ইসলাম ও বহুজাতিক রাষ্ট্রব্যবস্থা - কেন পড়বেন? লেখক: আবদুল মুনইম মুস্তফা হালিমাহ

দেশে দেশে ইসলামী রাজনীতির বহু চর্চা হয়েছে। বহুদল গঠিত হয়েছে। একেকটি বহুজাতিক রাষ্ট্রে একাধিক ‘ইসলামী’ দল ক্ষমতার লড়াইয়ে ভাগ ভাগ হয়ে একই উদ্দেশ্যে পৌঁছতে চেয়েছে। সেই উদ্দেশ্যটি হলো – ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা’


ফলতঃ তা-ই হয়েছে যা একাধিক দল একই উদ্দেশ্যে ভিন্ন ভিন্ন পতাকা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামলে হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো ইসলাম ‘ইসলামের’ নাম ব্যবহার করে এই বহুজাতিকতা ও বহুদলীয়তা সমর্থন করেনা।

মুসলমানদের খলিফা বানানোর জন্য যে সমস্ত সাহাবিদেরকে উমর (রাদিয়াল্লাহ আনহু) নির্ধারণ করেছিলেন তাদের জীবনী নিয়ে গবেষণা করলে দেখা যায় যে, তারা সর্বদা ঘরে থাকতেন। নিজেদের ব্যাপারে অন্যদের অবহিত করা একদম পছন্দ করতেন না। তদ্রূপ কাউকে এমনটাও বলতেন না যে, অমুককে নির্বাচন না করে অমুককে করা হোক।


উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর নির্বাচিত লোকদের মধ্যে আবদুর রহমান বিন আওফ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ছিলেন। তিনি উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-কে বললেন, আমি লোকদের ইচ্ছার ব্যাপারে আপনাকে অবহিত করব। তবে শর্ত হলো আমাকে এই গুরুদায়িত্ব প্রদান করবেন না। সুতরাং তাই হলো। উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তার শর্ত মেনে নিলেন। তিনি উমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-কে পরবর্তীতে জানান, লোকেরা উসমান (রাদিয়াল্লাহু আনহু)-কে চাচ্ছেন। এই সাহাবিদের জীবনী নিয়ে গবেষণা করলে দেখা যায়, নেতৃত্ব না চাওয়ার বৈশিষ্ট্য তাদের পূর্ণভাবে বিদ্যমান ছিল। পূর্ববর্তীদের জন্য রাজত্ব এমন এক বিষয়, যা এমনিতেই কাঁধে আসে। যা চেয়ে নেওয়া যায় না। পক্ষান্তরে বর্তমানে তা অধিকাংশের কাছ থেকে চেয়ে নেওয়া হয়। যদিও বা নেওয়ার জন্য অবশিষ্ট লোকদের মৃতদেহ পায়ে দলে যেতে হয়!

ইসলাম ও বহুজাতিক রাষ্ট্রব্যবস্থা
লেখক: আবদুল মুনইম মুস্তফা হালিমাহ
প্রকাশনী: নোটস পাবলিকেশন
মুদ্রিত মূল্য : ৭২০৳

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ