লেখক : মনোয়ারুল ইসলাম
মলাট মূল্য :৫০০
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৪৯
ধরণ : ক্রাইম থ্রিলার
প্রকাশনি :নালন্দা
প্রকাশক : রেদওয়ান রহমান জুয়েল
প্রচ্ছদ : সুরঞ্জিত তনু(রাহুল চান্দের আঁকা অবলম্বনে)
বইয়ের সংক্ষিপ্তসার
কবির জীবন বলতে বোঝে- খুন,রক্ত আর কবিতা।ও বিশ্বাস করে এই তিনটি জিনিসের কারণেই সে প্রতিদিন বেঁচে থাকে।খুন সে আগেও করেছে,কিন্তু ইদানীং কবিরের মনে হচ্ছে অকারণে মানুষ মারতে আর রোমাঞ্চ অনুভব করছে না ও।এবার খুনের সাথে শিল্প জুড়ে দিতে হবে- প্রায় দুই যুগ আগের অজ্ঞাত জীবনানন্দকে সে ফিরিয়ে আনতে চায়।
কয়েকটা খুন সে স্বাভাবিক ভাবে করে,তারপর সেটার মাঝে একটু বেশি রোমাঞ্চ আনতে দু যোগ আগের জীবনানন্দ এর স্টাইল অনুসরণ করে।প্রতিটা খুনের লাশের সাথে একটা জীবনানন্দ দাশের কবিতা লিখে দিতো।
আসিফ আলী
পিবিআই এর এসপি,যার উপর এসে পড়ে খুনির কেইস।ধীরে ধীরে সে খুনির কিছু প্রমাণ যোগাড় করে এগিয়ে যায় খুনি কে ধরতে।
শাকিল
আসিফ আলীর সহকারি,খুনির তদন্তে যে পুরো টা সময় কাজ করে আফিস আলীর সাথে থেকে।
রমেশ
একজন সিল,যে নিজের জীবিকা চালায় মানুষের এভাবে।তার একটা ভয়ানক অতীত তার পিছু ছাড়ে না।
আফজাল আজিম
একজন রিটায়ার্ড পিবিআই এসপি।স্ত্রী কে নিয়ে একা থাকেন,একটু দূর্ঘটনায় ছেলে হারিয়েছেন তার।
সময় কাটে আকলিমা আজিমের সাথে।
শেষ বয়সে এসে সে লিখতে বসে তার কিছু অতীতের কথা গুলো যেগুলা সে আড়ালে থেকে করে গিয়েছিল।
পুলিশের কাজ গুলা এমন অদ্ভুত টাইপ লাগছে,বিশেষ করে আসিফ আলী,তারপর শাকিল।লেখক বাস্তব জীবনের মতো লিখতে গিয়ে বেশি ড্রামাটিক করে ফেলছে মনে হয়েছে আমার।
প্রথম কয়েক পাতায় লেখক এত চরিত্র নিয়ে আসছিনে কিছুক্ষণ ওখানে কিছুক্ষণ গিয়ে তদন্ত করে চলে আসছে,অনিচ্ছায় করলে যেমন হয় তেমন টাইপ।ল যে বুঝতে সময় লাগছে কোথায় কী হচ্ছে এগুলা।যদিও শেষের দিকে সব গুলা চরিত্রে মিল খুঁজে পাওয়া যায়,তবুও বিরক্ত লাগছে আমার।
প্রথম: একে তো খুনি তার উপর খুনির বাসায় এত গুলা সিসিটিভি ক্যামেরা কেন থাকবে?বেশি সেইভ থাকতে গিয়ে মানুষের আরো সন্দেহ বাড়িয়ে দিচ্ছে না?
দ্বিতীয়ঃ আফজাল আজিম কেন সেদিন মরতে গিয়েছিল?মরতে গিয়ে সে দেখে দূরে একজন মানুষ একটা কুকুর কে ভয়ানক ভাবে খুন করতেছে।
এই ঘটনার ব্যাখা কিছুই তেমন দেয়া হয়নি বইয়ে।
কেন হয়েছিল সেটা?
তৃতীয়ঃ রমেশের দু দেশের আইডি কার্ড ছিল তার কাছে,সেটা কেন ছিল?
আর রমেশ শুধু শুধু কেন একজনের গলায় ছুরি জাতিয় জিনিস ধরেছিল?
মানুষ কি মন চাইলো আর ধরে ফেললাম এমন কাজ করবে একজনের সাথে?আবার সেই মানুষ কে একজন মেরে ফেলে রমেশের সাথে এমন করার জন্য,এটাও কেমন হয়ে গেলো না?
চতুর্থঃ আকলিমা আজিমের অতীত টা আরো অদ্ভুত ছিল।এটার কোন রকম ব্যাখা নাই,হুট করেই একজন তার রুমে চলে আসবে?এটা নিয়ে ব্যাখা করার উচিত ছিল নয় কি?যার জন্য তার ছেলে ঘর ছাড়ে পরে,তাও আগুন লাগিয়ে।
শেষে বলবো এই লেখকের বই আমার আগে পড়া হয়নি,বইয়ের নাম টা ভালো লাগছিল,আরো ছিল ক্রাইম থ্রিলার তাই আগ্রহ টা জন্মেছিল পড়ার।
অন্যের কথা জানি না আমার আহামরি ভালো লাগেনি।লেখকের আরো কিছু দিক খেয়াল রাখা উচিত ব্যাখা দেয়ার ক্ষেত্রে আমার যা মনে হয়েছে।
বইয়ের চরিত্র গুলো
কবির মূলত যাকে ঘিরে পুরো উপন্যাস টি সাজানো হয়েছে।একজন মানষিক রোগী।যার মানুষ মারতে রোমাঞ্চ অনুভব হয়।মানুষ না মেয়ে মানুষ মারতে।কয়েকটা খুন সে স্বাভাবিক ভাবে করে,তারপর সেটার মাঝে একটু বেশি রোমাঞ্চ আনতে দু যোগ আগের জীবনানন্দ এর স্টাইল অনুসরণ করে।প্রতিটা খুনের লাশের সাথে একটা জীবনানন্দ দাশের কবিতা লিখে দিতো।
আসিফ আলী
পিবিআই এর এসপি,যার উপর এসে পড়ে খুনির কেইস।ধীরে ধীরে সে খুনির কিছু প্রমাণ যোগাড় করে এগিয়ে যায় খুনি কে ধরতে।
শাকিল
আসিফ আলীর সহকারি,খুনির তদন্তে যে পুরো টা সময় কাজ করে আফিস আলীর সাথে থেকে।
রমেশ
একজন সিল,যে নিজের জীবিকা চালায় মানুষের এভাবে।তার একটা ভয়ানক অতীত তার পিছু ছাড়ে না।
আফজাল আজিম
একজন রিটায়ার্ড পিবিআই এসপি।স্ত্রী কে নিয়ে একা থাকেন,একটু দূর্ঘটনায় ছেলে হারিয়েছেন তার।
সময় কাটে আকলিমা আজিমের সাথে।
শেষ বয়সে এসে সে লিখতে বসে তার কিছু অতীতের কথা গুলো যেগুলা সে আড়ালে থেকে করে গিয়েছিল।
পাঠ প্রতিক্রিয়া
প্রথমেই বলবো বইটার মাঝ পর্যন্ত পড়তে আমার ভিষণ রকম বিরক্ত লাগছে।প্রায় ১৫০-১৭০ পেইজ পর্যন্ত।তারপর এসে কিছুটা ভালো লাগছে।কারণ তখন সব কিছু বণনা করা শুরু হইছিল।পুলিশের কাজ গুলা এমন অদ্ভুত টাইপ লাগছে,বিশেষ করে আসিফ আলী,তারপর শাকিল।লেখক বাস্তব জীবনের মতো লিখতে গিয়ে বেশি ড্রামাটিক করে ফেলছে মনে হয়েছে আমার।
প্রথম কয়েক পাতায় লেখক এত চরিত্র নিয়ে আসছিনে কিছুক্ষণ ওখানে কিছুক্ষণ গিয়ে তদন্ত করে চলে আসছে,অনিচ্ছায় করলে যেমন হয় তেমন টাইপ।ল যে বুঝতে সময় লাগছে কোথায় কী হচ্ছে এগুলা।যদিও শেষের দিকে সব গুলা চরিত্রে মিল খুঁজে পাওয়া যায়,তবুও বিরক্ত লাগছে আমার।
বইটা পড়ে বেশ কিছু প্রশ্ন আমার মনে রয়ে গেছে।
প্রথম: একে তো খুনি তার উপর খুনির বাসায় এত গুলা সিসিটিভি ক্যামেরা কেন থাকবে?বেশি সেইভ থাকতে গিয়ে মানুষের আরো সন্দেহ বাড়িয়ে দিচ্ছে না?
দ্বিতীয়ঃ আফজাল আজিম কেন সেদিন মরতে গিয়েছিল?মরতে গিয়ে সে দেখে দূরে একজন মানুষ একটা কুকুর কে ভয়ানক ভাবে খুন করতেছে।
এই ঘটনার ব্যাখা কিছুই তেমন দেয়া হয়নি বইয়ে।
কেন হয়েছিল সেটা?
তৃতীয়ঃ রমেশের দু দেশের আইডি কার্ড ছিল তার কাছে,সেটা কেন ছিল?
আর রমেশ শুধু শুধু কেন একজনের গলায় ছুরি জাতিয় জিনিস ধরেছিল?
মানুষ কি মন চাইলো আর ধরে ফেললাম এমন কাজ করবে একজনের সাথে?আবার সেই মানুষ কে একজন মেরে ফেলে রমেশের সাথে এমন করার জন্য,এটাও কেমন হয়ে গেলো না?
চতুর্থঃ আকলিমা আজিমের অতীত টা আরো অদ্ভুত ছিল।এটার কোন রকম ব্যাখা নাই,হুট করেই একজন তার রুমে চলে আসবে?এটা নিয়ে ব্যাখা করার উচিত ছিল নয় কি?যার জন্য তার ছেলে ঘর ছাড়ে পরে,তাও আগুন লাগিয়ে।
শেষে বলবো এই লেখকের বই আমার আগে পড়া হয়নি,বইয়ের নাম টা ভালো লাগছিল,আরো ছিল ক্রাইম থ্রিলার তাই আগ্রহ টা জন্মেছিল পড়ার।
অন্যের কথা জানি না আমার আহামরি ভালো লাগেনি।লেখকের আরো কিছু দিক খেয়াল রাখা উচিত ব্যাখা দেয়ার ক্ষেত্রে আমার যা মনে হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....