ফার্স্ট টাইম সেকেন্ড ম্যারেজ - ২২৪ পৃষ্ঠার রম্য উপন্যাস | First Time Second Marriage


টুকটাক যা লিখি, তার বেশিরভাগই রম্য৷ তাই বড় পরিসরে লেখার ক্ষেত্রেও রম্য আমার প্রথম পছন্দ। "ফার্স্ট টাইম সেকেন্ড ম্যারেজ" এর গল্প-কাহিনি আহামরি কিছু না৷ খুবই সহজ সরল আর ছোট কাহিনি। তবে ঘটনা নির্ভর। অসংখ্য চরিত্র রয়েছে, তাদের ঘটনা রয়েছে। সেগুলোই হাস্যরসাত্মকভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি৷

একটু সংক্ষেপে যদি কাহিনির চুম্বকাংশ বলি- জীবনযুদ্ধে প্রায় একা বড় হওয়া যুবক সাজিদ হাসান কখনো নিজ গ্রামের বাইরে পা ফেলেনি৷ তার ইচ্ছে, ঢাকা শহরে ঘুরতে যাবে। বন্ধুর সাহায্যে পৌঁছেও যায়। শহরে গিয়ে হরেক রকমের মানুষের সাথে পরিচয় হয়৷ নানান অভিজ্ঞতা। এর মাঝেই কাণ্ড ঘটে যায়। হুট করে বিয়ে করে সাজিদ৷ 

পরবর্তীতে স্ত্রীর বাসায় গিয়ে উঠতে হয়৷ সেখানে বাবা, মা, ভাই ডাকার মতো মানুষ মেলে। জীবনে প্রথমবারের মতো পরিবারের পরিবেশ পায় সাজিদ। কিন্তু প্রতিটা মানুষ, প্রতিটা সম্পর্কের মাঝে যেন সংশয়, চিন্তা আর অস্বাভাবিকতা লুকিয়ে আছে। সেসকল নাটকীয় ঘটনাগুলো ঘিরেই এ উপন্যাস। গল্পের ভাঁজে ভাঁজে মনে হতে পারে, এতটাও বিচিত্র হয় মানুষের জীবন? এতটাও অসহায় কেউ হয়? আসলেই যদি কারো জীবন এমন হয়, তবে তার দিনাতিপাত কেমন হবে- তাই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি বইয়ে৷

এটার জনরা রম্য হলেও ব্যক্তিগতভাবে বইটিকে আমি স্লাইস অব লাইফ জনরা বলব৷ উপন্যাসটি সাহিত্যের স্বাদ মেটাতে পারবে কী না জানি না, তবে দুনিয়াবি ঝুট ঝামেলা ভুলে গিয়ে খানিকটা প্রশান্তি পেতে পারেন৷ হাসি তামাশায় সময় কেটে যাবে।
.

বইয়ের ছোট্ট একটি অনুচ্ছেদ থেকে:

মিঠু সাহেব বিছানা ছাড়লেন। সোজা হাঁটা ধরলেন বাথরুমের উদ্দেশ্যে। যাত্রাপথে বিরবির করে কী কী যেন বললেন। খুব সম্ভবত বাবু ডনের গুষ্টি উদ্ধার করছিলেন। এরপর বাথরুমের দরজা খোলা মাত্রই বুকের ভেতরটা ছ্যাৎ করে উঠল। সমস্ত শরীর যেন পাথর হয়ে গেছে। কোটর থেকে বেরিয়ে আসা দুটি চোখের সামনে বসে আছে সাজিদ। তাও আবার কমোডের উপর, নিজের ঠ্যাং দুটো উঠিয়ে। তার পরনে লুঙ্গি থাকায় বোঝার উপায় নেই আদতে সে কিছু করছে কী না! কিন্তু বিষয় তো সেটা না। কমোডের উপর দুই পা তুলে বাথরুম করে কোন বলদে!

‘আব্বা ভালো আছেন?' মুখে জোরপূর্বক হাসি এনে জিজ্ঞেস করল সাজিদ।

‘অ্যাই হতচ্ছাড়া! তুমি এভাবে কমোডের উপর বসেছ কেন?'

‘ইয়ে মানে... আমি আসলে বুঝতে পারছি না কী করব! আগে কখনো এই ধরনের বাথরুম দেখিনি । কীভাবে হাগু করব বুঝতে পারছি না।'

'কীহ!'

বিস্ময় কাটে না মিঠু সাহেবের। ভেবে পান না এই আজব প্রাণীকে তার মেয়ে কোত্থেকে তুলে এনেছে। কোথায় এসেছিলেন বাথরুমে বসে রাগ কমাবেন, উল্টো রাগ বেড়ে এখন শরীরে আগুন লাগার মতো অবস্থা। আর কিছুক্ষণ এভাবে থাকলে বোধহয় রাগে ফেটেই পড়বেন তিনি।

ফার্স্ট টাইম সেকেন্ড ম্যারেজ
রম্য উপন্যাস, ২২৪ পৃষ্ঠা 
অক্ষরবৃত্ত প্রকাশন

১ থেকে ৫ জুলাই 'হইচই অফার'-এ অক্ষরবৃত্ত প্রকাশনের সকল বইয়ে থাকছে ৫০% ছাড়৷ পোস্টের প্রথম কমেন্টে বুকলিস্টের লিংক দেওয়া হলো।

ছবি কৃতজ্ঞতা : সামসুদ্দোহা রিফাত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ