আগাথা ক্রিস্টি "রহস্য সম্রাজী" নামে তিনি সবচে' বেশি পরিচিত - জানুন বিস্তারিত | Agatha Christie Life

গোয়েন্দা সাহিত্যাঙ্গনের একচ্ছত্র মহিলা ঔপন্যাসিক "আগাথা ক্রিস্টি।" "রহস্য সম্রাজী" নামে তিনি সবচে' বেশি পরিচিত। তাঁর সমান রহস্য উপন্যাস কোনো মহিলা তো দূরের কথা, পুরুষও লিখেননি। আশিটির উপর উপন্যাস এবং অসংখ্য ছোট গল্প লিখেছেন একাধারে ছয় দশক। সৃষ্টি করেছেন কালজয়ী চরিত্রদ্বয় "এরকুল পোয়ারো" ও "মিস মার্পল।" তিনিই একমাত্র লেখক, যিনি সমান্তরালে দুটি চরিত্রকে বিশ্ব নন্দিত করেছেন।


তাঁকে বলা হয়ে থাকে "গোয়েন্দা উপন্যাসের জনক।" (নাকি জননী হবে!!) "কুইন অফ মিস্ট্রি" "কুইন অফ ক্রাইম" ইত্যাদি নামে।
তাঁর হাত ধরেই মহিলা গোয়েন্দা পূর্ণতা পায়। এক এবং অদ্বিতীয় "মিস মার্পল।" পরবর্তিতে মিস মার্পল বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন যুগের মহিলা গোয়েন্দার রোল মডেল হোন। হোক সেটা প্রকাশ্যে অথবা ছায়ানুসরণ করে।

মিস মার্পলের ক্ষুরধার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, যুক্তি, বিশ্লেষণ বার বার মুগ্ধ করেছে হাজারো পাঠকের মন। এবং শতাব্দীর পরও করে যাচ্ছে অবিরত। 

শুরু থেকেই শুরু করি মানে পরিচয় দিয়েই শুরু করি জগদ্বিখ্যাত মহিলা গোয়েন্দাকে-

  • নাম - জেন মার্পল 
  • পদবী - মিস মার্পল। মানে তিনি অবিবাহিত কিংবা বলতে পারেন চিরকুমারী। 
  • পেশা বলতে শখের গোয়েন্দা। 
  • বাস করেন - সেন্ট মেরি মিড গ্রামে।
  • জাতীয়তা - বৃটিশ। 

পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজন

রেমন্ড ওয়েস্ট। সম্পর্কে মিস মার্পলের ভাতিজা। বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করতে তাকে প্রায়-ই দেখা যায়।
এছাড়াও আরও দুজন ভাগ্নের দেখা মিলে-
একজম ডেভিড ওয়েস্ট এবং লিওনেল ওয়েস্ট।

দুজন আঙ্কেল আছেন। একজন হেনরী এবং অন্যজন টমাস।

দুজন ভাতিজিকে দেখা গেলে মাঝে মধ্যে জোয়ান ওয়েস্ট ও মেবেল ডেনহাম। 

একজন আন্টি আছেন নাম হেলেন।

বেশ কয়েকজন কাজিনের দেখা মিলে মিস মার্পলের বিভিন্ন বইয়ে-

অ্যান্টনি, গর্ডন, ফ্যানি গডফ্রে। 

এবং একজন ফিমেল কাজিন হলো-
লেডি এথেল মেরিডিউ।

ও-হ্যা মিস মার্পলের একজন ধর্মকন্যা রয়েছে। তিনি হলেন-
ডায়ানা "Bunch" হারমন।

অরিজিন

আগাথা ক্রিস্টি "মিস মার্পল" চরিত্রটি ঠিক কাকে বা কার অনুলিপি অনুসরণ করে বইয়ের পাতায় ফুটিয়ে তুলেছেন, তার একক বা নির্দিষ্ট কোনো উৎস নেই। তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উৎস হলো-
 

🖌️ক্রিস্টি তার রচিত "দ্য মার্ডার অফ রজার অ্যাকরয়েড" এর অন্যতম চরিত্র "স্পিনস্টার ক্যারোলিন শেপার্ড" থেকে আইডিয়া নিয়েছেন মিস মার্পলের।

(যারা উপন্যাসটা পড়েছেন, তারা জানেন ক্যারোলিন শেপার্ড কত্ত তীক্ষ্ণ নজড়ের অধিকারী মহিলা। এলাকার সব খবর তার নখদর্পণে। এরকুল পোয়ারো পর্যন্ত বলেছেন, সে চাইলে অনেক বড় গোয়েন্দা হতে পারবে। তার মধ্যে রয়েছে গোয়েন্দা হওয়ার সমস্ত গুণাবলী।)

⚠️ফেক্ট:- 
পরিচালক "মাইকেল মর্টন" উপন্যাসটিকে মঞ্চস্থ করেছিলেন, তখন তিনি ক্যারোলিনের চরিত্রটিকে একটি অল্পবয়সী মেয়ে দিয়ে রিপ্লেস করেছিলেন। এই পরিবর্তনটায় ক্রিস্টি অনেক দুঃখ পেয়েছিলেন। তখন তিনি প্রতিজ্ঞা করে বলেছিলেন:
---"Miss Marple was born."

🖌️মিস মার্পেলের চরিত্রটি ক্রিস্টি তার বন্ধুর সৎ দাদী অথবা আন্টি Margaret Miller/née West উপর ভিত্তি করে চরিত্রায়ন করেছেন।

🖌️ক্রিস্টি এই নামটি "মার্পল রেলওয়ে স্টেশন" থেকে নিয়েছেন। প্রায় সময়ই তিনি এ স্টেশন দিয়ে যাওয়া-আসা করতেন। চেতন কিংবা অবচেতন মন নামটা হয়তো স্মৃতিতে জমা রেখেছিলো।

🖌️তার বোন মার্গারেট ওয়াটস এর বাড়ি ছিলো Abney Hall এর পাশে। ওখানে Marple Hall নামের বিল্ডিং থেকে তিনি "মার্পল" নামটা নিয়েছেন।

 🖌️আগাথা ক্রিস্টির ভাষায়-

The sort of old lady who would have been rather like some of my step grandmother's Ealing cronies – old ladies whom I have met in so many villages where I have gone to stay as a girl."
-অটোবায়োগ্রাফি।
-পৃষ্ঠা নাম্বার 499.

চরিত্র বিশ্লেষণ 

প্রথমবার মিস মার্পলকে দেখা যায় "দ্য টুয়েসডে নাইট ক্লাব" (১৯২৭) নামক ছোটগল্পে। এরপর প্রথমবারের মতো উপন্যাসে তাকে দেখতে পাওয়া যায় "দ্য মার্ডার অ্যাট দ্য ভিকারেজ"-এ। যার প্রকাশ কাল ১৯৩০ ইংরেজী।

"দ্য মার্ডার অ্যাট দ্য ভিকারেজ" জেন মার্পলের শুরুটা একদম "শানদার।" সবাই পছন্দ করে নেয় গ্রামের ওল্ড লেডিকে। পাঠক থেকে শুরু করে গল্পের অন্যান্য চরিত্র পর্যন্ত। কি সুনিপুণ যুক্তি আর হিসেবি চাল। এবং কিস্তিমাত। 

সবাই যখানে হত্যাটিকে নিয়ে খাবি খাচ্ছিল, সেখানে মিস মার্পল একের পর এক থিউরি আর ভবিষ্যৎবাণী করছিলেন এবং অবশেষে বোম ফাটালেন। বোমমম....

প্রথম দিকে মিস মার্পলকে গ্রামের সামান্য ওল্ড লেডি হিসেবে দেখানো হয়েছে। যার কাজ কেবল আড্ডা দিয়ে বেড়াত। গ্রামের মহিলাদের সাথে নিয়ে টি-পার্টি, গল্পগুজব করে বেড়ানোটাই মুখ্য ছিলো। 

তবে সময়ের সাথে সাথে ক্রিস্টি চরিত্রটাকে আপগ্রেড করেছেন। গ্রাম্য জীবন থেকে অনেক গল্পে দূরেও পাঠিয়েছেন। দিন দিন মিস মার্পলকে পলিস করে দূর্বলতা দূর করেছেন। বেশ দিলখোলা করেছেন। করেছেন অনেক আধুনিক।

মিস মার্পল প্রিয় জায়গা সেন্ট মেরি মিড গ্রাম। তিনি তার প্রিয় জায়গাকে খুব নিবিড় ভাবে পরখ করে দেখেন সবসময়। পাকা জহুরীর ন্যায়। তার প্রিয় কাজ মানুষকে স্টাডি করা। মানুষের পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে মনস্তত্ত্ব নিয়ে গবেষনা করা। 

তাই যখনই কোনো আশে-পাশে অঘটন ঘটে, তিনি আগের অভিজ্ঞতা থেকে সহজেই একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারেন। জটিল থেকে জটিলতর সমস্যারও সমাধান তিনি অনায়াসে দিতে পারেন। করতে পারেন ঘটনার ভবিষ্যৎবাণী।

মিস মার্পল অনেক সময় দেখা যায় অফিসিয়াল তথ্যের জন্য মেট্রোপলিটন পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার "স্যার হেনরি ক্লিদারিং"এর সাথে যোগাযোগ করতে। এতে খুব সহজে প্রয়োজনানুসারে প্রয়োজনমাফিক এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়ে যান।

মিস মার্পল কখনো বিয়ে করেননি। খুব অন্তরঙ্গ কাছের বলতে আসলে তার কেউ নাই।

এমনি তার কাছের বলতে ভাতিজা রেমন্ড ওয়েস্ট রয়েছে। সে নিজে একজন ফেমাস লেখক। বেশ কিছু গল্পে তাকে দেখা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

The Caribbean Mystery,
The Thirteen Problems,
Sleeping Murder and Ingots of Gold.

মিস মার্পেল তার জীবনযাপনের জন্য তেমন কোনো কাজ করেন না। তবে রেমন্ড তার আন্টিকে আর্থিক ভাবে সবসময় সহায়তা করে। সে খুব সম্মান ও শ্রদ্ধা করে মিস মার্পল কে।

They Do It With Mirrors (1952) উপন্যাসে মিস মার্পলের ছোটবেলা সম্পর্কে এক আধটু ধারণা দেয়া হয়েছে। যেমন-

-মিস মার্পল একটি ক্যাথেড্রালের কাছাকাছি বড় হয়েছেন। তিনি ক্যাথলিকে বিশ্বাসী। 
-এরপর তিনি একটি ইতালিয়ান ফিনিশিং স্কুলে পড়াশুনা করেন।
-এবং তার বন্ধুদের মধ্যে দুজন হচ্ছে আমেরিকান রুথ ভ্যান রাইডক এবং ক্যারোলিন "ক্যারি" লুইস সেরোকোল্ড।

🔰🔰
বয়সের মতভেদ

মিস মার্পলকে বিভিন্ন উপন্যাস ও গল্পে "বৃদ্ধা মহিলা" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট এবং স্পষ্টতর করে তার বয়স উল্লেখ না করে। আবার গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে মিস মার্পলের বয়সের অসামঞ্জস্যতা লক্ষ করা যায়। এবং তার বয়সের ধারাবাহিকতাও বজায় রাখা হয়নি।

অগুছালো এবং অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা গেছে অনেকবার। উদাহরণ দেই বিষয়টার-

১৯৬৫ সালে প্রকাশিত "Bertram's Hotel" স্টোরি লাইনে বলা হয় যে,
তিনি হোটেলটি পরিদর্শন করেছিলেন যখন তার বয়স ছিল ১৪ এবং এরপর প্রায় ৬০ বছর অতিবাহিত হয়েছে।
তাহলে ফলাফল দাঁড়ায় যে- তার বয়স প্রায় ৭৫ বছর।

কিন্তু "4:50 from Paddington" উপন্যাসটির প্রকাশ কাল ১৯৫৭ সালে। সেখানে আবার তিনি বলেন "পরের বছর তার ৯০ হবে।"

অর্থাৎ ১৯৫৭ সালে যদি তার বয়স ৮৯ বছর হয় তাহলে ১৯৬৫ সালে তার বয়স ৯৭ বছর হওয়ার কথা। কোনোমতেই ৭৫ নয়!!

এখানেই উত্থাপিত হয়, তার সঠিক বয়স কোনটি??

মিস মার্পলকে নিয়ে প্রথম গল্প এবং শেষ উপন্যাসে মধ্যে মোট সময়কাল ৪৯ বছর। এরমধ্যে অনেক চরিত্রের বয়স বেড়েছে।

যেমন উদাহরণ হিসাবে বলা যায় "দ্য মার্ডার অ্যাট দ্য ভিকারেজ" উপন্যাসের রেভারেন্ড মিস্টার ক্লিমেন্টের ভাগ্নে ডেনিস-কে দেখানো হয় একজন Teenager অর্থাৎ কিশোর বয়সের।

কিন্তু "The Mirror Crack'd from Side to Side" উপন্যাসে আবার তাকে দেখানো হয়েছে, সে এখন পূর্ণবয়স্ক যুবক।

🔰🔰
শারীরিক অবস্হা

অনেক সময় বার্ধক্যের প্রভাব মিস মার্পলের মাঝে দেখা যায়। বার্ধক্যের কারণে অনেক সময় তার তদন্ত কার্যেও বাধা-বিঘ্ন ঘটে।প্রায়-ই অসুস্থ হোন। মাঝে মাঝে নিজেকে সময় দেন। বিষয়টা স্পষ্ট করে "Caribbean Mystery"-তে দেখা যায়।

আবার কোনো কোনো বইয়ে তাকে বেশ প্রাণবন্ত হিসাবে প্রেজেন্ট করা হয়েছে। যেন তার মধ্যে বার্ধক্যজনিত কোনো বাধা নেই। "নেমেসিস" উপন্যাসটা পড়লে এর একটা ভালো ধারণা পাওয়া যায়।

মিস মার্পল কেন্দ্রিক বইসমূহ

মিস মার্পলের বইগুলোকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। এক হচ্ছে ছোট গল্পের সংকলন আর দুই হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস।

মিস মার্পলকে নিয়ে ক্রিস্টি মোট ১২টি উপন্যাস লিখেছেন। সাল অনুযায়ী সেগুলো হলো-

1 - The Murder at the Vicarage (1930)

2 - The Body in the Library (1942)

3 - The Moving Finger (1943)

4 - A Murder Is Announced (1950)

5 - They Do It with Mirrors (1952) আবার বইটি Murder With Mirrors নামেও পরবর্তিতে প্রকাশ পেয়েছে।

6 - A Pocket Full of Rye (1953)

7 - 4.50 from Paddington (1957) আবার এ বইটিও What Mrs. McGillicuddy Saw!নামে পরবর্তিতে প্রকাশিত হয়েছে।

8 - The Mirror Crack'd from Side to Side (1962)

9 - A Caribbean Mystery (1964)

10 - At Bertram's Hotel (1965)

11 - Nemesis (1971)

12 - Sleeping Murder (1976)

মিস মার্পলের ছোটগল্প সমূহ

1 - The Thirteen Problems (1932) কতগুলো ছোটগল্প নিয়ে এ সংকলন। বইটি আবার পরবর্তিতে The Tuesday Club Murders নামেও প্রকাশিত হয়েছে।

2 - The Regatta Mystery and Other Stories (1939)

3 - Three Blind Mice and Other Stories (1950)

4 - The Adventure of the Christmas Pudding (1960)

5 - Double Sin and Other Stories (1961)

6 - Miss Marple's Final Cases and Two Other Stories.এই ছোটগল্পের বইটি আবার Miss Marple's Final Cases নামেও প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে মোট গল্প ৮টি হলেও ৬টির মধ্যে মিস মার্পলকে দেখা গেছে। ক্রিস্টি গল্পগুলো লিখেছিলেন ১৯৩৯-১৯৫৪ সালের মধ্যবর্তী সময়ে। তাঁর মৃত্যুর পর ১৯৭৯ সালে একত্রে সংকলনটি প্রকাশ পায়।

7 - Miss Marple: The Complete Short Stories ( 1985)
বইটিতে The Tuesday Club Murders, The Regatta Mystery, Three Blind Mice and Other Stories এবং Double Sin and Other Stories এই চারটা বইকে একত্রে মার্জ করে নতুন করে প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়াও মিস মার্পল "এরকুল পোয়ারো"র গল্প সংকলন The Adventure of the Chrismas Pudding (1960) বইয়ের "Greenshaw's Folly" গল্পে দেখা গেছে।

মিস মার্পল সম্পর্কিত বই

মিস মার্পলকে নিয়ে বায়োগ্রাফি মূলক একটি বই বেশ জনপ্রিয়। বইটি লিখেছেন অ্যানি হার্ট।

বইটির নাম হলো - 
The Life and Times of Miss Jane Marple

সর্বশেষ

মহিলা গোয়েন্দারা পুরুষদের তুলনায় সংখ্যায় খুবই কম। এর মধ্যে সবচে' জনপ্রিয় "মিস মার্পল।" যিনি মহিলা গোয়েন্দার সজ্ঞাকেই বদলে দিয়েছেন পৃথিবীব্যাপি। তৈরি করেছেন প্রচুর পরিমাণে ফ্যান-ফলোয়ার। যা অনেক পুরুষ গোয়েন্দাকেও ঈর্ষার ফেলেছে।

তিনি বিচরণ করেছিলেন মাত্র অর্ধশতাব্দী কিন্তু বেঁচে থাকবে আরও বহু শতাব্দী। হাতে হাতে ঘুরেছেন বহু দেশ, হয়তো ফিউচারে ঘুরবেন গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে। তবু তার পরিভ্রমণ শেষ হবে না।

তিনি পৃথিবীর বুকে এঁকেছেন এমন এক অক্ষয় নাম, যা রয়ে যাবে অনন্তকাল। উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে জ্বলজ্বল করবেন সাহিত্যের আকাশে নিরবধিকাল।

তথ্যসূত্র-
-মিস মার্পল.কম।
-উইকিপিডিয়া।
-আগাথা ক্রিস্টির বই সমূহ। 

সেজান

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ