- বই : চাঁদের অমাবস্যা
- লেখক : সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ।
- পৃষ্ঠা : ৮০
- মূল্য : ১৩০৳
- ধরণ : চিরায়ত উপন্যাস
- প্রকাশকাল : প্রথম প্রকাশ ১৯৬৪
- প্রকাশনী : নওরোজ কিতাবিস্তান
কাহিনি
চাঁদের আমাবস্যা উপন্যাসটি লেখা হয় ফ্রান্সের একটি গ্রামে। তখন এটার ইংরেজি অনুবাদ হয় Dark Moon নামে। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র আরেফ আলি নামে এক যুবকের। তিনি পেশায় শিক্ষক। তিনি বড় বাড়ির প্রধান মুরুব্বি দাদা সাহেব আলফাজ চৌধুরীর আশ্রিত।তিনি গ্রামের স্কুলে পড়ান। উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র দাদা সাহেবের ছোট ভাই করিম মিঞা। তার বড় ভাই এবং অন্যদের কাছে সে দরবেশ নামে পরিচিত।উপন্যাসটি শুরু হয় একটি রহস্য ময় সময়ের মধ্যে। শীতের মধ্যরাত চারদিকে উজ্জ্বল জ্যোৎস্না। গাছপালা ভেদ করে সেই জ্যোৎস্না মাটিতে পড়ছে। ঘন কুয়াশায় সে জ্যোৎস্না রহস্যময় লাগে। মধ্যরাতে আরেফ আলীর ঘুম ভেঙে যাওয়া সে বাড়ির বাইরে বের হয়া আর বের হয়ে সে দেখতে পায় দাদা সাহেবের ছোট ভাই কাদের মিঞা কোথায় যেনো যাচ্ছে। কাদের মিঞ্চা যে দরবেশ সে বিষয়ে তার সন্দেহ ছিলো, সেই কৌতূহল নিয়ে সে কিছু না বলে চুপিচুপি কাদেরের পিছু নেওয়া শুরু করে। পিছু নিতে নিতে হঠাৎ করে কাদেরকে হারিয়ে ফেলে আরেফ আলী।
আরেফ আলী মধ্যরাতেরে জ্যোৎস্নায় বনে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখেন। উজ্জ্বল জ্যোৎস্নায় তিনি এক যুবতি নারীর অর্ধনগ্ন দেহ গাছের সাথে ঠেস দিয়ে বসানো । লাশ দেখে আরেফ আলী দৌড়ে বন থেকে বেড়তে গিয়ে কাদেরকে দেখতে পায়,তারপর তার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে দৌড়ে পালিয়ে ঘরে আসেন। কাদের বুঝতে পারেন, আরিফ আলী তাকে সন্দেহ করেছেন তাই তিনি পরদিন রাতে কোনো রকম ভনিতা না করে আরেফ আলিকে সাথে নিয়ে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।তখন আরেফ আলী জানতো না যে প্রকৃত খুনি কাদেরই।
যখন জানতে পারে কাদেরই খুনি তখন তার মন অস্থির হয়ে উঠে। কোনো কাজে মন বসাতে পারে না সে, তার উপর তাকে দিয়ে লাশ বহন করানোতে সে কাদেরের উপর খুবই রাগান্বিত।
তবুও তিনি ভেবেছিলেন যে, যুবতি নারীকে হয়তো কাদের ভালোবাসতো-মৃত্যুটা হয়তো দুর্ঘটানাবশত হয়েছে। কিন্তু যখন তিনি জানতে পারে কাদের যুবতীকে ভালোবাসতেন না, এটা ছিলো শুধুমাত্র দেহভোগ।
তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেয় খুনিকে তিনি আইনের হাতে তুলে দিবেন।কিন্তু তিনি যে এতোদিন ধরে দাদা সাহেবের বাসায় আশ্রিত থাকায় আর দাদা সাহেব তাকে খুব ভালোবাসায়,নিজের পরিনতি ও কাদেরের সাবধান বাণী শুনে ভীত হয়ে কাউকে কিছু বলার সাহস হয়নি।
আরেফের সব এলোমোলো হয়ে যায়।কিছুতেই মন বসে না, নিজেকে অপরাধী ভা
বে। তিনি অস্তিত্ব সংকটে পড়ে যান। কি করবে বুঝে উঠতে পারে না। এভাবেই গল্পের পরিণতির দিকে এগুতে থাকে। আর এরপর যা হয় তা জানতে হলে আপনাকে বইটি পড়তে হবে........।
চাঁদের অমাবস্যা উপন্যাসটি প্রথমেই অনেক রহস্যময় একটি ঘটনার মধ্যে শুরু হয়। কেমন একটা গা শিরশির ভাব।শীতের মধ্যরাতে, ঘন কুয়াশা, উজ্জ্বল জ্যোৎস্না আর ঘন অরণ্য। সব মিলিয়ে কেমন একটা ভয়ংকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তার উপর যুবক শিক্ষক আরেফ আলী বনের মধ্যে এক যুবতী নারীর অর্ধনগ্ন দেহ আবিষ্কার করে তখন সও্যিই ভয়ের আবিভূত হতে হয় পাঠককে।
যারা এখনো উপন্যাসটি পড়েননি অতি শিগ্রই পড়ে ফেলুন আশা করি ভালো লাগবে । সবাইকে 'চাদের অমাবস্যা' উপন্যাসটি পড়ার আমন্ত্রণ রইল...... Chader Amabossha PDF Download
পাঠপ্রতিক্রিয়া
এটা খুবই স্বাভাবিক যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর উপন্যাস হোক বা গল্প তাতে অবশ্যই থাকে গভীর জীবন দর্শন। পড়া শেষ হওয়ার পরেও অনেক দিন পর্যন্ত এর রেশ মাথার মধ্যে থেকে যায়।চাঁদের অমাবস্যা উপন্যাসটি প্রথমেই অনেক রহস্যময় একটি ঘটনার মধ্যে শুরু হয়। কেমন একটা গা শিরশির ভাব।শীতের মধ্যরাতে, ঘন কুয়াশা, উজ্জ্বল জ্যোৎস্না আর ঘন অরণ্য। সব মিলিয়ে কেমন একটা ভয়ংকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তার উপর যুবক শিক্ষক আরেফ আলী বনের মধ্যে এক যুবতী নারীর অর্ধনগ্ন দেহ আবিষ্কার করে তখন সও্যিই ভয়ের আবিভূত হতে হয় পাঠককে।
যারা এখনো উপন্যাসটি পড়েননি অতি শিগ্রই পড়ে ফেলুন আশা করি ভালো লাগবে । সবাইকে 'চাদের অমাবস্যা' উপন্যাসটি পড়ার আমন্ত্রণ রইল...... Chader Amabossha PDF Download
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....