কিছুটা সত্য, কিছুটা কল্পনা আর কিছুটা ফ্যান্টাসিতে রচিত এই গ্রন্থটি প্রাচীন মিশরের এবাদিউসের পুরোহিত হারমাচিচের জীবন কাহিনী। মৃত হাসমাচিচের কফিন থেকে উদ্ধারকৃত তিনটি প্যাপিরাস খন্ড থেকে তার জন্ম থেকে মৃত্যু ঘটনার পরম্পরা যা এই গ্রন্থের মূল উপজীব্য।
মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রার সাথে একই দিনে জন্মগ্রহণ করা এই পুরোহিতের জন্মের সাথে সাথে দৈববাণী ছিল সে একদিন মিশরের রাজা হবে। আর সেই বিশ্বাসে তাকে বানানো হয় এবাদিউসের প্রধান পুরোহিত যিনি দেবতার নামে শপথ করেছিলেন দৈববাণী সত্য করার জন্য, মিশরকে মেসোডোনিয়দের দাসত্ব থেকে রক্ষা করার জন্য, মিশরের রাণী ক্লিওপেট্রা কে হত্যা করে মিশরকে তার স্বাধীনতা এনে দেওয়ার জন্য। হারমচিচের দীক্ষাও হয়েছিল সেই মতই। কঠোর ভাবে ইন্দ্রিয় সংযমেরও দীক্ষা হয় তার। জাদুকর হিসেবে নাম জশ নিয়েই প্রবেশ করেছিল রাণীর প্রাসাদে। কিন্তু মিশরের রাণীর ক্লিওপেট্রার রূপের মোহে পড়ে তার সব সংযমের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। ভুলে যায় নিজের প্রতিজ্ঞার কথা এবং মিশরের রাণীর রূপের অস্ত্রে পরাজিত হয়ে রাণীর ছলনায় পড়ে যায় সে। ক্লিওপেট্রার স্বামী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। ছলনাময়ী রাণী তাকে দাসে পরিনত করে। আর এই সকল ঘটনা পরিক্রমায় হারমাচিচকে নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্য করেছে ক্লিওপেট্রার সবথেকে খাস দাসী চারমিওন, যে হারমাচিচের মতই প্রাচীন মিশরের আদবাসী, যে হারমাচিচের মত স্বপ্ন দেখে মিশরের স্বাধীনতার। এই গ্রন্থের সবখানের আছে, সে সমূহ আগাম সব বিপদের ও ভুল কাজের থেকে সতর্ক করেছে হারমাচিচকে, সে হারমাচিচকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসে গেছে পুরোটা সময় ধরে। সে হারমাচিচের সাথে বসেই রাণীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে।
-হত্যার প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর পর অনেক ঘটনা পরিক্রমায় দ্বিতীয় প্রচেষ্টা করা হয়। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় কি সফল হয় হারমাচিচ?
- হারমাচিচের মিশরের রাজা হওয়ার দৈববাণী কি সত্য হয়েছিল?
-হারমাচিচের জীবনকাহিনী কখন লেখা হলো?
-তার মৃত্যুই বা কিভাবে হলো?
ক্লিওপেট্রার রূপের জাদু ও এই সব প্রশ্নের জবাব জানতে হলে পড়তে হবে বইটি। স্পইলার দিয়ে কৌতুহল নষ্ট করলাম না। PDF Download
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....