নবী পরশমণি - বইটি কেন পড়বেন? : সাইয়েদ সুলাইমান নদভি রহ. | Nobi Porosmoni

নবী পরশমণি - বইটি কেন পড়বেন? আবু সুফিয়ানকে চেনেন আপনারা? বদর, ওহুদ খন্দকের লড়াইয়ের হোতা, অসংখ্য মুসলমানদের হত্যার জিম্মাদার, অসংখ্যবার রাসুলুল্লাহকে কতল করার ষড়যন্ত্রকারী এবং ইসলামের প্রধান শত্রু আবু সুফিয়ান! মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে হযরত আব্বাস সমভিব্যাহারে রাসুলুল্লাহর সম্মুখে উপস্থিত হলেন। তাঁর প্রতিটি অপরাধ যদিও তাঁর মৃত্যুদণ্ডের দাবি করছিল,
তথাপি রহমতে আলমের অতুলনীয় ক্ষমাপরায়ণতা তাঁকে ডাক দিয়ে বলছিল : ‘আবু সুফিয়ান! এটা ভয়ের স্থান নয়, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিশোধস্পৃহার বহু ঊর্ধ্বে।’ 


তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে শুধু যে ক্ষমা করে দিলেন তা-ই নয়, উপরন্তু ঘোষণা করে দিলেন : আবু সুফিয়ানের ঘরে যে আশ্রয় নেবে, সে নিরাপদ!

  • Title নবি পরশমণি
  • Author সাইয়েদ সুলাইমান নদভি
  • Publisher مكتبة الاتحاد (মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ)
  • Quality হার্ডকভার
  • ISBN 9789849589853
  • Edition 1st Published, 2022
  • Number of Pages 190
  • Country বাংলাদেশ
  • Language বাংলা

আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দ-ওহুদের যুদ্ধপ্রান্তরে তার বান্ধবীদের নিয়ে গান গেয়ে গেয়ে যে কুরাইশ সৈন্যদের মধ্যে রণোন্মাদনা সৃষ্টি করেছিল, রাসুলুল্লাহর প্রাণাধিক প্রিয় চাচা ইসলামের বীরপুরুষ হযরত হামজার 
শবদেহের সঙ্গে যে চরম ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করেছিল, তাঁর বক্ষ বিদীর্ণ করেছিল, তাঁর নাক-কান কেটে মালা তৈরি করেছিল, তাঁর কলিজা বের করে চিবিয়ে খেতে উদ্যত হয়েছিল, সেই পাষণ্ড হৃদয় হিন্দ-যুদ্ধশেষে এ 
হৃদয়বিদারক দৃশ্য দর্শনে আল্লাহর রাসুল অধীর হয়ে পড়েছিলেন। মক্কা বিজয়ের দিন সেও ঘোমটা ঢাকা দিয়ে রাসুলুল্লাহর সামনে এসে হাজির হলো। এখানে এসেও তার গোস্তাখি অব্যাহত ছিল।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার এই উস্কানিমূলক কার্যকলাপের প্রতি ভ্রুক্ষেপমাত্র করলেন না বা এই ঔদ্ধত্য ও শত্রুতামূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে তাকে একটিবার জিজ্ঞেসও করলেন না : কী হে! কেন এমনটি করেছ? 

ক্ষমার এ অভূতপূর্ব নমুনা দেখে মনের অজান্তেই সে চিৎকার করে উঠল, মুহাম্মদ! আগে তোমার তাঁবু থেকে ঘৃণ্য তাঁবু আমার দৃষ্টিতে আর একটিও ছিল না, কিন্তু আজ তোমার তাঁবু থেকে অধিকতর প্রিয় তাঁবু আমার দৃষ্টিতে আর একটিও নাই।

নবী পরশমণি
সাইয়েদ সুলাইমান নদবী রহ.
আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী
ইত্তিহাদ পাবলিকেশন


দক্ষিণ ভারতের ইসলামি শিক্ষা সংস্থার উদ্যোগে আল্লামা সাইয়েদ সুলাইমান নদবী রহ. ১৯২৫ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে মাদ্রাজের লালি হলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অমর জীবনচরিতের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আটটি উচ্চ গবেষণামূলক লিখিত ভাষণ প্রদান করেন। এই ভাষণগুলো ১৯২৬ সালে খুতবাতে মাদ্রাজ বা মাদ্রাজের বক্তৃতামালা নামে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য, আল্লামা সাইয়েদ সুলাইমান নদবী তাঁর উস্তাদ প্রখ্যাত চিন্তাবিদ, গবেষক ও বহু মৌলিক গ্রন্থের প্রণেতা মাওলানা শিবলি নুমানিসহযোগে ছয় খণ্ডে সমাপ্ত বিখ্যাত সিরাতুন নবী গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। স্বয়ং গ্রন্থকারের মতে, খুতবাতে মাদ্রাজ এই সিরাতুন নবীরই সারনির্যাস। বস্তুত বইটিতে সমুদ্রকে কৌটার মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে বললে অত্যুক্তি হবে না।

আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খ্যাতনামা চিন্তাবিদ ও সাহিত্যিক ড. রশীদ আহমদ সিদ্দিকী তাঁর এক নিবন্ধে উল্লেখ করেন যে আল্লামা নদবীর যে বইখানি তাঁর মনে সর্বাধিক দাগ কেটেছে, তা এই খুতবাতে মাদ্রাজ, যার বঙ্গানুবাদ পাঠকের কাছে নবী চিরন্তন (বর্তমান নবী পরশমণি) নামে উপস্থাপিত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নবীচরিত এবং ইসলামি ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে এমন সংক্ষিপ্ত অথচ সারগর্ভ বই পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষায় লেখা হয়েছে কি না, তাঁর জানা নেই।

১৯০ পৃষ্ঠার বইটি এখন ৫৫% ছাড়ে ১৩৫ টাকায় সংগ্রহ করতে পারবেন।

নবী পরশমণি
সাইয়েদ সুলাইমান নদভি রহ.
ইত্তিহাদ পাবলিকেশন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ