খেমারদের দেশে লেখক নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী - কেন পড়বেন? | Khemarder Deshe

ভ্রমন কাহিনী নাকি ইতিহাস কোনটি বেশি পছন্দের? আর দুটোই যদি এক বইতে পাওয়া যায় তবে কেমন হবে?

  • বইয়ের নাম- খেমারদের দেশে - বুক রিভিউ 
  • লেখক- নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী
  • প্রকাশনী- উপকথা প্রকাশন
  • ধারণ - নানাদেশ ও ভ্রমন
  • মূল্য -২৫৮ টাকা এবং রেটিং- ৮/১০
  • Review Credit 💕 Mahi Nur Rupa

বিশিষ্ট লেখক এবং চিকিৎসক জনাব নিসর্গ মেরাজ চৌধুরীর লেখা খেমারদের দেশে বইটি একটি জাতির নতুনভাবে গোড়াপত্তন,দেশটির ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা সেই সাথে দেশটিতে ভ্রমনের কাহিনী তুলে ধরেছেন। 

দেশটির নাম ক্যাম্বোডিয়া। বেশ কয়েক দশক আগে যার নাম ছিলো কাম্পুচিয়া। সেই দেশটির অন্যতম প্রধান অধিবাসী জাতির নাম খেমার।
প্রাচীনকাল থেকেই কম্বোডিয়াতে রাজতন্ত্র বিদ্যমান ছিল। এক হাজার বছরেরও আগে কম্বোডিয়া খমের জাতির আংকর সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ছিল। আংকর সাম্রাজ্যটি ৬০০ বছর ধরে সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত ছিল। ১৯৭০ সালে রাজতন্ত্রের স্থানে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং ১৯৭৫ সালে খমের রুজ নামের একটি সাম্যবাদী সরকার ক্ষমতা লাভ করে। তারা দেশটিকে গণতন্ত্রী কাম্পুচিয়া নাম দেয়। খমের রুজের নিপীড়ন এবং চরমপন্থী সমাজতান্ত্রিক সংস্কার কম্বোডিয়ার সমাজ ও অর্থনীতিতে ধ্স নামায়। ১৯৭৯ সালে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার খমের রুজ-বিরোধী শক্তি সরকারটির পতন ঘটায় এবং অপেক্ষাকৃত সহিষ্ণু একটি সাম্যবাদী সরকার গঠন করে। ১৯৮৯ সালে দেশটি সমাজতন্ত্র পরিত্যাগ করে এবং ১৯৯৩ সালে একটি নতুন সংবিধান পাস করে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। 

কম্বোডিয়ার সিয়াম রিপে লেখকের দিনগুলো কেমন কেটেছে এবং সেই সাথে সেখানকার মানুষ, সংস্কৃতি, সভ্যতার নানান বিষয় সম্পর্কে জানতে পারা যায় বইটিতে। দেশটিতে নানা ধর্মের মানুষ বসবাস করেন এবং তারা সকলে নিজেদের ধর্ম যথাযথ ভাবে পালন করেন।যে দেশটি একটা সময় ধ্বংসের স্তুপ ছিলো সে দেশটি এখন কতটা বর্ণিল সেটা লেখকের বর্ণনায় মনে হয়েছে আমিও যেন চোখের সামনে সব দেখতে পাচ্ছি। 

তাছাড়া খেমার জাতীর উপরে অত্যাচারের নানান হৃদয়বিদারক ঘটনা রয়েছে বইটিতে তা জানতে হলে বইটি পাঠদের পড়া উচিত।বইটিতে দেখা যায় লেখক অচেনা মানুষদের সাথে পরিচিত হচ্ছেন এবং কিভাবে পরিচিতির মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং করা যায় সেটিও উল্লেখ্য করেছে।সব মিলিয়ে লেখকের বাকি সকল বইয়ের মতো এই বইটিও হতাশ করেনি।বইটি পড়ে ভ্রমন কাহিনির স্বাদ সেই সাথে নানা তথ্য ও ইতিহাস সম্পর্কে পাঠক জানতে পারবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ