অভিশঙ্কিত হারমোনিকা লেখক: সুজানা আবেদীন সোনালী | Avisongkito Harmonika

নাম: অভিশঙ্কিত হারমোনিকা
লেখক: সুজানা আবেদীন সোনালী 
জনরা: সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার 
প্রচ্ছদ: আবুল ফাতাহ
প্রকাশনী: ভূমিপ্রকাশ
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১৮
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১২
মুদ্রিত মূল্য: ১৬০/-


𝐿𝑜𝓋𝑒 𝒶𝓃𝒹 𝓅𝑜𝓈𝓈𝑒𝓈𝓈𝒾𝓋𝑒𝓃𝑒𝓈𝓈 𝒶𝓇𝑒 𝓉𝒽𝑒 𝒹𝒾𝓋𝒾𝓃𝑒 𝓉𝓌𝒾𝓃𝓈 𝓁𝒾𝓀𝑒 𝒷𝑜𝒹𝓎 𝒶𝓃𝒹 𝓂𝒾𝓃𝒹, 𝒷𝑜𝓇𝓃 𝓉𝑜𝑔𝑒𝓉𝒽𝑒𝓇, 𝓁𝒾𝓋𝑒 𝓉𝑜𝑔𝑒𝓉𝒽𝑒𝓇 𝒶𝓃𝒹 𝒹𝒾𝑒 𝓉𝑜𝑔𝑒𝓉𝒽𝑒𝓇.
                                   — 𝒮𝒾𝓇 𝒫.𝒮. 𝒥𝒶𝑔𝒶𝒹𝑒𝑒𝓈𝒽 𝒦𝓊𝓂𝒶𝓇

শান্তশিষ্ট ছোট একটা শহর ওয়েস্ট গ্রোভ। তবে কিছুদিন যাবত অশান্তির কালোছায়া ঘিরে ধরেছে শহরটিকে। হঠাৎই আবির্ভাব ঘটেছে জেন্টসকিলারের! একে একে মারা পড়ছে শহরের ছেলে-বুড়ো। পুরুষজাতির প্রতি ভয়াবহ রাগ-ঘৃণার নিদর্শন স্বরুপ রেখে যাচ্ছে রক্তাক্ত বীভৎস লাশ! কেন এই ক্ষোভ-বিতৃষ্ণা? 

এলিজাবেথ, হাইস্কুল পড়ুয়া এক কিশোরী। আর দশজনের মতো নয় তার জগৎ। বাবাহীন পৃথিবীতে বড় হয়েছে বুকে পাহাড়সম বোঝা নিয়ে। সেই অসম দুনিয়াতেও হানা দেয় কালো হুডি পড়া কেউ, রাতের আঁধারে ধাওয়া করে! জেন্টসকিলার তাহলে কি হয়ে গেছে ফিমেলকিলার? বাড়ি ফেরার সময় অন্ধকার কালো গলিতে চিৎকার, হারমোনিয়ামের সুর শুনে থমকে দাঁড়ায়...
পরিচিত নির্জন গলিতে মুখামুখি হয় অপরিচিত সত্যের সাথে! বিশ্বাস টলে ওঠে। সামনে যা দেখছে তা কোনো দুঃস্বপ্ন নয় তো?

কলেবরে ছোট একটি বই। অলমোস্ট ৭৫ পেজেই বলে দেওয়া খুনি কে। তবে আরও আগেই অনুমান করে ফেলেছিলাম খুনি কে। খুনির মোটিভ কী এটাই আসলে টেনে নিয়ে গেছে কাহিনীকে, ভিক্টিম কে আর কেন।

কৈশোর মানেই কৌতুহল। এই কৌতুহলের কারণেই এলিজাবেথ আর তার বন্ধুরা জড়িয়ে যায় সিরিয়াল কিলার ওরফে জেন্টসকিলারের সাথে। পুরা ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায় এলিজাবেথের জবানিতে। বলতে গেলে পাঠক এলিজাবেথের সাথেই কিলারের সন্ধান করবে। বইয়ের দুটা ঘটনার বর্ণনা এমন যেন চোখের সামনে দেখছি; এলডার ফ্রাঙ্কলিনের ফিউনারেল আর অন্ধকার কানাগলি। কিছু বিষয় অস্পষ্ট মনে হয়েছে। আঙ্কেল জনের প্রতি হঠাৎ এলির তিক্ততা! ব্ল্যাকবক্স পুলিশের হাতে না যেয়ে নোলানের কাছে কিভাবে? নোলান, জেসন ও নিকোলাইয়ের এতবছর পর এলির প্রতি চিন্তা! এছাড়া বেশ কিছু জায়গায় মনে হয়েছে অনুবাদ পড়ছি। চরিত্রগুলোর অতি-আবেগী সংলাপ, ভিন্নদেশীয় প্রেক্ষাপটও এর কারণ হতে পারে। তবে কাহিনীর প্লট ভালো লেগেছে। প্রতিটি চরিত্রই ফুটে উঠেছে ভালোমতোই আনা বাদে। লেখনশৈলীতে কিছু অসংগতি বাদে টেনে পড়ে যাওয়ার মতো একটা বই। সবচেয়ে ভালো লাগা অংশ হলো খুনির সাইকোলজি আর খুনের মোটিভের ডিটেইলস আলোচনা। সমাপ্তি অপ্রত্যাশিত টুইস্টেড।

অল্পকিছু বানান ভুল চোখে পড়েছে। ঝকঝকে সাদা পেজের বইটির প্রোডাকশনও ভালো। এলিজাবেথের সেই নির্জন গলির চিত্র ফুটে উঠেছে প্রচ্ছদে। তবে কালার কম্বিনেশন ডার্ক হয়েছে বেশিই, খুব একটা ফুটে ওঠে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ