স্যালভেশন অফ আ সেইন্ট কেন পড়বেন? - কিয়েগো হিগাশিনো | Salvation of A Saint

  • বই : স্যালভেশন অফ আ সেইন্ট
  • লেখক : কিয়েগো হিগাশিনো 
  • অনুবাদ : সালমান হক
  • পৃষ্ঠা : ৩০৪
  • মুদ্রিত মূল্য : ৩২০ টাকা
  • প্রকাশনী : বাতিঘর প্রকাশনী

Perfect crimes are crimes that are undetected, unattributed to an identifiable perpetrator, or otherwise unsolved or unsolvable as a kind of technical achievement on the part of the perpetrator.

ঘটনার শুরুটা আমাদের খুবই পরিচিত। সাধারণত দাম্পত্য জীবনে অন্যতম বড় একটা পার্ট হচ্ছে সন্তান নেওয়া। আর যখনই দেখা যায় স্ত্রী সন্তান ধারণে অক্ষম তখন স্বামীর চিন্তাভাবনা থাকে দ্বিতীয় সঙ্গীর এবং একটা সময়ে সে হয়ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে বিচ্ছেদের। ঠিক এমনই একটা ভঙ্গুর সম্পর্কের ইতি টানার আগেই খুন হয়ে গেলেন স্বামী ইয়োশিতাকা মাশিবা। 

সব সন্দেহ গিয়ে পড়ল স্ত্রী মিস আয়ানে মাশিবার উপরে। কিন্তু মিস মাশিবা সেসময় ছিলেন ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশো মাইল দূরে নিজের বাবা-মায়ের কাছে যেটার খুব শক্ত অ্যালিবাই রয়েছে তার। তাহলে প্রশ্ন একটা থেকেই যায় যে ভিক্টিমকে কফিতে বিষ প্রয়োগ করলো কে?

আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থায় পড়ে যায় ডিটেকটিভ কুসানাগি এবং তার জুনিয়র ডিটেকটিভ উতসুমি। একটা সময়ে এই কানাগলিতে পড়ে দুজনে শরণাপন্ন হয় ডিটেকটিভ গ্যালিলিওর। কিন্তু ডিটেকটিভ গ্যালিলিও নিজেও এটা সমাধান করতে গিয়ে বিপদে পড়ে যায়।

প্রথমে বলি এই বইটার শুরু থেকেই আমি পুরোপুরি লকড হয়ে গিয়েছিলাম। শুরুতেই বলেছি ঘটনাটা আমাদের সবারই পরিচিত দাম্পত্য জীবনে আর সেটাই আটকে রেখেছিল শেষ পর্যন্ত বইটার সাথে। কিয়েগো হিগাশিনো আরো একবার প্রমাণ করলেন যে সে তুখোড় ব্রেনবাজ। 

একটা খুন যেটাকে নির্দিধায় আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া যেত সেটাকে খুটিয়ে খুটিয়ে পরিকল্পিত মার্ডার হিসেবে বের করা এবং সব প্রমাণ যোগাড় করে খুনিকে বের করা খুব সোজা কাজ নয়। তবে এখানে "খুনি কে?" সেটা থেকে বড় প্রশ্ন হলো "খুনি খুনটা কিভাবে করল?" আর এটাই হচ্ছে বইয়ের মেজর টুইস্ট। মানে খুন কিভাবে করলো সেটা জানার পর আপনি বলতে বাধ্য হবেন "আসলেই ব্রিলিয়ান্ট"। খুন এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেটা হয়ত আপনি চিন্তাও করতে পারতেননা। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে খুব ধীরে সুস্থে তদন্ত প্রক্রিয়া চলেছে খুব তাড়াহুড়ো নেই, নেই ঘটনার বাইরে অপ্রাসঙ্গিক কোনো বর্ণনা। মোটামুটি এভাবেই টেনে নিয়ে লেখক শেষার্ধে ধাক্কা দিয়েছেন পাঠককে।

তবে বইয়ের শেষ পর্যন্ত পৌছানোর আগে জুনিয়র ডিটেকটিভ উতসুমির সুক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ আপনাকে অবাক করবে যার নজরে এমন কিছু ধরা পড়ে যেটা একজন ডিটেকটিভ হিসেবে হয়ত অনেকেই এড়িয়ে যেত।

সুলেখক কিনা জানিনা তবে সুঅনুবাদক হিসেবে 'সালমান হক' সবসময় একটু উপরের দিকেই থাকবে। তাই এই বইয়ের অনুবাদ নিয়ে প্রশ্ন না তুলে চোখ বন্ধ করেই নিয়ে পড়ে ফেলা যায়। তবে এর থেকেও ভালোলাগার ব্যাপার হলো বাতিঘরের বইতে আর আগের মত একগাদা টাইপো আর ভুল বানান নিয়ে বিরক্ত হতে হয়না। মাঝে মধ্যে শুধু দু একটা টাইপিং মিস্টেক চোখে পড়েছে যেটা স্বাভাবিক।

সব কথার শেষ কথা যারা কিয়েগো হিগাশিনোর বই আগে পড়েছে তাদের এটা মিস দেওয়া উচিত হবে বলে মনে হয়না আর যারা চিন্তা করছে যে কিয়েগো হিগাশিনোর বই কিনবে কিনা তাদের জন্য সাজেশন

হলো স্যালভেশন অব অ্যা সেইন্ট, দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স, দ্য নেম অফ দ্য গেম ইজ অ্যা কিডনাপিং আর জার্নি আন্ডার দ্য মিডনাইট  (নজরুল ইসলামের করা বাংলা এডাপ্টেশন 'অস্পৃশ্যতা') চোখ বন্ধ করে নিয়ে ফেলা। PDF Download Link

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ