়া খুব ভালোভাবে মুখস্থ হয় এবং তার স্মৃতির গভীরে গেঁথে যায়।
আসিম নিজের সম্পর্কে বলেন, 'আমি দুই বছর অসুস্থ ছিলাম। ফলে এ দুই বছরে একবারও কুরআন পড়া সম্ভব হয়নি। সুস্থ হলে আমি কুরআন মুখস্থ পড়া শুরু করি। তারপরও কোথাও একটি বর্ণও ভুল পড়িনি।'[]
প্রিয় পাঠক, এমন বিস্ময়কর স্মরণশক্তি নিয়ে একটু ভাবুন। অসুস্থতার কারণে দুই
বছরে কুরআন খুলে দেখারও সুযোগ হয়নি। তারপরও একটি বর্ণও ভোলেননি।
নিঃসন্দেহে এটা অল্প অল্প করে মুখস্থ করার সুফল। আবু বকর তার এই ধীর প্রক্রিয়ার সুফল বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আসিমের সান্নিধ্য থেকে গমনের সময় আমার হিফ্য এতটাই মজবুত হয়েছিল যে, আমি কোথাও কখনও একটি বর্ণও ভুল করিনি।'[৩]
ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ হাম্মাদ ইবনু সুলাইমান রাহিমাহুল্লাহ-র নিকট এলে হাম্মাদ রাহিমাহুল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করেন, “কী মনে করে এসেছ?' আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “ফিকহ শিখতে এসেছি।' তিনি বলেন, “প্রত্যেক দিন তিনটি করে মাসআলা শিখবে। এর বেশি একটিও শিখবে না। এভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানার্জন সম্পন্ন হওয়ার পর ইচ্ছেমতো পড়বে। ইমাম আবু হানীফা তার
[১] তবাকাতুল হানাবিলাহ, ১/৪২।
[২] সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৫/২৫৮।
[৩] সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৮/৫০৩।
কুরআনের পরশে প্রতিটি বস্তুই পরিণত হয় পরম সম্মান ও মর্যাদার পাত্রে। যে-মাসে এ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, সে-মাস অন্য মাসের চেয়ে অধিক সম্মানের। যে-রাতে এ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সে-রাত অন্য রাতের তুলনায় অধিক মর্যাদার। যে-নবীর ওপর এ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, তিনিই সকল নবীর পথিকৃৎ। অতএব, কুরআনের সংস্পর্শে এসে কুরআন অধ্যয়ন ও মুখস্থ করে একজন সাধারণ মানুষও পরিণত হন মহান ব্যক্তিত্বে। আর এভাবেই রচিত হয়েছিল ইসলামের ইতিহাসে কুরআন মুখস্থকরণের সোনালি অধ্যায়।কীভাবে পবিত্র কুরআন ও হাদীস সহজে মুখস্থ করে তা স্থায়ীভাবে ধারণ করা যায় এবং এর সহায়ক উপায়সমূহ কী—এসব নিয়ে চমৎকার আলোচনার সমাবেশ ঘটেছে এই গ্রন্থখানিতে।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....