- বই : যে দু'আ ব্যর্থ হয় না
- মূল : আব্দুর রাযযাক বিন আব্দুল মুহসিন আল বদর
- অনুবাদক : রবিউল্লাহ
- সম্পাদক : ড. মুহাম্মদ মোছলেহ্ উদ্দিন
- শীঘ্রই প্রকাশিতব্য (ইন শা আল্লাহ)
দু’আর সময় অন্তরের অমনোযোগিতার কতিপয় লক্ষণ হলো: দু’আর সময় অতি ব্যস্ততা ও নড়াচড়া করা। আপনি দেখতে পাবেন দুু’আকারীর জিহ্বা দু’আর সময় নড়াচড়া করছে ঠিকই কিন্তু সাথেতার হাত মাটির সাথে অথবা কাপড় নিয়ে বেহুদা কাজ করছে; কিংবা দেখতে পাবেন দু’আর সময় তার চোখ, ডান-বাম দিকে
ঘোরা ফেরা করছে- আর এগুলো সবই এজন্য ঘটছে যে, তার ক্বলববা আত্মা আল্লাহ’র কাছে দু’আর সময় একনিষ্ঠ ও একাগ্র হয়নি।
আর তাই উমার ইবনু আব্দুল আযীয (রহ.) যখন একজন ব্যক্তিকেদু’আ করতে দেখলেন তখন লক্ষ্য করলেন যে, তার হাতে একটি পাথর আছে, যা দিয়ে সে খেলছে; তখন তিনি তাকে বললেন,
“أال ألقيت احلصاة، وأخلصت إيل هللا الدعاء”
“তুমি কি তোমার হাত থেকে পাথরটি ফেলে দিতে পার না?এবং আল্লাহ’র কাছে দু’আর ক্ষেত্রে একনিষ্ঠ হতে পারো না?”(হিলয়াতুল আউলিয়া; আবু নুয়াইম; ৫/২৮৭ পৃ.)
আর আমাদের এ যুগে খেলাধুলার এ পাথর নতুন আঙ্গীকেমানুষের হাতে হাতে অধিকাংশ সময় বিরাজমান থাকে। যা মানুষের অন্তরকে হাতের চাইতেও অধিকহারে খেলাধুলায় ব্যস্ত রাখে। এমতাবস্থায় তারা যথাযথভাবে দু’আ, কান্নাকাটি ও যাঞ্চাকরতে সমর্থ হয় না। তাদেরকে একথা বলা খুবই প্রযোজ্য যে, “তোমরা কি তোমাদের ‘মোবাইল ফোনটি’ বন্ধ রাখতে পারোনা? যাতে করে একান্তভাবে আল্লাহ’র কাছে চাইতে পারো!"
যে ব্যক্তি চায় যে, তার দু’আ কবূল হোক, তার জন্য প্রথম কর্তব্য হলোযে, সে যেনো দু’আ করার সময় তার আত্মাকে একাগ্র করে আল্লাহ’র দিকে নিবন্ধিত করে এবং সে যেনো তার আত্মাকে এবং চিন্তাকে তার কাম্য বিষয়বস্তু ও প্রয়োজনাদির দিকে একনিষ্ঠ করার জন্য নিজের নফসের সাথে প্রচেষ্টা চালায়। তদুপরি সে যেনো যে বিষয়ে তার রব-এর কাছে দু’আ করছে তার বাইরে অন্যকিছুতে নিজের আত্মাকেব্যস্ত না করে। কেননা আত্মাকে যখন অবহেলার সুযোগ দেওয়া হয়।
তখন সে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। সুতরাং দু’আর সময় অবশ্যই আত্মাকেমনোযোগী ও একনিষ্ঠ করার জন্য সর্বাধিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
✓ বিস্তারিত জানতে বইপাও ডট কমের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
0 মন্তব্যসমূহ
ℹ️ Your Opinion is very important to us, Please Writer your comment below about this Post.....