মাদার ন্যাচার : লেখক আশরাফুল সুমন - রিভিউ | Mother Nature : Ashraful Shumon

মাদার ন্যাচার : আশরাফুল সুমন - কেনো পড়বেন?

অসাধারণ একটি ফ্যান্টাসী বই এই "মাদার ন্যাচার"। একটানে পড়ে শেষ করার মতো একটি বই। বইয়ের প্রছদের সাথে গল্পটিও বেশ অর্থবহ। চরিত্রগুলোর সংলাপ,অ্যাকশন সিন,প্রকৃতির বর্ণনা সব মিলিয়ে এই থ্রিলার উপন্যাসের মধ্য দিয়ে লেখক প্রকৃতির নিয়মকানুন,মানব চরিত্রের ভালো মন্দ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।

মাদার ন্যাচার বই পরিচিতি
  • লেখক: আশরাফুল সুমন
  • জনরা: ফ্যান্টাসি
  • প্রথম প্রকাশ: সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • প্রকাশনা: চিরকুট প্রকাশনী
  • মুদ্রিত মূল্য: ৩৫০ টাকা

কিছু কথা

আমার মত এখনো কেউ ফেয়ারি টেলস দেখতে পছন্দ করেন? বা ফ্যান্টাসি বই পড়তে ভালোবাসেন? পরপর বেশ কয়েকটা বই পড়ে আমি আশাহত হয়েছিলাম। যার কারণে এক্সপেক্টেশন শুন্যের কুঠায় রেখে এই বইটা পড়া শুরু করি। কিন্ত তাও মাদার ন্যাচার বইটা যখন পড়া শুরু করেছিলাম খুবই বিরক্ত লাগছিল।১৬২পেইজ পর্যন্ত পড়তে কষ্ট হচ্ছিল।প্লট বুঝচ্ছিলাম না।১৬২ এর পরে আস্তে আস্তে বুঝতে পারছিলাম।কোনো ভয়ানক দানব বা অপশক্তির বিরুদ্ধে গল্পের মূল চরিত্রগুলোকে লড়াই করতে দেখা যায়। তাদের উদ্দেশ্য থাকে, যেভাবেই হোক এগিয়ে আসা দানব থেকে নিজ মাতৃভূমিকে রক্ষা করা। ১৬২ এর পর এপিক ফ্যান্টাসি থেকে মিস্ট্রি সবকিছু পেয়েছি


ইয়ামিন, জেনিফার আর রোহান তিন বন্ধু একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে।একদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে তিনজন একটি অদ্ভুত বনে প্রবেশ করে। মুহুর্তের মধ্যে উল্টে পাল্টে গেল তাদের পৃথিবী। বদলে গেল তাদের চিরচেনা পথ। বনের গাছ গুলো কেমন যেন বিষাদগ্রস্থ, দেখলে মনে হয় কাঁদছে।এই বনে ডাকেনা কোন পাখি। নিঝুম আর নিস্তব্ধতা ছেয়ে থাকে এর বাতাসে।বনে প্রবেশ করার পর পর থেকেই নানা বিপদের সম্মুখীন হতে থাকে তারা তিনজনই।জীবন্ত লতার দেয়াল উঠল তাদের সামনে, পেচিয়ে মারতে চাইলো।বিভিন্ন রকমের মায়াজালে আটকিয়ে তাদেরকে আরো বিপদে ফেলতে চাইলো। কাহিনী এগুতে থাকলো এবং আরো চার ইরোয়ানের চরিত্রের আগমন ঘটলো(ফ্যাবিও, ক্যাডমায়েল,কোলেল ও ইটজেল)যাদের নিজেদের প্রতি দ্বন্দ্ব চলছিল। বলতে পারেন অপশক্তি এবং শুভ শক্তির মধ্যে সংঘর্ষ যাকে বলে।


যে বন মানুষকে একা করে দেয়, প্রিয়জনদের থেকে আলাদা করে দেয়,সেই বন থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে পাওয়া কি এতই সহজ? ইরোয়ান আর উরুয়ানদের মধ্যে চলতে থাকা হাজার হাজার বছরের দ্বন্দ্ব কি আবারো নতুন কোন রূপ নিতে শুরু হতে যাচ্ছে?আসলে কি চান এই রহস্যময়ী মাদার ন্যাচার?


ভিন্ন এক জগতের তিন বন্ধুর চমকপ্রদ জার্নির বর্ণনা উঠে এসেছে এই বইয়ে।ইরোয়ান,উরুয়ান,ইলোর,নিমেদ,ইয়ড সহ বিভিন্ন টার্ম তারঁ ফ্যান্টাসি থ্রিলারে ব্যবহার করে এটার কাহিনী দাঁড় করিয়েছেন লেখক আশরাফুল সুমন। ফ্যান্টাসি নির্ভর জাদুময় যে দুনিয়া তিনি নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন,সেই উদ্দেশ্যে তিনি সফল আমার মতে।লেখক বরাবরই ধাঁধা প্রিয় মানুষ।উনার বইতে এই থিমটা বেশ কমন আর ইউনিক। ধাঁধা সমাধান করে অন্যরা যেখানে গুপ্তধন খুঁজে, লেখক সেখানে ধাঁধার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করে।
তাই সর্বশেষে বলতে চাই, আমি একজন ফ্যান্টাসি প্রেমী হিসেবে বইটা আমার কাছে ভালই লেগেছে। হয়তো বাংলা ভাষায় আগামীতে আরো অনেক ভালো ফ্যান্টাসি লেখা হবে।কিন্তু বাংলা ফ্যান্টাসির উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার কারণে কোন একদিন হয়তো আশরাফুল সুমনকে আমরা বাংলা ফ্যান্টাসির অগ্রদূত হিসেবে স্মরণ করব।

কাহিনী সংক্ষেপ

ইয়েমিন, রোহান, জেনিফার -- তিন অনার্সপড়ুয়া বন্ধু কলেজ থেকে বাসায় ফেরার সময় পথ হারিয়ে একটা বনে ঢুকে পড়ে। চির অন্ধকারাচ্ছন্ন এই বন তাদের সাথে মত্ত হয় এক নিকৃষ্ট খেলায়। খেলার অংশ হিসেবেই একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তারা। একে একে পরিচিত হতে থাকে বনের বিভিন্ন বিভীষিকার সাথে। কখনো হামলা করে বসে বিষাক্ত শ'টাবায়, কখনোবা কামাজটজ আবার কখনোবা হামলে বসে বিশালদেহী ভয়ংকর এক উরুয়ান প্রাণী। তিন বন্ধুকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় চারজন এলিমেন্টাল ও একজন ড্রায়াড। তবে তিন বন্ধু ক্রমেই আবিষ্কার করতে থাকে, বিশাল এক অভিশাপ আর রহস্যের মায়াজালে বেষ্টিত এই বনভূমি। যে রহস্যের জট খুলতে পারবে একমাত্র তারাই। আর জট খুলতে পারলেই মিলবে মুক্তি!

পাঠ প্রতিক্রিয়া

নজরকাড়া প্রচ্ছদ দেখেই বইটার উপরে একটা এক্সপেক্টেশন চলে এসেছিল। বইটা প্রায় ঘোরের মধ্যে পড়ে শেষ করি। এবং শেষ করার পর এক ধরনের অতৃপ্তি বাসা বেঁধে বসে। বইটা আরও বড় হলে মন্দ হতো না! আশা করি, বইটার সিক্যুয়েল আসবে যেখানে, মহাদুর্যোগকালীন যুদ্ধটা উপভোগ করতে পারবো।


মাদার ন্যাচার নিঃসন্দেহে একটা মাস্টারপিস। বইটার শুরুর দিকের ভাষা একটু কাঠখোট্টা ছিল তবে, যত এগোতে থাকি তত আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি। চার রক্ষককে নিয়ে রাণীর সভাটায় গেম অব থ্রোনসের ফিল পাই। আবার নিরো নামক খাপোরির পর্যবেক্ষণে লর্ড অব দ্যা রিংসের ফ্লেভার পাই (এক সময় হ্যারি পটার সিরিজের 'ডবি' নামক হাউজ-এল্ফের চিন্তাটাও মাথায় আসে)। তবে আসল মজাটা পেতে শুরু করি যখন কলেজ ক্যাম্পাসে তিন বন্ধুর কাহিনী শুরু হয়। লেখকের রসবোধের দারুণ উদাহরণ পাওয়া যায় এখানে। এবং বলা বাহুল্য, জেনিফার নামের চরিত্রটার উপরে ছোটখাটো ক্রাশও খেয়ে বসি। তিন বন্ধু এরপর পথ হারিয়ে বনভূমিতে ঢুকে পড়লে ধাপে ধাপে ক্রমান্বয়ে বনভূমির প্রাণী ও ইরোয়ানদের পূর্ণ পরিচয় ফুটে ওঠা শুরু করে। এই ধাপে ধাপে জানার প্রক্রিয়াটা একটু দীর্ঘাকায় হলেও, বেশ মজাই লাগছিল। মারামারির বর্ণনাগুলোতে যেমন পুলক অনুভব করেছি, তেমন এক ধরনের উৎকন্ঠাও তাড়া করা শুরু করেছিল যে -- এরপরে কি ঘটতে চলেছে! উপন্যাসের একদম শেষের দিকের চমকগুলো বেশ তৃপ্তি দিয়েছে। আর বইয়ের শেষের দুই পাতা দিয়েছে "শেষ হইয়াও হইলো না শেষ" ধরনের হাহাকার।


দুটো জিনিস শুধু আমার কিছুটা বিরক্তির উদ্রেক করেছে। প্রথমটা কাহিনী সংক্রান্ত।
১। তিন বন্ধু যখন হঠাৎ পথের মাঝে অচেনা এক অন্ধাকারাচ্ছন্ন বনে ঢুকে পড়ে, তখন তাদের প্রতিক্রিয়া অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। তারা এমনভাবে আচরণ করা শুরু করে, যেন এমন দৈব-ঘটনায় তারা খানিকটা হলেও অভ্যস্থ। এমন ঘটনায় আরেকটু আতঙ্কে অস্থির হওয়ার কথা ছিল। কারণ, সেটা তাদের পরিচিত পথ যেখানে, এমন বনের উপস্থিতি আগে ছিল না।
২। বইয়ে বেশ কিছু দৃষ্টিকটু টাইপিং মিস্টেক চোখে পড়েছে। প্রুফরিডার/এডিটর হয়তো ভালোমত পড়ে দেখেন নি। একবার পড়লেই চোখে পড়ার কথা এগুলো।

কাহিনী সংক্ষেপ

রক্ষকদের সভা চলছে। সকলে চিন্তিত, দুয়ারে কড়া নাড়ছে পৃথিবীকে বিনাশ করে দেওয়ার মতো শক্তিশালী এক দুর্যোগ। যা থেকে বাঁচতে হলে সব জাতিকে একত্রিত হতে হবে, ভুলে যেতে হবে তাদের বিভেদ, বহুবছের পুরানো সেই অভিশাপ।


এদিকে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির এক সন্ধ্যায় তিন বন্ধু জেনিফার, ইয়েমিন ও রোহান আবিষ্কার করলো, ওদের প্রতিদিনের পরিচিত জায়গাটা রূপান্তরিত হয়ে গেছে। প্রতিদিনের আসা যাওয়া করা রাস্তা কিছুদূর গিয়েই মিশে গেছে পাহাড়ি মাটির সাথে, আর তার ধারে দেখা দিয়েছে আকাশের বুক ছুঁয়ে দেয়া এক বনভূমি। বজ্রপাত আর ঝড়ের ক্রুদ্ধ গর্জন ওদের হাতে ঐ বনে প্রবেশ করা ছাড়া আর কোনো উপায় রাখেনি। খুব দ্রুতই ওরা বুঝতে পারলো, এটা কোনো স্বাভাবিক বন নয়, এখান থেকে বেরোবার পথ নেই। বনে বিচরণ করে রহস্যময় সব প্রাণী, এখানে পদে পদে আছে জীবন হারাবার ভয়। আর এই সবকিছুর উপরে আছে অন্যকিছু, একটা নাম।

মাদার ন্যাচার রিভিউ

রিভিউ একদম গোড়া থেকেই শুরু করি, বইয়ের বাইরের রূপ দিয়ে। দূর থেকে প্রচ্ছদ দেখেই যেসব বই হাতে তুলে নিতে মন চায় তার মধ্যে এই বইটি অন্যতম। বইটি পড়া শেষ হলে বুঝবেন প্রচ্ছদ কেবলমাত্র দৃষ্টিনন্দনই নয়, বরং ভয়ংকরভাবে অর্থবহ। নিঃসন্দেহে প্রচ্ছদকারের অন্যতম সেরা কাজ এটি। চিরকুট প্রকাশনীর কোনো বই আগে পড়া হয়নি। বইয়ের প্রোডাকশন প্রথমশ্রেণির। জ্যাকেটটা খুলে ফেললেও সস্তা কার্ডবোর্ডের কভার নয়, গ্লসি ফিনিশ দেওয়া শক্ত কভার আছে। কাগজের মান, প্রিন্টিং, বাধাই খুবই ভালো। এমনকি পৃষ্ঠা চিহ্নিত করার জন্য দেওয়া চিকিমিকি ফিতেটাও সুন্দর।


একটানে পড়ে শেষ করার মতো একটা বই। কাহিনী শুরু করা নিয়ে কোনো গড়িমসি করেননি লেখক, প্রথম দুটো অধ্যায় পড়েই গল্পের ভেতরে ঢুকে যেতে পেরেছিলাম। বইটাকে বেশ দ্রুতগতিরই বলবো, কোথাও একঘেয়ে লাগেনি আর পৃষ্ঠা উল্টানোর তাড়া অনুভব করছিলাম বেশ ভালোমতোই৷ বনের রহস্যময় প্রকৃতির বর্ণনা, চরিত্রগুলোর সংলাপ, অ্যাকশন সিনের বেশ ভালো সম্মিলন ছিলো পুরো বই জুড়ে। লেখক যে বিষাদ ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন তাতে বেশ ভালোভাবেই সক্ষম হয়েছেন বলতে হবে। জঙ্গলের রূপের বর্ণনা ও এখানকার অধিবাসীদের কথাবার্তা থেকে অদ্ভূত করমের বিষাদ আর একাকীত্ব ঝরে পড়ছিলো।

                   মূল তিন চরিত্র

মূল তিন চরিত্র সম্পূর্ণ তিন প্রকৃতির। জেনিফার কড়া ফেমিনিস্ট। সাহসী মেয়েটি ক্যাম্পাসের বড় বড় সব নেতাদের ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখলেও তার মনের কোনে লুকিয়ে আছে কিছু স্মৃতি যা তাকে মুহূর্তেই কাবু করে দেয়। ইয়েমিন ভালো ছাত্র, সবজান্তা শমসের। সবজান্তা স্বভাবের কারণে বেশি বন্ধু নেই তার, তবে যে দুইজন বন্ধু আছে তার তাদের জন্য যেকোনো ঝুকি নিতে পিছপা হয় না। বিপদের সময়ও মাথা ঠান্ডা রেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে জানে। এরপর আসি রোহানের কথায়। ক্যাম্পাসের অস্ত্রধারী নেতা, র‌্যাগার, নারীবিদ্বেষী, তবে জেনিফারের প্রতি দুর্বল। ব্যাক্তিগত জীবনে এইধরণের মানুষগুলো অপছন্দ হওয়ার কারণে রোহানকেও একদমই ভালো লাগাতে পারিনি। তার মুখ থেকে বের হওয়া প্রত্যেকটা বাক্যই বেশ বিরক্তি সহকারে পড়ে গিয়েছি। জেনিফারের মতো এক সাহসী বুদ্ধিমান মেয়ের রোহানের সাথে সম্পর্কের কারণটাও ঠিক বুঝতে পারিনি। এছাড়া পুরো বইতে ছড়িতে ছিটিতে থাকা ছোটখাটো পার্শ্ব চরিত্রগুলোও অনেক যত্ন নিয়ে লেখা, সবারই নিজস্বতা রয়েছে, সবারই রয়েছে নিজের গল্প, আনন্দ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা।


ম্যাজিক আর ওয়ার্ল্ডবিল্ডিং দুর্দান্ত। ওয়ার্ল্ডবিল্ডিং আগের বই 'কুয়াশিয়া' কেও ছাড়িয়ে গেছে। মিথলজির প্রতি অসম্ভব ভালোলাগার কারণে দ্বিতীয় অধ্যায়ে থাকা ইয়তুনহাইম, মুসপেলহাইম, বিশ্বতরু এই শব্দগুলোই যথেষ্ট ছিলো আমাকে আকৃষ্ট করার জন্য। আমাদের সকলের পরিচিত গ্রীক, নর্স, ইজিপশিয়ান, মায়ান, আজটেক মিথলজির চরিত্রগুলোকেই সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে পরিবেশন করা হয়েছে এখানে। মিথলজির সুপরিচিত ড্রায়াড, ডোয়ার্ফ, এলফ, স্যাটার, হিপোক্যাম্পাস কে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকেননি লেখক, ইরোয়ান, উরুয়ান, খাপোরি, ইলোর, কামাজটজ সহ আরো অনেক নতুন জীব সৃষ্টি করেছেন। ম্যাজিক সিস্টেম বলতে মুহূর্তে মুহূর্তে সব চরিত্র জাদু করে বেড়াচ্ছে এমন না, সূক্ষ্ম জাদু মিশে আছে পুরো বইতেই। এ বিষয়ে বেশি বললে বইয়ের মজা নষ্ট হয়ে যাবে।

               নামকরণের সার্থকতা

আর নামকরণের সার্থকতা নিয়ে যাদের একটু সন্দেহ আছে, গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি বই পড়ার পর সন্দেহ উবে যাবে। এই ফ্যান্টাসী ঘরানার উপন্যাসের মধ্য দিয়ে প্রকৃতির অলঙ্ঘনীয় নিয়মকানুন, মানবচরিত্রের ভালো মন্দ খুব ভালোভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে।

সবশেষে বলবো অসাধারণ এক ফ্যান্টাসী বই এই 'মাদার ন্যাচার'। ফ্যান্টাসীপ্রেমীদের বলবো অবশ্যই পড়ে দেখুন বইটা যত দ্রুত সম্ভব। লেখকের কাছে অনুরোধ এটার পরবর্তী খন্ড তাড়াতাড়ি নিয়ে আসুন।

সর্বোপরি, রেটিং এর ক্ষেত্রে মাদার ন্যাচারকে ১০ এর মাঝে ৮.৫ দিবো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ