পুনশ্চ‌: ক্যামেরা এবং একটি সম্পর্কের গল্প | Punchk : Camera Abong Akti Shomporker Golpo

পুনশ্চ‌ঃ ক্যামেরা এবং একটি সম্পর্কের গল্প : অতীত যদি কখনও পরিবর্তন করার উপায় থাকত; তাহলে এমন কোনো মানুষ হয়তো পাওয়া যেত না যে—এই অতীতকে পরিবর্তন করতে চাইত। কেন আমরা সকলে অতীত নিয়ে ভয়ে থাকি? আবার তবুও কেন অতীতকে ভালোবাসি? কিছু ফিরে না পাওয়া স্মৃতি আর তিক্ততায় ভর করা সময়কে কেন আমরা বারবার লুকিয়ে রাখা সিন্দুকের ঢাকনার মতো খুলে খুলে দেখি? 
  • বই : পুনশ্চ‌ঃ ক্যামেরা এবং একটি সম্পর্কের গল্প 
  • লেখক : এস এম নিয়াজ মাওলা
  • জনরা : সমকালীন 
  • প্রথম প্রকাশ :গ্রন্থমেলা ২০১৯
  • প্রচ্ছদ : নিদালিয়া ইসলাম
  • প্রকাশনা : জাগৃতি প্রকাশনী
  • মুদ্রিত মূল্য : ২২০ টাকা মাত্র
  • রেটিং: ৩.৭৫/৫
  • পৃষ্ঠা : ১০৪
  • রিভিউ লিখেছেন 💕 Peal Roy Partha

একটি সম্পর্ক শুধু কি দুজনের ইচ্ছা আর ভালোবাসায় সীমাবদ্ধ থাকে? শত চেষ্টার পরেও সেখানে চলমান ধর্মীয় ঝড় কি আঘাত হানে না? এই সমাজে মানুষের মিল হয় না কেন? —এর উত্তর শুধুই কি ধর্ম নিয়ে বহুলতা? তাহলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের চারটি ধর্ম আলাদা বইয়ে না পড়িয়ে এক বইয়ে পড়ানো হয় না কেন? যদি এই সমাজটা মনুষ্যত্ব রূপে গঠন করতে হয় তবে কেন এই বৈষম্য? সমাজ শুধু ছেলে-মেয়ে আর নারী-পুরুষের প্রভেদ ও অনধিকার চর্চার ফিরিস্তি গেয়ে গেল; কিন্তু সেগুলো পরিবর্তন করার কোনো পদক্ষেপ নিল না। আগেও নেয়নি, আজও নেওয়া হলো না। এই দায় ভার তো সত্যের পথে চলা দুজন ভালোবাসার মানুষের নয়। যে বীজ তাদের ছোটো মস্তিষ্কে জীবনের শুরু থেকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়; সেই ফলাফলের বিপর্যয়তা শুধু তাদের কেন—পুরো সমাজকে ভুগতে হয়। এখানে ভুল কী বা কেন এই ভুলের জন্ম সেই উত্তর খুঁজতে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সূচনা লগ্নে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনই কিছু যা একবার প্রতিষ্ঠিত হয় তা না-কি সহজে ভাঙা যায় না! —আসলেই? 

তাহলে একটি বিবাহিত সম্পর্কের ভাঙন কেন হয়? কেন  ভাঙা হয় একটি মন্দির অথবা মসজিদ? সম্পর্ক ভাঙনের বেশ কয়েকটি গল্প আর কিছু যৌক্তিক কারণ আছে! —ওহ যৌক্তিক! যুক্তি দিয়েও বোধহয় যৌক্তিক শব্দকে খণ্ডানো যাবে না। যুক্তি কী আর যৌক্তিকতা কোথায় সেই বিষয় বা জ্ঞান সম্পর্কে আমরা এখনও শুকিয়ে থাকা অন্ধকার কুয়োর তলায়। এর থেকে না কখনও বের হওয়া যাবে; না একেবারে নিঃশেষ হয়ে সকল কিছু নতুন করে শুরু হবে। 

❛পুনশ্চ‌ঃ ক্যামেরা এবং একটি সম্পর্কের গল্প❜ বইটি সমকালীন ঘরনার হলেও এই বই সামসময়িক সেই সকল বই থেকে অনেকটা ভিন্ন।

কেন ভিন্ন? —সাধারণ কোনো সমকালীন বা সামাজিক কাহিনিগুলোতে একটা ঘটনাকে টেনে লম্বা করার একটা  প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু এই বইতে প্রেম-ভালোবাসা, বিশ্বাস-অবিশ্বাস, সম্পর্কের ভাঙন, ধর্মের ভেদাভেদ, দুই ধর্মের মানুষের সম্পর্কের পেছনে গল্প, মুক্তিযুদ্ধের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য, বলাৎকারের ও ধর্ষণের প্রতিচ্ছবি, পরকীয়া, গোড়া ধর্ম বিশ্বাসী পরিবারের ভাবনা-সহ এমন কিছু সত্য আর সম্পর্ক নিয়ে লেখক অল্প কথায় গভীর তাৎপর্য সহকারে বুঝিয়ে দিয়েছেন; তাও আবার মাত্র ১০৪ পৃষ্ঠা ব্যয় করে। এখন সহজে একটি বিষয় অনুমান করা সম্ভব; তা হচ্ছে—লেখক একটি সম্পর্ক কেন্দ্র করে এমন কাহিনি এত বৃহৎ পরিসরে কীভাবে রচনা করেছেন? উত্তর বইতে পাবেন। 

এখানে বলে রাখা ভালো, গল্পের চরিত্র রায়হান ইসলাম মূল চরিত্রে থাকলেও; শুধু যে সে-ই প্রধান এমন বলার উপায় নেই। প্রধান চরিত্র তখনই প্রধান হয় যখন পার্শ্বচরিত্ররা থাকে। রায়হানের পাশাপাশি দীপান্বিতা উক্ত বইয়ের প্রধান একটি চরিত্র। দীপান্বিতার মতো আরও অনেক নারী চরিত্রের আগমন ঘটেছে উক্ত উপন্যাসিকায়। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গায় সমান গুরুত্বপূর্ণ। রায়হান ও দীপান্বিতা দুজন-ই পেশায় ডাক্তার। লেখক নিজের পেশার সফল ব্যবহার এক্ষেত্রে করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। তবে পাঠক হিসেবে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত, প্রফেশন বা পেশা নিয়ে মিল রেখে চরিত্র গঠন করলেই সে চরিত্র যে লেখকের প্রতিচ্ছবি বনে যাবে এমনও না। প্রতিচ্ছবির কথা যখন এসেছে তখন এই নিয়ে অল্প কিছু আলোকপাত করা যাক—

আমরা নিজেরা নিজদের ভুল কেন দেখি না? নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে যখন সবকিছু বিচার করি; সেটা কতটা সঠিক তা যাচাই করার প্রয়োজন বোধ কতটুকু করি? যে মানুষটির সাথে সম্পর্ক; সেই মানুষটির আবেগ, ভালো লাগা, মন্দ লাগা কী বোঝার চেষ্টা করি? আর যদি করেও থাকি সেটা ঠিক না ভুল ভেবে দেখি? নিজেকে মহান ভাবা, এই ভেবে ভুল পথে পরিচালিত হয়ে ধাক্কা খাওয়া যেন আমাদের মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য। উক্ত বইয়ে এক একটি চরিত্রের বিভিন্ন সময়ের প্রতিচ্ছবি যখন অগ্ন্যুৎপাতের মতো নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে থাকে; তখন সেই দিশেহারা অবস্থা খুব করে ভাবায়। তখন আর ভালো মুখোশ পরে থাকা ব্যক্তিটিকে মানুষ হিসেবে মনে হয় না। মানুষ ভুল করে আবার সেই ভুলের মাশুলও গুণে। 

পুনশ্চ‌: ক্যামেরা এবং একটি সম্পর্কের গল্প বইয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে লেখক বেশ গভীরে পর্যালোচনা করেছেন। যা বিশেষ মাহাত্ম্য বহন করে। অন্তত মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে ভাবলে সবকিছুকে আমি সঠিক বলে মনে করি। যেমন লেখক কিছু বাক্য লিখেছেন এইভাবে—

── 
আমরা ভালোবাসার কথা বলি না, আমরা ঝগড়া করি না, আমরা একে অপরকে স্পর্শ করি না! 
──
জীবনের প্রথম ভালোবাসা বোধহয় এরকমই হয়— দূরন্তপনায় ভরপুর, ভয়ডরহীন আকাশ পানে ছুটা চলা, অলীক কল্পনার জাল বুনে রঙিন স্বপ্ন দেখা। 
──
একজন মানুষের আত্মজ আমি, অথচ আমি তাকে কখনো (কখনও) দেখিনি। একটা মানুষের সাথে রক্তের সম্পর্ক, সেই মানুষটা কোনোদিন আমার খবর পর্যন্ত নেইনি (নেয়নি)। আমি মানুষটিকে ঘৃণা করতে চাইলাম। কিন্তু যে মানুষটা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, তাকে আমি ঘৃণাও করতে পারলাম না। আমি মানুষটিকে কল্পনা করতে চাইলাম একজন দানবের আদলে। কিন্তু যাকে আমি কোনোদিন দেখিনি, তার কোনো অবয়ব তৈরী (তৈরি) করতে পারলাম না।
──

উক্ত বাক্যগুলো পড়ে মনে হবে লেখক এখানে বিষণ্ণতা আর অভিমানের মিশ্রণে এমন কিছু বলতে চেয়েছেন; যা শূন্যতাকে ছুঁতে পারে। একাকিত্বের যে পরিবেশ লেখক তৈরি করতে চেয়েছেন—সেখানে তিনি শতভাগ সফল। ঝরঝরে লিখনপদ্ধতি হওয়ার কারণে নিমিষে এই বইটি পড়ে নেওয়া যায়। এই বইয়ে ১০টি ছোটো গল্প আছে; সেগুলোর নামকরণ হলো—

    ● ক্যামেরা পর্ব
    ● নিশাত পর্ব
    ● দায়শোধ
    ● নন্দিতা পর্ব
    ● আমস্টারডামে একদিন
    ● শায়লার কথা
    ● ভালোবাসার কাব্যকথা
    ● চেকমেট
    ● দীপান্বিতার কথা
    ● পুনশ্চঃ ক্যামেরা 

প্রথমে ইচ্ছা হলো, সবগুলো গল্প নিয়ে অল্প কিছু লিখব। পরে যখন পুরো উপন্যাসিকা পড়ে শেষ করলাম; তখন আবিষ্কার করলাম পুরোটা একটা গল্প! লেখক নন-লিনিয়ার ধাপে সাজিয়েছেন শুধু। চমৎকার না? সমকালীন ঘরনার হলে যারা থ্রিলার পড়তে ভালোবাসেন; তাদের বইটি পড়তে অন্য রকম ভালো লাগবে। এমন কিছু ধাক্কা লেখক আপনার জন্য তৈরি করে রেখেছেন; যা আপনাকে বিস্মিত করতে বাধ্য। 

ক্যামেরা! বইটির নামে ক্যামেরা কেন? এই প্রশ্ন হয়তো অনেকক্ষণ যাবৎ আপনার মাথায় ঘুরছে? আমারও শুরুতে ঘুরেছে। এমনকি বইটি শুরু হওয়ার পর তো আমি বইটিকে সাধারণ কোনো ভ্রমণ কাহিনি হিসেবে বিবেচিত করেছিলাম; যা আমার প্রথম ভুল। তারপরে ভাবলাম, এটি একটি সাধারণ দম্পতির প্রেম কাহিনি! যেখানে তারা সমাজ বিরুদ্ধ একটি সম্পর্কে নিজেদের জড়িয়ে নেওয়ার টানাপোড়েনে গল্প লেখা আছে! কিন্তু না। এর চেয়ে বেশিকিছু উক্ত উপন্যাসিকায় লেখক ঠাঁই দিয়েছেন। এমন অনেক চরিত্রকে তিনি পরিচিত করিয়েছেন যারা আমাদের আপন বা প্রতিচ্ছবি হয়ে আশেপাশে ঘুরঘুর করে। আমরা তা দেখেও দেখি না অথবা অনুভব করতে পারি না। লেখক এমন কোনো অনুভূতি বাকি রাখেননি, যা উক্ত বইয়ের আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ছিল না।

❛পুনশ্চ‌ঃ ক্যামেরা এবং একটি সম্পর্কের গল্প❜ বইটি পড়তে হলে আপনাকে ভুলে যেতে হবে, আপনি কে বা আপনি কোথায় থাকেন। যদি শুরু থেকে ভেবে নেন, লেখক যা লিখেছে তা ঠিক নয়—তবে আপনি ভুল প্রমাণিত হবেন। অথবা বলব, আপনি বোকার স্বর্গে বাস করেন। লেখক তাই লিখেছেন যা বর্তমানে চলমান আর আগামীতে চলবে। যে দেওয়াল ভাঙার গল্প লেখক লিখতে চেয়েছেন—সেই গল্প বলতে আমারও ইচ্ছা করে। আবার বলছি, হয় না করে। হয়তো এত সুন্দর বা গোছানো ভাবে কখনও লিখতে পারব না তবে একদিন লিখব। তখন হয়তো এই বইটির কথা আমার স্মরণে থাকবে। দিনশেষে ‘ভালোবাসা’ শব্দটির গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ যা কিছু করে একটু ভালোবাসার জন্য অথবা আহ্লাদী করে বললে—এক্সট্রা কেয়ারের আশায়। 

আরও একটি বিষয় এই বইটি পড়ার পর খুবই ভাবিয়েছে, একটি পরিবারে বাবা-মা যা ভুল করে; সেই ভুল থেকে সন্তানদের দূরে রাখে। কিন্তু দেখা যায়—বাবা বা মা যা করেছে অতীতে সেই একই ভুল সন্তানও করে বর্তমানে। তবে রাস্তা ভিন্ন। ভুলের রাস্তা ভিন্ন হতে পারে কিন্তু ভুল তো ভুল-ই হয়। তবে জেনে ভুল করা আর অজান্তে ভুলের মধ্যে যে তফাত সেটাও যাচাই করা শিখতে হবে। এই বইয়ে এই বিষয়টি দারুণভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে।

সর্বোপরি উক্ত উপন্যাসিকা জীবনের গল্প বলে, যেখানে বাস্তবতার ছাপ রয়েছে। উত্থান-পতনের গল্পগুলোও খুব অদ্ভুত তবে বিশ্বাসযোগ্য করে সাজানো। এক ধ্যানে পড়ে অন্য আরেক ধ্যানে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া যায়; কিছু সময়ের জন্য কিছু অনুভূতিকে নিজের মতো করে চেনার জন্য।

❛পুনশ্চ‌ঃ ক্যামেরা এবং একটি সম্পর্কের গল্প❜ বইটির অঙ্গসজ্জা নিয়ে বললে, বাঁধাই, পৃষ্ঠা সবই ঠিকঠাক। বানানে ভুল আছে বেশকিছু। সম্পাদনার তেমন একটা প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয়নি। তবে সামান্য কিছু জায়গায় দরকার ছিল; মার্ক করিনি। উক্ত গল্পে মিথলজি আর ইতিহাসের অল্পবিস্তর ছোঁয়াও রয়েছে; যা গল্পের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ-ছাড়া বাদবাকি সব ঠিকঠাক। কিছু শব্দের ভালো ব্যবহার ভালো লেগেছে। বাক্য গঠনও ঠিকঠাক। বেশি সাহিত্যিক ভাব নেই। উক্ত বইয়ে একটি কবিতা আছে যা বিশেষ অর্থ বহন করে।  

সমালোচনার কথা বললে, সমালোচনা করার মতো কোনো কারণ আমি খুঁজে পাইনি। তবে অনান্য পাঠকের হয়তো সমালোচনা করার জায়গা রয়েছে। কারণ বইটি আপনি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে পড়ছেন তাও একটি বিষয়। লেখকের কিছু উক্তির বা চিন্তাভাবনার সাথে আমি নিজের ভাবনার মিল খুঁজে পাওয়াতে বিষয়গুলো ভালোই লেগেছে। পুরো কাহিনি উত্তমপুরুষে লেখার কারণে চরিত্রগুলোর সাথে একাত্মতা হওয়া সহজ ছিল।

গল্পের শেষটা কেমন বলব না, একটু ধোঁয়াশায় তা ঢাকা থাকুক। বইটি রেকোমেন্ড করছি সেই সব পাঠকদের; যারা সম্পর্ক আর সমাজের বন্ধন নিয়ে একটু গভীরে ভাবতে পছন্দ করেন। আমি বলছি—হতাশ হবেন না। শুধু নিজের  ভাবনাকে গতানুগতিকের বিপরীত দিকে রাখুন।
──
লেখক সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নেই। মিথলজি স্পেশালিষ্ট হিসেবে দেশে তিনি এক নামে পরিচিত। তিনি যে এমন একটি বই লিখবেন; তা ভাবনার অতীত। আমি ওনার আলাদা এক সত্তার সাথে পরিচিত হয়ে চেয়েছিলাম  বলেই এই বইটি পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করি। এবং সেটা যে আমাকে একটি সম্পর্কের অতীতের বিষণ্ণতা আর আগলে রেখে হারিয়ে যাওয়া ক্যামেরা সঙ্গী করে নিবে—ভাবতে পারিনি। মিথলজির বাইরে এমন ঘরনার লেখা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করব লেখকরে। বর্তমানে তিনি নিজেকে আরও পরিপক্ব করেছেন; তাই সামাজিক জনরার পাশাপাশি মেডিক্যাল, মিথলজি এবং থ্রিলার নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানাব। মিথলজির পাশাপাশি সেগুলোতেও যে তিনি সফল হবেন; এটা আর বলে দিতে হবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ