সাওয়ার ক্যান্ডি এন্ড সিরিয়াল রেপিস্ট : কীলান প্যাট্রিক বার্ক | Shawar Candy And Serial Rapist Bangla Anubad

বই : সাওয়ার ক্যান্ডি
লেখক : কীলান প্যাট্রিক বার্ক
অনুবাদক : লুৎফুর কায়সার
জনরা : হরর



বাচ্চা বরাবরই অপছন্দের ফিল পেনড্লেটনের। অপছন্দের কারণ আরও জোরদার করতেই যেন সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সাদা চুলের বাচ্চাটা বারবার চিৎকারে করে চলেছে। কিন্তু কিছু একটা ঠিক নেই... 
বাচ্চাটার চোখে অদ্ভুত শয়তানি হাসি! মাকে দেখে মনে হচ্ছে যেন আশেপাশে কী হচ্ছে কিছু খেয়াল নেই। মা-ছেলের আজব ব্যবহারে বিরক্ত সুপারমার্কেটের সবাই। হঠাৎ ফিলের দিকে টক চকলেট এগিয়ে দিলো বাচ্চাটা। নিজের অজান্তেই মুখে পুড়ে নিল ফিল। কিন্তু কে জানতো সাওয়ার ক্যান্ডি বদলে দিবে তার জীবন!!! 

ক্যান্ডি খাওয়ার পর থেকে ঘটতে থাকে অতিভৌতিক ঘটনা। ফিলের এক্সিডেন্টের সময় আহত মহিলা বর্ণনা যেভাবে দেওয়া হয়েছে প্রথমে জম্বি কাহিনী মনে হচ্ছিল। অ্যাডামের সাথে ফিলের ঘটনা অনেকটা কনফিউজিং, কোনটা রিয়েলিটি কোনটা ইমাজিনারি! এটাই অবশ্য মেইন অ্যাট্রাকশন। শেষ পর্যন্ত এই ধোঁয়াশার মধ্যেই ছিলাম। লাস্ট আনপ্রেডিক্টেবল! কিন্তু একটা প্রশ্ন ; সাওয়ার ক্যান্ডি খাওয়ার পর বাচ্চা ট্রান্সফার চেইন কন্টিনিউ হয় তাহলে কর্টেজের কাছে বাচ্চা গেল কী করে? সে তো খায়নি!  
অনুবাদ বেশ সাবলীল। তবে কিছু জায়গায় অসংগতি লেগেছে। চকলেট(ওটা) ক্ষেত্রে "ওকে"(ব্যক্তিবাচক) এর ব্যবহার। এমন টুকাটুকি কিছু। এছাড়া ওভারঅল দারুণ একটা হরর। শেষ না হওয়া পর্যন্ত কী হচ্ছে বুঝা দায়।

নাম: সিরিয়াল রেপিস্ট
লেখক: টেস গেরিটসেন 
অনুবাদক: তানভীর মৌসুম 
জনরা: মিস্ট্রি থ্রিলার

                    সিরিয়াল রেপ কেসে ভিক্টিম খুন হওয়া খুব একটা আশ্চর্যের বিষয় না। কিন্তু যদি শিকারীই শিকার হয়ে যায় তাহলে? এমনটাই হয়েছে ডক্টর মরা আইলসের সাথে। রেপিস্টই খুন হয়ে গেছে! কিন্তু কিছু মনে করতে পারছে না আইলাস। খুনের সন্ধানে বের হয়ে আসে অন্ধকার কিছু রহস্য। ডিটেকটিভ জেন মুখোমুখি হয় অজানা অতীতের সাথে!

কলেবরে ছোট্ট একটা গল্প। ফাস্ট স্পিডে ঘটছে একের পর এক ঘটনা। কিন্তু খুনি কে হতে পারে কিছুটা আন্দাজ করা গেলেও এন্ডিং টুইস্টেড। চরিত্রগুলোর সাইকোলজিক্যাল টার্ম হাইলাইট করেছেন লেখক। স্টোরি টেলিং স্টাইল সোজাসাপটা। অনুবাদও ভালো হয়েছে। Collect This Book Original Copy

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ