Dissociative Identity Disorder (DID) বা বহুসত্ত্বা রোগ। আজ এই মানুষিক সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করবো।
প্রথমে বলি এই বহুসত্ত্বা জিনিসটা কি?
আমরা আমাদের নিজেদেরকে অনেক সময় অনেক রকম চরিত্রে কল্পনা করি। সেটা হতে পারে কোন উপন্যাস বা চলচ্চিত্রের কোন চরিত্র। একেক পরিবেশে নিজেকে একেক ভাবে উপস্থাপন করি। আমরা স্বাধারণত একাদিক সত্ত্বাতে নিজেকে কল্পনা করলেও নিজের মুল সত্ত্বা ভুলি না। ব্যাখ্যাটা জটিল মনে হচ্ছে।
উদাহরণ দিয়ে বুঝাচ্ছি। ধরুন আপনি নিজেকে কোন মেয়ের কাছে একটু ফ্যান্সি ভাবে উপস্থাপণ করতে নিজের নাম গোপন রেখে নিজেকে জেমস বন্ড বলে পরিচয় দিলেন। সেখানে আপনি, কোনটা আপনার প্রকৃত পরিচয় আর কোনটা ফেক পরিচয় সেটা ভুলে না যাওয়াটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু সমস্যা হলো, আপনি বিভিন্ন সময় নিজেকে বিভিন্ন চরিত্রে কল্পনা করে সব গুলো চরিত্রকে সত্য বলে ভাবতে শুরু করলে তাকে ডিসোসিয়েটিভ আইডেন্টিটি ডিজর্ডার বলে। রোগী একাদিক সত্ত্বার মাঝে নিজেকে হাড়িয়ে ফেলে, নিজেকে আর আলাদা ভাবে আইডেন্টিফাই করতে পারে না। এই ধরণের মানুষিক রোগিরা নিজেকে দুই-থেকে ১০০ জন সত্ত্বা পর্যন্ত মনে করতে পারে। এমনকি অনেকে নিজেকে পশু বা পাখি ভাবতে শুরু করে।
যখন হঠাৎ হঠাৎ রোগীর চরিত্র পরিবর্তন হয় তারা ভাবে এই বুঝি কোথায় হাড়িয়ে গেছে, বা হোশ ফিরেছে। সাইকোলজির ভাষায় একে ব্লেক-আউট বলে।
এখন বলি এই রোগ কিজন্যে হতে পারে?
স্বাধারণত কোন শিশু যদি যৌন হয়রানি, অত্যাচার, কোন কিছুতে প্রচন্ড ভয়, অত্যাধিক শাসন, পারিবারিক লাঞ্ছনার শিকার হয় তাহলে পরবর্তীতে তা এই ডিজর্ডারে পরিণত হতে পারে। মুলত প্রচন্ড ভয় থেকে রেহায় পেতে ভিক্টিম নিজের মধ্যে সত্ত্বা তৈরি করে। সত্ত্বাগুলোকে রক্ষাকর্তা ভাবতে শুরু করে।
আপনাকে সাজেস্ট করা হবে Split মুভিটা দেখার জন্য। যেখানে ক্যাভিন নামের একজন নিজের ভিতরে ২৪টি সত্ত্বা তৈরি করে। এই মুভিটি দেখলে আপনি বহুসত্বা রোগ সম্পর্কে ডিটেইলে জানতে পারবেন।
-- Al Robin (11:23, 10.09.2022)
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....