কেমন আছেন? অনেকদিন পর আপনাকে লিখছি। সবকিছুর আগে গতকাল কী কাণ্ডটা হয়েছে বলি। সিয়ানের পেজের জন্য শুক্রবারের লেখাটা লিখতে বসেছি। রাত সাড়ে বারোটা তখন। শিরোনাম দিয়েছিলাম ‘জীবন ও শিল্পচৈতন্য’। কীসে লিখব, এ নিয়ে ইদানীং বেশ একটা মানসিক বিভ্রান্তিতে থাকি। একটা সময় তো ছিল যখন আমরা কলম দিয়ে কাগজে লিখতাম। এরপর ল্যাপটপ এল, মোবাইল এল। এখন তিনোটাতেই এসেছে অভ্যস্থতা; কিন্তু মাধ্যম একাধিক হওয়ায় বিভ্রান্তিটাও এসেছে সাথে। দিশে না পেয়ে সবগুলো নিয়েই বসলাম। কিন্তু কাজের কাজ হলো না কিছুই। সাড়ে চারটা পর্যন্ত বসে রইলাম শুধু শুধু। দশ লাইন লিখে আর এগোতেই মন চাইল না। কী কুক্ষণে যে এমন একটা তাত্ত্বিক শিরোনাম দিয়েছিলাম! এখন উপায়? এই উচ্চমার্গীয় জিনিস সামলাব কী দিয়ে! আমি তো তত্ত্ববাদী নই। ক্ষীণ সন্দেহ হচ্ছে, ওই সময়টিতে হয়তো মানসিকভাবে বিশেষ একটা স্ফূর্তিতে ছিলাম। সেই আবেগে আচ্ছন্ন হয়েই আজ এমন একটা গহিন খাদে পড়া গেল।
ওমর ভাই কলের পর কল তো বটে; হোয়াটসআপ ও ম্যাসেনজার—এ দুই জায়গাতেও হানা দিচ্ছেন ঘনঘন। আমি ম্যাসেজ দেখে চুপচাপ সরে এসেছি। কিন্তু এই লোককে এড়িয়ে থাকা মুশকিল। অত্যন্ত জেদি আর না-ছোড় মানুষ। এ কয়দিনে একটু একটু ভয় পেতেও শুরু করেছি। খানিক পর দেখলাম হোয়াটসআপে লালমস্তক বিশিষ্ট অনেকগুলো রাগ পাঠিয়েছেন৷ অবশ্য, এ সত্যি সত্যি রাগ নয়। লোকটা আমার মতোই। মাঝে মাঝে আনন্দ ও ভালোবাসাকে ব্যাখ্যা করতে চায় ক্ষুব্ধতা দিয়ে। এবং একেই প্রকাশ করছে ক্ষোভে ফেটে পড়া লাল লাল অসংখ্য মাথা দিয়ে। আমাদের ভালোবাসাগুলো কী বিচিত্র উপায়ে যে প্রকাশিত হয়। অদ্ভুত। আমি সালামের জবাব দিয়ে তার রাগগুলোই কপি করে আনলাম। পরে মনে হলো, রাগ তো এমন ‘প্রতিলিপি’ করবার জিনিস না। এ ভেতর থেকে নব নব উৎপন্ন করবার বস্তু। ফলে, সেসবের সাথে আরও নতুন চারটা যুক্ত করে পালটা জবাব দিলাম। তারপর ভূতের ভয় দেখাতে চাইলাম। হুমকি দিয়ে বললাম, এই রাতে হোয়াটসআপ এবং ম্যাসেঞ্জারে ভূত ছেড়ে দেবো কিন্তু! তাতে লাভ হলো না, ভূত নাকি উলটো তারে ডরায়। সে যাই হোক; কিন্তু কথা তো শেষ পর্যন্ত এই—রাতের ভিতরে লেখাটা দিতে হবে।
ইতোমধ্যে বিষয় পালটিয়েছি তিনবার। তবু কিছুই করা গেল না। এদিকে নিচতলায় আমি আর আব্বা ছাড়া একটা মানুষ নেই। ফলে, কোনার রুমটায় একা বসতে খানিকটা ভয় ভয় লাগছিল। কীসের ভয়? স্বীকার করাটা লজ্জার বটে, তবু বলি—জিনের ভয়। যে ভয় ওমর ভাইকে দেখাতে চেয়েছি, সেটাই এখন আমাকে জাপটে ধরেছে। এই পরিস্থিতিতে; দুষ্টু জিনের সম্ভাব্য খপ্পরে থাকা অবস্থায় চিন্তা উৎপাদন বা স্মৃতির রোমন্থন কোনোটাই সম্ভব নয়। বড় হবার পর এমন ভয় থাকাটা হাস্যকরই। দোয়া দুরুদ পড়লে কাটেও, তবু মন তো! সবার উপর জোর চালানো গেলেও এখনে সে জো নেই। হা হা... সে যাক। বুদ্ধি করে সামনের রুমটায় এসে চেয়ার-টেবিল পাতলাম, আব্বার রুমের কাছাকাছি। কিন্তু লেখা তো আসছে না!
অবশ্য এ আজব কোনো সমস্যা নয়। লেখকমাত্রই এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। এর আগে এক চিঠিতে আপনাকে জানিয়েছিলাম সে দুঃখের কথাটি। সেসময় থেকেই ভাবছিলাম বিষয়টি নিয়ে। কী নিয়ে? মানে, সমস্যাটা কেন হয়, এর উৎপত্তিটা কোথায়? ধরুন, শিরোনাম যেটা দিয়েছিলাম, একদম যে না ভেবে দিয়েছি এমন নয়। শিরোনামের শব্দগুলো উচ্চমার্গীয় হলেও খুব সহজ একটা চিন্তা এখানে ছিল। আমাদের জীবনে শিল্পচৈতন্যের যে উপস্থিতি, শিল্পের যে বোধ ও পিপাসা, সচেতনে বা অবচেতনে এ যেভাবে আমাদের জীবনে প্রকাশিত ও বিকশিত হয়, আমরা যেভাবে একে চর্চা ও লালন করি, এ তো আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতারই জিনিস। তবু বলতে পারলাম না কেন? বাধাটা ছিল কোথায় আসলে? বিস্তর ভেবে শেষে যা বুঝতে পেলাম—একটা লেখার আগে আমাদেরকে মুখোমুখি হতে হয় দুটো জিনিসের: এক হলো জ্ঞান ও চিন্তার টেরটুকু, আরেক হলো সে অনুভবের শব্দগত বিস্তার।
ব্যাপারটা আপনিও জানেন৷ শুধু আপনি না; খানিকটা চিন্তা করলে যে কেউ ধরতে পারবে। তবু, এখন আমাকে বলতে দিন৷
লেখার মধ্যে তো রকমফের আছে। কিছু আছে নিরেট একাডেমিক। চিন্তা ও জ্ঞানমূলক। কাঠামোবদ্ধ এবং বিষয়প্রকট। আবার কিছু আছে সৃষ্টিধর্মী, যেখানে স্মৃতি থাকে, অভিজ্ঞতা ও অনুভব থাকে। থাকে হৃদয়ের সংশ্লেষ। সেসবকে উপজীব্য করে রচিত হয় এক মধুর বাগবিস্তার।
কিন্তু চরিত্রে যেমনই হোক, সবগুলোর মূলে একটিমাত্র জিনিস থাকে, তা হলো আত্মার এক সূক্ষ্ম কম্পন। এ ছাড়া লেখাটা কখনো লেখা হয়ে ওঠে না।
আমার ধারণা একাডেমিক বিষয়গুলোতে এ জায়গাটায় মানুষ ভুল করে। একটা বিষয়ে দশটা বই পড়ে বেশ কিছু তথ্য ও ধারণা নিলাম, এরপর সেসব সাজিয়ে একটা বক্তব্য হাজির করলেই কি লেখাটা হয়ে গেল? আমার মন সায় দেয় না এতে। এখানে কিছু তথ্য হয়তো আছে, কিন্তু সেগুলো আমাদের চিন্তার অন্তঃস্রোতে মিশে গিয়ে ভিতরে কোনো আলো তৈরি করতে পারে না। একটা প্রাণই কেবল অন্য একটা প্রাণকে জাগাতে পারে। হৃদয় ছাড়া হৃদয় জ্বলবে কেন? এ লেখায় সে প্রাণটি নেই। নেই সে হৃদয় ও রক্তস্রোত।
জ্ঞান তাহলে কী জিনিস? আমি যেটা বুঝি, জ্ঞান হলো আত্মার সে সূক্ষ্ম টেরটুকু, যার উপস্থিতিতে কোমল একটি কম্পন সৃষ্টি হয়। আমরা যে জীবনটা যাপন করি, এখানে অজস্র দৃশ্য ও শব্দ আছে, আছে স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা। পঞ্চইন্দ্রিয়, মস্তিষ্ক ও হৃদয় সেসবকে নিজেদের সমস্ত আকুলতা দিয়ে ধারণ করে, দীর্ঘ সময় বহন করে, বিচার ও বিশ্লেষণ করে। এই যে তাদের যৌথ উদ্যোগ, নিষ্ঠার সাথে অসাধারণ সুশৃঙ্খল এক কর্মতৎপরতা, এখান হতে একটা নির্যাস সৃষ্টি হয়, ফোঁটা আলোর মতন, টুপ করে ঝরে পড়ে আত্মার উপর। আমাদেরই ভিতরে গহিন অন্ধকার কোথাও ভেসে যায় অদ্ভুত সে আলোয়। এ নিরেট একাডেমিক বিষয়ের ক্ষেত্রে যেমন সত্য, তেমনই সত্য স্মৃতি ও অনুভবজাত গদ্যপ্রধান লেখার ক্ষেত্রেও। জীবনানন্দ বলেছিলেন, কোনো কোনো দিন হৃদয় মোমের আলোর মতো জ্বলে ওঠে। এ হলো সেই। এ আলোটুকু একদিকে যেমন অনির্বচনীয় এক আনন্দ সৃষ্টি করে, অপরদিকে তৈরি করে মধুর এক যন্ত্রণাও। এ যন্ত্রণাটুকুই একজন লেখকের সত্যিকারের লেখকসত্তা। এটুকু ছাড়া হৃদয়গ্রাহ্য একটি লেখা সৃষ্টি করা কীভাবে সম্ভব?
কিন্তু এই শেষ নয়; শুরুমাত্র। আত্মার সে কাঁপনে আমরা যখন কাতর হয়ে পড়ি, তখন আমাদের প্রয়োজন হয় শব্দের। এবং মুশকিল হলো এই যে, এ শব্দ উৎপাদন করতে হবে এ কাঁপনটুকু থেকেই। একটা বিষয়ে সে আলোর ফোঁটাটি লাভ করা যতটা কঠিন, এর চেয়ে বেশি কঠিন মনে হয় আমার কাছে শব্দের উৎপাদনটা।
এই যে বারবার শব্দ উৎপাদন বলছি, এতে এক ধরনের হেঁয়ালি আছে স্বীকার করি; হয়তো বিরক্তও হচ্ছেন, কিন্তু এর সবটুকু যে হেঁয়ালি নয়, তা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। দেখুন শব্দ তো আমি জন্ম দেবো না। অজস্র শব্দ সমাজের মানুষের সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষা থেকে পূর্ব হতেই জন্ম নিয়ে আছে। কিন্তু আমার যন্ত্রণাটুকু বহন করতে পারে, সে শব্দগুলো কী? এ বাইরে থেকে আরোপ করা যায় না। খুঁজে নিতে হয় চিন্তার ভেতর থেকেই। আসলে শব্দ ও চিন্তা কি আলাদা কিছু? নাকি একই জিনিস মূলত? শুধু চেতনায় দৃশ্যমান হয় দুইভাবে? এ জায়গাটিতে এসে আমার কাছে মনে হয় একই আসলে। শক্তি যেমন বিবর্তিত হয়, শব্দও তেমনই—চিন্তারই বিবর্তিত রূপমাত্র।
এ বিবর্তন অবস্তুগত, কোমল ও সংবেদনশীল। ফলে একটা লেখার জন্য দরকার হয় সুপ্রচুর আলস্যের, আর দরকার অন্তহীন হাঁটার অবসর। আমি প্রায়ই দুই হাত পেছনে বেঁধে মাথা নিচু করে হাঁটি, আলতো পায়ে। গভীর ভাবনায় ডুবে সেই শব্দগুলোকে দেখতে পাবার ব্যর্থ চেষ্টা চালাই। উজ্জ্বল রোদে জলের তল হতে ধবধবে পুঁটি মাছের মতো, একটু ভেসেই মিলিয়ে যায় শব্দগুলো। আমি হাসি। একটা উজ্জ্বল জানালার পাশ দিয়ে হাঁটছি যেন। উজ্জ্বল ও কুয়াশাচ্ছন্ন, নরম, সুন্দর একটি জানালা; অথই দৃষ্টির আনন্দের ভেতর, কোথাও হারিয়ে যাবার হাহাকার সমেত, কখনোই খুঁজে না পাওয়ায় বিদ্ধ হয়ে, অনিশ্চয়তার আকুলতায়, অদ্ভুত লাগে এইসব প্রহর।
কখনো বসে থাকি চোখ বন্ধ করে। কিন্তু ধরতে গিয়ে টের পাই কাজটা মোটেই সহজ কিছু নয়। মাথার ভেতর একটা ছায়া শুধু; সাকুল্যে পাঁচ লাইন হবে। সেই যে আলোর ফোঁটা। এর মধ্যে কোনো শব্দ নেই, চিত্র নেই; অশরীরী একটি উপস্থিতির আভাসমাত্র। ফলে, সুনির্দিষ্ট শব্দ দিয়ে একে তালাশ করা যায় না এবং পূর্ণ চোখে এর দিকে তাকালে কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। মৃদু কুয়াশার মতো, ধরতে গেলে নাই। এ এক খেলা যেন৷ আলতো হয়ে থাকতে হবে। কোনো কাঠামোতে বন্দি করতে চাওয়া যাবে না; পরোক্ষ ও উপস্থিতহীন হয়ে একে একটা কুয়াশার কুণ্ডলীর মতো বেড়ে উঠতে দিতে হবে। প্রেমিকার মতো যেন—যে একটা বানোয়াট ধোঁকার ভেতর দিয়ে ধরা পড়তে চায়। অথবা, দেয়ালের গায়ে জলের ছিটা দেওয়ার পর সেখানে যেমন নানা কাঠামোর সম্ভাবনা উৎকীর্ণ হয়—লেখাটা যেন তেমনই: নির্দিষ্ট কোনো ছবির আকাঙ্ক্ষা নয়; আলতো দৃষ্টিতে একটু সময় তাকিয়ে থাকলে মনের মতো একটা কাঠামোকে ভাসিয়ে তোলা যায়। এরপর খুব দ্রুত পেন্সিল দিয়ে বন্দি করে ফেলতে হয় সেই ছবি। একটা কুয়াশাকে; প্রেমিকার মতো; উজ্জ্বল, কুয়াশাচ্ছন্ন, নরম ও সুন্দর; অথই দৃষ্টির ভেতর, যেখানে আস্ত বিকেলটা সেঁধিয়ে গেছে; একটা জলজ সম্ভাবনাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ঘিরে চক্কর কাটতে থাকি। আত্মা যেন নরম তন্তুর মতো ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর আচানক কোথাও ঝড় বয়ে যায় যেন। টের পাই না কিছুই। কিন্তু শেষ করার পর হৃদয়ে যে হতাশা জাগে, এর উপশম নেই কোনো৷ বোধ করি লেখকমাত্রই এ হতাশার স্বীকার হন। কারণ, আত্মার সে কম্পন আর হৃদয়ের সে মধুর যন্ত্রণা, শব্দ সেসবের সামান্যও ধারণ করতে পারেনি। শব্দ বড় ভঙ্গুর, দুর্বল। বড় ঠুনকো জিনিস।
আমি যা লিখি, তা তো ছাইপাশ। কিছুই হয় না জানি। আমার লেখাগুলো সামনে রেখে এ বিবরণকে পুনর্পাঠ করলে আপনার মনে হবে বানোয়াট কল্পনায় অযথাই ফেঁদে বসেছি মহাভারত! কিন্তু এ কি মিথ্যা আসলে? আপনি তো লেখক। টের পান নিশ্চয়ই।
এবং এটাও টের পান যে, লেখার জন্য এমন কোমল যুদ্ধটি সবসময় করতে হয় না। কোনো কোনো দিন হৃদয় ফুস করে জ্বলে ওঠে আপনা হতেই। ফলে সামান্য সময়ে লেখা হয়ে ওঠে এমন কিছু, শব্দের অক্ষমতাজনিত গ্লানির পরেও একটা আনন্দ আবিষ্ট করে রাখে সমগ্র অস্তিত্বকে।
এই যখন অবস্থা, তখন ওমর (ওমর আলী আশরাফ) ভাইয়ের হোয়াটসআপে পাঠানো বিক্ষুব্ধ লাল মস্তকগুলো মাথায় নিয়ে এমন আলস্য আমি কোথায় পাব? আমি জানি ওমর ভাই এ কথা কখনো শুনতে পেলে অনুযোগ করবেন৷ বলবেন, ঠিক বৃহস্পতিবারেই কেন লিখতে বসতে হবে? কিন্তু এ কথার কোনো জবাব তো নেই আমার কাছে। আজন্ম অলস আমি। আমি বুঝি লেখার জন্য জগত সংসারে কে-ই বা আমাকে দেবে এমন অবারিত ফুরসত? না জীবন, না সংসার। লিখি না তাই। সময় বয়ে যায়, থেকে যায় অনেক না বলা কথা। লেখার জন্য এই যে এতশত আবদার, আয়োজন ও যন্ত্রণা, মাঝে মাঝে মনে হয় কি জানেন? আমি লেখক হতে পারব না কখনো৷ যেন সেই খুঁতখুঁতে মেয়েটি, যে বিয়ের জন্য অজস্র শর্ত নিয়ে বসে আছে। এরপর বয়স পেরিয়ে যায়, বিয়ে হয় না। দেখবেন আমারও বিয়ে হবে না কোনোদিন।
অনেকদিন কথা হয় না আপনার সাথে। আজ ফুরসত পেয়ে বকবক করেই গেলাম। মাথা ধরেছে নিশ্চয়? দিনকাল কেমন কাটছে? লেখালেখি? দোয়া করি, ভালো থাকবেন, রবের কল্যাণে।
সাবের চৌধুরী
কথাসাহিত্যিক
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....