- বই : গ্যোতের দেশে
- জনরা : ভ্রমণ স্মৃতি
- মূল লেখক : আহমদ ছফা
- অনুবাদ : নুরুল আনোয়ার।
- রিভিউ ক্রেডিট : জেসমিন পমি
"গ্যোতের দেশে " বইটি সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে গ্যোতে কে সেটা জানতে হবে। গ্যোতেকে আধুনিক কালের সর্বশ্রেষ্ঠ জার্মান সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্যোতে সম্পর্কে বলতে গিয়ে আহমদ ছফা লিখেছেন
-" তিনি কি না ছিলেন? একাধারে তিনি ছিলেন বিজ্ঞানী, দার্শনিক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, খনিজ বিজ্ঞানী, নাট্যকার, কবি এবং একজন প্রেমিক। "
যাহোক, এবার বইয়ের কথায় আসি। আহমদ ছফার লিখিত একমাত্র ইংরেজি বই "German perspectives" কে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র নুরুল আনোয়ার। বইটি অনুবাদ করতে গিয়ে তিনি স্বীকার করেছেন-
কিছু কিছু জায়গায় আক্ষরিক অনুবাদ, এবং কিছু কিছু জায়গায় ভাবানুবাদ ব্যবহার করেছেন। এ কারণে মনে হয়েছে মূল বইটি পড়লে যে স্বাদ পাওয়া যেত সেটা অনুবাদ পড়ে পাওয়া যাচ্ছে না।
দ্বিতীয়বার যখন আহমদ ছফা জার্মানি ভ্রমণ করেন, সেসময়কার অভিজ্ঞতাকে মাত্র ৬৪ পৃষ্ঠার একটা বই আকারে তিনি লিখেছেন, তাও একজন জার্মান বন্ধুর অনুরোধে। বইটিতে আহমদ ছফার বার্লিন, বন, ফ্রাঙ্কফুর্টের ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথা লেখা আছে। জার্মানির শহর গুলোর মধ্যে বার্লিন তাঁর কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দের ছিলো, এটাও তিনি উল্লেখ করেছেন।
আমি জানিনা এটাকে একটা সার্থক ভ্রমণকাহিনী বলা যায় কিনা, কারণ রাজনৈতিক বিষয়গুলো এবং বিভিন্ন বন্ধুর চারিত্রিক বিষয়গুলো বেশি মাত্রায় উঠে এসেছে। এই বই পড়তে গিয়ে জানা গেছে যে জার্মান সাহিত্যিক গ্যোতের প্রতি আহমদ ছফার কতটা অনুরাগ ছিল।
যাহোক, বই থেকে কিছু লাইন উদ্ধৃত করে রিভিউটি শেষ করছি-
১) আপনি যখন ক্ষুধার্ত থাকবেন, তখন গোলাপের সৌন্দর্য এবং সুগন্ধ আপনার কাছে অর্থহীন হয়ে দাঁড়াবে।
২) আপনি যদি মানুষকে সাহায্য করতে চান কেবল রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে দিলে হবে না, ওটা খুব সামান্য ফল দিবে। প্রথমে মানুষকে সম্মান দিতে হবে। সে এটার উপর দাঁড়াতে চেষ্টা করবে।
৩) মানুষ পরিবর্তনশীল। জীবনের আগুন ধারণশক্তিকে পরিবর্তন করতে সাহায্য করে। কিছু লোক পরিবর্তন হয় মঙ্গলের জন্য, কিছু লোক অধিকতর মন্দের জন্য নিজেকে পরিবর্তন ঘটায়।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....