রায়া অ্যান্ড দ্য লাস্ট ড্রাগন (বাংলা অনুবাদ বই) লেখক : এরিক নুয়েন | Raya And The Last Dragon Bangla

  • বই : রায়া অ্যান্ড দ্য লাস্ট ড্রাগন।
  • লেখক : এরিক নুয়েন।
  • অনুবাদক : আশিকুর রহমান।
  • প্রকাশনী : গ্রন্থরাজ্য

সে অনেক দিন আগের কথা। কুমান্দ্রা নামের এক দেশ ছিলো। সে দেশে মানুষের সাথে পাশাপাশি বাস করতো জলজ ড্রাগনরা। সেই ড্রাগনরা সবার জন্য নিয়ে আসতো পানি, বৃষ্টি আর শান্তি। মানুষ আর ড্রাগন মিলেমিশে সুখেই ছিলো বহুদিন। না বলতে গেলে ঝগড়া-বিবাদ কাকে বলে জানতোও না কুমান্দ্রাবাসী। সবসময় একে অন্যের খেয়াল রাখতো। স্বর্গের চেয়ে কম আনন্দে ছিলো না কুমান্দ্রার অধিবাসীরা।

কিন্তু একদিন বদলে গেলো সব। ড্রুন নামের ভয়ঙ্কর এক ভাইরাসের দল হানা দিলো স্বপ্নরাজ্যে। ছড়িয়ে পড়তে লাগলো দাবানলের মতো। ড্রুনের স্পর্শ পাওয়া মাত্র পাথর হয়ে যেতে লাগলো সবকিছু। ড্রুনদের একটাই লক্ষ- নিজেদের বংশবিস্তার করা। দয়া-মায়াহীন তো বটেই, ড্রুনদের চিন্তা করবার মতো স্বাভাবিক ক্ষমতাও ছিলো না।

ড্রুনদের সাথে অসীম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করলো ড্রাগনরা। মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য জড়িয়ে পড়ল মরণপণ লড়াইয়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ড্রুনের কবলে পড়ে একে একে সব ড্রাগন পরিণত হলো প্রাণহীন পাথরে।

টিকে থাকলো শুধু একটা ড্রাগন। তার নাম সিসুদাতু।

সিসুদাতু নিজের জাদুশক্তির সবটুকু একত্র করলো একটা উজ্জ্বল নীল রঙা রত্নপাথরে। এরপর কুমান্দ্রার সবথেকে উঁচু চুড়াটায় উঠে গিয়ে ঘটালো ভয়ঙ্কর এক বিস্ফোরণ।

একসময় ধুলোবালি আর ধোঁয়া সরে গেলো। অবাক হয়ে সবাই দেখলো ড্রুনের দল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু একইসাথে অদৃশ্য হয়েছে সিসুদাতু-ও।

পাথরে পরিণত হওয়া মানুষগুলো প্রাণ ফিরে পেলো ঠিকই, কিন্তু ড্রাগনরা যে পাথর হয়ে ছিলো- তাই থাকলো। সিসুদাতুর শেষ চিহ্ন বলতে ছিলো সেই উজ্জ্বল নীল রঙের রত্নপাথরটা। ড্রাগন ম্যাজিকের অবশিষ্টাংশ।

ড্রাগনের সাথে সাথে বিদায় নিলো সুখ-শান্তিও। কুমান্দ্রা ভাগ হয়ে গেলো পাঁচটা রাজ্যে- লেজ, শিরদাঁড়া, নখর, দাঁত আর হৃদয়ে। ড্রাগন রত্নের দখল পাবার লোভে নিজেদের মধ্যে বাঁধিয়ে বসলো রক্তক্ষয়ী লড়াই। অমূল্য রত্নটা লুকানো ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিলো না সামনে।

সবাই জানে, ড্রাগন রত্নটা এখন হৃদয়ের এক গোপন প্রকোষ্ঠে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। যার পাহারায় নিয়োজিত আছে স্বয়ং চীফ বেঞ্জা। গোটা রাজ্যে তার মতো দক্ষ তলোয়ারবাজ দ্বিতীয়টি নেই। এতদিন কেউ রত্নটার ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি। তবে সেটা আজ বদলাতে চলেছে…

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ