শিকদার সাহেবের দিনলিপি : মৌরি মরিয়ম - কেন পড়বেন? | Shikdar Shaheber Dinlipi : Mouri Moriom

মীরা,
আমার হাওয়াই মিঠাই, চলো আমরা আবার ৯-১০ বছর পেছনে ফিরে যাই।কথা দিচ্ছি,এবার আর ভালোবাসা শেখাব না তোমায়।তোমার কাকচক্ষু জলের ওই দিঘিসুলভ চোখেও মরব না আর।
তোমার প্রেমে…..।
রিভিউ লিখেছেন, NK Medha
অন্যধারার পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------
🟢 বইঃ শিকদার সাহেবের দিনলিপি।
🟤 লেখিকাঃ মৌরি মরিয়ম।
🟢 প্রচ্ছদঃ আরিফুল হাসান।
🟤 পৃষ্ঠাঃ ১২৭।
🟢 মুদ্রিত মূল্যঃ ২২৭।
🟤 বিষয়ঃ রোমান্টিক উপন্যাস।
🟢 প্রকাশনীঃ অন্যধারা।
🟤 পার্সোনাল রেটিংঃ ৫/৫।
🟢 ISBN: 9789849598022।


🔰 কাহিনী সংক্ষেপে- 
এই বইটা মূলত হাওয়াই মিঠাই বইয়ের ই আরেকটা অংশ। ওখানে মূল চরিত্র মীরা আর রাফির হঠাৎ প্রেম আবার বিচ্ছেদ এরপর আবার ৯ বছর পর দেখা হওয়ার গল্প বলা আছে। কিন্তু কিভাবে এতো কিছু ঘটলো কেনো বিচ্ছেদ হয়েছি্লো, কেনো রাফি হারিয়ে গিয়েছিলো, কি হয়েছিলো মাঝের ৯ টা বছর এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মীরার জানা নেই।তবে হাওয়াই মিঠাইয়েই একটা ডায়রির কথা বলা হয়েছে যেখানে রয়েছে মীরার সব অজানা প্রশ্নর উত্তর।সেই ডায়রিটাই আজকের এই ‘শিকদার সাহেবের দিনলিপি’।এখানে আছে সেই সময় ঘটে যাওয়া সব অজানা তথ্য।

🔰 পাঠ-প্রতিক্রিয়া-

মৌরি আপুর লেখা ভালো না লেগে যাবে কই। তাছাড়া হাওয়াই মিঠাই পড়ার পর থেকেই একটা আকাঙ্ক্ষা ছিলো যে কি হয়েছিলো ওই মাঝের ৯ টা বছর যার কারণে এমন পাগলের মতো যাকে ভালোবাসে তাকে ছেড়ে দিলো রাফি,কিন্তু ওখানে বলা ছিলো না কিছু তাই জানার ও কোনো সুযোগ ছিলো না।এটা নিয়ে যে মৌরিপু আরেকটা বই বের করবে ভাবতেই পারিনি।ওই অজানা কথাগুলা এই বইয়ে তুলে ধরেছে লেখিকা।পড়ে বেশ ভালোই লেগেছে।পড়তে পড়তে আবার কিছু জিনিস নিজের সাথে মিল পেয়ে অনেক পরিস্থিতিই ঠাওর করতে পেরেছি।পড়ার সময় শুধু মনে হয়েছে কেও কাওকে এতো ও ভালোবাসতে পারে ? প্রত্যেকটা মেয়েকে তার প্রিয় মানুষটা এভাবে পাগলের মতো ভালোবাসুক,তবে গোপনে।সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে।

🔰 পজিটিভ সাইড- 

আমার নরমালি স্যাড এন্ডিং বা বিচ্ছেদ ভালো লাগে না আর এখানে তেমন কিছু হয়নি তাই এটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় পজিটিভ সাইড।আর মৌরিপুর বই পড়ে আমি ভালোবাসতে শিখি,ভালোবাসার রূপ দেখি,ভালোবাসা কে বিভিন্ন দিক থেকে দেখি,ভালোবাসা মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে সেটা বুঝি।সবচেয়ে বড় কথা আমি বইটা পড়ে শান্তি পেয়েছি কেনো যেনো।

🔰 নেগেটিভ সাইড-

এক দুইটা বানান ভুল ছাড়া আর কোনো নেগেটিভ সাইড ছিলো না। তবে একটা নেগেটিভ সাইড হচ্ছে আমাকে কাঁদাতে পারেনি।আমি মৌরিপুর আগের প্রত্যেকটা বই পড়ে কেঁদেছি,কিন্তু এটা পড়ে আর কাঁদি নাই।এমন না যে কোনো ইমোশনাল মোমেন্ট ছিলো না,ছিলো খারাপ ও লেগেছে কিন্তু চোখ থেকে পানি আর পরে নাই।

🔰 কে/কারা পড়বেন- 

যারা রোমান্টিক উপন্যাস পড়তে পছন্দ করেন তারা পড়তে পারেন।এই বইটা পড়ার আগে মৌরি আপুরই ‘হাওয়াই মিঠাই’ বইটা পড়ে নেওয়া ভালো।আর যারা অলরেডি হাওয়াই মিঠাই বইটা পড়েছেন তারা তো অবশ্যই পড়বেন।

🔰প্রিয় বাক্য- 

“অভাব আর পেটের ক্ষুধা মানুষকে যে শিক্ষা আর জোরের জোগান দেয় তা আর কেও দিতে পারে না বলে আমার মনে হল।”

🔰 ব্যক্তিগত মতামত- 

এই পর্যন্ত মৌরি আপুর সব বই ই আমি পড়েছি।প্রতিটা বইয়ের মতো এটাও আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।যারা রোমান্টিক উপন্যাস পড়তে পছন্দ করেন তারা অবশ্যই উনার বই পড়ে দেখতে পারেন।

[ বি.দ্র.- এই রিভিউ সম্পূর্ণ আমার নিজের ব্যক্তিগত মতামত।ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি

💚 হ্যাপি রিডিং 💚

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ